গোলাম ওয়াদুদ
কালে কালে এ পৃথিবীতে মহামারির আগমন ঘটেছে। মহামারি কেন হয়—এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর গবেষণা। একেক মহামারি একেক দেশ বা অঞ্চল থেকে একেক কারণে ছড়িয়েছে। আজকের বিশ্বও একটি মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই মহামারির একটি নামও রয়েছে। নাম–গোত্রহীন কিছু থাকাটা তো উচিত নয়। ডাকতে হলেও তো একটা নাম লাগে। এরও আছে। নাম করোনা, যার অর্থ মুকুট। সঙ্গে একটা বংশপদবীও রয়েছে—ভাইরাস। এ দেখে আগে যা একটু নাক সিটকানোর উপায় ছিল—এখন একদম নেই। কারণ, নামের প্রতি সুবিচার করেই করোনা সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে। দেশে দেশে এমন ত্রাহি দশা করে ছেড়েছে যে, সবাই এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্ব খুব সিরিয়াস। কিন্তু এমন ছিলা টানটান সিরিয়াসনেস তো শরীর–স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ঐতিহ্যেরও একটা ব্যাপার আছে। রসে–বশে থাকা দেশগুলো তাই নানা অভিনব পন্থা নিয়েছে। পিছলে পড়ে রাজাকে হাসানোর মতো করে নানা কায়দা করে করোনার মনোরঞ্জন করছে তারা।
এমনই এক দেশ করোনা নির্মূলে বিভিন্ন জাদুকরী কাজ করে যাচ্ছে। দেশটির করোনা নির্মূলের মহাপরিকল্পনা দেখে ভাইরাস সম্প্রদায় মুখ টিপে হাসবে না লেজ গুটিয়ে পালাবে, তা ঠিক বুঝে পাচ্ছে না। লেজকে এখানে আক্ষরিক অর্থে নেওয়ার কিছু নেই। সে যা হোক, বেচারা করোনা পড়েছে মহা ফাপরে। সে এখন ‘কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই’—এই দুই লাইন আওড়াচ্ছে, আর তাকে নিয়ে দেশটির করা নানা মহা এবং মহা এবং মহা মহাপরিকল্পনা দেখছে।
করোনা মহাশয় যখন ওই দেশে ঢুকল, তখন থেকেই বেকাদায় আছে। রাস্তায় বের হলেই চিন্তায় পড়ে যায়। শত দেশ ঘুরে তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে তাকে দেখে ভয়ে সবাই ঘরে ঢুকে যায়, মুখ ঢেকে বের হয়। কিন্তু এই মুল্লুকে তার ভয়ে নয়, পুলিশের ভয়ে মুখে কাপড় দেয় লোকেরা। এ দেখেই প্রথম চমকে উঠেছিল করোনা।
দেশটি যারা চালায়, তাদের সিদ্ধান্ত দেখেও চিন্তায় পড়ে যায় সে। নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সে চিন্তায় পড়ে গেল। তখনো সে বুঝতে পারেনি—এই তো সবে শুরু। এর পর একে একে শিথিল, কঠোর, অতি কঠোর, কঠোরতম, সর্বাত্মক নানা ভঙ্গিমার লকডাউন দেখার সৌভার্গ হয় তার। এত ধরনের লকডাউন দেখার সৌভাগ্য এই দেশে না এলে বুঝি জানাই যেত না—ভেবে সে নিজের কপালের প্রশংসা করে।
এসব কঠোরতমের মধ্যেও আবার রয়েছে নানা উপদল। কঠোরতমের মধ্যে যেমন একদিনের জন্য সব সচল দিন আসে, তেমনি দুয়ার বন্ধ দিনও আসে। সচল দিনের শিয়রে বসে তখন করোনাকে ভাবতে হয়—তবে ছুটি পেল সে!
করোনা ভাবে, তবু ভালো কেউ তার প্রতিক্রিয়া জানতে আসছে না। কী বলত তখন?
বেচারা বারবার ভাবে দেশটা ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু পরক্ষণে ভাবে না ভালোই তো বিনোদন হচ্ছে। এমন বিনোদন আর কোথায় পাবে। আগে তো তবু যুক্তরাষ্ট্র ছিল। কিন্তু জনাব ট্রাম্প চলে যাওয়ার পর সব কেমন বিরস। কারও তো তেমন রসবোধই নেই। ব্রাজিলের বোলসোনারোও যেন কেমন হয়ে গেছে ইদানীং। তাই আর যাওয়া হয় না দেশটি ছেড়ে। সে দেশের মানুষ দারুণ রসে বশ করেছে তাকে। এখন বিনোদন নিতে নিতে মাঝেমাঝেই তার সামনে হাজির হয় সেই পুরাতন দার্শনিক প্রশ্ন—আদৌ কি আমি আছি?
কালে কালে এ পৃথিবীতে মহামারির আগমন ঘটেছে। মহামারি কেন হয়—এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর গবেষণা। একেক মহামারি একেক দেশ বা অঞ্চল থেকে একেক কারণে ছড়িয়েছে। আজকের বিশ্বও একটি মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই মহামারির একটি নামও রয়েছে। নাম–গোত্রহীন কিছু থাকাটা তো উচিত নয়। ডাকতে হলেও তো একটা নাম লাগে। এরও আছে। নাম করোনা, যার অর্থ মুকুট। সঙ্গে একটা বংশপদবীও রয়েছে—ভাইরাস। এ দেখে আগে যা একটু নাক সিটকানোর উপায় ছিল—এখন একদম নেই। কারণ, নামের প্রতি সুবিচার করেই করোনা সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে। দেশে দেশে এমন ত্রাহি দশা করে ছেড়েছে যে, সবাই এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্ব খুব সিরিয়াস। কিন্তু এমন ছিলা টানটান সিরিয়াসনেস তো শরীর–স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ঐতিহ্যেরও একটা ব্যাপার আছে। রসে–বশে থাকা দেশগুলো তাই নানা অভিনব পন্থা নিয়েছে। পিছলে পড়ে রাজাকে হাসানোর মতো করে নানা কায়দা করে করোনার মনোরঞ্জন করছে তারা।
এমনই এক দেশ করোনা নির্মূলে বিভিন্ন জাদুকরী কাজ করে যাচ্ছে। দেশটির করোনা নির্মূলের মহাপরিকল্পনা দেখে ভাইরাস সম্প্রদায় মুখ টিপে হাসবে না লেজ গুটিয়ে পালাবে, তা ঠিক বুঝে পাচ্ছে না। লেজকে এখানে আক্ষরিক অর্থে নেওয়ার কিছু নেই। সে যা হোক, বেচারা করোনা পড়েছে মহা ফাপরে। সে এখন ‘কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই’—এই দুই লাইন আওড়াচ্ছে, আর তাকে নিয়ে দেশটির করা নানা মহা এবং মহা এবং মহা মহাপরিকল্পনা দেখছে।
করোনা মহাশয় যখন ওই দেশে ঢুকল, তখন থেকেই বেকাদায় আছে। রাস্তায় বের হলেই চিন্তায় পড়ে যায়। শত দেশ ঘুরে তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে তাকে দেখে ভয়ে সবাই ঘরে ঢুকে যায়, মুখ ঢেকে বের হয়। কিন্তু এই মুল্লুকে তার ভয়ে নয়, পুলিশের ভয়ে মুখে কাপড় দেয় লোকেরা। এ দেখেই প্রথম চমকে উঠেছিল করোনা।
দেশটি যারা চালায়, তাদের সিদ্ধান্ত দেখেও চিন্তায় পড়ে যায় সে। নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সে চিন্তায় পড়ে গেল। তখনো সে বুঝতে পারেনি—এই তো সবে শুরু। এর পর একে একে শিথিল, কঠোর, অতি কঠোর, কঠোরতম, সর্বাত্মক নানা ভঙ্গিমার লকডাউন দেখার সৌভার্গ হয় তার। এত ধরনের লকডাউন দেখার সৌভাগ্য এই দেশে না এলে বুঝি জানাই যেত না—ভেবে সে নিজের কপালের প্রশংসা করে।
এসব কঠোরতমের মধ্যেও আবার রয়েছে নানা উপদল। কঠোরতমের মধ্যে যেমন একদিনের জন্য সব সচল দিন আসে, তেমনি দুয়ার বন্ধ দিনও আসে। সচল দিনের শিয়রে বসে তখন করোনাকে ভাবতে হয়—তবে ছুটি পেল সে!
করোনা ভাবে, তবু ভালো কেউ তার প্রতিক্রিয়া জানতে আসছে না। কী বলত তখন?
বেচারা বারবার ভাবে দেশটা ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু পরক্ষণে ভাবে না ভালোই তো বিনোদন হচ্ছে। এমন বিনোদন আর কোথায় পাবে। আগে তো তবু যুক্তরাষ্ট্র ছিল। কিন্তু জনাব ট্রাম্প চলে যাওয়ার পর সব কেমন বিরস। কারও তো তেমন রসবোধই নেই। ব্রাজিলের বোলসোনারোও যেন কেমন হয়ে গেছে ইদানীং। তাই আর যাওয়া হয় না দেশটি ছেড়ে। সে দেশের মানুষ দারুণ রসে বশ করেছে তাকে। এখন বিনোদন নিতে নিতে মাঝেমাঝেই তার সামনে হাজির হয় সেই পুরাতন দার্শনিক প্রশ্ন—আদৌ কি আমি আছি?
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
২ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
৩ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৪ দিন আগে