রজত কান্তি রায়
হাসিটা তখনই কানে এল।
মানুষহীন শহরে রাস্তাগুলো একেবারে ফাঁকা। চলছে লকডাউন। সন্ধ্যাবেলাতেই চারদিক সুনসান। হলুদ–কালোয় মেশানো ভৌতিক আবহ। এক সহকর্মীর বাইকের পেছনে উঠে পাড়ি দিতে শুরু করলাম সুনসান এক নীরব শহরের জনশূন্য পথ। এগুলোকে রাজপথই বলা হয়। যখন মিছিলের যুগ ছিল, তখন এসব রাজপথ ছেড়ে না যাওয়ার একটি গল্প ছিল। এখন নীরব।
অফিস থেকে বেরিয়ে একটা ইউ টার্ন নিয়ে বাইক পৌঁছে গেল হাতিরঝিলের কোনায়। সেখানে একটা পুলিশ চেকপোস্ট। কায়দা করে সেটা পেরিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকা সুদৃশ্য রাস্তা। দুদিকে গাছের সারি। রাত নটা। এ সময় এখানে মানুষ গিজগিজ করার কথা। এখন পিনপতন নীরবতা। একটা মেটে রঙের কুকুর হেলতে দুলতে পার হলো রাস্তাটা। মনে কু ডেকে গেল। কুকুর–বেড়ালকে বিশ্বাস নেই। এরা ডান দিক থেকে আড়াআড়ি বাম দিকে গেলে অমঙ্গল হয়। মেটে রঙের কুকুরটা তাই গেল। আমি ভেতরে-ভেতরে ভীষণ চমকে উঠলাম। পুরো রাস্তায় আমরা দুজন বাইক যাত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। গাছের ফাঁকে ফাঁকে নিয়ন বাতির পোস্ট। শ্রাবণের কালো মেঘের প্রেক্ষাপটে ফাঁকা রাস্তায় হলুদ নিয়ন আলো যথেষ্ট ভৌতিক। সামনে একটা ব্রিজ। ব্রিজের আগে বেশ কিছু গাছ, কালো হয়ে আছে জায়গাটা। এখানে আসতেই হাসিটা কানে ঢুকল।
খ্যাক খ্যাক খিক খিক বা হা হা করে অট্ট হাসি নয়। বুঝলাম আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া আমার আশপাশেই আছেন। ব্রিজটা পার হতেই একটা হলুদ আলোর ল্যাম্পপোস্ট। হাসিটা আর শুনতে পেলাম না। ল্যাম্পপোস্টটা পেরোতেই সামনে আর আলো নেই। সম্ভবত এখানকার বাতিগুলো খারাপ হয়ে গেছে। এই অন্ধকার জায়গাটাতে আবার হাসির শব্দ পেলাম। আমার সহকর্মী কি শুনতে পাচ্ছেন হাসির শব্দ? শুনলে বিতিকিচ্ছিরি একটা ব্যাপার হয়ে যাবে। আমি ওপরের দিকে চাইলাম। হ্যাঁ, যা ভেবেছি তাই। আমার মাথার ওপর দিয়ে শূন্যে ভেসে চলেছেন আমার পূর্বপুরুষ।
সহকর্মীর বাইকটাও চলছে ধীরে। পুরোনো বাইক। তার ওপর আমার আবার বদনাম আছে ওভার ওয়েটের জন্য। যদিও আমার ওজন নিয়ে আমার কোনো কমপ্লেইন নেই। তারপরেও কেন যে লোকজন আমার ওজন নিয়ে ভাবে, আমি জানি না। যা হোক, আমার সহকর্মীর বাইকটা চলছে বেশ ধীরে। আমার মাথার ওপর আমার পূর্বপুরুষের ভূত শূন্যে ভেসে চলেছেন ঠিক শরতের স্বচ্ছ আকাশে পেঁজা তুলো মেঘের মতো। বুঝলাম আজ রাতের বড় একটা সময় ফালতু যেতে বসেছে।
সাত রাস্তা ধরে বিজয় সরণির দিকে চলেছি। সেই নিস্তব্ধ নিঝুম রাজপথ। মাঝে মাঝে এক আধটা বাইক বা গাড়ি হুসহাস করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া আমার মাথার ওপর বসে তালি দিয়ে উঠছেন। আমি একবার তাঁর দিকে, আরেকবার বাইক চালক আমার সহকর্মীর দিকে তাকাচ্ছি।
‘শাওন মাসের এইরাম একটা দিনে আমি প্রেমে পড়ছিলাম।’
‘আচ্ছা। তারপর?’
‘কী যে সুন্দরী আছিল। আহা!’
‘আরে রাখেন। আমি শুনছি তিনি ছিলেন কালো কুচকুচে। চোখ দুইটা বড় বড়।’
‘মোর চোউখ দুইটা যদি তোর চউখে বসায় দিতে পাত্তাম, তাইলে বুঝতি সোন্দর কারে কয়।’
‘আরে রাখেন…’
কথা শেষ হওয়ার আগেই হার্ড ব্রেক কষে থেমে গেলেন আমার সহকর্মী।
‘ভাই, এটা তো চন্দ্রিমা উদ্যান। বাগান। এখানে নামবেন ক্যান।’
‘সেটা তো আমারও প্রশ্ন। এখানে দাঁড়ালেন ক্যান?’
‘আপনি তো রাখতে বললেন ভাই!’
আমার সহকর্মীর চোখে বিস্ময়। আমি তার বিস্ময় আরও বাড়িয়ে তুলে বললাম, ‘নাহ, আপনারে বলি নাই। বলছি আমার পূর্বপুরুষরে। তার নাম পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া। আর খাচুয়া মানে খচ্চর।’
বাইক স্টার্ট দিতে দিতে আমার সহকর্মী আগের চেয়ে বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘মানুষের টাইটেল খাচুয়া, মানে খচ্চর!’
‘ক্যান ভাই, খচ্চর টাইটেল হইতে পারে না?’
‘ক্যামনে কমু ভাই!’
বাইকটা আবার চলতে শুরু করে। ওপরে চলতে শুরু করেন আমার পূর্বপুরুষ। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। দুই প্রজন্মের দুই মানুষ চলেছি সমান্তরাল—ওপরে আর নিচে।
‘নিলোর ডাঙার নাম মনে আছে না?’ প্রশ্নটা ধেয়ে এল আমার দিকে।
‘হুম। এখন সেখানে স্কুল।’
‘ওইখানেই ছিল নিলোর বাড়ি। আহা!’
‘আপনার চরিত্র যে খুব ভালো ছিল না, ও আমি জানি।’
‘ভাই, আপনি কার লগে কথা কন!’ সহকর্মী বিস্মিত কণ্ঠে জানতে চান।
‘কইলাম না ভাই, আমার পূর্বপুরুষের লগে।’
‘ভূত!’
‘মনে হয়।’
‘বলেন কী! আপনি ভূত দেখতে পান?’ দ্বিধা আর শঙ্কা মিশ্রিত কণ্ঠে জানতে চান আমার সহকর্মী।
‘না। ভূত দেখতে পাই না।’
‘তাইলে কথা কন কার লগে!’
‘আপনে গাড়ি চালান মিয়া।’
বাইক ব্রেক কষে থেমে যায়। সহকর্মী বলেন, ‘আমি আপনারে নিতে পারব না। কাছাকাছি আসছি। আপনি যানগা। নামেন ভাই।’
আমি আমতা-আমতা করতে করতে বলি, ‘মানে?’
‘মানে কিছু না। আপনি ভূত পোষেন। যানগা। আমি আপনার লগে যামু না।’
ভদ্র মানুষের এক কথা। আমি নেমে দাঁড়ালাম এক জনশূন্য রাজধানীর রাজপথে। স্বাভাবিক সময়ের ভীষণ জ্যামের এ রাজপথকে এখন মনে হচ্ছে রাক্ষসের জাদুতে আচ্ছন্ন ঘুমন্তপুরীতে যাওয়ার পথ। এ পথে দাঁড়িয়ে আমি একা এক রাজকুমার। সুনসান নীরব এ ঘুমন্তপুরীর কোনো এক রাজপ্রাসাদে বন্দী রাজকন্যার ঘুম ভাঙাতে চলেছি। হাতে আমার জিয়নকাঠি। ডান হাতে সোনার, আর বাম হাতে রুপার কাঠি। কিন্তু ভুলে গেছি কোন কাঠির ছোঁয়ায় রাজকন্যার ঘুম ভাঙবে। এদিকে মাথার ওপর পূর্বপুরুষের ভূত। বাসায় বউ। মোবাইলে সিনড্রেলা বেল বেজেই যাচ্ছে।
দুই হাতে দুই জিয়ন কাঠি নিয়ে এগিয়ে চলেছে রাজকুমার। একটু ওজন বেশি তার। হঠাৎ একটা পঙ্খীরাজ ঘোড়া উড়ে এল কোত্থেকে যেন। বলল, উঠে পড়েন পিঠে।
রাজকুমার উঠে পড়ল। পঙ্খীরাজ উড়তে শুরু করল। চোখের নিমিশেই সে হাজির হলো ঘুমন্তপুরীর সিংহ দরজায়। ঘোড়া বলল, নামেন ভাই। আইসা গেছি।
হেলমেট খুলতে খুলতে বললাম, ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন
হাসিটা তখনই কানে এল।
মানুষহীন শহরে রাস্তাগুলো একেবারে ফাঁকা। চলছে লকডাউন। সন্ধ্যাবেলাতেই চারদিক সুনসান। হলুদ–কালোয় মেশানো ভৌতিক আবহ। এক সহকর্মীর বাইকের পেছনে উঠে পাড়ি দিতে শুরু করলাম সুনসান এক নীরব শহরের জনশূন্য পথ। এগুলোকে রাজপথই বলা হয়। যখন মিছিলের যুগ ছিল, তখন এসব রাজপথ ছেড়ে না যাওয়ার একটি গল্প ছিল। এখন নীরব।
অফিস থেকে বেরিয়ে একটা ইউ টার্ন নিয়ে বাইক পৌঁছে গেল হাতিরঝিলের কোনায়। সেখানে একটা পুলিশ চেকপোস্ট। কায়দা করে সেটা পেরিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকা সুদৃশ্য রাস্তা। দুদিকে গাছের সারি। রাত নটা। এ সময় এখানে মানুষ গিজগিজ করার কথা। এখন পিনপতন নীরবতা। একটা মেটে রঙের কুকুর হেলতে দুলতে পার হলো রাস্তাটা। মনে কু ডেকে গেল। কুকুর–বেড়ালকে বিশ্বাস নেই। এরা ডান দিক থেকে আড়াআড়ি বাম দিকে গেলে অমঙ্গল হয়। মেটে রঙের কুকুরটা তাই গেল। আমি ভেতরে-ভেতরে ভীষণ চমকে উঠলাম। পুরো রাস্তায় আমরা দুজন বাইক যাত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। গাছের ফাঁকে ফাঁকে নিয়ন বাতির পোস্ট। শ্রাবণের কালো মেঘের প্রেক্ষাপটে ফাঁকা রাস্তায় হলুদ নিয়ন আলো যথেষ্ট ভৌতিক। সামনে একটা ব্রিজ। ব্রিজের আগে বেশ কিছু গাছ, কালো হয়ে আছে জায়গাটা। এখানে আসতেই হাসিটা কানে ঢুকল।
খ্যাক খ্যাক খিক খিক বা হা হা করে অট্ট হাসি নয়। বুঝলাম আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া আমার আশপাশেই আছেন। ব্রিজটা পার হতেই একটা হলুদ আলোর ল্যাম্পপোস্ট। হাসিটা আর শুনতে পেলাম না। ল্যাম্পপোস্টটা পেরোতেই সামনে আর আলো নেই। সম্ভবত এখানকার বাতিগুলো খারাপ হয়ে গেছে। এই অন্ধকার জায়গাটাতে আবার হাসির শব্দ পেলাম। আমার সহকর্মী কি শুনতে পাচ্ছেন হাসির শব্দ? শুনলে বিতিকিচ্ছিরি একটা ব্যাপার হয়ে যাবে। আমি ওপরের দিকে চাইলাম। হ্যাঁ, যা ভেবেছি তাই। আমার মাথার ওপর দিয়ে শূন্যে ভেসে চলেছেন আমার পূর্বপুরুষ।
সহকর্মীর বাইকটাও চলছে ধীরে। পুরোনো বাইক। তার ওপর আমার আবার বদনাম আছে ওভার ওয়েটের জন্য। যদিও আমার ওজন নিয়ে আমার কোনো কমপ্লেইন নেই। তারপরেও কেন যে লোকজন আমার ওজন নিয়ে ভাবে, আমি জানি না। যা হোক, আমার সহকর্মীর বাইকটা চলছে বেশ ধীরে। আমার মাথার ওপর আমার পূর্বপুরুষের ভূত শূন্যে ভেসে চলেছেন ঠিক শরতের স্বচ্ছ আকাশে পেঁজা তুলো মেঘের মতো। বুঝলাম আজ রাতের বড় একটা সময় ফালতু যেতে বসেছে।
সাত রাস্তা ধরে বিজয় সরণির দিকে চলেছি। সেই নিস্তব্ধ নিঝুম রাজপথ। মাঝে মাঝে এক আধটা বাইক বা গাড়ি হুসহাস করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া আমার মাথার ওপর বসে তালি দিয়ে উঠছেন। আমি একবার তাঁর দিকে, আরেকবার বাইক চালক আমার সহকর্মীর দিকে তাকাচ্ছি।
‘শাওন মাসের এইরাম একটা দিনে আমি প্রেমে পড়ছিলাম।’
‘আচ্ছা। তারপর?’
‘কী যে সুন্দরী আছিল। আহা!’
‘আরে রাখেন। আমি শুনছি তিনি ছিলেন কালো কুচকুচে। চোখ দুইটা বড় বড়।’
‘মোর চোউখ দুইটা যদি তোর চউখে বসায় দিতে পাত্তাম, তাইলে বুঝতি সোন্দর কারে কয়।’
‘আরে রাখেন…’
কথা শেষ হওয়ার আগেই হার্ড ব্রেক কষে থেমে গেলেন আমার সহকর্মী।
‘ভাই, এটা তো চন্দ্রিমা উদ্যান। বাগান। এখানে নামবেন ক্যান।’
‘সেটা তো আমারও প্রশ্ন। এখানে দাঁড়ালেন ক্যান?’
‘আপনি তো রাখতে বললেন ভাই!’
আমার সহকর্মীর চোখে বিস্ময়। আমি তার বিস্ময় আরও বাড়িয়ে তুলে বললাম, ‘নাহ, আপনারে বলি নাই। বলছি আমার পূর্বপুরুষরে। তার নাম পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া। আর খাচুয়া মানে খচ্চর।’
বাইক স্টার্ট দিতে দিতে আমার সহকর্মী আগের চেয়ে বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘মানুষের টাইটেল খাচুয়া, মানে খচ্চর!’
‘ক্যান ভাই, খচ্চর টাইটেল হইতে পারে না?’
‘ক্যামনে কমু ভাই!’
বাইকটা আবার চলতে শুরু করে। ওপরে চলতে শুরু করেন আমার পূর্বপুরুষ। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। দুই প্রজন্মের দুই মানুষ চলেছি সমান্তরাল—ওপরে আর নিচে।
‘নিলোর ডাঙার নাম মনে আছে না?’ প্রশ্নটা ধেয়ে এল আমার দিকে।
‘হুম। এখন সেখানে স্কুল।’
‘ওইখানেই ছিল নিলোর বাড়ি। আহা!’
‘আপনার চরিত্র যে খুব ভালো ছিল না, ও আমি জানি।’
‘ভাই, আপনি কার লগে কথা কন!’ সহকর্মী বিস্মিত কণ্ঠে জানতে চান।
‘কইলাম না ভাই, আমার পূর্বপুরুষের লগে।’
‘ভূত!’
‘মনে হয়।’
‘বলেন কী! আপনি ভূত দেখতে পান?’ দ্বিধা আর শঙ্কা মিশ্রিত কণ্ঠে জানতে চান আমার সহকর্মী।
‘না। ভূত দেখতে পাই না।’
‘তাইলে কথা কন কার লগে!’
‘আপনে গাড়ি চালান মিয়া।’
বাইক ব্রেক কষে থেমে যায়। সহকর্মী বলেন, ‘আমি আপনারে নিতে পারব না। কাছাকাছি আসছি। আপনি যানগা। নামেন ভাই।’
আমি আমতা-আমতা করতে করতে বলি, ‘মানে?’
‘মানে কিছু না। আপনি ভূত পোষেন। যানগা। আমি আপনার লগে যামু না।’
ভদ্র মানুষের এক কথা। আমি নেমে দাঁড়ালাম এক জনশূন্য রাজধানীর রাজপথে। স্বাভাবিক সময়ের ভীষণ জ্যামের এ রাজপথকে এখন মনে হচ্ছে রাক্ষসের জাদুতে আচ্ছন্ন ঘুমন্তপুরীতে যাওয়ার পথ। এ পথে দাঁড়িয়ে আমি একা এক রাজকুমার। সুনসান নীরব এ ঘুমন্তপুরীর কোনো এক রাজপ্রাসাদে বন্দী রাজকন্যার ঘুম ভাঙাতে চলেছি। হাতে আমার জিয়নকাঠি। ডান হাতে সোনার, আর বাম হাতে রুপার কাঠি। কিন্তু ভুলে গেছি কোন কাঠির ছোঁয়ায় রাজকন্যার ঘুম ভাঙবে। এদিকে মাথার ওপর পূর্বপুরুষের ভূত। বাসায় বউ। মোবাইলে সিনড্রেলা বেল বেজেই যাচ্ছে।
দুই হাতে দুই জিয়ন কাঠি নিয়ে এগিয়ে চলেছে রাজকুমার। একটু ওজন বেশি তার। হঠাৎ একটা পঙ্খীরাজ ঘোড়া উড়ে এল কোত্থেকে যেন। বলল, উঠে পড়েন পিঠে।
রাজকুমার উঠে পড়ল। পঙ্খীরাজ উড়তে শুরু করল। চোখের নিমিশেই সে হাজির হলো ঘুমন্তপুরীর সিংহ দরজায়। ঘোড়া বলল, নামেন ভাই। আইসা গেছি।
হেলমেট খুলতে খুলতে বললাম, ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
৩ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৪ দিন আগে