আরকানসাসের পার্কে জন্মদিনে ২.৯৫ ক্যারেটের হীরা খুঁজে পেল ৭ বছরের বালিকা 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১: ৩১
Thumbnail image

জন্মদিনে হিরার চেয়ে চমৎকার উপহার আর কী হতে পারে বলুন! সাত বছরের এক মার্কিন বালিকা আরকানসাসের এক পার্কে জন্মদিন কাটানোর সময় খুঁজে পেয়েছে ২ দশমিক ৯৫ ক্যারেটের বেশ বড় একটি হীরা। 

অ্যাসপেন ব্রাউন নামের এই বালিকা সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনটিতে তাঁর সপ্তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে গিয়েছিল আরকানসাসের মারফ্রিজবোরোর ক্রেটার অব ডায়মন্ডস স্টেট পার্কে। আর তাঁর খুঁজে পাওয়া সোনালি-বাদামি হীরাটি এ বছর পার্কে আসা অতিথিদের নথিবদ্ধ হিরাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর আগে পার্কের এক দর্শনার্থী ৩ দশমিক ২৯ ক্যারেট ওজনের একটি বাদামি হীরা পেয়েছিলেন। পার্কের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 

‘ব্রাউন তার জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে বাবা এবং দাদির সঙ্গে পার্কে গিয়েছিল’ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনুসন্ধান এলাকার উত্তর-পূর্ব দিকে একটি পথ থেকে মটরের আকারের রত্নটি কুড়িয়ে পায়।’ 

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, পার্কের কর্মকর্তারা পরে নিশ্চিত করেছেন যে ব্রাউন প্রকৃতপক্ষে একটি হীরাই আবিষ্কার করেছে। 

‘অ্যাসপেনের হীরাটির রং সোনালি-বাদামি, এটি উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়াচ্ছিল। এটি একটি সম্পূর্ণ স্ফটিক, যার কোনো ভাঙা দিক নেই। তবে যখন হীরাটি তৈরি হয়েছিল, একদিকে একটি ছোট চিরের মতো সৃষ্টি হয়।’ বিজ্ঞপ্তিটিতে বলেন সহকারী পার্ক সুপারিনটেনডেন্ট ওয়েমন কক্স, ‘এটি অবশ্যই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর হীরাগুলোর একটি।’ 

অবশ্য অ্যাসপেন একাই যে সৌভাগ্যবান তা নন। পার্কের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রতিদিনই পার্কে আসা এক কী দুজন দর্শনার্থী হীরা আবিষ্কার করেন। একজন কৃষক প্রথমবার জমিতে হীরা শনাক্ত করার পর থেকে ওই স্থানে ৭৫ হাজারেরও বেশি হীরা পাওয়া গেছে। 

পার্কের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ৩৭ একরের যে মাঠটিতে দর্শনার্থীরা রত্নের সন্ধান করতে পারে, তা হলো একটি আগ্নেয়গিরির গর্তের ক্ষয়প্রাপ্ত পৃষ্ঠ। এখানকার অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠনের ফল হিসেবে হীরা ছাড়াও এখানে নীলকান্তমণিসহ আরও বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান রত্ন খুঁজে পাওয়া যায়। 

এদিকে জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকার (জিআইএ) একজন গবেষক অ্যারন পালকে বিজনেস ইনসাইডারকে জানান, এই জায়গা ব্যতিক্রমী। কারণ এটি পৃথিবীর একমাত্র জায়গা, যেখানে সাধারণ মানুষ হীরার খোঁজে অনুসন্ধান চালাতে এবং পেলে নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন। 

তবে পর্যটকেরা পার্কটিতে যেসব হীরা খুঁজে পেয়েছেন, সেগুলোর অর্ধেকই পাওয়া যায় পার্ক হিসেবে জায়গাটি আত্মপ্রকাশের পর ৭০-এর দশকে। ২০২০ সালে ৩৩ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি ৯ দশমিক ০৭ ক্যারেটের একটি হীরা খুঁজে পান পার্কে। পরের বছর এক নারী পান ৪ ক্যারেটের একটি হলুদ হীরা। 

তবে ব্রাউনের ২ দশমিক ৯৫ ক্যারেটের এই হীরার দাম কেমন হতে পারে, সেটা ঠিক পরিষ্কার নয়। এর একটা বড় কারণ আরকানসাস হীরা খুব দুর্লভ। পালকে জানান, বাণিজ্যিক হীরার মতো একই কায়দায় এদের দাম নির্ধারণ হয় না। ‘এগুলো মূলত সংগ্রহ করার জন্য।’ 

এদিকে অ্যাসপেনের পরিবার হীরাটির নাম ‘অ্যাসপেন ডায়মন্ড’ রাখার পরিকল্পনা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত