অনলাইন ডেস্ক
আজ বাইরে বেশ হতে নিশ্চয় শীতল একটা হওয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে আপনাকে? বুঝতেই পারছেন, উত্তরের জেলাগুলির এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা ঠান্ডাটি অনেক বেশি অনুভব করেছেন। এই সুযোগে জানিয়ে রাখছি, আজকের ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশে ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির সামান্য ওপরে। এখন কোনো জায়গায় তাপমাত্রা যদি শূন্য অর্থাৎ হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় তখন কী অবস্থা হবে বলুন তো?
যা ভাবছেন তা নয়, এটি মোটেই জনবসতিহীন কোনো জায়গা নয়। রাশিয়ার ভেরখোইয়ান্স্ক নামের ছোট্ট জনপদটির তাপমাত্রা আজ ১১ জানুয়ারিও হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। নিশ্চয় চোখ কপালে উঠেছে? ভাবছেন, এই শীতে ওখানকার মানুষেরা থাকে কীভাবে?
সাইবেরিয়ার দুর্গম ইয়াকুতিয়া অঞ্চলে অবস্থান শহরটির। আর্কটিক সার্কেলের এক শ কিলোমিটারের বেশি গভীরে এটি। শীত মৌসুমে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে পঞ্চাশ ডিগ্রি থাকাটা এখানে অতি সাধারণ ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের বাইরে ১৫ মিনিট টিকে থাকাটাই এখানে প্রায় অসম্ভব।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে শীতল শহরটির স্বাভাবিক একটি দিনের চিত্র কেমন থাকে? প্রবল ঠান্ডার থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পশুর লোম আর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাকে ঢেকে রাখেন শহরের বাসিন্দারা। কখনো কখনো বরফের টুকরোকে তাপ দিয়ে গলিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় এখানকার বাসিন্দাদের।
সমস্যা আরও আছে। শুষ্ক বাতাস চারদিকে ঘোরাফেরা করা অদৃশ্য বিশাল চিমনির মতো আর্দ্রতা শুষে নেয়। এভাবে শরীর থেকে আর্দ্রতা টেনে নেওয়ায় সব সময় তৃষ্ণার্ত বোধ করবেন। এর ফলাফল হিসেবে ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এই জনপদের বাসিন্দাদের।
মোটামুটি হাজার-বারোশ লোকের বাস ভেরখোইয়ান্স্কে। বছর পনেরো আগে সংখ্যাটি দ্বিগুণ ছিল। আরও ভালো পরিবেশে থাকার জন্য এখানকার অনেকেই শহরটি ছেড়ে গেছেন আগের বছরগুলিতে। তাঁদের কি দোষ দেওয়া যায়?
শহরটির গোড়াপত্তন হয় কসাকদের হাতে, ১৬৩৮ সালে। এর অবস্থান ইয়ানা নদীর উজানের দিকে। এখান থেকেই শহরটি তার নাম পেয়েছে। ভেরখোইয়ান্স্ক শব্দের অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘ইয়ানের উজানের শহর’।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন শহরগুলির একটি ভেরখোইয়ান্স্ক। এটি পর্যন্ত সে অর্থে কোনো রাস্তা নেই। শীতে যখন গোটা এলাকা ঢেকে যায় বরফে, তখন হিমায়িত জলাভূমি ও ইয়ানা নদীর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সেখানে পৌঁছা যায়। এদিকে গ্রীষ্মে বরফ গলে গেলে বড় ভরসা হেলিকপ্টার।
শীতের সময়টা শহরের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পারতপক্ষে বাইরে বের হন না। ঘরগুলোকে উষ্ণ রাখা হয় কাঠ দিয়ে জ্বালানো আগুনে এবং সারা শীত জুড়ে চালু থাকা কেন্দ্রীয় হিটিং প্ল্যান্ট থেকে আসা গরম জলে । যারা বাইরে যেতে বাধ্য হন রাস্তার পাশের কুঁড়েঘরে জ্বলা আগুন তাঁদের ভরসা। গাড়ির ইঞ্জিন চালু রাখতে হয় ওই সময়টা। এমনিতে এখানকার শিশুরা এই শীতল পরিবেশেই স্কুলে যায়। স্কুলগুলি বন্ধ থাকে কেবল তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেই।
মজার ঘটনা পৃথিবীর শীতলতম স্থান কোনটি এটি নিয়ে সাইবেরিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের দুই শহর ওয়ামিয়াকোন আর ভেরখোইয়ান্স্কের মধ্যে সব সময়ই জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তবে ওয়ামিয়াকোন মিডিয়ার মনোযোগ বেশি পাওয়ার পাশাপাশি পর্যটন থেকেও উপকৃত হচ্ছে। কোলিমা মহাসড়ক থেকে খুব দূরে নয় বলে ওয়ামিয়াকোনে পর্যটকেরা সহজেই সড়ক পথে যেতে পারেন। সেখানে ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। ওয়ামিয়াকনে হোটেল এমনকি একটি জাদুঘরও আছে।
ওয়ামিয়াকোন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেটি ১৯৩৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। এদিকে এখন পর্যন্ত ভেরখোইয়ান্স্কের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভেরখোইয়ান্স্ক উত্তরের ‘পোল অফ কোল্ড’ হিসেবে বিবেচিত স্থানগুলির মধ্যে একটি। সাইবেরিয়ান হাই নামে পরিচিত ঠান্ডা ও ঘন বাতাসের একটি অঞ্চল এখানকার এমন অনন্য জলবায়ুর কারণ । এই অঞ্চলটিতে তাপমাত্রার পরিবর্তন বেশি হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এখানে গড় তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
শীতকালে প্রবল ঠান্ডা পড়লেও গ্রীষ্মের মাসগুলিতে পরিস্থিতি বদলে যায় প্রায়ই। জুন, জুলাই ও আগস্টে এখানে দিনের তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
শীতে ও গ্রীষ্মে তাপমাত্রার ব্যবধানও তাই এখানে প্রকট। এই ব্যবধান কখনো কখনো ছাড়িয়ে যায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৮৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভেরখোইয়ান্স্কে তাপমাত্রা নামে হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অপর দিকে ২০২০ সালের ২০ জুন জায়গাটির তাপমাত্রা ওঠে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ দুই তাপমাত্রার পার্থক্য ১০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ব্যবধানের রেকর্ড।
স্বাভাবিকভাবেই এমন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কথা চিন্তা করাটাও কষ্টকর। তবে আশ্চর্যজনক হলেও শীত উপভোগের জন্য সেখানে যায় মানুষ। যদিও ভেরখোইয়ান্স্কে রাস্তা-ঘাটের সুবিধা না থাকায় ওয়ামিয়াকোন শীত উপভোগের জন্য পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কাজেই আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে ভেরখোইয়ান্স্কে কয়েকটি রাত কাটানোর কথা ভাবতেই পারেন!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেইজার, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
আজ বাইরে বেশ হতে নিশ্চয় শীতল একটা হওয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে আপনাকে? বুঝতেই পারছেন, উত্তরের জেলাগুলির এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা ঠান্ডাটি অনেক বেশি অনুভব করেছেন। এই সুযোগে জানিয়ে রাখছি, আজকের ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশে ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির সামান্য ওপরে। এখন কোনো জায়গায় তাপমাত্রা যদি শূন্য অর্থাৎ হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় তখন কী অবস্থা হবে বলুন তো?
যা ভাবছেন তা নয়, এটি মোটেই জনবসতিহীন কোনো জায়গা নয়। রাশিয়ার ভেরখোইয়ান্স্ক নামের ছোট্ট জনপদটির তাপমাত্রা আজ ১১ জানুয়ারিও হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। নিশ্চয় চোখ কপালে উঠেছে? ভাবছেন, এই শীতে ওখানকার মানুষেরা থাকে কীভাবে?
সাইবেরিয়ার দুর্গম ইয়াকুতিয়া অঞ্চলে অবস্থান শহরটির। আর্কটিক সার্কেলের এক শ কিলোমিটারের বেশি গভীরে এটি। শীত মৌসুমে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে পঞ্চাশ ডিগ্রি থাকাটা এখানে অতি সাধারণ ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের বাইরে ১৫ মিনিট টিকে থাকাটাই এখানে প্রায় অসম্ভব।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে শীতল শহরটির স্বাভাবিক একটি দিনের চিত্র কেমন থাকে? প্রবল ঠান্ডার থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পশুর লোম আর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাকে ঢেকে রাখেন শহরের বাসিন্দারা। কখনো কখনো বরফের টুকরোকে তাপ দিয়ে গলিয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায় এখানকার বাসিন্দাদের।
সমস্যা আরও আছে। শুষ্ক বাতাস চারদিকে ঘোরাফেরা করা অদৃশ্য বিশাল চিমনির মতো আর্দ্রতা শুষে নেয়। এভাবে শরীর থেকে আর্দ্রতা টেনে নেওয়ায় সব সময় তৃষ্ণার্ত বোধ করবেন। এর ফলাফল হিসেবে ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি এই জনপদের বাসিন্দাদের।
মোটামুটি হাজার-বারোশ লোকের বাস ভেরখোইয়ান্স্কে। বছর পনেরো আগে সংখ্যাটি দ্বিগুণ ছিল। আরও ভালো পরিবেশে থাকার জন্য এখানকার অনেকেই শহরটি ছেড়ে গেছেন আগের বছরগুলিতে। তাঁদের কি দোষ দেওয়া যায়?
শহরটির গোড়াপত্তন হয় কসাকদের হাতে, ১৬৩৮ সালে। এর অবস্থান ইয়ানা নদীর উজানের দিকে। এখান থেকেই শহরটি তার নাম পেয়েছে। ভেরখোইয়ান্স্ক শব্দের অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘ইয়ানের উজানের শহর’।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন শহরগুলির একটি ভেরখোইয়ান্স্ক। এটি পর্যন্ত সে অর্থে কোনো রাস্তা নেই। শীতে যখন গোটা এলাকা ঢেকে যায় বরফে, তখন হিমায়িত জলাভূমি ও ইয়ানা নদীর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে সেখানে পৌঁছা যায়। এদিকে গ্রীষ্মে বরফ গলে গেলে বড় ভরসা হেলিকপ্টার।
শীতের সময়টা শহরের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পারতপক্ষে বাইরে বের হন না। ঘরগুলোকে উষ্ণ রাখা হয় কাঠ দিয়ে জ্বালানো আগুনে এবং সারা শীত জুড়ে চালু থাকা কেন্দ্রীয় হিটিং প্ল্যান্ট থেকে আসা গরম জলে । যারা বাইরে যেতে বাধ্য হন রাস্তার পাশের কুঁড়েঘরে জ্বলা আগুন তাঁদের ভরসা। গাড়ির ইঞ্জিন চালু রাখতে হয় ওই সময়টা। এমনিতে এখানকার শিশুরা এই শীতল পরিবেশেই স্কুলে যায়। স্কুলগুলি বন্ধ থাকে কেবল তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলেই।
মজার ঘটনা পৃথিবীর শীতলতম স্থান কোনটি এটি নিয়ে সাইবেরিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের দুই শহর ওয়ামিয়াকোন আর ভেরখোইয়ান্স্কের মধ্যে সব সময়ই জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তবে ওয়ামিয়াকোন মিডিয়ার মনোযোগ বেশি পাওয়ার পাশাপাশি পর্যটন থেকেও উপকৃত হচ্ছে। কোলিমা মহাসড়ক থেকে খুব দূরে নয় বলে ওয়ামিয়াকোনে পর্যটকেরা সহজেই সড়ক পথে যেতে পারেন। সেখানে ভেরখোইয়ান্স্কের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। ওয়ামিয়াকনে হোটেল এমনকি একটি জাদুঘরও আছে।
ওয়ামিয়াকোন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেটি ১৯৩৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। এদিকে এখন পর্যন্ত ভেরখোইয়ান্স্কের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভেরখোইয়ান্স্ক উত্তরের ‘পোল অফ কোল্ড’ হিসেবে বিবেচিত স্থানগুলির মধ্যে একটি। সাইবেরিয়ান হাই নামে পরিচিত ঠান্ডা ও ঘন বাতাসের একটি অঞ্চল এখানকার এমন অনন্য জলবায়ুর কারণ । এই অঞ্চলটিতে তাপমাত্রার পরিবর্তন বেশি হয়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এখানে গড় তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
শীতকালে প্রবল ঠান্ডা পড়লেও গ্রীষ্মের মাসগুলিতে পরিস্থিতি বদলে যায় প্রায়ই। জুন, জুলাই ও আগস্টে এখানে দিনের তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
শীতে ও গ্রীষ্মে তাপমাত্রার ব্যবধানও তাই এখানে প্রকট। এই ব্যবধান কখনো কখনো ছাড়িয়ে যায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৮৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভেরখোইয়ান্স্কে তাপমাত্রা নামে হিমাঙ্কের নিচে ৬৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অপর দিকে ২০২০ সালের ২০ জুন জায়গাটির তাপমাত্রা ওঠে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ দুই তাপমাত্রার পার্থক্য ১০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ব্যবধানের রেকর্ড।
স্বাভাবিকভাবেই এমন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কথা চিন্তা করাটাও কষ্টকর। তবে আশ্চর্যজনক হলেও শীত উপভোগের জন্য সেখানে যায় মানুষ। যদিও ভেরখোইয়ান্স্কে রাস্তা-ঘাটের সুবিধা না থাকায় ওয়ামিয়াকোন শীত উপভোগের জন্য পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কাজেই আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে ভেরখোইয়ান্স্কে কয়েকটি রাত কাটানোর কথা ভাবতেই পারেন!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেইজার, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১৩ ঘণ্টা আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে