ইশতিয়াক হাসান
প্রচণ্ড গরমে কিছুদিন পার করার পর এখন নিয়ম করে হানা দিচ্ছে কালবৈশাখী। সঙ্গে আছে বৃষ্টি আর মুহুর্মুহু বজ্রপাত। গতকাল শনিবারই দেশে অন্তত ১০ জন বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই কারও শরীরে বাজ পড়ার পর বেঁচে যাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবার একজন একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন, এটা ভাবাও একটু বাড়াবাড়ি।
তবে মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভানের বেলায় এসব সম্ভাবনা, আশঙ্কা কোনো কিছুই খাটে না। কারণ জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, ভার্জিনিয়ার একটি পার্কের প্রাক্তন রেঞ্জার রয় সি. সুলিভানের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশিবার বাজ পড়ার এবং বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড শিগগিরই কেউ ভাঙবেন বলে মনে হয় না। অবশ্য এ ধরনের রেকর্ডের মুখোমুখি হতেও কারও আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না।
১৯১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ার গ্রিন কান্ট্রিতে জন্ম রয় সুলিভানের। ব্লু রিজ মাউন্টেন এলাকায় বেড়ে ওঠা সালিভানরা ছিলেন এগারো ভাইবোন। ১৯৩৬ সালে শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কে রেঞ্জার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
প্রথম আঘাত
১৯৪২ সালের এপ্রিল। নতুন তৈরি হওয়া একটি টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনো এটায় বজ্রপাত প্রতিরোধী রড বা দণ্ড স্থাপন করা হয়নি। দালানটির ওপর আটবার বাজ পড়ে এ সময়। ভেতরে চারপাশে আগুন যেন ছোটাছুটি করছিল। বাঁচার জন্য টাওয়ার থেকে বের হয়ে দৌড় দিলেন সালিভান। তবে দরজা পেরিয়ে কয়েক ফুট যেতে না যেতেই বজ্রপাতের শিকার হন। এতে সাকল্যে তাঁর যে ক্ষতি হয় তা হলো, পায়ের আধা ইঞ্চি জায়গার চামড়া পুড়ে যাওয়া এবং জুতো পুড়ে তৈরি হওয়া একটি গর্ত।
দ্বিতীয় আঘাত
জুলাই, ১৯৬৯। পাহাড়ি একটা রাস্তা ধরে নিজের ট্রাকটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালিভান। এ সময় কাছের একটি গাছে বাজ পড়ে এবং সেখানে বারি খেয়ে ট্রাকের খোলা জানালা দিয়ে এসে আঘাত করে সালিভানকে। এতে তাঁর চোখের পাতা ও ভ্রু পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে আগুন ধরে যায় চুলে। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়লেও বেঁচে যান তিনি। সৌভাগ্যক্রমে ট্রাকটি একটা পাহাড়ি খাদের কিনারে এসে থেমে যায়।
তৃতীয় আঘাত
পরের বছরের একই মাস, অর্থাৎ ১৯৭০ সালের জুলাইয়ের ঘটনা, সালিভান বাড়ির সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময়ই কাছের একটি ট্রান্সফরমারে বাজ পড়ে এবং সেখান থেকে লাফিয়ে এসে আঘাত হানে সালিভানের বাঁ কাঁধে। এতে লোহার শলাকার একটা ছ্যাঁকা খেলে মোটামুটি যে অনুভূতি কিংবা ক্ষতি হয়, এর বেশি কিছু হয়নি তাঁর।
চতুর্থ আঘাত
১৯৭২ সালের বসন্ত, শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের স্টেশনে কাজ করছিলেন সালিভান। এ সময় আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর। এতে চুলে আগুন ধরে যায় তাঁর। দৌড়ে টেপের কাছে গেলেন আগুন নেভানোর জন্য। তবে মাথা কায়দামতো ঢোকাতে না পারায় ভেজা তোয়ালে দিয়ে নেভান চুলের আগুন।
পঞ্চম আঘাত
১৯৭৩ সালের ৭ আগস্ট। ট্রাক নিয়ে পার্কে টহল দিচ্ছিলেন সালিভান। এ সময়ই ঘন কালো মেঘ দেখলেন একটু দূরে। কথায় আছে, ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সালিভানের সেই অবস্থা তখন বজ্রপাতের শিকার হতে হতে। উল্টো দিকে গাড়ি ছোটালেন তিনি। যখন নিশ্চিত হলেন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছেন, লাফিয়ে ট্রাক থেকে নামলেন। আর তখনই বাজ পড়ল তাঁর ওপর। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এবারও তাঁর চুলে আগুন ধরল। সেই সঙ্গে দুই পায়ে হালকা ক্ষত তৈরি করল আগুন। হামাগুড়ি দিয়ে কোনোমতে ট্রাকে উঠে পানির ক্যান নিয়ে নেভালেন চুলের আগুন।
ষষ্ঠ আঘাত
১৯৭৬ সালের ৫ জুন। বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন সালিভান। এ সময় হোঁচট খেয়ে গোড়ালিতে ব্যথা পেলেন। তখনই ঘন কালো মেঘ নজর কাড়ল তাঁর। কোনোভাবে উঠে দাঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর, ফলাফল আবারও আগুন জ্বলল চুলে।
সপ্তম আঘাত
১৯৭৭ সালের ২৫ জুনের সকাল। স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন সালিভান। এ সময় সপ্তম ও শেষবারের মতো বজ্রপাতের শিকার হলেন। এবারও মাথার ওপরের দিকে আঘাত হেনে এটা চুলে আগুন ধরিয়ে দিল তাঁর। পড়ে নেমে এসে বুকে আর পেটেও কিছু ক্ষত সৃষ্টি করে।
সৌভাগ্যক্রমে বজ্রপাতের সঙ্গে রয় সালিভানের সম্পর্কের ইতি ঘটে এর মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে ৭১ বছর বয়সে মারা যাওয়া পর্যন্ত আর কখনো বজ্রপাতের শিকার হননি তিনি।
তাঁর বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সাতটি ঘটনাই লিপিবদ্ধ করেন শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের সুপারিনটেনডেন্ট আর. টেইলর হসকিনস। সালিভানের দাবি, বালক বয়সে বাবাকে খেত থেকে গম কাটায় সাহায্য করার সময় আরও একবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছিলেন। বাজটা কাস্তেতে আঘাত হানলেও কোনো ক্ষতি হয়নি তাঁর। তবে সালিভানের এই বজ্রপাতের শিকার হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করা সম্ভব না হওয়ায় রেকর্ড বুকে স্থান পায়নি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম ওঠা এবং কিছুটা খ্যাতি পেলেও বারবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার কারণে সামাজিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় রয়কে। তাঁর কাছাকাছি থাকতে লোকেরা ভয় পেত, পাছে আবার তাঁর সঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হয়! এ প্রসঙ্গে সালিভানের জীবনে ঘটা আরেকটি আশ্চর্য ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। বাড়ির পেছনে কাপড় শুকাচ্ছিলেন সালিভানের স্ত্রী। তাঁকে সাহায্য করছিলেন সালিভান। এ সময় তাঁর স্ত্রী বজ্রপাতের শিকার হন, যদিও সেবার রেহাই পান সালিভান।
এমনিতে একজন মানুষের আনুমানিক ৮০ বছরের জীবনে বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজার থেকে বারো হাজার ভাগের এক ভাগ। আর একাধিকবার কারও ওপর বাজ পড়ার সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই আরও কম। তবে এসব হিসেব-নিকাশ রয় সালিভানের সঙ্গে যে কোনোভাবেই যায় না, সে বিষয়ে এ লেখা পড়ার পর আপনার মনে নিশ্চয় আর কোনো সন্দেহ নেই!
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, আইরিশ সেস্ট্রাল ডট কম
প্রচণ্ড গরমে কিছুদিন পার করার পর এখন নিয়ম করে হানা দিচ্ছে কালবৈশাখী। সঙ্গে আছে বৃষ্টি আর মুহুর্মুহু বজ্রপাত। গতকাল শনিবারই দেশে অন্তত ১০ জন বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই কারও শরীরে বাজ পড়ার পর বেঁচে যাওয়াটা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবার একজন একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হবেন, এটা ভাবাও একটু বাড়াবাড়ি।
তবে মার্কিন নাগরিক রয় সি. সালিভানের বেলায় এসব সম্ভাবনা, আশঙ্কা কোনো কিছুই খাটে না। কারণ জীবনে সাতবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন এই ভদ্রলোক। আর কী আশ্চর্য! লাখ লাখ ভোল্ট বিদ্যুৎসহ তাঁর ওপর চড়াও হওয়া বাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে যেন প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, ভার্জিনিয়ার একটি পার্কের প্রাক্তন রেঞ্জার রয় সি. সুলিভানের ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশিবার বাজ পড়ার এবং বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড শিগগিরই কেউ ভাঙবেন বলে মনে হয় না। অবশ্য এ ধরনের রেকর্ডের মুখোমুখি হতেও কারও আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না।
১৯১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ার গ্রিন কান্ট্রিতে জন্ম রয় সুলিভানের। ব্লু রিজ মাউন্টেন এলাকায় বেড়ে ওঠা সালিভানরা ছিলেন এগারো ভাইবোন। ১৯৩৬ সালে শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কে রেঞ্জার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
প্রথম আঘাত
১৯৪২ সালের এপ্রিল। নতুন তৈরি হওয়া একটি টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনো এটায় বজ্রপাত প্রতিরোধী রড বা দণ্ড স্থাপন করা হয়নি। দালানটির ওপর আটবার বাজ পড়ে এ সময়। ভেতরে চারপাশে আগুন যেন ছোটাছুটি করছিল। বাঁচার জন্য টাওয়ার থেকে বের হয়ে দৌড় দিলেন সালিভান। তবে দরজা পেরিয়ে কয়েক ফুট যেতে না যেতেই বজ্রপাতের শিকার হন। এতে সাকল্যে তাঁর যে ক্ষতি হয় তা হলো, পায়ের আধা ইঞ্চি জায়গার চামড়া পুড়ে যাওয়া এবং জুতো পুড়ে তৈরি হওয়া একটি গর্ত।
দ্বিতীয় আঘাত
জুলাই, ১৯৬৯। পাহাড়ি একটা রাস্তা ধরে নিজের ট্রাকটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালিভান। এ সময় কাছের একটি গাছে বাজ পড়ে এবং সেখানে বারি খেয়ে ট্রাকের খোলা জানালা দিয়ে এসে আঘাত করে সালিভানকে। এতে তাঁর চোখের পাতা ও ভ্রু পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে আগুন ধরে যায় চুলে। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়লেও বেঁচে যান তিনি। সৌভাগ্যক্রমে ট্রাকটি একটা পাহাড়ি খাদের কিনারে এসে থেমে যায়।
তৃতীয় আঘাত
পরের বছরের একই মাস, অর্থাৎ ১৯৭০ সালের জুলাইয়ের ঘটনা, সালিভান বাড়ির সামনের উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময়ই কাছের একটি ট্রান্সফরমারে বাজ পড়ে এবং সেখান থেকে লাফিয়ে এসে আঘাত হানে সালিভানের বাঁ কাঁধে। এতে লোহার শলাকার একটা ছ্যাঁকা খেলে মোটামুটি যে অনুভূতি কিংবা ক্ষতি হয়, এর বেশি কিছু হয়নি তাঁর।
চতুর্থ আঘাত
১৯৭২ সালের বসন্ত, শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের স্টেশনে কাজ করছিলেন সালিভান। এ সময় আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর। এতে চুলে আগুন ধরে যায় তাঁর। দৌড়ে টেপের কাছে গেলেন আগুন নেভানোর জন্য। তবে মাথা কায়দামতো ঢোকাতে না পারায় ভেজা তোয়ালে দিয়ে নেভান চুলের আগুন।
পঞ্চম আঘাত
১৯৭৩ সালের ৭ আগস্ট। ট্রাক নিয়ে পার্কে টহল দিচ্ছিলেন সালিভান। এ সময়ই ঘন কালো মেঘ দেখলেন একটু দূরে। কথায় আছে, ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সালিভানের সেই অবস্থা তখন বজ্রপাতের শিকার হতে হতে। উল্টো দিকে গাড়ি ছোটালেন তিনি। যখন নিশ্চিত হলেন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছেন, লাফিয়ে ট্রাক থেকে নামলেন। আর তখনই বাজ পড়ল তাঁর ওপর। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এবারও তাঁর চুলে আগুন ধরল। সেই সঙ্গে দুই পায়ে হালকা ক্ষত তৈরি করল আগুন। হামাগুড়ি দিয়ে কোনোমতে ট্রাকে উঠে পানির ক্যান নিয়ে নেভালেন চুলের আগুন।
ষষ্ঠ আঘাত
১৯৭৬ সালের ৫ জুন। বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন সালিভান। এ সময় হোঁচট খেয়ে গোড়ালিতে ব্যথা পেলেন। তখনই ঘন কালো মেঘ নজর কাড়ল তাঁর। কোনোভাবে উঠে দাঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু আবার বাজ পড়ল তাঁর ওপর, ফলাফল আবারও আগুন জ্বলল চুলে।
সপ্তম আঘাত
১৯৭৭ সালের ২৫ জুনের সকাল। স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন সালিভান। এ সময় সপ্তম ও শেষবারের মতো বজ্রপাতের শিকার হলেন। এবারও মাথার ওপরের দিকে আঘাত হেনে এটা চুলে আগুন ধরিয়ে দিল তাঁর। পড়ে নেমে এসে বুকে আর পেটেও কিছু ক্ষত সৃষ্টি করে।
সৌভাগ্যক্রমে বজ্রপাতের সঙ্গে রয় সালিভানের সম্পর্কের ইতি ঘটে এর মাধ্যমে। ১৯৮৩ সালে ৭১ বছর বয়সে মারা যাওয়া পর্যন্ত আর কখনো বজ্রপাতের শিকার হননি তিনি।
তাঁর বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সাতটি ঘটনাই লিপিবদ্ধ করেন শেনানডোয়া ন্যাশনাল পার্কের সুপারিনটেনডেন্ট আর. টেইলর হসকিনস। সালিভানের দাবি, বালক বয়সে বাবাকে খেত থেকে গম কাটায় সাহায্য করার সময় আরও একবার বজ্রপাতের শিকার হয়েছিলেন। বাজটা কাস্তেতে আঘাত হানলেও কোনো ক্ষতি হয়নি তাঁর। তবে সালিভানের এই বজ্রপাতের শিকার হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করা সম্ভব না হওয়ায় রেকর্ড বুকে স্থান পায়নি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম ওঠা এবং কিছুটা খ্যাতি পেলেও বারবার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার কারণে সামাজিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় রয়কে। তাঁর কাছাকাছি থাকতে লোকেরা ভয় পেত, পাছে আবার তাঁর সঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হয়! এ প্রসঙ্গে সালিভানের জীবনে ঘটা আরেকটি আশ্চর্য ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। বাড়ির পেছনে কাপড় শুকাচ্ছিলেন সালিভানের স্ত্রী। তাঁকে সাহায্য করছিলেন সালিভান। এ সময় তাঁর স্ত্রী বজ্রপাতের শিকার হন, যদিও সেবার রেহাই পান সালিভান।
এমনিতে একজন মানুষের আনুমানিক ৮০ বছরের জীবনে বজ্রপাতের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজার থেকে বারো হাজার ভাগের এক ভাগ। আর একাধিকবার কারও ওপর বাজ পড়ার সুযোগ স্বাভাবিকভাবেই আরও কম। তবে এসব হিসেব-নিকাশ রয় সালিভানের সঙ্গে যে কোনোভাবেই যায় না, সে বিষয়ে এ লেখা পড়ার পর আপনার মনে নিশ্চয় আর কোনো সন্দেহ নেই!
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, আইরিশ সেস্ট্রাল ডট কম
৯১১-তে ফোন দিয়ে কত জরুরি প্রয়োজনেই তো সাহায্য চায় মানুষ। তাই বলে নিশ্চয় আশা করবেন না কেউ অঙ্ক মিলিয়ে দিতে বলবে। কিন্তু ৯১১-তে ফোন দিয়ে এ আবদারই করে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ১০ বছরের এক বালক।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এক ফ্লাইটের যাত্রীরা অপর এক যাত্রীকে মাঝপথে চেপে ধরে হাত-পা টেপ দিয়ে আটকে দেন। অবশ্য ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তিনি উড়োজাহাজটি ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় দরজা খুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগেবিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
২ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগে