রজত কান্তি রায়, ঢাকা
শুনিতে পাইতেছি, কোকিল ডাকিতেছে। কেন ডাকিতেছে? আমার বিশ্বাস, বসন্তকাল না হইলে কোকিল ডাকিত না। তাহার মানেই হইল, বসন্তকাল দুয়ারে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু ইহাও শুনিতে পাইতেছি, উত্তরাকাশে গুড়ুম গুড়ুম শব্দ হইতেছে।
সে শব্দ শুনিয়া আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া প্রথমে ভাবিয়া বসিলেন, পুতিনের পেট খারাপ করিয়াছে কিংবা জেলেনস্কি ব্যাপক ভয় পাইয়া রেচকবায়ু ত্যাগ করিয়াছেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। যেহেতু আমাদের গ্রামের বাড়ির উত্তরের বিলে দাঁড়াইলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, তাই আমরা সব সময় ভাবিয়া আসিয়াছি, রুশ ভূখণ্ড তার কয়েক মাইল উত্তরেই কোথাও অবস্থিত। শীতের শেষ হইলেও উত্তরে বায়ুর প্রবাহ এখনো শেষ হয় নাই। তাই পুতিনের পেট খারাপের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ কিংবা জেলেনস্কির রেচকবায়ু ত্যাগের শব্দ আমাদের গ্রাম হইতে শোনা যাইতেই পারে। কিন্তু না। ঘটিল একেবারে ভিন্ন এক ঘটনা। এবং যাহার সমসাময়িক মানুষেরা ‘খচ্চর’ বলিয়া তাঁহার বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখিতেন, আমার সেই জ্যোতির্ময় পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া ভীষণ ভয় পাইয়া মর্ত্যে উপস্থিত হইলেন। আর সেই সময়ই কোকিলের কুহু তান শোনা গেল।
কহিলেন, ভ্রাতো…
কহিলাম, নাতির ছেলে হইলে সাধারণত মুরব্বিদের জ্যেঠু বলিয়া সম্বোধন করিবার রেওয়াজ আছে আমাদিগের। আপনি কি সেই সম্পর্কে ইতি টানিতে চাহিতেছেন?
তিনি কহিলেন, এত চেতিতেছ কেন? আগে বল, শব্দ কিসের?
কহিলাম, কোন শব্দ?
তিনি কহিলেন, ওই যে উত্তরাকাশ ভেদিয়া গুরুগম্ভীর নাদে যে শব্দ আমাদিগের কানে আসিয়া উপস্থিত হইতেছে।
কহিলাম, সে তো অনেক শব্দই আসিতেছে। উত্তরাকাশ ভেদ করিয়া নীলোর কলকল লাস্যধ্বনীও উপস্থিত হইতেছে।
এইবার তিনি কিয়ৎক্ষণ খাম মারিয়া, চক্ষু মুদিয়া থাকিয়া নিমীলিত চক্ষে কহিলেন, সে বিলোল কটাক্ষ ভুলি নাই। সেই কটাক্ষই আমাকে… থাক। সেসব কথা ভাবিলে বুকের বাম দিকে চিন চিন করিয়া ওঠে।
কহিলাম, শব্দ তো এক নয়। অনেক। কোন শব্দের কথা কহিতেছেন?
তিনি কহিলেন, ওই যে গুরুগম্ভীর নাদের গুরু গুরু শব্দ। উত্তর দিক হইতে আসিতেছে।
আমরা ছাদে বসিয়া গল্প করিতেছিলাম। পাশেই ছাদ সমান উঁচু এক আমগাছ। সেই গাছটাকে বর্ডার মানিয়া তার পাশেই আরেক ছাদ। সেই ছাদের পাশেই চিলেকোঠা। সেই চিলেকোঠা, আর আমাদের ছাদের মধ্যে ইউরোপ, আর ন্যাটোর মতো সম্পর্ক। সেই চিলেকোঠায় যে থাকে, আমি তাহাকে প্রতিদিন বৈকাল বেলা গভীরভাবে চিনিবার চেষ্টা করি। আজও তাই করিতেছিলাম। সেই সময় কোকিল ডাকিতেছিল। আমি পূর্ণচন্দ্র খাচুয়াকে পরিপূর্ণভাবে অবজ্ঞা করিয়া রেলিংয়ের দিকে আগাইয়া গেলাম। চিলেকোঠায় লাইট জ্বলিতেছে। চোখাচোখি হইতেই আমি উত্তরাকাশে কান পাতিয়া গভীর মনঃসংযোগে গুড়ুগুড়ু শব্দ শুনিতে চেষ্টা করিলাম বাম কানে। ডান কানে শুনিলাম, ‘দেখ দেখ। তাকাচ্ছেই না।’
আমার হৃদয় পুড়িয়া ছারখার হইয়া গেল। তদুপরি আমি মনঃসংযোগ ধরিয়া রাখিয়া উত্তরাকাশের গুড়ুগুড়ু শব্দ শুনিতে লাগিলাম বাম কানে। আর ডান কানে নানাবিধ কন্টকসদৃশ কথামালা।
পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া বলিলেন, পুতিনের প্যাট খারাপ হইছে। সেই প্যাটের গুড়গুড় শব্দ আইতেছে। আর বোমার কথা শুনিয়া জেলেনস্কি…
কহিলাম, হুম। কিন্তু এই কয়দিনে দেখেন কত মানুষ মারা…
তিনি কহিলেন, কোলেটরাল ড্যামেজ দরকার হয় কখনো কখনো। ওই দেখ, চিলেকোঠার লাইট বন্ধ হয়ে গেছে।
শুনিতে পাইতেছি, কোকিল ডাকিতেছে। কেন ডাকিতেছে? আমার বিশ্বাস, বসন্তকাল না হইলে কোকিল ডাকিত না। তাহার মানেই হইল, বসন্তকাল দুয়ারে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। কিন্তু ইহাও শুনিতে পাইতেছি, উত্তরাকাশে গুড়ুম গুড়ুম শব্দ হইতেছে।
সে শব্দ শুনিয়া আমার পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া প্রথমে ভাবিয়া বসিলেন, পুতিনের পেট খারাপ করিয়াছে কিংবা জেলেনস্কি ব্যাপক ভয় পাইয়া রেচকবায়ু ত্যাগ করিয়াছেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। যেহেতু আমাদের গ্রামের বাড়ির উত্তরের বিলে দাঁড়াইলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, তাই আমরা সব সময় ভাবিয়া আসিয়াছি, রুশ ভূখণ্ড তার কয়েক মাইল উত্তরেই কোথাও অবস্থিত। শীতের শেষ হইলেও উত্তরে বায়ুর প্রবাহ এখনো শেষ হয় নাই। তাই পুতিনের পেট খারাপের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ কিংবা জেলেনস্কির রেচকবায়ু ত্যাগের শব্দ আমাদের গ্রাম হইতে শোনা যাইতেই পারে। কিন্তু না। ঘটিল একেবারে ভিন্ন এক ঘটনা। এবং যাহার সমসাময়িক মানুষেরা ‘খচ্চর’ বলিয়া তাঁহার বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখিতেন, আমার সেই জ্যোতির্ময় পূর্বপুরুষ পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া ভীষণ ভয় পাইয়া মর্ত্যে উপস্থিত হইলেন। আর সেই সময়ই কোকিলের কুহু তান শোনা গেল।
কহিলেন, ভ্রাতো…
কহিলাম, নাতির ছেলে হইলে সাধারণত মুরব্বিদের জ্যেঠু বলিয়া সম্বোধন করিবার রেওয়াজ আছে আমাদিগের। আপনি কি সেই সম্পর্কে ইতি টানিতে চাহিতেছেন?
তিনি কহিলেন, এত চেতিতেছ কেন? আগে বল, শব্দ কিসের?
কহিলাম, কোন শব্দ?
তিনি কহিলেন, ওই যে উত্তরাকাশ ভেদিয়া গুরুগম্ভীর নাদে যে শব্দ আমাদিগের কানে আসিয়া উপস্থিত হইতেছে।
কহিলাম, সে তো অনেক শব্দই আসিতেছে। উত্তরাকাশ ভেদ করিয়া নীলোর কলকল লাস্যধ্বনীও উপস্থিত হইতেছে।
এইবার তিনি কিয়ৎক্ষণ খাম মারিয়া, চক্ষু মুদিয়া থাকিয়া নিমীলিত চক্ষে কহিলেন, সে বিলোল কটাক্ষ ভুলি নাই। সেই কটাক্ষই আমাকে… থাক। সেসব কথা ভাবিলে বুকের বাম দিকে চিন চিন করিয়া ওঠে।
কহিলাম, শব্দ তো এক নয়। অনেক। কোন শব্দের কথা কহিতেছেন?
তিনি কহিলেন, ওই যে গুরুগম্ভীর নাদের গুরু গুরু শব্দ। উত্তর দিক হইতে আসিতেছে।
আমরা ছাদে বসিয়া গল্প করিতেছিলাম। পাশেই ছাদ সমান উঁচু এক আমগাছ। সেই গাছটাকে বর্ডার মানিয়া তার পাশেই আরেক ছাদ। সেই ছাদের পাশেই চিলেকোঠা। সেই চিলেকোঠা, আর আমাদের ছাদের মধ্যে ইউরোপ, আর ন্যাটোর মতো সম্পর্ক। সেই চিলেকোঠায় যে থাকে, আমি তাহাকে প্রতিদিন বৈকাল বেলা গভীরভাবে চিনিবার চেষ্টা করি। আজও তাই করিতেছিলাম। সেই সময় কোকিল ডাকিতেছিল। আমি পূর্ণচন্দ্র খাচুয়াকে পরিপূর্ণভাবে অবজ্ঞা করিয়া রেলিংয়ের দিকে আগাইয়া গেলাম। চিলেকোঠায় লাইট জ্বলিতেছে। চোখাচোখি হইতেই আমি উত্তরাকাশে কান পাতিয়া গভীর মনঃসংযোগে গুড়ুগুড়ু শব্দ শুনিতে চেষ্টা করিলাম বাম কানে। ডান কানে শুনিলাম, ‘দেখ দেখ। তাকাচ্ছেই না।’
আমার হৃদয় পুড়িয়া ছারখার হইয়া গেল। তদুপরি আমি মনঃসংযোগ ধরিয়া রাখিয়া উত্তরাকাশের গুড়ুগুড়ু শব্দ শুনিতে লাগিলাম বাম কানে। আর ডান কানে নানাবিধ কন্টকসদৃশ কথামালা।
পূর্ণচন্দ্র খাচুয়া বলিলেন, পুতিনের প্যাট খারাপ হইছে। সেই প্যাটের গুড়গুড় শব্দ আইতেছে। আর বোমার কথা শুনিয়া জেলেনস্কি…
কহিলাম, হুম। কিন্তু এই কয়দিনে দেখেন কত মানুষ মারা…
তিনি কহিলেন, কোলেটরাল ড্যামেজ দরকার হয় কখনো কখনো। ওই দেখ, চিলেকোঠার লাইট বন্ধ হয়ে গেছে।
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
২ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
৩ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৪ দিন আগে