জাহীদ রেজা নূর
আমরা এবার স্বামী–স্ত্রী–বিষয়ক কৌতুকের দিকে যাব। রাজনীতিবিদদের নিয়ে কটাক্ষ করা হলে সবাই হাসে। সে কৌতুকে সমর্থন দেয়। কিন্তু নারী–পুরুষ নিয়ে কটাক্ষ করলে উভয় লিঙ্গের মানুষই করতে থাকে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ যেন কম আসে, সে জন্যই কিছু আপাত নির্দোষ কৌতুক দেওয়া গেল এখানে।
১.
বিয়ের পর থেকেই লেনা বলতে থাকল, আমি চাই ঘরভরা সন্তান। প্রতিদিন অন্তত ২২ বার বলত।
আন্তন তখন এমন এক বাড়ি ভাড়া নিল, যার নিচতলায় ছিল কিন্ডারগার্টেন। যখন কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারা এক ঘণ্টার জন্য ঘোরাঘুরি করত বাড়ির সামনের লনে, চিৎকার–চ্যাঁচামেচি করত, তখন নিজের ব্যালকনিতে লেনাকে নিয়ে চা খেতে বসত আন্তন।
ঠিক দু সপ্তাহের মধ্যেই ঘরভরা সন্তানের কথা বলা বন্ধ করে দিল লেনা।
২.
এক কথায় প্রকাশ করো—
‘যে স্ত্রী তার স্বামীকে পেটায়।’
‘খাণ্ডারনি।’
‘যে স্বামী তার স্ত্রীকে পেটায়।’
‘শিক্ষক।’
৩.
‘আমার আর আমার স্ত্রী—দুজনেরই বয়স হয়ে গেছে পঞ্চাশের ওপরে। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, এখনো যদি বিশ বছর বয়সী সেই চপল হরিণীটিকে পাশে পাই!’
‘আরে গাধা, তাহলে ওর পাশে বিশ বছর বয়সী একটা হরিণই মানাবে, তোর মতো গাধা নয়!’
৪.
স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন
‘ওলিয়া, পুরুষদের কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে ভালো লাগে?’
‘বুদ্ধি।’
‘তারপর?’
‘তার বাহ্যিক রূপ।’
‘তারপর?’
‘তার স্মার্টনেস।’
‘তারপর?’
‘তার চলন–বলন।’
‘তারপর?’
‘তার রসিকতা।’
‘তারপর?’
‘তার শরীরের শক্তি।’
‘তারপর?’
‘শোনো, আর ভড়ং কোরো না। আমি কিন্তু ধৈর্যহারা হয়ে যাচ্ছি। আর একটা শব্দ যদি উচ্চারণ করো, তাহলে কিন্তু আমি আসলেই পুরুষের কাছে কী চাই, চিৎকার করে সে সত্য ফাঁস করে দেব।’
৫.
‘আপনার চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন কেন?’
‘মানুষকে ভালোবাসার ফল। আমি একজন ডুবন্ত মেয়েকে পানি থেকে উঠিয়ে আনছিলাম, আর তখনই আমার স্ত্রী আসে এবং আমাকে আঘাত করে।’
‘নাহ! আপনার স্ত্রী পাষাণ হৃদয়ের। একজন ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করছিলেন আপনি। আর সে কিনা আপনাকে মারল? তা কোথা থেকে উদ্ধার করছিলেন মেয়েটাকে। নদী না সমুদ্র থেকে?’
‘আমাদের বাড়ির বাথটাব থেকে।’
৬.
তোমার স্বামী কোন রাশির?
ছাগল রাশির।
দূর! ছাগল রাশি বলে কিছু নেই।
রাশি নেই, কিন্তু স্বামী আছে।
৭.
‘বরের জন্য রান্নাবান্না করিস?’
‘না।’
‘কেন? বর কি ভালো–মন্দ কিছু খেতে চায় না?’
‘না। আমার মনে হয়, খাওয়ার ব্যাপারে ওর কোনো আগ্রহ নেই।’
‘তাহলে তোর বাড়িতে এত রান্নার বই কেন?’
‘বর কেন যে আমাকে এত এত রান্নার বই উপহার দেয়, সে তো বুঝি না।’
৮.
‘ডাক্তার। বড় সমস্যায় পড়েছি। ছেলেবেলা থেকেই আমার স্বামী বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আমাকে বলুন তো, আমাদের যে তিনটি সন্তান আছে, তাদের কেউ কি আমার স্বামীর মতো হতে পারে?’
৯.
বিয়ে মানে কী?
‘বিয়ে মানে হচ্ছে, একবার আপনার হবু বউকে নাচের আমন্ত্রণ জানাবেন। বাকি জীবনটা সে আপনাকে নাচিয়ে বেড়াবে।
১০.
আদর্শ পরিবারে স্ত্রী জানে না টাকার স্রোত কোন পথে আসছে, আর স্বামী জানে না সেই টাকা কোন পাথে খরচ হচ্ছে।
১১.
রেগেমেগে স্ত্রী বলছে স্বামীকে, ‘তুমি একটা যাচ্ছেতাই। ইংরেজি কিউ বর্ণটির মতো!’
‘মানে!’
‘মানে আর কী? একটা বিশাল শূন্য, মাথা–মগজ নাই, আছে শূন্যের মধ্যে একটা ছোট্ট লেজ!’
আরও পড়ুন
আমরা এবার স্বামী–স্ত্রী–বিষয়ক কৌতুকের দিকে যাব। রাজনীতিবিদদের নিয়ে কটাক্ষ করা হলে সবাই হাসে। সে কৌতুকে সমর্থন দেয়। কিন্তু নারী–পুরুষ নিয়ে কটাক্ষ করলে উভয় লিঙ্গের মানুষই করতে থাকে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ যেন কম আসে, সে জন্যই কিছু আপাত নির্দোষ কৌতুক দেওয়া গেল এখানে।
১.
বিয়ের পর থেকেই লেনা বলতে থাকল, আমি চাই ঘরভরা সন্তান। প্রতিদিন অন্তত ২২ বার বলত।
আন্তন তখন এমন এক বাড়ি ভাড়া নিল, যার নিচতলায় ছিল কিন্ডারগার্টেন। যখন কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারা এক ঘণ্টার জন্য ঘোরাঘুরি করত বাড়ির সামনের লনে, চিৎকার–চ্যাঁচামেচি করত, তখন নিজের ব্যালকনিতে লেনাকে নিয়ে চা খেতে বসত আন্তন।
ঠিক দু সপ্তাহের মধ্যেই ঘরভরা সন্তানের কথা বলা বন্ধ করে দিল লেনা।
২.
এক কথায় প্রকাশ করো—
‘যে স্ত্রী তার স্বামীকে পেটায়।’
‘খাণ্ডারনি।’
‘যে স্বামী তার স্ত্রীকে পেটায়।’
‘শিক্ষক।’
৩.
‘আমার আর আমার স্ত্রী—দুজনেরই বয়স হয়ে গেছে পঞ্চাশের ওপরে। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, এখনো যদি বিশ বছর বয়সী সেই চপল হরিণীটিকে পাশে পাই!’
‘আরে গাধা, তাহলে ওর পাশে বিশ বছর বয়সী একটা হরিণই মানাবে, তোর মতো গাধা নয়!’
৪.
স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন
‘ওলিয়া, পুরুষদের কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে ভালো লাগে?’
‘বুদ্ধি।’
‘তারপর?’
‘তার বাহ্যিক রূপ।’
‘তারপর?’
‘তার স্মার্টনেস।’
‘তারপর?’
‘তার চলন–বলন।’
‘তারপর?’
‘তার রসিকতা।’
‘তারপর?’
‘তার শরীরের শক্তি।’
‘তারপর?’
‘শোনো, আর ভড়ং কোরো না। আমি কিন্তু ধৈর্যহারা হয়ে যাচ্ছি। আর একটা শব্দ যদি উচ্চারণ করো, তাহলে কিন্তু আমি আসলেই পুরুষের কাছে কী চাই, চিৎকার করে সে সত্য ফাঁস করে দেব।’
৫.
‘আপনার চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন কেন?’
‘মানুষকে ভালোবাসার ফল। আমি একজন ডুবন্ত মেয়েকে পানি থেকে উঠিয়ে আনছিলাম, আর তখনই আমার স্ত্রী আসে এবং আমাকে আঘাত করে।’
‘নাহ! আপনার স্ত্রী পাষাণ হৃদয়ের। একজন ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করছিলেন আপনি। আর সে কিনা আপনাকে মারল? তা কোথা থেকে উদ্ধার করছিলেন মেয়েটাকে। নদী না সমুদ্র থেকে?’
‘আমাদের বাড়ির বাথটাব থেকে।’
৬.
তোমার স্বামী কোন রাশির?
ছাগল রাশির।
দূর! ছাগল রাশি বলে কিছু নেই।
রাশি নেই, কিন্তু স্বামী আছে।
৭.
‘বরের জন্য রান্নাবান্না করিস?’
‘না।’
‘কেন? বর কি ভালো–মন্দ কিছু খেতে চায় না?’
‘না। আমার মনে হয়, খাওয়ার ব্যাপারে ওর কোনো আগ্রহ নেই।’
‘তাহলে তোর বাড়িতে এত রান্নার বই কেন?’
‘বর কেন যে আমাকে এত এত রান্নার বই উপহার দেয়, সে তো বুঝি না।’
৮.
‘ডাক্তার। বড় সমস্যায় পড়েছি। ছেলেবেলা থেকেই আমার স্বামী বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আমাকে বলুন তো, আমাদের যে তিনটি সন্তান আছে, তাদের কেউ কি আমার স্বামীর মতো হতে পারে?’
৯.
বিয়ে মানে কী?
‘বিয়ে মানে হচ্ছে, একবার আপনার হবু বউকে নাচের আমন্ত্রণ জানাবেন। বাকি জীবনটা সে আপনাকে নাচিয়ে বেড়াবে।
১০.
আদর্শ পরিবারে স্ত্রী জানে না টাকার স্রোত কোন পথে আসছে, আর স্বামী জানে না সেই টাকা কোন পাথে খরচ হচ্ছে।
১১.
রেগেমেগে স্ত্রী বলছে স্বামীকে, ‘তুমি একটা যাচ্ছেতাই। ইংরেজি কিউ বর্ণটির মতো!’
‘মানে!’
‘মানে আর কী? একটা বিশাল শূন্য, মাথা–মগজ নাই, আছে শূন্যের মধ্যে একটা ছোট্ট লেজ!’
আরও পড়ুন
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে