বুলেট ট্রেনের দেরির কারণ ছোট্ট এক সাপ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫১
Thumbnail image

জাপানের বুলেট ট্রেনের জন্য কোনো গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছানো বা নির্দিষ্ট সময়ের পরে ছেড়ে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক এক ব্যাপার। তেমনি সময়ের আগে ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাও নেই বললেই চলে। অর্থাৎ সময় মেনে চলায় এর জুড়ি মেল ভার। কিন্তু দ্রুতগতিসম্পন্ন এই ট্রেনের পাক্কা ১৭ মিনিট দেরির এক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জন্য দায়ী ছোট্ট এক সাপ।

এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।

গত মঙ্গলবার, একজন যাত্রী ট্রেনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান ১৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের একটি সাপ দেখা গেছে নাগোয়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির এক বগিতে। ওই ট্রেনটির গন্তব্য ছিল ওসাকা। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ট্রেনটির যাত্রা স্থগিত করা হয়। অপর একটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় ওই রুটে। সেটা পরে ছেড়ে যায় ওসাকার দিকে। আর এতেই ঘটে ১৭ মিনিটের বিলম্ব। 

হয়তো অন্য অনেক রেলওয়ের সেবার কথা বিবেচনা করলে দেরিটা খুব সামান্যই। তবে জাপানের বুলেট ট্রেনের সময় মেনে চলার কথা চিন্তা করলে এটাও অনেক বড় ঘটনা।

তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার বা সাপ কাউকে ছোবল দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও দেরি কারণে ৬০০-র বেশি যাত্রীকে ভুগতে হয়।

সাপটি কোন প্রজাতির তা জানা যায়নি। তেমনি এটি বিষধর ছিল কি না, তা-ও জানা সম্ভব হয়নি। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সিএনএনকে জানিয়েছে সাপটি কীভাবে ট্রেনে চড়ে বসল তা জানতে তদন্ত হচ্ছে।

জাপানে শিনকানসেন নামে পরিচিত বুলেট ট্রেনের নিখুঁত সেবার পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) পর্যন্ত গতিতে চলার জন্য নাম আছে। জাপানের যাত্রীদের কাছে তাই এটি নির্ভরতার এক প্রতীক। 

জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৬৪ সালে প্রথম চালু হওয়া শিনকানসেন নেটওয়ার্ক কখনো এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়নি—যার ফলে কোনো যাত্রী নিহত বা আহত হন।

তবে ২০১৮ সালে শিনকানসেনে একটি ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। তারপর বুলেট ট্রেনে ইউনিফর্মধারী নিরাপত্তারক্ষীদের টহল বাড়ানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত