ল–র–ব–য–হ ডেস্ক
দাঁতের ডাক্তারের কদর অতিপ্রাচীন কাল থেকেই। অন্যান্য রোগের চিকিৎসার মতো দাঁতের চিকিৎসার সঙ্গেও রয়েছে নানা কুসংস্কার, কেরামতি ও অদ্ভূত বিশ্বাসের যোগ। খুব বেশি আগে নয়, মাত্র তিনশ বছর আগেও দাঁতের চিকিৎসার আজব কিছু পদ্ধতি ছিল।
দাঁতে পোকা হয়। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে সম্ভবত এখনো অনেক মানুষ এটি বিশ্বাস করেন। বেদেরা গ্রাম ঘুরে ঘুরে দাঁতের পোকা তুলে দিত। পৃথিবী ব্যাপী এই বিশ্বাস ১৭০০–এর দশক অবধি টিকে ছিল। মানুষ মনে করত, দাঁতে পোকা হলে ব্যথা হয়। এসব পোকা দাঁতে গর্ত করে ফেলে। ইউরোপের মানুষ এই পোকা বের করার কৌশল হিসেবে মধুর টোপ ব্যবহার করতো। তারা বিশ্বাস করতো, মধুর লোভে পোকা দাঁতের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। আর অমনি খপ করে ধরে ফেলবে!
ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘসে অনেকে। প্রাচীন ব্যাবিলনীয়রা মনে করতো, অশুভ আত্মা এভাবে শাস্তি দেয়। তখনকার বেশির ভাগ চিকিৎসকেরই বিশ্বাস ছিল, ঘুমের মধ্যে অশুভ আত্মা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দাঁত কিটমিট করার শব্দ হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরা পাশে মানুষের খুলি রেখে ঘুমানোর পরামর্শ দিতেন। এতেও কাজ না হলে প্রতি রাতে খুলিটিকে সাতবার চুমু ও চাটার পরামর্শ দিতেন তাঁরা।
আইন, ভাষা, প্রকৌশলসহ বহু বিষয়ে পশ্চিমকে নেতৃত্ব দিয়েছে রোমানরা। জেনে ভালো লাগবে যে, রোমানরা হাসির প্রতিও খুব যত্নবান ছিল। সুন্দর হাসির প্রতি এতোটাই মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছিল যে দাঁত ক্ষয়মুক্ত ও সাদা রাখতে যা–তা করতো। মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতো মানুষের প্রস্রাব। একপর্যায়ে মাউথওয়াশ হিসেবে প্রস্রাবের ব্যবহার এতই বেড়ে গেল যে, রোমান সম্রাট এর ওপর কর বসিয়ে দেন।
মধ্যযুগে চুল কাটার পাশাপাশি দাঁতের চিকিৎসাও করতেন নাপিতেরা। দাঁত তোলা থেকে মুখের অস্ত্রোপচার, সবই করে ফেলতেন অনায়াসে। বিশেষ করে, দাঁত সাদা করার কাজে তাঁরা জলীয় ফর্টিজ ব্যবহার করতেন। এ ফর্টিজ মূলত নাইট্রিক অ্যাসিড। এ অ্যাসিড ব্যবহারে এনামেল ক্ষয়ে আখেরে দাঁতেরই মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেত।
প্রাচীন মিশরীয়দের দাঁতের চিকিৎসা পদ্ধতিটি ছিল সবচেয়ে অদ্ভূত, একই সঙ্গে গা ঘিনঘিন করা! তাঁরা ইঁদুর দিয়ে দাঁত ও কানের চিকিৎসা করতো। মৃত ইঁদুর ভর্তা করে এর সঙ্গে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখা হতো। পরিস্থিতি গুরুতর হলে অনেকের ক্ষেত্রে আস্ত একটা ইঁদুরই লেগে যেত।
দাঁতের ডাক্তারের কদর অতিপ্রাচীন কাল থেকেই। অন্যান্য রোগের চিকিৎসার মতো দাঁতের চিকিৎসার সঙ্গেও রয়েছে নানা কুসংস্কার, কেরামতি ও অদ্ভূত বিশ্বাসের যোগ। খুব বেশি আগে নয়, মাত্র তিনশ বছর আগেও দাঁতের চিকিৎসার আজব কিছু পদ্ধতি ছিল।
দাঁতে পোকা হয়। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে সম্ভবত এখনো অনেক মানুষ এটি বিশ্বাস করেন। বেদেরা গ্রাম ঘুরে ঘুরে দাঁতের পোকা তুলে দিত। পৃথিবী ব্যাপী এই বিশ্বাস ১৭০০–এর দশক অবধি টিকে ছিল। মানুষ মনে করত, দাঁতে পোকা হলে ব্যথা হয়। এসব পোকা দাঁতে গর্ত করে ফেলে। ইউরোপের মানুষ এই পোকা বের করার কৌশল হিসেবে মধুর টোপ ব্যবহার করতো। তারা বিশ্বাস করতো, মধুর লোভে পোকা দাঁতের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। আর অমনি খপ করে ধরে ফেলবে!
ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘসে অনেকে। প্রাচীন ব্যাবিলনীয়রা মনে করতো, অশুভ আত্মা এভাবে শাস্তি দেয়। তখনকার বেশির ভাগ চিকিৎসকেরই বিশ্বাস ছিল, ঘুমের মধ্যে অশুভ আত্মা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দাঁত কিটমিট করার শব্দ হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরা পাশে মানুষের খুলি রেখে ঘুমানোর পরামর্শ দিতেন। এতেও কাজ না হলে প্রতি রাতে খুলিটিকে সাতবার চুমু ও চাটার পরামর্শ দিতেন তাঁরা।
আইন, ভাষা, প্রকৌশলসহ বহু বিষয়ে পশ্চিমকে নেতৃত্ব দিয়েছে রোমানরা। জেনে ভালো লাগবে যে, রোমানরা হাসির প্রতিও খুব যত্নবান ছিল। সুন্দর হাসির প্রতি এতোটাই মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছিল যে দাঁত ক্ষয়মুক্ত ও সাদা রাখতে যা–তা করতো। মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতো মানুষের প্রস্রাব। একপর্যায়ে মাউথওয়াশ হিসেবে প্রস্রাবের ব্যবহার এতই বেড়ে গেল যে, রোমান সম্রাট এর ওপর কর বসিয়ে দেন।
মধ্যযুগে চুল কাটার পাশাপাশি দাঁতের চিকিৎসাও করতেন নাপিতেরা। দাঁত তোলা থেকে মুখের অস্ত্রোপচার, সবই করে ফেলতেন অনায়াসে। বিশেষ করে, দাঁত সাদা করার কাজে তাঁরা জলীয় ফর্টিজ ব্যবহার করতেন। এ ফর্টিজ মূলত নাইট্রিক অ্যাসিড। এ অ্যাসিড ব্যবহারে এনামেল ক্ষয়ে আখেরে দাঁতেরই মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেত।
প্রাচীন মিশরীয়দের দাঁতের চিকিৎসা পদ্ধতিটি ছিল সবচেয়ে অদ্ভূত, একই সঙ্গে গা ঘিনঘিন করা! তাঁরা ইঁদুর দিয়ে দাঁত ও কানের চিকিৎসা করতো। মৃত ইঁদুর ভর্তা করে এর সঙ্গে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখা হতো। পরিস্থিতি গুরুতর হলে অনেকের ক্ষেত্রে আস্ত একটা ইঁদুরই লেগে যেত।
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
২০ ঘণ্টা আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে