বন্ধুদের নিয়ে কৌতুক

জাহীদ রেজা নূর
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ১৮: ৪৯
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০১

বিশ্ব বন্ধু দিবস কী, কেন, তা নিয়ে অন্য কোথাও নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। আমরা শুরুতেই ঢুকে যাব বন্ধুত্ব নিয়ে রুশ দেশে তৈরি হওয়া কিছু কৌতুকে। এগুলো নির্দোষ আমোদের জন্যই শুধু। এর মধ্যে ভারী কোনো তত্ত্বের প্রয়োগ না করলেই পড়ে মজা পাবেন।

১.
‘আমার বউ আমার সেরা বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছে!’

‘তোমার বন্ধু কি তোমার চেয়ে বয়সে ছোট আর তোমার চেয়ে সুন্দর দেখতে?’

‘সেটা আমি কী করে জানব, ওকে তো আমি কোনো দিন চোখেই দেখিনি!’

২.
মানুষের সেরা বন্ধু কুকুর। বিশ্বাস হলো না? তুমি তোমার কোনো বন্ধু আর কুকুরকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে বন্ধ করে রাখো দু ঘণ্টা। এবার খুলে দাও, বেরিয়ে আসুক ওরা। প্রমাণ পাবে, বন্ধু আর কুকুরের মধ্যে তোমার প্রতি কে বেশি খুশি হয়েছে!

৩.
ফেসবুকে বন্ধুদের লেখা স্ট্যাটাসগুলো পড়ল এক বন্ধু। বিশ্বাস করবেন না, তারই আলোকে দর্শন পরীক্ষায় সে পেল সেরা নম্বর!

৪.
আমার এই বন্ধুর কথাটা শুনুন: ‘আমি আমার ৩৭ বছর বয়সেও প্রতিদিন সকালে ১০ কিলোমিটার দৌড়াই, ১৪ ঘণ্টা কাজ করি প্রতিদিন, তিনটি কারখানা চালাই, একই সঙ্গে দুটি বই লিখি। এত কিছুর পরও আমি পরিবার, বন্ধুদের সময় দিই, এমনকি, সবার সঙ্গে মিলে কোরাসে গান গাই।

বুঝতেই পারছেন, যখন মানুষ মিথ্যে কথা বলে, তখন তার পক্ষে একসঙ্গে সবকিছুই করা সম্ভব।

৫.
হঠাৎ কোটিপতি হয়ে ওঠা এক বন্ধু বলছে তার আরেক বন্ধুকে: ‘জানিস! আমি ২৫ বছর বয়সী এক তম্বীর প্রেমে পড়েছি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমার তো বয়স ৬৫! এই বয়সের এক পুরুষকে কি মেয়েটা ভালোবাসবে? কী বলে ওর কাছে প্রেম নিবেদন করব? ওর কাছে বয়স লুকালে কি প্রেমের সম্ভাবনা বাড়বে? এই ধর, ওকে বললাম, আমার বয়স ৫৫?

বন্ধুটি উত্তর দিল, ‘না। বয়স কমালে প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে না। বাড়বে, বয়স বাড়ালে। তুই বলবি, তোর বয়স ৮৫!’

৬.
বন্ধুদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছে একজন। তারপর আর ফিরতে পারেনি বাড়িতে। রাত কাটাবে কোথায়? এক বন্ধু কাজ করে মর্গে। সেখানেই রাত কাটাবে বলে স্থির করল। মর্গে যারা কাজ করে, তাদের গিয়ে বলল, ‘আমার নাম দোদিক কাৎসমান। আমার ফোনে চার্জ নেই। বউয়ের নম্বরটাও মুখস্থ নেই! আমার বউ ফোন করল বলল, ‘আমি এখানে আছি! ফোনটা আমাকে দিয়ো।’

যথারীতি গভীর রাতে বউয়ের ফোন এল। যিনি ফোন ধরেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা হলো এ রকম:

‘হ্যালো, এটা মর্গ?’

‘জি, এটা মর্গ।’

‘এখানে কি দোদিক কাৎসমান নামে কোনো...’

‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, দোদিক কাৎসমান তো এখানেই আছে। আমি…’

কথা শেষ হলো না।

‘হ্যালো! হ্যালো, আপনি দোদিককে খুঁজছিলেন। কিন্তু আপনার ওখানে ধপাস করে কী পড়ল? কিসের শব্দ হলো?’

হাসির আগল খুলে দিতে পারে একমাত্র বন্ধুই৭.
মস্কো শহরে দুজন ট্রাফিক পুলিশের বিয়ে হলো।

বন্ধু বলল, ‘অভিনন্দন। কেমন আছিস তোরা? নিজের পেশাতেই খুঁজে নিলি বউ!’

‘আর বলিস না। বিয়ের প্রথম রাতেই দুবার জরিমানা করেছে বউ।’

‘কেন!’

‘একবার গতি বাড়ানোর অপরাধে, আরেকবার বেঠিক জায়গায় থামার জন্য!’

৮.
সুদখোর ব্যবসায়ী শাইলক মারা যাচ্ছেন। মারা যাওয়ার আগে তিনি ডেকেছেন তাঁর পুরোনো বন্ধুকে।

‘ইজিয়া, খেয়াল রাখিস, আমার মৃত্যুর পর শবযাত্রাটা যেন হয় খুব জাঁকজমকের সঙ্গে। সব পুরুষ যেন চকচকে কালো স্যুট পরে আসে!’

‘ঠিক আছে আবরাশা! কিন্তু সমস্যা হলো, আমার নিজেরই সে রকম স্যুট নেই।’

‘ইজিয়া, ঘাবড়াস না। তুই আমার স্যুটটা কিনে নে! আমি খুব কম দামে তোর কাছে তা বিক্রি করব!’

৯.
এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারল না, কেন রাশিয়ার যারা শত্রু, তাদের সবার দেশেই সবকিছু পাওয়া যায়। তারা টমেটো পাচ্ছে, ফল পাচ্ছে, দোকান ভরা ওদের খাবার–দাবার! আরা যার রাশিয়ার বন্ধু, তাদের সবার দেশেই অভাব! কেন এমন হয়!

১০.
বহুদিন পর দুই বন্ধুর দেখা হয়েছে।

‘কীরে, কেমন আছিস?

‘আছি ভালোই। কিন্তু একটা ঝামেলায় পড়েছি। বান্ধবী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ওকে ভুলতে পারছি না!’

‘ভুলতে চাস? কোনো সমস্যা নেই। অ্যালার্ম ক্লকে ঘণ্টির বদলে ওর কণ্ঠ বসিয়ে দে। দুদিনেই ভুলে যাবি!’

১১.
টেলিফোনে দুই বন্ধুর কথোপকথন

‘কেমন আছিস, ইভান? তুই কবে আমার টাকা ফেরত দিবি?’

‘ও তোর টাকার দরকার? সমস্যা নেই। আজই দিতে পারি! আমি আন্তনের হাতে দিয়ে দিচ্ছি। ওর সঙ্গে তো তোর দেখা হবে। তাহলে দ্রুত টাকাটা পেয়ে যাবি!’

‘না না, আন্তনের হাতে দিস না। আন্তন আমার কাছে টাকা পায়!’

রুস্কি চুটস্কির এবারের কৌতুক দল নিয়ম অনুযায়ী এখানেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠের দলের সঙ্গে তো কিছু অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকে। বন্ধু দিবস উপলক্ষে সেই রিজার্ভ বেঞ্চও হাজির সঙ্গ দিতে। শর্ত একটাই: রিজার্ভ কৌতুকগুলো রোববারের আগে পড়া যাবে না।

১২.
কুকুর আমাদের সেরা বন্ধু হতে পারে, কিন্তু বেড়াল কখনো পুলিশকে বলে দেয় না যে, কোথায় মারিজুয়ানা লুকানো আছে।

১৩.
তুমি বুড়ো হয়েছ কিনা, তা জানার একটা ভালো উপায় আছে।

বন্ধুদের সামনে তুমি ধপাস করে পড়ে যাওয়ার ভান কর।

যদি তোমার পড়ে যাওয়া দেখে বন্ধুরা হেসে ওঠে, তাহলে তুমি এখনো যুবক।

আর যদি তোমার বন্ধুরা দৌড়ে তোমার কাছে আসে, তোমার হাত–পা ধরে তোমাকে টেনে তুলে ধরতে চায়, বুঝবে, তুমি বুড়ো হয়ে গেছ।

১৪.
কোনো দিন নিজের মা–বাবার কাছে বন্ধুদের সাফল্যের বর্ণনা করবে না। সেটা করলে তুমি একসময় বুঝতে পারবে, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছ!

শেষ করি একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক দিয়ে। পুরুষদের বন্ধুত্ব কতটা খাঁটি, তারই স্বীকৃতি এই কৌতুক।

১৫.
সারা রাত বাইরে কাটিয়ে স্বামী ফিরেছে বাড়িতে। স্ত্রী জিজ্ঞেস করছে, ‘কোথায় ছিলে?’

‘বন্ধুর বাড়িতে!’

স্ত্রী স্বামীর ১০ জন বন্ধুকে ফোন করল।

এর মধ্যে ছয়জন স্বীকার করল, তার বাড়িতেই রাতে ছিল বন্ধুটি।

বাকি চারজন নির্দ্বিধায় বলল, বন্ধুটি এখনো তাদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছে!

শুভ হোক বন্ধুত্বের দিনটি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত