গ্রীষ্মে শীতলতার পরশ পাবেন সৌদি আরবের যে তিন জায়গায়

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ মে ২০২৪, ১০: ১৫
Thumbnail image

প্রচণ্ড গরম ও মরুভূমির জন্য আলাদা পরিচিতি আছে সৌদি আরবের।  ইদানীং দেশটিতে বেশ বৃষ্টি ঝরলেও উষ্ণ জায়গা হিসেবে এর সুনাম তাতে ততটা হানি হয়নি। কিন্তু সৌদি আরবেও এমন কোনো কোনো জায়গা আছে, যেখানে গিয়ে গ্রীষ্মের মাসগুলোতে শীতল হতে পারবেন আপনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের সূত্রে এ রকম তিনটি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব আজ। 

আশা করি সৌদি আরব গেলে এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। সেখানকার শীতল প্রকৃতি ও জলপ্রপাত জুড়িয়ে দেবে আপনার উত্তপ্ত শরীর।

প্রাচীন জাদুঘর রিজাল আলমা আসির অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থান। ছবি: সংগৃহীতআসির
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আসির এলাকা এমনকি স্থানীয় পর্যটকদের কাছেও একটি পছন্দের ভ্রমণ গন্তব্য। কারণ এলাকাটিতে বছরজুড়েই চমৎকার আবহাওয়া থাকে। তাপমাত্রা যখন একটু বাড়তির দিকে থাকে, তখন আবার বৃষ্টি হয়ে জায়গাটি শীতল হয়ে যায়। এখানকার পার্বত্য এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিকভাবেই শীতল থাকে। 

আসিরের পাহাড়ে-পর্বতে হাইকিং পছন্দ পর্যটকদের। নানা ধরনের হস্তশিল্পজাত দ্রব্যের জন্য বিখ্যাত টুইসডে মার্কেট। রিজাল আলমা নামের এক জাদুঘর এখানকার আরেক উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থান। 

এখানকার সবচেয়ে কাছের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো আবহা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এএইচবি)। 

রাঘাদান জাতীয় উদ্যান। ছবি: সংগৃহীতআল-বাহা
সৌদি আরবের দক্ষিণে অবস্থিত আল-বাহা প্রদেশ গ্রীষ্মকালীন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। এখানকার চমৎকার আবহাওয়াই এর কারণ। শীতে জায়গাটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বিখ্যাত রাঘাদান জাতীয় উদ্যানের অবস্থানও এই এলাকায়। চমৎকার সব ফুলের জন্য নাম আছে অরণ্যটির। ভাগ্য ভালো থাকলে মেঘের রাজ্যে হাঁটার এবং নানা ধরনের বন্যপ্রাণী দেখার অভিজ্ঞতা হতে পারে জাতীয় উদ্যানটিতে। এখানকার জলপ্রপাতগুলোও টানে পর্যটকদের। 
আল-বাহাতে একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে।

তায়েফ
আরও অনেক পাহাড়ি শহরের মতো তায়েফে নিজের চারপাশে মেঘ জমা হওয়ার দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। জায়গাটির নামই তাই হয়ে গেছে, ‘মেঘের বন্ধু’। সারাওয়াত পর্বতমালার পূর্ব ঢালে ১ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় শহরটির অবস্থান। স্বাভাবিকভাবেই বছরজুড়ে এখানে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করে। 

তায়েফের আল-হাদা পর্বতমালা। ছবি: সংগৃহীতআপনি সেখানে আরও উচ্চতায় যেতে পারেন। কিছু দক্ষিণের গ্রামীণ এলাকা দুই হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে। সেখানে স্থানীয় অধিবাসীদের ঐতিহ্য দেখেও চমৎকার সময় কাটবে। তায়েফ আঙুর, বেরি, ডালিম ও ডুমুরের মতো ফল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এটি সুগন্ধি গোলাপের জন্যও পরিচিত। গোলাপের সাত শতাধিক খামার আছে এখানে। এর পাশাপাশি ঐতিহাসিক নিদর্শন, বাজার, চমৎকার সব উদ্যান বাড়িয়েছে তায়েফের আকর্ষণ।

এখানে আন্তর্জাতিক একটি বিমানবন্দর আছে, তায়েফ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত