রজত কান্তি রায়
আমরা অজ্ঞাত নই যে, শরতের শেষ ভাগে আর হেমন্তের প্রারম্ভে কোকিল ডাকে না। কোকিল না ডাকিলেও প্রত্যহ প্রত্যুষে আমাদিগকে ঘুম্মাসক্তি পরিত্যাগ পূর্বক গাত্রোত্থান করিতে হয়। অদ্যও তাই হইয়াছিল। কিন্তু অদ্য প্রভাতে ঘুম্মাসক্তি ত্যাগ করিবার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সূর্যোদয়ের বহু পূর্বে, যে ক্ষণটিকে সুবহে কাজিব বলিয়া উল্লেখ করা হইয়া থাকে, অর্থাৎ রাত্রি আর প্রভাতের মিলন হইতেছে রাত্রির শেষ আর দিবাভাগের শুরুর যে ক্ষণ সুবহে কাজিব বলিয়া ভ্রম হইলেও প্রকৃতপক্ষে সুবহে কাজিব নয় এবং উল্লেখ করিয়া রাখিতেই হয়, তখনো চিকেন জাতির পুরুষপ্রবর মুরগাটি ককরো কক করিয়া ডাকিয়া ওঠেন নাই, সেই ক্ষণে এক অদ্ভুত প্রহেলিকাময় আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হইয়া ওঠে পৃথিবী। প্রভাত বলিয়া ভ্রম হয়। সেই ক্ষণে আমার কেতাদুরস্ত স্পর্শকাতর যন্ত্রখানা পিরিং পিরিং করিয়া বাজিয়া উঠিল। আমি আধো ঘুমে আধো জাগরণে যন্ত্রখানার সবুজ কিলক টিপিয়া ‘হ্যালো’ কহিলাম। অত্যাশ্চর্য হইয়া খেয়াল করিলাম, কেতাদুরস্ত স্পর্শকাতর যন্ত্রখানার অপর প্রান্ত হইতে যিনি কথা বলিতেছিলেন, তিনি বড়ই কাতর হইয়া পড়িয়াছেন এবং বলিতেছেন, বড়ই বিপদগ্রস্ত রহিয়াছি। কহিলাম, সেম হিয়ার ডুড। তিনি বলিলেন, এই ক্ষণে আপনি যদি আমার সহিত মশকরা করিতে থাকেন, তাহা হইলে আমি দেশান্তরী হইব– ইহা কহিয়া রাখিলাম।
কহিলাম, ভ্রাত, উত্তেজিত না হইয়া প্রকৃত সত্যকে উত্থিত করুন।
তিনি কহিলেন, বয়সের ভারে উত্থিত…
কহিলাম, প্রত্যুষে কী কহিতেছেন এইসব?
তিনি কহিতে লাগিলেন, আফগানিস্তান তালেবান কর্তৃক পুনরপি অধিকৃত হইয়া বড়ই পীড়ার মধ্যে রহিয়াছি।
কহিলাম, আপনি শুদ্ধ বাংলা কহিতেছেন, দাড়ি বা পশতু নহে। তার অর্থ হইলো, আপনি বাঙালি। আফগানিস্তান লইয়া হস্তি–ঘোটক শিকার করা অম্লশূল আর খুজলিতে ভোগা বাঙালির কিঞ্চিত সমস্যা রহিয়াছে, সে আমি শুনিয়াছি। আপনি নূতন কী বলিবেন, তাহা পেশ করুন।
তিনি জানিতে চাহিলেন, বলুন দেখি, আফগানিস্তান পুনরায় দখল হইবার পর সবচাইতে বেশি বিপদগ্রস্ত রহিয়াছে কোন অঞ্চলের মানুষ?
কহিলাম, আফগানিস্তানের মানুষ, নিঃসন্দেহে।
তিনি কহিলেন, লক কিয়া যায়ে?
কহিলাম, জরুর।
তিনি কহিলেন, মহাত্মা গুগল, সঠিক উত্তর কহিয়া দিন।
গুগল তৎক্ষণাৎ একখানা মেইল পাঠাইয়া কহিল, উত্তর ভুল হইয়াছে।
হাফসোল খাইয়া যখন বসিয়া আছি তখন গুগল একখানা লিংক পাঠাইল। লিংক উন্মুক্ত করিয়া দেখিলাম তাহাতে একখানা করুণ সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। তাহাতে লিখিত রহিয়াছে, পশ্চিমবঙ্গে পোস্তর দাম উর্ধ্বমুখী। কবি, সাংবাদিক, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী হইতে সাধারণ মানুষ সকলের পাতেই পোস্ত বাড়ন্ত। দোকানীরা কেজি হাঁকিতেছেন, ২২শ হইতে ২৩শ টাকা কিলো!
যন্ত্রের ভিন্নপ্রান্তনিবাসীর অগোচরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিলাম আর মনে মনে বলিলাম, তাঁহারা পোস্ত লইয়াই থাকুক বাবা। আমরা বরং এই ফাঁকে ইলিশ খাই। না হইলে কখন যে ইলিশ বাড়ন্ত হইবে তাহা বলা যায় না।
আমরা অজ্ঞাত নই যে, শরতের শেষ ভাগে আর হেমন্তের প্রারম্ভে কোকিল ডাকে না। কোকিল না ডাকিলেও প্রত্যহ প্রত্যুষে আমাদিগকে ঘুম্মাসক্তি পরিত্যাগ পূর্বক গাত্রোত্থান করিতে হয়। অদ্যও তাই হইয়াছিল। কিন্তু অদ্য প্রভাতে ঘুম্মাসক্তি ত্যাগ করিবার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সূর্যোদয়ের বহু পূর্বে, যে ক্ষণটিকে সুবহে কাজিব বলিয়া উল্লেখ করা হইয়া থাকে, অর্থাৎ রাত্রি আর প্রভাতের মিলন হইতেছে রাত্রির শেষ আর দিবাভাগের শুরুর যে ক্ষণ সুবহে কাজিব বলিয়া ভ্রম হইলেও প্রকৃতপক্ষে সুবহে কাজিব নয় এবং উল্লেখ করিয়া রাখিতেই হয়, তখনো চিকেন জাতির পুরুষপ্রবর মুরগাটি ককরো কক করিয়া ডাকিয়া ওঠেন নাই, সেই ক্ষণে এক অদ্ভুত প্রহেলিকাময় আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হইয়া ওঠে পৃথিবী। প্রভাত বলিয়া ভ্রম হয়। সেই ক্ষণে আমার কেতাদুরস্ত স্পর্শকাতর যন্ত্রখানা পিরিং পিরিং করিয়া বাজিয়া উঠিল। আমি আধো ঘুমে আধো জাগরণে যন্ত্রখানার সবুজ কিলক টিপিয়া ‘হ্যালো’ কহিলাম। অত্যাশ্চর্য হইয়া খেয়াল করিলাম, কেতাদুরস্ত স্পর্শকাতর যন্ত্রখানার অপর প্রান্ত হইতে যিনি কথা বলিতেছিলেন, তিনি বড়ই কাতর হইয়া পড়িয়াছেন এবং বলিতেছেন, বড়ই বিপদগ্রস্ত রহিয়াছি। কহিলাম, সেম হিয়ার ডুড। তিনি বলিলেন, এই ক্ষণে আপনি যদি আমার সহিত মশকরা করিতে থাকেন, তাহা হইলে আমি দেশান্তরী হইব– ইহা কহিয়া রাখিলাম।
কহিলাম, ভ্রাত, উত্তেজিত না হইয়া প্রকৃত সত্যকে উত্থিত করুন।
তিনি কহিলেন, বয়সের ভারে উত্থিত…
কহিলাম, প্রত্যুষে কী কহিতেছেন এইসব?
তিনি কহিতে লাগিলেন, আফগানিস্তান তালেবান কর্তৃক পুনরপি অধিকৃত হইয়া বড়ই পীড়ার মধ্যে রহিয়াছি।
কহিলাম, আপনি শুদ্ধ বাংলা কহিতেছেন, দাড়ি বা পশতু নহে। তার অর্থ হইলো, আপনি বাঙালি। আফগানিস্তান লইয়া হস্তি–ঘোটক শিকার করা অম্লশূল আর খুজলিতে ভোগা বাঙালির কিঞ্চিত সমস্যা রহিয়াছে, সে আমি শুনিয়াছি। আপনি নূতন কী বলিবেন, তাহা পেশ করুন।
তিনি জানিতে চাহিলেন, বলুন দেখি, আফগানিস্তান পুনরায় দখল হইবার পর সবচাইতে বেশি বিপদগ্রস্ত রহিয়াছে কোন অঞ্চলের মানুষ?
কহিলাম, আফগানিস্তানের মানুষ, নিঃসন্দেহে।
তিনি কহিলেন, লক কিয়া যায়ে?
কহিলাম, জরুর।
তিনি কহিলেন, মহাত্মা গুগল, সঠিক উত্তর কহিয়া দিন।
গুগল তৎক্ষণাৎ একখানা মেইল পাঠাইয়া কহিল, উত্তর ভুল হইয়াছে।
হাফসোল খাইয়া যখন বসিয়া আছি তখন গুগল একখানা লিংক পাঠাইল। লিংক উন্মুক্ত করিয়া দেখিলাম তাহাতে একখানা করুণ সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। তাহাতে লিখিত রহিয়াছে, পশ্চিমবঙ্গে পোস্তর দাম উর্ধ্বমুখী। কবি, সাংবাদিক, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী হইতে সাধারণ মানুষ সকলের পাতেই পোস্ত বাড়ন্ত। দোকানীরা কেজি হাঁকিতেছেন, ২২শ হইতে ২৩শ টাকা কিলো!
যন্ত্রের ভিন্নপ্রান্তনিবাসীর অগোচরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিলাম আর মনে মনে বলিলাম, তাঁহারা পোস্ত লইয়াই থাকুক বাবা। আমরা বরং এই ফাঁকে ইলিশ খাই। না হইলে কখন যে ইলিশ বাড়ন্ত হইবে তাহা বলা যায় না।
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৪ দিন আগে