ইশতিয়াক হাসান
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পালাউ দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপ আছে শ পাঁচেক। উষ্ণমণ্ডলীয় এই দ্বীপগুলো পর্যটকদের ভারি পছন্দের গন্তব্য। তাঁদের পালাউয়ের আরেকটি বিষয় খুব টানে, সেটি জেলিফিশ হ্রদ। পালাউয়ের ইল মাল্ক দ্বীপে এর অবস্থান।
পালাউয়ে ৫০টির মতো লোনা পানির বা সামুদ্রিক হ্রদ আছে। তবে জেলিফিশ লেকের সঙ্গে তুলনা চলে না আর কোনোটির। লাখ লাখ সোনালি জেলিফিশের আশ্রয়স্থল এই হ্রদ। এমনকি এদের সঙ্গে সাঁতারও কাটতে পারবেন। মাঝখানে অবশ্য জেলিফিশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হ্রদে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ ছিল। তবে ২০১৯ সালের দিকে জেলিফিশের সংখ্যা আবার বাড়তে থাকায় পুনরায় সাঁতার কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।
ধারণা কর হয়, হ্রদটির বয়স প্রায় ১২ হাজার বছর। ২০০৫ সালের দিকে হ্রদটিতে প্রায় ৩ কোটি জেলিফিশ ছিল। কমতে কমতে সংখ্যাটি ২০১৬ সালের দিকে এতই কমে গিয়েছিল যে, তখন জেলিফিশের দেখা পাওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এখন হ্রদে জেলিফিশের সংখ্যা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ৫০-৬০ লাখ জেলিফিশ আছে লেকে। বিজ্ঞানীদের আশা, জেলিফিশের সংখ্যা বাড়া অব্যাহত থাকবে সামনেও।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জেলিফিশের সঙ্গে কি সাঁতার কাটা সম্ভব? যদি হুল ফুটিয়ে দেয় তখন? এমনিতে কোনো কোনো জেলিফিশ কিন্তু খুব বিপজ্জনক। যেমন বক্স জেলিফিশ। কয়েক মিনিটের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এমন বিপজ্জনক কোনো প্রজাতির জেলিফিশ নেই হ্রদে।
এখানকার জেলিফিশগুলো শৈবাল বা শেওলা খেয়ে জীবন ধারণ করে। কাজেই শিকার ধরতে হুলের প্রয়োজন নেই এসব জেলিফিশের। অর্থাৎ, আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছাড়াই এদের পাশে অনায়াসে সাঁতার কাটতে পারবেন। কয়েক ঘণ্টা এভাবে সাঁতার কাটতে পারবেন জেলিফিশের সঙ্গে। কারণ একটা পর্যায়ে হ্রদের এক পাশ থেকে আরেক পাশে চলে যায় তারা। জেলিফিশেরা তাদের শক্তির অনেকটাই উদ্ভিদের মতো সূর্য থেকে গ্রহণ করে। কাজেই সূর্যরশ্মির সঙ্গে সঙ্গে স্থান বদলায়। সকালে থাকে পূর্ব দিকে, দুপুরের পর পশ্চিমে।
তবে এই হ্রদে কিন্তু স্কুবা ডাইভিং করা মানা। এর একটি কারণ স্কুবা ট্যাংকের বুদ্বুদ জেলিফিশদের ক্ষতি করতে পারে। দ্বিতীয় কারণ পানির সমতলের মোটামুটি ১৫ মিটার নিচে হাইড্রোজেন সালফাইডের ঘনমাত্রা অনেক বেশি। এটি ডাইভারের শরীরে শোষিত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
লেকটিতে জেলিফিশ আছে দুই ধরনের—সোনালি জেলিফিশ ও মুন জেলিফিশ। আর এদের কোনোটিই হুল ফোটায় না।
এখন জেলিফিশ দ্বীপে পৌঁছাবেন কীভাবে? পালাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে করোরে চলে যাবেন। সেখান থেকে জেলিফিশ হ্রদ যে দ্বীপে, অর্থাৎ ইল মাল্ক দ্বীপে স্পিডবোটে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। তবে মনে রাখবেন, পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এমন কিছু সানস্ক্রিন নিষিদ্ধ জেলিফিশ দ্বীপে। তাই আগেভাগেই ওগুলোর নাম জেনে সেখানে যাওয়াটাই ভালো।
সূত্র: নোমাডিক মেট ডট কম, সিবিএস নিউজ
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের পালাউ দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপ আছে শ পাঁচেক। উষ্ণমণ্ডলীয় এই দ্বীপগুলো পর্যটকদের ভারি পছন্দের গন্তব্য। তাঁদের পালাউয়ের আরেকটি বিষয় খুব টানে, সেটি জেলিফিশ হ্রদ। পালাউয়ের ইল মাল্ক দ্বীপে এর অবস্থান।
পালাউয়ে ৫০টির মতো লোনা পানির বা সামুদ্রিক হ্রদ আছে। তবে জেলিফিশ লেকের সঙ্গে তুলনা চলে না আর কোনোটির। লাখ লাখ সোনালি জেলিফিশের আশ্রয়স্থল এই হ্রদ। এমনকি এদের সঙ্গে সাঁতারও কাটতে পারবেন। মাঝখানে অবশ্য জেলিফিশের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হ্রদে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ ছিল। তবে ২০১৯ সালের দিকে জেলিফিশের সংখ্যা আবার বাড়তে থাকায় পুনরায় সাঁতার কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।
ধারণা কর হয়, হ্রদটির বয়স প্রায় ১২ হাজার বছর। ২০০৫ সালের দিকে হ্রদটিতে প্রায় ৩ কোটি জেলিফিশ ছিল। কমতে কমতে সংখ্যাটি ২০১৬ সালের দিকে এতই কমে গিয়েছিল যে, তখন জেলিফিশের দেখা পাওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এখন হ্রদে জেলিফিশের সংখ্যা বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ৫০-৬০ লাখ জেলিফিশ আছে লেকে। বিজ্ঞানীদের আশা, জেলিফিশের সংখ্যা বাড়া অব্যাহত থাকবে সামনেও।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জেলিফিশের সঙ্গে কি সাঁতার কাটা সম্ভব? যদি হুল ফুটিয়ে দেয় তখন? এমনিতে কোনো কোনো জেলিফিশ কিন্তু খুব বিপজ্জনক। যেমন বক্স জেলিফিশ। কয়েক মিনিটের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এমন বিপজ্জনক কোনো প্রজাতির জেলিফিশ নেই হ্রদে।
এখানকার জেলিফিশগুলো শৈবাল বা শেওলা খেয়ে জীবন ধারণ করে। কাজেই শিকার ধরতে হুলের প্রয়োজন নেই এসব জেলিফিশের। অর্থাৎ, আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছাড়াই এদের পাশে অনায়াসে সাঁতার কাটতে পারবেন। কয়েক ঘণ্টা এভাবে সাঁতার কাটতে পারবেন জেলিফিশের সঙ্গে। কারণ একটা পর্যায়ে হ্রদের এক পাশ থেকে আরেক পাশে চলে যায় তারা। জেলিফিশেরা তাদের শক্তির অনেকটাই উদ্ভিদের মতো সূর্য থেকে গ্রহণ করে। কাজেই সূর্যরশ্মির সঙ্গে সঙ্গে স্থান বদলায়। সকালে থাকে পূর্ব দিকে, দুপুরের পর পশ্চিমে।
তবে এই হ্রদে কিন্তু স্কুবা ডাইভিং করা মানা। এর একটি কারণ স্কুবা ট্যাংকের বুদ্বুদ জেলিফিশদের ক্ষতি করতে পারে। দ্বিতীয় কারণ পানির সমতলের মোটামুটি ১৫ মিটার নিচে হাইড্রোজেন সালফাইডের ঘনমাত্রা অনেক বেশি। এটি ডাইভারের শরীরে শোষিত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
লেকটিতে জেলিফিশ আছে দুই ধরনের—সোনালি জেলিফিশ ও মুন জেলিফিশ। আর এদের কোনোটিই হুল ফোটায় না।
এখন জেলিফিশ দ্বীপে পৌঁছাবেন কীভাবে? পালাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে করোরে চলে যাবেন। সেখান থেকে জেলিফিশ হ্রদ যে দ্বীপে, অর্থাৎ ইল মাল্ক দ্বীপে স্পিডবোটে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩০-৪০ মিনিট। তবে মনে রাখবেন, পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এমন কিছু সানস্ক্রিন নিষিদ্ধ জেলিফিশ দ্বীপে। তাই আগেভাগেই ওগুলোর নাম জেনে সেখানে যাওয়াটাই ভালো।
সূত্র: নোমাডিক মেট ডট কম, সিবিএস নিউজ
ওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
৮ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকান একটি নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বিপৎসংকেত বা সতর্কতামূলক অ্যালার্ম পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেরি না করে সেখানে একটি দল পাঠায়। তখনই ফাঁস হয় রহস্য। এই অ্যালার্ম বাজিয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দারা নয়, বরং একটি বানর।
২০ দিন আগেমাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ভরসা। ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগল ২ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাঁর বিল এসেছে ৩২১ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১৯৭ টাকা)। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চার গুণ!
২২ ডিসেম্বর ২০২৪