অনলাইন ডেস্ক
জুন, ২০১০। উত্তপ্ত এক দিন। মা-বাবার মার খেয়ে রাগ করে বাড়ি ছাড়ে দুই ভাই-বোন। ১১ বছরের রাখি ও সাত বছরের বাবলুর পরিকল্পনা ছিল নানার বাড়ি চলে যাওয়ার। তাঁদের বাড়ি থেকে মোটে এক কিলোমিটার দূরে সেটা। তবে পথ হারাল তারা। মা নিতু কুমারীর কাছে ফিরে আসতে তাদের সময় লাগল ১৩ বছর!
ভাই-বোনের গত বেশ কয়েক বছর যোগাযোগ থাকলেও তাদেরও পুনরায় দেখা হয় এক দশকের বেশি সময় পর। আর এই ঘটনাটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বাবলু এবং রাখি মা নিতু কুমারী ও বাবা সন্তোষের সঙ্গে থাকত আগ্রায়। দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন নিতু ও সন্তোষ।
১৬ জুন, ২০১০। সেদিন কোনো কাজ না পেয়ে নিতুর মেজাজ গিয়েছিল চড়ে। ঝাল ঝাড়তে মেয়ে রাখিকে রান্নার কাজে ব্যবহার করা ধাতব একটা খুনতি দিয়ে বারি মারেন।নিতু একটা কাজে বাইরে গেলে ঘর থেকে পালায় রাখি আর বাবলু।
‘কখনো কখনো ঠিকমতো লেখাপড়া না করলে বাবা পেটাত আমাকে। কাজেই রাখি যখন এসে বলল বাড়ি ছেড়ে নানির কাছে গিয়ে থাকার কথা, রাজি হয়ে গেলাম।’ বলে বাবলু।
কিন্তু পথ হারাল তারা। এক রিকশাচালক তাদের রেলস্টেশনে পৌঁছে দিল। ভাই-বোন একটি ট্রেনে উঠে পড়ে। যেখানে তাদের দেখা হয় শিশুদের দাতব্য সংস্থায় কাজ করেন এমন এক মহিলার সঙ্গে।
ট্রেনটি যখন তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরের শহর মিরাটে পৌঁছে, তখন তিনি তাদের পুলিশের কাছে পৌঁছে দিলেন। সেখান থেকে তাদের জায়গা হলো একটি সরকারি এতিমখানায়।
‘তাঁদের বলেছিলাম আমরা বাড়ি যেতে চাই। আমাদের মা-বাবার বিষয়ে বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু পুলিশ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা—কেউই আমাদের পরিবারের খোঁজ করেননি।’ বলে বাবলু।
এক বছর পর ভাই-বোনও আলাদা হয়ে গেল। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছের এনজিও পরিচালিত মেয়েদের একটি আশ্রয়ণে পাঠানো হলো রাখিকে। দুই বছর বাদে বাবলুর জায়গা হলো উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউর একটি সরকারি এতিমখানায়।
যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, দাতব্য সংস্থার কর্মী বা সাংবাদিক এতিমখানা পরিদর্শন করতেন, বাবলু তাদের রাখির কথা বলত। এই আশায় যে তার সঙ্গে আবার মিলিত হতে পারবে।
তবে বিষয়টি কেউ প্রথম গুরুত্ব দিয়ে দেখল ২০১৭ সালে। এতিমখানার এক নারী তত্ত্বাবধায়ক তাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবলু তাঁকে বলেছিল তার বোনকে দিল্লির কাছাকাছি কোথাও একটু বয়স্ক মেয়েদের একটি এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে।
‘দিল্লির নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার প্রতিটি এতিমখানায় ফোন দিলেন তিনি। রাখি নামের কেউ আছে কিনা জানতে। অনেক চেষ্টার পর তাকে খুঁজেও পেয়ে গেলেন।’ বলে বাবলু।
‘আমি সরকারকে বলতে চাই, ভাই-বোনদের আলাদা করাটা খুব নিষ্ঠুর আচরণ। পাশাপাশি দুটি এতিমখানায় রাখা উচিত। তাদের আলাদা করাটা মোটেই সঠিক নয়।’ যোগ করে বাবলু।
ভাইবোন আবার পরস্পরের খোঁজ পাওয়ার পর প্রায়ই ফোনে কথা হতো দুজনের। কিন্তু যখনই আলাপটা পরিবারকে খুঁজে বের করার দিকে যেত, রাখি সন্দেহে ভুগত।
‘তেরো বছর খুব কম সময় নয়। মাকে খুঁজে পাব এমন আশা কমই ছিল আমার মনে।’ বলে সে।
বাবলুর অবশ্য এমন সন্দেহ ছিল না। ‘আমি রাখিকে খুঁজে পেয়ে সত্যিই খুশি হয়েছিলাম। আর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে মাকেও খুঁজে পাব এক সময়।’ বলে বাবলু।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর আগ্রাভিত্তিক শিশু অধিকার কর্মী নরেশ পরশ বাবলুর থেকে একটি ফোন পান। সে তখন বেঙ্গালুরুতে থাকে ও চাকরি করে।
‘আপনি অনেক পরিবারকে একত্রিত করেছেন। আমার মাকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করবেন?’ বাবলু জানতে চাইল।
২০০৭ সাল থেকে শিশুদের নিয়ে কাজ করা মি. পরশ বলেন, কাজটি মোটেই সহজ হবে না।
ভাই-বোনের কেউই বাবার নাম বলতে পারেনি। কোন জেলা থেকে এসেছে সে সম্পর্কেও ধারণা ছিল না তাদের।
তারপরই বাবলু যখন ট্রেনে উঠেছিল সে স্টেশনের বাইরে একটা ডামি রেলইঞ্জিন দেখার কথা মনে করতে পারল।
‘আমার তখন মনে হলো এটি আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হতে পারে।’ বলেন পরশ।
সিটি পুলিশের রেকর্ডের মাধ্যমে, জগদীশপুর থানায় ভাই-বোনের বাবা ২০১০ সালের জুনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বল জানতে পারেন তিনি।
কিন্তু পরিবারটির ঠিকানায় খোঁজ নিতে গিয়ে জানলেন তারা ভাড়া বাড়িতে থাকত। সেখান থেকে চলেও গিয়েছে।
এ সময়ই রাখি জানাল, তাঁর মায়ের নাম নিতু। ঘাড়ে একটি পোড়া দাগ আছে।
মি. পরশ তারপর আগ্রার এমন একটি জায়গায় গেলেন যেখানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকেরা কাজের জন্য প্রতিদিন সকালে জড়ো হন। নিতুকে খুঁজে না পেলেও সেখানকার কিছু শ্রমিক বলেছিল যে তারা তাকে চেনে এবং খবরটি পৌঁছে দিতে পারবে।
নিতু কুমারী যখনই শুনল তার সন্তানদের পাওয়া গেছে, তিনি পুলিশের কাছে যান। তারপর তাঁর যোগাযোগ হয় মি. পরশের সঙ্গে।
মি. পরশ যখন নিতুর সঙ্গে দেখা করেন তখন তাকে বাচ্চাদের ছবি এবং পুলিশ অভিযোগের একটি কপি দেখান। যখন তিনি তাকে বাবলু এবং রাখির সঙ্গে ভিডিও কলে সংযুক্ত করেন। তখন তারা সবাই একে অপরকে চিনতে পেরেছিল।
মজার ঘটনা বাবলু মার কাছে আসার দুদিন আগেই আসে রাখি।
নিতু নরেশ পরশকে বলেন, রাখিকে মারায় তাঁর খুব অনুতাপ হয়। ছেলে-মেয়েদের খুঁজে পাওয়ার সব রকম চেষ্টাই তিনি করেন।
‘কিছু টাকা ধার করে পাটনা (বিহারের রাজধানী) যাই। কারণ শুনেছিলাম সেখানে আমার সন্তানদের রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব জায়গায় গিয়েছিলাম তাদের ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে।’ বলেন নিতু।
ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে আবেগপূর্ণ এবং অশ্রুসিক্ত পুনর্মিলনের সময় নিতু জানান, একটি নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি।
রাখি বলেছিল তার মনে হয়েছে একটা সিনেমার মধ্যে আছে তারা, কারণ মাকে আর দেখতে পাবে এটা বিশ্বাসই করতে পারেনি সে। ‘আমার এখন খুব ভালো লাগছে।’ বলে সে।
‘এটা অবিশ্বাস্য যে মি. পরশ আমার পরিবারকে খুঁজে পেতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন। পুলিশ এবং এনজিও কর্মীদের প্রতি আমার রাগ ছিল, বারবার অনুরোধ করার পরেও আমাকে সাহায্য করেনি। কিন্তু মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর আমার খুব ভালো লাগে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “তুমি কীভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারলে?’ আমি তাকে বলেছিলাম, আমি কখনই তোমাকে ছেড়ে যেতে পারতাম না। আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম।’ বলে বাবলু।
জুন, ২০১০। উত্তপ্ত এক দিন। মা-বাবার মার খেয়ে রাগ করে বাড়ি ছাড়ে দুই ভাই-বোন। ১১ বছরের রাখি ও সাত বছরের বাবলুর পরিকল্পনা ছিল নানার বাড়ি চলে যাওয়ার। তাঁদের বাড়ি থেকে মোটে এক কিলোমিটার দূরে সেটা। তবে পথ হারাল তারা। মা নিতু কুমারীর কাছে ফিরে আসতে তাদের সময় লাগল ১৩ বছর!
ভাই-বোনের গত বেশ কয়েক বছর যোগাযোগ থাকলেও তাদেরও পুনরায় দেখা হয় এক দশকের বেশি সময় পর। আর এই ঘটনাটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
বাবলু এবং রাখি মা নিতু কুমারী ও বাবা সন্তোষের সঙ্গে থাকত আগ্রায়। দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন নিতু ও সন্তোষ।
১৬ জুন, ২০১০। সেদিন কোনো কাজ না পেয়ে নিতুর মেজাজ গিয়েছিল চড়ে। ঝাল ঝাড়তে মেয়ে রাখিকে রান্নার কাজে ব্যবহার করা ধাতব একটা খুনতি দিয়ে বারি মারেন।নিতু একটা কাজে বাইরে গেলে ঘর থেকে পালায় রাখি আর বাবলু।
‘কখনো কখনো ঠিকমতো লেখাপড়া না করলে বাবা পেটাত আমাকে। কাজেই রাখি যখন এসে বলল বাড়ি ছেড়ে নানির কাছে গিয়ে থাকার কথা, রাজি হয়ে গেলাম।’ বলে বাবলু।
কিন্তু পথ হারাল তারা। এক রিকশাচালক তাদের রেলস্টেশনে পৌঁছে দিল। ভাই-বোন একটি ট্রেনে উঠে পড়ে। যেখানে তাদের দেখা হয় শিশুদের দাতব্য সংস্থায় কাজ করেন এমন এক মহিলার সঙ্গে।
ট্রেনটি যখন তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরের শহর মিরাটে পৌঁছে, তখন তিনি তাদের পুলিশের কাছে পৌঁছে দিলেন। সেখান থেকে তাদের জায়গা হলো একটি সরকারি এতিমখানায়।
‘তাঁদের বলেছিলাম আমরা বাড়ি যেতে চাই। আমাদের মা-বাবার বিষয়ে বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু পুলিশ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা—কেউই আমাদের পরিবারের খোঁজ করেননি।’ বলে বাবলু।
এক বছর পর ভাই-বোনও আলাদা হয়ে গেল। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছের এনজিও পরিচালিত মেয়েদের একটি আশ্রয়ণে পাঠানো হলো রাখিকে। দুই বছর বাদে বাবলুর জায়গা হলো উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউর একটি সরকারি এতিমখানায়।
যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, দাতব্য সংস্থার কর্মী বা সাংবাদিক এতিমখানা পরিদর্শন করতেন, বাবলু তাদের রাখির কথা বলত। এই আশায় যে তার সঙ্গে আবার মিলিত হতে পারবে।
তবে বিষয়টি কেউ প্রথম গুরুত্ব দিয়ে দেখল ২০১৭ সালে। এতিমখানার এক নারী তত্ত্বাবধায়ক তাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবলু তাঁকে বলেছিল তার বোনকে দিল্লির কাছাকাছি কোথাও একটু বয়স্ক মেয়েদের একটি এতিমখানায় পাঠানো হয়েছে।
‘দিল্লির নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার প্রতিটি এতিমখানায় ফোন দিলেন তিনি। রাখি নামের কেউ আছে কিনা জানতে। অনেক চেষ্টার পর তাকে খুঁজেও পেয়ে গেলেন।’ বলে বাবলু।
‘আমি সরকারকে বলতে চাই, ভাই-বোনদের আলাদা করাটা খুব নিষ্ঠুর আচরণ। পাশাপাশি দুটি এতিমখানায় রাখা উচিত। তাদের আলাদা করাটা মোটেই সঠিক নয়।’ যোগ করে বাবলু।
ভাইবোন আবার পরস্পরের খোঁজ পাওয়ার পর প্রায়ই ফোনে কথা হতো দুজনের। কিন্তু যখনই আলাপটা পরিবারকে খুঁজে বের করার দিকে যেত, রাখি সন্দেহে ভুগত।
‘তেরো বছর খুব কম সময় নয়। মাকে খুঁজে পাব এমন আশা কমই ছিল আমার মনে।’ বলে সে।
বাবলুর অবশ্য এমন সন্দেহ ছিল না। ‘আমি রাখিকে খুঁজে পেয়ে সত্যিই খুশি হয়েছিলাম। আর আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে মাকেও খুঁজে পাব এক সময়।’ বলে বাবলু।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর আগ্রাভিত্তিক শিশু অধিকার কর্মী নরেশ পরশ বাবলুর থেকে একটি ফোন পান। সে তখন বেঙ্গালুরুতে থাকে ও চাকরি করে।
‘আপনি অনেক পরিবারকে একত্রিত করেছেন। আমার মাকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করবেন?’ বাবলু জানতে চাইল।
২০০৭ সাল থেকে শিশুদের নিয়ে কাজ করা মি. পরশ বলেন, কাজটি মোটেই সহজ হবে না।
ভাই-বোনের কেউই বাবার নাম বলতে পারেনি। কোন জেলা থেকে এসেছে সে সম্পর্কেও ধারণা ছিল না তাদের।
তারপরই বাবলু যখন ট্রেনে উঠেছিল সে স্টেশনের বাইরে একটা ডামি রেলইঞ্জিন দেখার কথা মনে করতে পারল।
‘আমার তখন মনে হলো এটি আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হতে পারে।’ বলেন পরশ।
সিটি পুলিশের রেকর্ডের মাধ্যমে, জগদীশপুর থানায় ভাই-বোনের বাবা ২০১০ সালের জুনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বল জানতে পারেন তিনি।
কিন্তু পরিবারটির ঠিকানায় খোঁজ নিতে গিয়ে জানলেন তারা ভাড়া বাড়িতে থাকত। সেখান থেকে চলেও গিয়েছে।
এ সময়ই রাখি জানাল, তাঁর মায়ের নাম নিতু। ঘাড়ে একটি পোড়া দাগ আছে।
মি. পরশ তারপর আগ্রার এমন একটি জায়গায় গেলেন যেখানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকেরা কাজের জন্য প্রতিদিন সকালে জড়ো হন। নিতুকে খুঁজে না পেলেও সেখানকার কিছু শ্রমিক বলেছিল যে তারা তাকে চেনে এবং খবরটি পৌঁছে দিতে পারবে।
নিতু কুমারী যখনই শুনল তার সন্তানদের পাওয়া গেছে, তিনি পুলিশের কাছে যান। তারপর তাঁর যোগাযোগ হয় মি. পরশের সঙ্গে।
মি. পরশ যখন নিতুর সঙ্গে দেখা করেন তখন তাকে বাচ্চাদের ছবি এবং পুলিশ অভিযোগের একটি কপি দেখান। যখন তিনি তাকে বাবলু এবং রাখির সঙ্গে ভিডিও কলে সংযুক্ত করেন। তখন তারা সবাই একে অপরকে চিনতে পেরেছিল।
মজার ঘটনা বাবলু মার কাছে আসার দুদিন আগেই আসে রাখি।
নিতু নরেশ পরশকে বলেন, রাখিকে মারায় তাঁর খুব অনুতাপ হয়। ছেলে-মেয়েদের খুঁজে পাওয়ার সব রকম চেষ্টাই তিনি করেন।
‘কিছু টাকা ধার করে পাটনা (বিহারের রাজধানী) যাই। কারণ শুনেছিলাম সেখানে আমার সন্তানদের রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব জায়গায় গিয়েছিলাম তাদের ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে।’ বলেন নিতু।
ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে আবেগপূর্ণ এবং অশ্রুসিক্ত পুনর্মিলনের সময় নিতু জানান, একটি নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি।
রাখি বলেছিল তার মনে হয়েছে একটা সিনেমার মধ্যে আছে তারা, কারণ মাকে আর দেখতে পাবে এটা বিশ্বাসই করতে পারেনি সে। ‘আমার এখন খুব ভালো লাগছে।’ বলে সে।
‘এটা অবিশ্বাস্য যে মি. পরশ আমার পরিবারকে খুঁজে পেতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন। পুলিশ এবং এনজিও কর্মীদের প্রতি আমার রাগ ছিল, বারবার অনুরোধ করার পরেও আমাকে সাহায্য করেনি। কিন্তু মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর আমার খুব ভালো লাগে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “তুমি কীভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারলে?’ আমি তাকে বলেছিলাম, আমি কখনই তোমাকে ছেড়ে যেতে পারতাম না। আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম।’ বলে বাবলু।
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
২ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
২ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
৩ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৪ দিন আগে