ইশতিয়াক হাসান
ইন্দোনেশিয়ার ছোট্ট কিন্তু বেশ পরিচিত এক আগ্নেয়গিরি কেলিমুতু। জায়গাটিকে মানুষ বেশি চেনে এর চূড়ায় অবস্থিত তিনটি হ্রদের জন্য। একই আগ্নেয় পর্বতের চূড়ায় পাশাপাশি থাকলেও তিনটি হ্রদের রং আলাদা, শুধু তাই নয়, এদের এই রং বদলায়ও।
এই হ্রদগুলোর আশ্চর্য রং আর আগ্নেয়গিরির চারপাশে সৃষ্টি হওয়া ঘন কুয়াশার কারণে কেলিমুতু আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রীতিমতো অতিপ্রাকৃত এক জায়গা। পর্বতটির কাছাকাছি গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে হ্রদগুলো এবং পর্বতটিকে নিয়ে প্রচলিত আছে নানান গল্পগাথা। এর একটি হলো, মৃতদের আত্মারা বিশ্রাম নেয় এই হ্রদগুলোয়।
হ্রদগুলো নামও বেশ মজার। একটির নাম তিওয়ি আতা মবুপু, যার অর্থ বৃদ্ধদের হ্রদ; আরেকটির নাম তিওয়া নুয়া মুরি কুহ, অর্থাৎ তরুণ আর অবিবাহিত তরুণীদের হ্রদ এবং তৃতীয়টির তিওয়ি আতা পোলো, অর্থাৎ অতৃপ্ত আত্মাদের বা জাদুটোনার হ্রদ।
পর্বতটির নামের অর্থও বেশ মজার। কেলি অর্থ পর্বত আর মুতু অর্থ ফুটন্ত। অর্থাৎ শব্দ দুটি একসঙ্গে করলে কেলিমুতুর অর্থ ফুটন্ত বা ফুটতে থাকে যে পর্বত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, হ্রদগুলোর রঙের পেছনেও আছে খুব শক্তিশালী কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাব। তারা মনে করে, যখন হ্রদগুলো রং বদলাতে শুরু করে, তখন মৃতদের আত্মার জন্য উপহার সাজিয়ে রাখতে হয়।
ধারণা করা হয়, হ্রদগুলোর রং বদলানোর কারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া। হ্রদে যে নানা ধরনের খনিজ জমা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই বিক্রিয়া হয়। এ ছাড়া আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে অবস্থান হওয়ায় নানা ধরনের গ্যাস হ্রদগুলোর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
মাউন্ট কেলিমুতুর অবস্থান ফ্লোরস দ্বীপে। কেলিমুতু অতীতে কয়েকবারই জ্বলে উঠেছে। তবে শেষ অগ্ন্যুৎপাত হয় ১৯৬৮ সালে। যেকোনো সময় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা থাকায় একে নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত গবেষণা করা হয় অঞ্চলটি নিয়ে। তবে এই এলাকায় পর্যটকের আনাগোনা মূলত পর্বতচূড়ার আশ্চর্য তিন হ্রদের কারণেই। সাগর সমতল থেকে ১৬৩৯ মিটার উচ্চতায় হ্রদগুলো। এগুলো এতই জনপ্রিয় যে একসময় ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায়ও ছিল এদের ছবি। এবার বরং এই তিন হ্রদ সম্পর্কে দু-চারটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
তিনটি হ্রদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আর পশ্চিমে যেটি অবস্থিত, সেটি হলো তিওয়ি আতা মবুপু। আয়তন ১১ হাজার বর্গমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ৬৬ মিটার। খনিজ ও পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে এর রং থাকে ঘন নীল থেকে সবুজ পর্যন্ত। তিওয়া নুয়া মুরি কুহর অবস্থান মাঝখানে। আয়তন ২১ হাজার বর্গমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ১২৭ মিটার। উজ্জ্বল সবুজ থেকে শুরু করে লাল পর্যন্ত হয় এর রং। তিওয়ি আতা পোলো এই তিনটি হ্রদের মধ্যে স্থানীয়দের কাছে সবচেয়ে রহস্যময় হিসেবে বিবেচিত। এর আয়তন ২৩ হাজার বর্গমিটার, সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। কখনো কালো, কখনো উজ্জ্বল লাল থেকে শুরু করে বাদামি রঙের খেলা দেখা যায় হ্রদটিতে।
লেকসহ গোটা এলাকাটি পড়েছে মাউন্ট কেলিমুতু জাতীয় উদ্যানের মধ্যে। ১৯৯২ সালে এখানকার মোট ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জায়গাকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। নানা ধরনের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে এখানে। পর্যটকেরা গোটা এলাকা ঘুরেফিরে দেখতে পারেন। তাঁদের সবচেয়ে পছন্দ মাউন্ট কেলিমুতুর চূড়ায় পৌঁছে তিন হ্রদের অসাধারণ দৃশ্য দেখা। তবে জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন আগ্নেয়গিরি আর উষ্ণ প্রস্রবণও আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। স্থানীয় লিও আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা দেখারও সুযোগ মেলে।
এবার বরং আশ্চর্য সুন্দর এই লেকগুলোর কাছে কীভাবে পৌঁছাবেন তা জেনে নেওয়া যাক। পার্কের সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর মমেরে এয়ারপোর্ট। বালি ও জাকার্তা থেকে নিয়মিত ফ্লাইট আছে মমেরেতে। বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় পার্কে। আবার সড়কপথে মাউন্ট কেলিমুতুর সবচেয়ে কাছের শহর মনিতে গিয়ে সেখান থেকেও যেতে পারেন লেক ভ্রমণে। কাজেই ইন্দোনেশিয়ায় গেলে সুন্দর এই তিন হ্রদ দেখার সুযোগ মনে হয় হাতছাড়া করা উচিত হবে না, কী বলেন?
সূত্র: অথেন্টিক ইন্দোনেশিয়া ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, দ্য জারকার ডট কম
ইন্দোনেশিয়ার ছোট্ট কিন্তু বেশ পরিচিত এক আগ্নেয়গিরি কেলিমুতু। জায়গাটিকে মানুষ বেশি চেনে এর চূড়ায় অবস্থিত তিনটি হ্রদের জন্য। একই আগ্নেয় পর্বতের চূড়ায় পাশাপাশি থাকলেও তিনটি হ্রদের রং আলাদা, শুধু তাই নয়, এদের এই রং বদলায়ও।
এই হ্রদগুলোর আশ্চর্য রং আর আগ্নেয়গিরির চারপাশে সৃষ্টি হওয়া ঘন কুয়াশার কারণে কেলিমুতু আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রীতিমতো অতিপ্রাকৃত এক জায়গা। পর্বতটির কাছাকাছি গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে হ্রদগুলো এবং পর্বতটিকে নিয়ে প্রচলিত আছে নানান গল্পগাথা। এর একটি হলো, মৃতদের আত্মারা বিশ্রাম নেয় এই হ্রদগুলোয়।
হ্রদগুলো নামও বেশ মজার। একটির নাম তিওয়ি আতা মবুপু, যার অর্থ বৃদ্ধদের হ্রদ; আরেকটির নাম তিওয়া নুয়া মুরি কুহ, অর্থাৎ তরুণ আর অবিবাহিত তরুণীদের হ্রদ এবং তৃতীয়টির তিওয়ি আতা পোলো, অর্থাৎ অতৃপ্ত আত্মাদের বা জাদুটোনার হ্রদ।
পর্বতটির নামের অর্থও বেশ মজার। কেলি অর্থ পর্বত আর মুতু অর্থ ফুটন্ত। অর্থাৎ শব্দ দুটি একসঙ্গে করলে কেলিমুতুর অর্থ ফুটন্ত বা ফুটতে থাকে যে পর্বত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, হ্রদগুলোর রঙের পেছনেও আছে খুব শক্তিশালী কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাব। তারা মনে করে, যখন হ্রদগুলো রং বদলাতে শুরু করে, তখন মৃতদের আত্মার জন্য উপহার সাজিয়ে রাখতে হয়।
ধারণা করা হয়, হ্রদগুলোর রং বদলানোর কারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া। হ্রদে যে নানা ধরনের খনিজ জমা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই বিক্রিয়া হয়। এ ছাড়া আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে অবস্থান হওয়ায় নানা ধরনের গ্যাস হ্রদগুলোর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
মাউন্ট কেলিমুতুর অবস্থান ফ্লোরস দ্বীপে। কেলিমুতু অতীতে কয়েকবারই জ্বলে উঠেছে। তবে শেষ অগ্ন্যুৎপাত হয় ১৯৬৮ সালে। যেকোনো সময় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা থাকায় একে নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত গবেষণা করা হয় অঞ্চলটি নিয়ে। তবে এই এলাকায় পর্যটকের আনাগোনা মূলত পর্বতচূড়ার আশ্চর্য তিন হ্রদের কারণেই। সাগর সমতল থেকে ১৬৩৯ মিটার উচ্চতায় হ্রদগুলো। এগুলো এতই জনপ্রিয় যে একসময় ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায়ও ছিল এদের ছবি। এবার বরং এই তিন হ্রদ সম্পর্কে দু-চারটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
তিনটি হ্রদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আর পশ্চিমে যেটি অবস্থিত, সেটি হলো তিওয়ি আতা মবুপু। আয়তন ১১ হাজার বর্গমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ৬৬ মিটার। খনিজ ও পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে এর রং থাকে ঘন নীল থেকে সবুজ পর্যন্ত। তিওয়া নুয়া মুরি কুহর অবস্থান মাঝখানে। আয়তন ২১ হাজার বর্গমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ১২৭ মিটার। উজ্জ্বল সবুজ থেকে শুরু করে লাল পর্যন্ত হয় এর রং। তিওয়ি আতা পোলো এই তিনটি হ্রদের মধ্যে স্থানীয়দের কাছে সবচেয়ে রহস্যময় হিসেবে বিবেচিত। এর আয়তন ২৩ হাজার বর্গমিটার, সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। কখনো কালো, কখনো উজ্জ্বল লাল থেকে শুরু করে বাদামি রঙের খেলা দেখা যায় হ্রদটিতে।
লেকসহ গোটা এলাকাটি পড়েছে মাউন্ট কেলিমুতু জাতীয় উদ্যানের মধ্যে। ১৯৯২ সালে এখানকার মোট ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জায়গাকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। নানা ধরনের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে এখানে। পর্যটকেরা গোটা এলাকা ঘুরেফিরে দেখতে পারেন। তাঁদের সবচেয়ে পছন্দ মাউন্ট কেলিমুতুর চূড়ায় পৌঁছে তিন হ্রদের অসাধারণ দৃশ্য দেখা। তবে জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন আগ্নেয়গিরি আর উষ্ণ প্রস্রবণও আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। স্থানীয় লিও আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা দেখারও সুযোগ মেলে।
এবার বরং আশ্চর্য সুন্দর এই লেকগুলোর কাছে কীভাবে পৌঁছাবেন তা জেনে নেওয়া যাক। পার্কের সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর মমেরে এয়ারপোর্ট। বালি ও জাকার্তা থেকে নিয়মিত ফ্লাইট আছে মমেরেতে। বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় পার্কে। আবার সড়কপথে মাউন্ট কেলিমুতুর সবচেয়ে কাছের শহর মনিতে গিয়ে সেখান থেকেও যেতে পারেন লেক ভ্রমণে। কাজেই ইন্দোনেশিয়ায় গেলে সুন্দর এই তিন হ্রদ দেখার সুযোগ মনে হয় হাতছাড়া করা উচিত হবে না, কী বলেন?
সূত্র: অথেন্টিক ইন্দোনেশিয়া ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, দ্য জারকার ডট কম
ওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
৭ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকান একটি নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বিপৎসংকেত বা সতর্কতামূলক অ্যালার্ম পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেরি না করে সেখানে একটি দল পাঠায়। তখনই ফাঁস হয় রহস্য। এই অ্যালার্ম বাজিয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দারা নয়, বরং একটি বানর।
২০ দিন আগেমাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ভরসা। ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগল ২ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাঁর বিল এসেছে ৩২১ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১৯৭ টাকা)। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চার গুণ!
২২ ডিসেম্বর ২০২৪