গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
দেশে দেশে, পথে পথে কত কিছুই হয় তার ইয়ত্তা নেই। কোথাও মানুষ ছুটছে জ্ঞানের পেছনে, কোথায় ছুটছে ক্ষমতার পেছনে। কেউ নিচ্ছে শিক্ষা, কেউবা আবার দিচ্ছে। কেউ রাজনীতি ছেড়ে হচ্ছেন শিক্ষক, আবার কেউ চাচ্ছেন শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিবিদ হতে। মানুষের চাওয়ার তো শেষ নেই! দেশ ও সংস্কৃতি ভেদে মানুষের চাওয়া তো আলাদা হতেই পারে।
জেসিন্ডা আরডার্ন। এই নাম বলার পর আর পরিচয়ের মনে হয় প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় সবাই চিনে গেছেন। একজন সুন্দরী নারী কোনো এক দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সৌন্দর্য আর নেতৃত্বগুণ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। যিনি কিছুদিন আগে অপারগতা ও পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এইটা একটা অবিশ্বাস্য ঘটনাই বটে! আমরা বরং ধরে নিতে পারি, মানবিকতার কিছু প্রদর্শনী করে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন বটে, তবে বিচক্ষণ মানুষ নন মোটেই!
নিউজিল্যান্ডের মতো একটি দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে উনি এখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন, সেই সঙ্গে পড়াবেনও। মানে প্রধানমন্ত্রী থেকে এবার মাস্টার হচ্ছেন তিনি। এটা নিঃসন্দেহেই অধঃপতন। অন্তত আমাদের কাছে তা–ই মনে হচ্ছে!
রাজনীতির উচ্চশিখর থেকে শিক্ষকতায় জেসিন্ডা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিশ্চয়ই আপনার হাসি পাচ্ছে! আমাদের কিছু মাস্টারের হাল দেখলেই তো বোঝা যায়! আর আমরা কোন দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের থেকে পিছিয়ে? কিছু দুর্বল জায়গা থাকলেও শিগগিরই সেটা ছাই গুঁজে ঠিক করে ফেলব।
তো জেসিন্ডার এহেন কাণ্ডে মোকসেদ মাস্টারের খালি হাসিই পাচ্ছে। ঘুমাতে যাচ্ছেন জেসিন্ডার কথা মনে পড়ছে, ছাত্র পড়াতে গিয়ে, দুটো খাবার মুখে তুলতে গিয়েও গুমরে গুমরে হাসি উঠে আসছে। নাওয়া, খাওয়া, মাস্টারি কিছুই আর করে উঠতে পারছেন না মোকসেদ মাস্টার।
মাস্টার মানুষ, ক্লাসে গিয়ে গম্ভীর থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুখ টিপে রাখাই মুশকিল হয়ে যায়! জেসিন্ডাকে নিয়ে ভাবনাটা কোনোভাবেই তাড়াতে পারছেন না। তিনি খালি ভাবেন, এই নারীর বুদ্ধিশুদ্ধি কত কম! মনে মনে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির একটা মোক্ষম প্রমাণ পেয়ে পৈশাচিক আনন্দও পাচ্ছেন।
তবে তাঁর আফসোস, আজ হলুদ দলে ভিড়ে গেলে তিনি কোথায় থাকতেন! জেসিন্ডার কথা ভেবে একটু করুণাও হয় তাঁর। আহা! বেচারা অবলা নারী!
আসলেই তো, জেসিন্ডা এত বোকা কেন? যেখানে আমরা দেখে এসেছি বা আসছি যে, শিক্ষকতা ছেড়ে অনেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন একটু রাজনীতিতে ঢোকার জন্য। কত জনকেই তো বলতে দেখা গেছে যে শিক্ষকতার এ চেয়ার আমি চাই না, আমি অমুক রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের চেয়ার চাই। আমার অন্তরে, মনে প্রাণে সবকিছুতেই ওই চেয়ার। আমি দায়িত্ব পেলে জাদুর কাঠির মতো পরিবর্তন করে ফেলব তার চেহারা। কিন্তু যেখানে শিক্ষকতা করছেন তাও আবার শিক্ষকদের চরান বা প্রতিষ্ঠানের সর্বময় কর্তা হয়েও সেটার চেহারার কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করতে পারেননি বা পারছেন না।
শুধু কি এক দুইজনকে দেখে আমরা অভ্যস্ত? না। এই সংখ্যা অনেক। অনেকেই তো পার্টটাইম শিক্ষক, ফুলটাইম রাজনীতিক।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের সর্বোচ্চ পদ ছেড়ে একজন শিক্ষকতায় যাচ্ছে আর অন্য দেশে শিক্ষকতার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনে যোগ দিতে মনোবাসনা ব্যক্ত করছেন। কেন?
আমার এই কেন প্রশ্ন শুনে এবার আপনি হাসছেন, তাই তো? ভাবছেন কী বোকা! এটাও জানে না। কেন তারা শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যেতে চায়। হয়তো মনে মনে বলছেনও যে আরে ভাই, এখানে মধু আছে, মধু। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। শিক্ষকতায় কি আর সেই মধু পাওয়া যায় নাকি। মধুর আশায়, মধুর লোভে শাহিন হয়ে বসে থাকে এসব শিক্ষকেরা।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে কি মধু নেই? নাকি মধুর সন্ধান পাননি অথবা মধুই দেখেননি জেসিন্ডা। তাই এমন সিদ্ধান্ত। যেখানে আমাদের অনেক শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে রাজনীতির চেয়ার নিতে মরিয়া, সেখানে জেসিন্ডা বোকার মতো প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে শিক্ষকতার চেয়ারে। তাঁরা সমস্বরে বলছেন, জেসিন্ডা কত বোকা!
দেশে দেশে, পথে পথে কত কিছুই হয় তার ইয়ত্তা নেই। কোথাও মানুষ ছুটছে জ্ঞানের পেছনে, কোথায় ছুটছে ক্ষমতার পেছনে। কেউ নিচ্ছে শিক্ষা, কেউবা আবার দিচ্ছে। কেউ রাজনীতি ছেড়ে হচ্ছেন শিক্ষক, আবার কেউ চাচ্ছেন শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিবিদ হতে। মানুষের চাওয়ার তো শেষ নেই! দেশ ও সংস্কৃতি ভেদে মানুষের চাওয়া তো আলাদা হতেই পারে।
জেসিন্ডা আরডার্ন। এই নাম বলার পর আর পরিচয়ের মনে হয় প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় সবাই চিনে গেছেন। একজন সুন্দরী নারী কোনো এক দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সৌন্দর্য আর নেতৃত্বগুণ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। যিনি কিছুদিন আগে অপারগতা ও পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এইটা একটা অবিশ্বাস্য ঘটনাই বটে! আমরা বরং ধরে নিতে পারি, মানবিকতার কিছু প্রদর্শনী করে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন বটে, তবে বিচক্ষণ মানুষ নন মোটেই!
নিউজিল্যান্ডের মতো একটি দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে উনি এখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন, সেই সঙ্গে পড়াবেনও। মানে প্রধানমন্ত্রী থেকে এবার মাস্টার হচ্ছেন তিনি। এটা নিঃসন্দেহেই অধঃপতন। অন্তত আমাদের কাছে তা–ই মনে হচ্ছে!
রাজনীতির উচ্চশিখর থেকে শিক্ষকতায় জেসিন্ডা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিশ্চয়ই আপনার হাসি পাচ্ছে! আমাদের কিছু মাস্টারের হাল দেখলেই তো বোঝা যায়! আর আমরা কোন দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের থেকে পিছিয়ে? কিছু দুর্বল জায়গা থাকলেও শিগগিরই সেটা ছাই গুঁজে ঠিক করে ফেলব।
তো জেসিন্ডার এহেন কাণ্ডে মোকসেদ মাস্টারের খালি হাসিই পাচ্ছে। ঘুমাতে যাচ্ছেন জেসিন্ডার কথা মনে পড়ছে, ছাত্র পড়াতে গিয়ে, দুটো খাবার মুখে তুলতে গিয়েও গুমরে গুমরে হাসি উঠে আসছে। নাওয়া, খাওয়া, মাস্টারি কিছুই আর করে উঠতে পারছেন না মোকসেদ মাস্টার।
মাস্টার মানুষ, ক্লাসে গিয়ে গম্ভীর থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুখ টিপে রাখাই মুশকিল হয়ে যায়! জেসিন্ডাকে নিয়ে ভাবনাটা কোনোভাবেই তাড়াতে পারছেন না। তিনি খালি ভাবেন, এই নারীর বুদ্ধিশুদ্ধি কত কম! মনে মনে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির একটা মোক্ষম প্রমাণ পেয়ে পৈশাচিক আনন্দও পাচ্ছেন।
তবে তাঁর আফসোস, আজ হলুদ দলে ভিড়ে গেলে তিনি কোথায় থাকতেন! জেসিন্ডার কথা ভেবে একটু করুণাও হয় তাঁর। আহা! বেচারা অবলা নারী!
আসলেই তো, জেসিন্ডা এত বোকা কেন? যেখানে আমরা দেখে এসেছি বা আসছি যে, শিক্ষকতা ছেড়ে অনেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন একটু রাজনীতিতে ঢোকার জন্য। কত জনকেই তো বলতে দেখা গেছে যে শিক্ষকতার এ চেয়ার আমি চাই না, আমি অমুক রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের চেয়ার চাই। আমার অন্তরে, মনে প্রাণে সবকিছুতেই ওই চেয়ার। আমি দায়িত্ব পেলে জাদুর কাঠির মতো পরিবর্তন করে ফেলব তার চেহারা। কিন্তু যেখানে শিক্ষকতা করছেন তাও আবার শিক্ষকদের চরান বা প্রতিষ্ঠানের সর্বময় কর্তা হয়েও সেটার চেহারার কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করতে পারেননি বা পারছেন না।
শুধু কি এক দুইজনকে দেখে আমরা অভ্যস্ত? না। এই সংখ্যা অনেক। অনেকেই তো পার্টটাইম শিক্ষক, ফুলটাইম রাজনীতিক।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের সর্বোচ্চ পদ ছেড়ে একজন শিক্ষকতায় যাচ্ছে আর অন্য দেশে শিক্ষকতার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনে যোগ দিতে মনোবাসনা ব্যক্ত করছেন। কেন?
আমার এই কেন প্রশ্ন শুনে এবার আপনি হাসছেন, তাই তো? ভাবছেন কী বোকা! এটাও জানে না। কেন তারা শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যেতে চায়। হয়তো মনে মনে বলছেনও যে আরে ভাই, এখানে মধু আছে, মধু। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। শিক্ষকতায় কি আর সেই মধু পাওয়া যায় নাকি। মধুর আশায়, মধুর লোভে শাহিন হয়ে বসে থাকে এসব শিক্ষকেরা।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে কি মধু নেই? নাকি মধুর সন্ধান পাননি অথবা মধুই দেখেননি জেসিন্ডা। তাই এমন সিদ্ধান্ত। যেখানে আমাদের অনেক শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে রাজনীতির চেয়ার নিতে মরিয়া, সেখানে জেসিন্ডা বোকার মতো প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে শিক্ষকতার চেয়ারে। তাঁরা সমস্বরে বলছেন, জেসিন্ডা কত বোকা!
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে