অনলাইন ডেস্ক
চা-প্রেমী ছড়িয়ে আছেন সারা পৃথিবীতেই। তবে দেশ অনুসারে চা বানানোয় এসেছে ভিন্নতা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চা পানের নানান তরিকার সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি পাঠকদের। আশা করি জাতীয় চা দিবসের দিনে হাতে এক কাপ চা নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের চা পানের বৈচিত্র্য উপভোগ করতে ভালোই লাগবে আপনাদের।
মরক্কো
যদি চান চা হবে অস্বাভাবিক মিষ্টি, তাহলে মরক্কোর এক কাপ চা পান করা উচিত আপনার। তুয়ারেগ মিন্ট চা নামে পরিচিত চায়ে থাকে পুদিনা পাতা, গ্রিন টির পাতা আর প্রচুর চিনি। একজন অতিথিকে তিন বার এ ধরনের চা পরিবেশন করা হয়। প্রতিবারই স্বাদে থাকে ভিন্নতা। মনে রাখবেন, কাউকে এই চা দেওয়ার পর যদি প্রত্যাখ্যান করে, তবে সেটাকে অপমান হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
তিব্বত
চায়ের সঙ্গে দুধ না লেবু বেশি মানানসই—এটা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে তর্ক থাকতে পারে। তবে তিব্বতিদের কথা যদি বলেন, ওই দুটি মতের কোনোটির পক্ষেই তাঁরা নেই। এ ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ লবণাক্ত মাখন। চা-পাতা, দুধ, লবণ আর চমরি গাইয়ের দুধ থেকে প্রস্তুত মাখন তিব্বতির চায়ের মূল উপাদান। বেশি উচ্চতায় বাস করেন এমন মানুষের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে এই চা।
ইংল্যান্ড
ষোলো শতকের মাঝামাঝিতে প্রথম যখন ইংরেজদের চায়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটে, তখন বৈকালিক চা পানের বিষয়টি ছিল না। বহু বছর বাদে বৈকালিক চা পান উদ্যাপন শুরু করেন তাঁরা। চায়ের সঙ্গে টেবিলে আরও আসে বিস্কুট, স্যান্ডউইচ আর নরম কেক।
রাশিয়া
সামোভার নামে পরিচিত ছোট্ট ধাতব পাত্রে জাভারকা নামে পরিচিত চায়ের পাতা ফোটানো হয়। রংটা গাঢ় কালো। বড় মগে তারপর দুধ-চিনি ছাড়া পরিবেশন করা হয় এই চা। অতিথি চা পানের সময় প্রয়োজনমতো গরম পানি দেওয়া হয় কাপে।
থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে বরফ চা ‘চা ইয়েন’ বেশ জনপ্রিয়। এতে চায়ের সঙ্গে চিনি, দুধ, মসলা মিশিয়ে সঙ্গে বরফ দিয়ে লম্বা গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। গ্রীষ্মের উষ্ণ এক দিনে উচ্চমাত্রার ক্যালরির মিষ্টি ও লবণাক্ত স্বাদের মিশেলে এটি চমৎকার এক পানীয় হিসেবে কাজ করে।
তাইওয়ান
তাইওয়ানের বাবল বা বুদ্বুদ চায়ের বেশ নাম আছে। এর মধ্যে থাকে বরফ, দুধ চা আর চিনির সিরাপ। কিন্তু নামটা বুদ্বুদ চা কেন? গোল গোল বুদ্বুদের মতো জেলির বল থাকে এই চায়ে।
পাকিস্তান
পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, লবণ, দুধ ও এলাচ-দারুচিনির মতো মসলা মিশিয়ে তৈরি ‘নুন চাই’ কাশ্মীরের ঐতিহ্য। গোলাপি যদি আপনার প্রিয় রং হয়, তবে এই পানীয় আপনার অপছন্দ করার কোনো কারণ নেই। এই রং আনতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। বাখরখানি, কুলচা, শিরমলসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত হয় এই চা।
ইরান
সাধারণত রুপার ট্রেতে পরিবেশন করা হয় এই চা। সঙ্গে দেওয়া হয় নাবাত নামের উজ্জ্বল হলুদ রঙের একধরনের মিষ্টি ক্যান্ডি। ইরানিরা চা এত ভালোবাসেন, যে চুলার ওপর সব সময়ই থাকে কেটলি। এতে চায়ের স্বাদ তিতকুটে হয়। এ জন্য চায়ে চিনি না দিয়ে সামনের দাঁত দিয়ে এই চিনির দলা কামড়ে ধরে রাখেন। আর এর মধ্য দিয়েই টানতে থাকেন শক্তিশালী চা।
ফ্রান্স
ফরাসিদের কাছে চা পানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাপার। এতে অবশ্য ব্রিটিশদের কিছুটা প্রভাব আছে বলে ধারণা করা হয়। ফ্রান্সে সহজেই চায়ের দোকান বা ‘সেলন দ্যু দে’ খুঁজে পাবেন। লোকেরা শান্ত, কোলাহলমুক্ত জায়গাটিতে বসে চা পানের বিষয়টি উপভোগ করতে পারবেন এখানে। খুব ভালো মানের চা-ই পরিবেশিত হয় এসব দোকানে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার তেহ তরিক নামের ঐতিহ্যবাহী চায়ের উপাদান হিসেবে থাকে কালো চা, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক। তবে এর বিশেষত্ব হলো, এগুলো যেভাবে মেশানো হয়, আর বানানোয় মুনশিয়ানা। এক গ্লাস থেকে আরেক গ্লাসে বারবার নিয়ে একে ঠান্ডা করেন বিক্রেতারা। এভাবে চায়ের ওপরে ফেনাও হয় প্রচুর। আর এই কাজটি করার সময় একটা ফোঁটা পানীয়ও বাইরে পড়বে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
চা-প্রেমী ছড়িয়ে আছেন সারা পৃথিবীতেই। তবে দেশ অনুসারে চা বানানোয় এসেছে ভিন্নতা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চা পানের নানান তরিকার সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি পাঠকদের। আশা করি জাতীয় চা দিবসের দিনে হাতে এক কাপ চা নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের চা পানের বৈচিত্র্য উপভোগ করতে ভালোই লাগবে আপনাদের।
মরক্কো
যদি চান চা হবে অস্বাভাবিক মিষ্টি, তাহলে মরক্কোর এক কাপ চা পান করা উচিত আপনার। তুয়ারেগ মিন্ট চা নামে পরিচিত চায়ে থাকে পুদিনা পাতা, গ্রিন টির পাতা আর প্রচুর চিনি। একজন অতিথিকে তিন বার এ ধরনের চা পরিবেশন করা হয়। প্রতিবারই স্বাদে থাকে ভিন্নতা। মনে রাখবেন, কাউকে এই চা দেওয়ার পর যদি প্রত্যাখ্যান করে, তবে সেটাকে অপমান হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
তিব্বত
চায়ের সঙ্গে দুধ না লেবু বেশি মানানসই—এটা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে তর্ক থাকতে পারে। তবে তিব্বতিদের কথা যদি বলেন, ওই দুটি মতের কোনোটির পক্ষেই তাঁরা নেই। এ ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ লবণাক্ত মাখন। চা-পাতা, দুধ, লবণ আর চমরি গাইয়ের দুধ থেকে প্রস্তুত মাখন তিব্বতির চায়ের মূল উপাদান। বেশি উচ্চতায় বাস করেন এমন মানুষের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে এই চা।
ইংল্যান্ড
ষোলো শতকের মাঝামাঝিতে প্রথম যখন ইংরেজদের চায়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটে, তখন বৈকালিক চা পানের বিষয়টি ছিল না। বহু বছর বাদে বৈকালিক চা পান উদ্যাপন শুরু করেন তাঁরা। চায়ের সঙ্গে টেবিলে আরও আসে বিস্কুট, স্যান্ডউইচ আর নরম কেক।
রাশিয়া
সামোভার নামে পরিচিত ছোট্ট ধাতব পাত্রে জাভারকা নামে পরিচিত চায়ের পাতা ফোটানো হয়। রংটা গাঢ় কালো। বড় মগে তারপর দুধ-চিনি ছাড়া পরিবেশন করা হয় এই চা। অতিথি চা পানের সময় প্রয়োজনমতো গরম পানি দেওয়া হয় কাপে।
থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে বরফ চা ‘চা ইয়েন’ বেশ জনপ্রিয়। এতে চায়ের সঙ্গে চিনি, দুধ, মসলা মিশিয়ে সঙ্গে বরফ দিয়ে লম্বা গ্লাসে পরিবেশন করা হয়। গ্রীষ্মের উষ্ণ এক দিনে উচ্চমাত্রার ক্যালরির মিষ্টি ও লবণাক্ত স্বাদের মিশেলে এটি চমৎকার এক পানীয় হিসেবে কাজ করে।
তাইওয়ান
তাইওয়ানের বাবল বা বুদ্বুদ চায়ের বেশ নাম আছে। এর মধ্যে থাকে বরফ, দুধ চা আর চিনির সিরাপ। কিন্তু নামটা বুদ্বুদ চা কেন? গোল গোল বুদ্বুদের মতো জেলির বল থাকে এই চায়ে।
পাকিস্তান
পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, লবণ, দুধ ও এলাচ-দারুচিনির মতো মসলা মিশিয়ে তৈরি ‘নুন চাই’ কাশ্মীরের ঐতিহ্য। গোলাপি যদি আপনার প্রিয় রং হয়, তবে এই পানীয় আপনার অপছন্দ করার কোনো কারণ নেই। এই রং আনতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। বাখরখানি, কুলচা, শিরমলসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত হয় এই চা।
ইরান
সাধারণত রুপার ট্রেতে পরিবেশন করা হয় এই চা। সঙ্গে দেওয়া হয় নাবাত নামের উজ্জ্বল হলুদ রঙের একধরনের মিষ্টি ক্যান্ডি। ইরানিরা চা এত ভালোবাসেন, যে চুলার ওপর সব সময়ই থাকে কেটলি। এতে চায়ের স্বাদ তিতকুটে হয়। এ জন্য চায়ে চিনি না দিয়ে সামনের দাঁত দিয়ে এই চিনির দলা কামড়ে ধরে রাখেন। আর এর মধ্য দিয়েই টানতে থাকেন শক্তিশালী চা।
ফ্রান্স
ফরাসিদের কাছে চা পানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাপার। এতে অবশ্য ব্রিটিশদের কিছুটা প্রভাব আছে বলে ধারণা করা হয়। ফ্রান্সে সহজেই চায়ের দোকান বা ‘সেলন দ্যু দে’ খুঁজে পাবেন। লোকেরা শান্ত, কোলাহলমুক্ত জায়গাটিতে বসে চা পানের বিষয়টি উপভোগ করতে পারবেন এখানে। খুব ভালো মানের চা-ই পরিবেশিত হয় এসব দোকানে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার তেহ তরিক নামের ঐতিহ্যবাহী চায়ের উপাদান হিসেবে থাকে কালো চা, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক। তবে এর বিশেষত্ব হলো, এগুলো যেভাবে মেশানো হয়, আর বানানোয় মুনশিয়ানা। এক গ্লাস থেকে আরেক গ্লাসে বারবার নিয়ে একে ঠান্ডা করেন বিক্রেতারা। এভাবে চায়ের ওপরে ফেনাও হয় প্রচুর। আর এই কাজটি করার সময় একটা ফোঁটা পানীয়ও বাইরে পড়বে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে