অনলাইন ডেস্ক
কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।
কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে