অর্ণব সান্যাল
সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:
সংখ্যার হিসাব অনুযায়ী ২-এর পর আসে ৩। হ্যাঁ হ্যাঁ, তার পরে আসে ৪, ৫ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যখন সেই ক্রম ভঙ্গ হয়, তখনই বুঝে নিতে হয় যে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। সেই ব্যতিক্রম কখনো ভালোর জন্য হয়, কখনো খারাপের। এবার কোনটা হলো, সেটিরই সুলুকসন্ধান চলুক এবার।
এ দেশে সম্প্রতি উচ্চপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ‘টুজি অক্কা পাইবার আগেই থ্রিজি পটল তুলিয়াছেন।’ একেবারে ভেরিফায়েড বক্তব্য যাকে বলে। অস্বীকারের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিলেও এটি অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখানোর সুযোগ নেই। কারণ বক্তব্য এসেছে কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে। তবে চঞ্চল মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, টু-এর আগে কেন থ্রি চলে গেল? কী এত তাড়া ছিল তার? নাকি টু-ই সত্য, থ্রি-ফোর সব ছলনামাত্র?
দেখুন, একটি ছোট্ট বক্তব্য থেকে কীভাবে তিনটি প্রশ্ন উঠে গেল! ধীরে ধীরে আমরা বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনে ‘চূড়ান্ত’ অগভীর ও ‘নরম’ অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি বরণ করে নিতেও আমরা পিছপা হব না। আর তা-ও যদি পিছু হটতেই হয়, তখন কেউ আবার ‘গেল গেল’ রব তুলবেন না দয়া করে। কোনো এক মহান ব্যক্তি একদা বলেছিলেন, এগোতে হলে পেছাতে হয় কিছুটা। মহান ব্যক্তির নাম মনে না থাকলেও প্রয়োজনে তাঁর কথা ব্যবহারে আমরা ভুলি না!
প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। অন্তর্জালের দুনিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে জানা গেল, স্বাভাবিকভাবেই টুজির তুলনায় থ্রিজির শক্তি বেশি। টুজি গত শতকের আশির দশকে সৃষ্ট প্রযুক্তি, তবে বহুল ব্যবহার শুরু হয় ৯৯ সাল থেকে। অন্যদিকে থ্রিজি নব্বইয়ের দশকের উদ্ভাবন, ব্যবহার শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। ডাটা রেটে টুজির দৌড় যেখানে কেবিপিএস পর্যন্ত, থ্রিজি সেখানে চলে যায় এমবিপিসে। টুজিতে ভয়েস ও এসএমএস সেবা পাওয়া যায়, তবে থ্রিজিতে আয়েশে পাওয়া যায় উচ্চ মানের অডিও, ভিডিও ও দ্রুত গতির ডেটা স্থানান্তর সুবিধা।
কিন্তু এত কিছুর পরও যখন টু-এর আগে থ্রি মরে যায়, তখন মনে পড়ে যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া সেই অমর বাণী। ‘বিলাসী’ গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘…অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।’ তবে কি টুজি তেলাপোকাই?
এমন ‘তেলাপোকা’ আর ‘অতিকায় হস্তী’ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা করার পাশাপাশি চলুন আমাদের বর্তমান অবস্থা একটু জেনে আসা যাক। যে দেশে টুজি বহালতবিয়তে বেঁচেবর্তে আছে, তার প্রকৃত পরিস্থিতি কী—সেটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিবছর বৈশ্বিক ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (ডিকিউএল) সূচক প্রকাশ করে। গত বছরের এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে সামগ্রিক ডিজিটাল মান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩। আগের বছরের চেয়ে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ২৫ ধাপ নেমে গেছে। এই অবস্থান এমনকি প্রতিবেশী সবগুলো দেশেরও পেছনে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সবচেয়ে কম, একেবারে তলানিতে বলা চলে। তো, এমন এক দেশেই থ্রিজি অক্কা পেল টুজির আগে এবং সেই সঙ্গে মহাসমারোহে চলছে ফোরজি ও ফাইভজি নিয়ে তোলপাড়। কারণ কর্তৃপক্ষীয় মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে, ফোরজি নাকি দেশের ৯৮ ভাগ জায়গায় নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছে। অথচ, আমার ফোনে ফোরজি লেখা ওঠে টুজির রূপে। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তাদের ফোনেও নাকি ফোরজির আছে ‘টুজি’ সিনড্রোম! তবে কি থ্রি হয়েও টু-তে নেমে যাওয়ার অভিমানেই মরে গেল থ্রিজি?
টুজির আগে থ্রিজির মরে যাওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অস্বাভাবিক কি না, তা জানতে আবার ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হলো। তাতে জানা গেল, উন্নয়নের মহাসড়কেই আমরা আছি! ইউরোপের অনেক উন্নত দেশেও নাকি টুজির আগে থ্রিজি মরে গেছে। কারণ, থ্রি থেকে নাকি ফোরে যাওয়া সহজ। আর টু এমনই এক তেলাপোকা যে তাকে ফোরে নিতে গলদঘর্ম হতে হয়। এবার বুঝলাম, কেন এ দেশে সিঙ্গাপুর একটি বহুল প্রচলিত শব্দ! থ্রিজির মৃত্যুতেও আমরা আছি তবে ‘সেই লেভেলে’!
এই উচ্চপর্যায়ের ‘লেভেলে’ থাকা অবস্থায় আমাদেরও কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা। যেহেতু যেকোনো ‘নরম’ অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে এই ‘যেনতেন’ বক্তব্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, তা-ই আমরা টুজি ও থ্রিজির সঙ্গে কপট যোগাযোগ স্থাপনের প্রকট চেষ্টা চালাই। থ্রিজি সরকারিভাবে মরে যাওয়ায় আমাদের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা অবশ্য প্ল্যানচেটের আয়োজনও করেছিলাম, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি ‘অভিমানী’ থ্রিজি। তবে নিজের অভিমান থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে প্রচণ্ড ধাঁতানির পর বাধ্য হয়ে চুরি করে চকলেট খাওয়ার কথা মেনে নেয় দুষ্টু বালক!
ওদিকে টুজিকে পাওয়া গেছে বহালতবিয়তে। একস্ট্রা-টেরিস্ট্রিয়াল যোগাযোগে টুজি বলেছে, ‘দেখুন, থ্রি আসুক বা ফোর, সার্ভিস তো আমাকেই দিতে হয়! কে আমার চেয়ে বেশি দিয়েছে, কে? থ্রিজির অভিমান হতেই পারে, সেই দায় আমার নয়। আর আমাকে উপড়ে ফেলা এত সহজ নয়। মনে রাখতে হবে, যে সয় (এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গালিগালাজ), সে রয়!’
তবে কি ফোরজি বা ফাইভজির জন্যও কোনো ঝুঁকি আছে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি টুজি। তবে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলেছে, ‘থ্রিজি-ফোরজি গেল তল, ফাইভজি বলে কত জল।’
পাঠক, আশা করি এই দীর্ঘ লেখার শীর্ষ থেকে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকা সর্বশেষ প্রশ্নের একটি জুতসই ইতিবাচক জবাব আপনারা পেয়ে গেছেন! আপনাদের প্রতি রইল এক 2G শুভকামনা।
ল–র–ব–য–হ সম্পর্কিত খবর পড়ুন:
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে