অর্ণব সান্যাল
দুটো বাঁশ, সামান্য নুয়ে আছে। যদিও তাদের মাঝে জোড়া লাগানোর চেষ্টা আছে, আছে সেতুবন্ধ। তবু কী আর করবে বলুন! নুয়ে থাকা ছাড়া তাদের যে আর উপায় নেই। কারণ তাদের আগায় যে ‘পচ্চুর’ কারেন্ট!
সাধারণত আগার তুলনায় গোড়ায় (বা পেছনে) কারেন্ট থাকলে যেকোনো প্রাণী বা বস্তু লাফায় অনেক। কারেন্টের কারণেই তেমনটা হয় বটে। আর গোড়ার বদলে আগায় কারেন্ট থাকলে মাথা ভারী হয়ে যায়। একবার ভেবে দেখুন—মাথায় যদি হাজার হাজার ভোল্টের কারেন্ট থাকে, তবে আপনি কী করবেন?
একটুও যদি মাথা চক্কর দেয়, তবে এবার অনুভব করার চেষ্টা করুন ছবির বাঁশ দুটোর কী অবস্থা চলছে! ছবিটি তোলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা থেকে। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের তিতাস নদের পাড়ে এভাবেই বাঁশের খুঁটিতে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। নদে দিনরাতে চলছে শত শত নৌকা। আর তাদের মাথার ওপরেই বাঁশের আগায় স্বমহিমায় আছে ১১ হাজার ভোল্টের এই বিদ্যুতের লাইন। স্থানীয়দের বক্তব্য, নৌকার ধাক্কা, পানির স্রোত কিংবা ঝড়-বৃষ্টিতে খুঁটি পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব খুঁটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর কর্তৃপক্ষের কথা, বর্ষার পানিরই সব দোষ, বর্ষার পানির কারণেই এমন বাঁশের টাওয়ার বসানো হয়।
স্থানীয়দের বক্তব্যের প্রথম অংশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হতেই পারে। হ্যাঁ, দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে। তবে মুফতে কিন্তু কারেন্টও পাওয়া যাবে! হয়তো সেই সম্ভাবনা (!) মাথায় রেখেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এমন একটি মহৎ কাজে উদ্যোগী হয়েছে। জনগণের সেবা করাই যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠানের একমাত্র কাজ, তাই নিশ্চয়ই টেলিভিশনে কারেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদেরও সরাসরি বডিতে কারেন্ট দিতে এমন কাজ করা হয়েছে!
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ আকারে বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই জায়গাটাতেই সমস্যা। যদি স্থানীয়দের সরাসরি বিদ্যুতায়ন করাই কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবে আবার পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কেন?
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল সাব-জোনাল অফিসের দায়িত্বে থাকা এজিএম জহিরুল ইসলাম মোল্লা বলেই দিয়েছেন, বাঁশের খুঁটি না বসালে ওই এলাকার গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ পেত না। তাই নিয়ম না থাকলেও বিদ্যুৎ দিতেই পানির মধ্যে বাঁশের অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ, কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, পুরো কাজটাই করা হয়েছে স্থানীয়দের বিদ্যুৎ দিতেই। বুঝুন একবার, কী কষ্টটাই না তাঁরা করছেন! এখানে বিদ্যুৎ দেওয়াটাই আসল উদ্দেশ্য। তা দিতে গিয়ে যদি সরাসরি শরীরেও সরবরাহ করতে হয়, তবে দোষটা কোথায়? বিদ্যুৎ পাওয়াই তো মূল কথা। কোনদিক দিয়ে পাওয়া হলো, তা দিয়ে আর কী হবে!
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় গোপাল ভাঁড়ের এক গল্প। লোকমুখে প্রচলিত এই গল্প অনুযায়ী, গোপাল একদিন গঙ্গা নদী পার হচ্ছিল। কিন্তু সেই নৌকায় আগে থেকেই ছিল অনেক যাত্রী। তাদের আবার ছিল নানা মালপত্র। গোপাল ওঠার পর একপর্যায়ে নাকি নৌকা প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থায় চলে যায়। এই নৌকায় পানি উঠল বলে! আর ঠিক সেই সময়ই এক যাত্রী তার বড় বোঝাটা মাথায় তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। নৌকার তো তখন টলোমলো অবস্থা। গোপাল বাধ্য হয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞেস করল, সে মাথায় বোঝা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল কেন?
উত্তরে ওই যাত্রী জানিয়ে দিল, তাহলে নাকি নৌকাটি ডুবে যাবে না! সবাই যদি এভাবে বোঝা মাথায় তুলে ধরে, তবে বোঝার ওজন পড়বে যার যার মাথায়। আর কমে যাবে নৌকার ওজন। তাতেই নাকি নৌকা ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে, আর সেই সঙ্গে বাঁচবে যাত্রীদের জানও!
এ দেশেও খানিকটা তেমন দৃশ্যই আমরা দেখতে পাচ্ছি। ১১ হাজার ভোল্টের কারেন্ট তো আছে বাঁশের আগায়। পানির সঙ্গে দূরত্ব তো আছেই। মোদের ঘটে বুদ্ধি কি কম নাকি?
সে যাক গে। কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে, পানি কমে গেলেই বাঁশ ফেলে স্থায়ী খুঁটি বসানো হবে। আর বর্ষার পানি কমার আশায় কেউ বসেও নেই। পানি না কমলেও ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে গেছে। সেই ঠিকাদার নিশ্চয়ই এখন থেকেই খুঁটি বানানো শুরু করে দিয়েছেন। তাতে রড আছে, নাকি বাঁশ—তা নিয়ে না হয় পরে গবেষণা হবে।
আসল কথা হলো, এ দেশে এখন বাঁশের সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট ফ্রি! এবং এই কার্যক্রম তৃণমূলেও পৌঁছে গেছে সগৌরবে। বাঁশ খাবেন, আর কারেন্ট নেবেন না (যেদিক দিয়েই হোক না কেন)—তা কখনো হয়?
দুটো বাঁশ, সামান্য নুয়ে আছে। যদিও তাদের মাঝে জোড়া লাগানোর চেষ্টা আছে, আছে সেতুবন্ধ। তবু কী আর করবে বলুন! নুয়ে থাকা ছাড়া তাদের যে আর উপায় নেই। কারণ তাদের আগায় যে ‘পচ্চুর’ কারেন্ট!
সাধারণত আগার তুলনায় গোড়ায় (বা পেছনে) কারেন্ট থাকলে যেকোনো প্রাণী বা বস্তু লাফায় অনেক। কারেন্টের কারণেই তেমনটা হয় বটে। আর গোড়ার বদলে আগায় কারেন্ট থাকলে মাথা ভারী হয়ে যায়। একবার ভেবে দেখুন—মাথায় যদি হাজার হাজার ভোল্টের কারেন্ট থাকে, তবে আপনি কী করবেন?
একটুও যদি মাথা চক্কর দেয়, তবে এবার অনুভব করার চেষ্টা করুন ছবির বাঁশ দুটোর কী অবস্থা চলছে! ছবিটি তোলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা থেকে। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের তিতাস নদের পাড়ে এভাবেই বাঁশের খুঁটিতে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। নদে দিনরাতে চলছে শত শত নৌকা। আর তাদের মাথার ওপরেই বাঁশের আগায় স্বমহিমায় আছে ১১ হাজার ভোল্টের এই বিদ্যুতের লাইন। স্থানীয়দের বক্তব্য, নৌকার ধাক্কা, পানির স্রোত কিংবা ঝড়-বৃষ্টিতে খুঁটি পড়ে গেলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব খুঁটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর কর্তৃপক্ষের কথা, বর্ষার পানিরই সব দোষ, বর্ষার পানির কারণেই এমন বাঁশের টাওয়ার বসানো হয়।
স্থানীয়দের বক্তব্যের প্রথম অংশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হতেই পারে। হ্যাঁ, দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে। তবে মুফতে কিন্তু কারেন্টও পাওয়া যাবে! হয়তো সেই সম্ভাবনা (!) মাথায় রেখেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এমন একটি মহৎ কাজে উদ্যোগী হয়েছে। জনগণের সেবা করাই যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠানের একমাত্র কাজ, তাই নিশ্চয়ই টেলিভিশনে কারেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদেরও সরাসরি বডিতে কারেন্ট দিতে এমন কাজ করা হয়েছে!
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ আকারে বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই জায়গাটাতেই সমস্যা। যদি স্থানীয়দের সরাসরি বিদ্যুতায়ন করাই কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবে আবার পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কেন?
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল সাব-জোনাল অফিসের দায়িত্বে থাকা এজিএম জহিরুল ইসলাম মোল্লা বলেই দিয়েছেন, বাঁশের খুঁটি না বসালে ওই এলাকার গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ পেত না। তাই নিয়ম না থাকলেও বিদ্যুৎ দিতেই পানির মধ্যে বাঁশের অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ, কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, পুরো কাজটাই করা হয়েছে স্থানীয়দের বিদ্যুৎ দিতেই। বুঝুন একবার, কী কষ্টটাই না তাঁরা করছেন! এখানে বিদ্যুৎ দেওয়াটাই আসল উদ্দেশ্য। তা দিতে গিয়ে যদি সরাসরি শরীরেও সরবরাহ করতে হয়, তবে দোষটা কোথায়? বিদ্যুৎ পাওয়াই তো মূল কথা। কোনদিক দিয়ে পাওয়া হলো, তা দিয়ে আর কী হবে!
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় গোপাল ভাঁড়ের এক গল্প। লোকমুখে প্রচলিত এই গল্প অনুযায়ী, গোপাল একদিন গঙ্গা নদী পার হচ্ছিল। কিন্তু সেই নৌকায় আগে থেকেই ছিল অনেক যাত্রী। তাদের আবার ছিল নানা মালপত্র। গোপাল ওঠার পর একপর্যায়ে নাকি নৌকা প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থায় চলে যায়। এই নৌকায় পানি উঠল বলে! আর ঠিক সেই সময়ই এক যাত্রী তার বড় বোঝাটা মাথায় তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। নৌকার তো তখন টলোমলো অবস্থা। গোপাল বাধ্য হয়ে ওই যাত্রীকে জিজ্ঞেস করল, সে মাথায় বোঝা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল কেন?
উত্তরে ওই যাত্রী জানিয়ে দিল, তাহলে নাকি নৌকাটি ডুবে যাবে না! সবাই যদি এভাবে বোঝা মাথায় তুলে ধরে, তবে বোঝার ওজন পড়বে যার যার মাথায়। আর কমে যাবে নৌকার ওজন। তাতেই নাকি নৌকা ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে, আর সেই সঙ্গে বাঁচবে যাত্রীদের জানও!
এ দেশেও খানিকটা তেমন দৃশ্যই আমরা দেখতে পাচ্ছি। ১১ হাজার ভোল্টের কারেন্ট তো আছে বাঁশের আগায়। পানির সঙ্গে দূরত্ব তো আছেই। মোদের ঘটে বুদ্ধি কি কম নাকি?
সে যাক গে। কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে, পানি কমে গেলেই বাঁশ ফেলে স্থায়ী খুঁটি বসানো হবে। আর বর্ষার পানি কমার আশায় কেউ বসেও নেই। পানি না কমলেও ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে গেছে। সেই ঠিকাদার নিশ্চয়ই এখন থেকেই খুঁটি বানানো শুরু করে দিয়েছেন। তাতে রড আছে, নাকি বাঁশ—তা নিয়ে না হয় পরে গবেষণা হবে।
আসল কথা হলো, এ দেশে এখন বাঁশের সঙ্গে সঙ্গে কারেন্ট ফ্রি! এবং এই কার্যক্রম তৃণমূলেও পৌঁছে গেছে সগৌরবে। বাঁশ খাবেন, আর কারেন্ট নেবেন না (যেদিক দিয়েই হোক না কেন)—তা কখনো হয়?
ওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
৮ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকান একটি নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বিপৎসংকেত বা সতর্কতামূলক অ্যালার্ম পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেরি না করে সেখানে একটি দল পাঠায়। তখনই ফাঁস হয় রহস্য। এই অ্যালার্ম বাজিয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দারা নয়, বরং একটি বানর।
২০ দিন আগেমাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ভরসা। ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগল ২ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাঁর বিল এসেছে ৩২১ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১৯৭ টাকা)। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চার গুণ!
২২ ডিসেম্বর ২০২৪