বিড়াল নিয়ে মজার ১০ তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ১৩: ৫৭

বিড়াল আমাদের সবচেয়ে পরিচিত প্রাণীদের একটি। অনেকের পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়াল ভারি পছন্দ। নিজে যদি নাও পুষি বাসা থেকে বের হলে প্রতিবেশীর কোনো বিড়াল কিংবা রাস্তা-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো বিড়ালদের দর্শন নিয়মিতই পাই আমরা। আজ আমাদের এই চেনা প্রাণীটি সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য দেব, এগুলোর কোনো কোনোটি রীতিমতো চমকে দেবে আপনাকে। 

আলাস্কার এক শহরের মেয়র ছিল বিড়াল
আমেরিকার আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের টালকিটনা শহরের মেয়র ছিল এক বিড়াল, তাও এক দিন দুই দিন নয়, দীর্ঘ ২০ বছর। বিড়ালটির নাম ছিল স্টাবস। যদিও তার এই মেয়র হওয়া ছিল প্রতীকী, কোনো ক্ষমতা ছিল না। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিল সে। ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত শহরটির মেয়র ছিল সে। 

সাড়ে নয় হাজার বছর আগেও বিড়াল পুষত মানুষ
২০০৪ সালে ফ্রেঞ্চ প্রত্নতত্ত্ববিদরা সাইপ্রাসে ৯ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো বিড়ালের এক সমাধি আবিষ্কার করেন। এটাই সবচেয়ে প্রাচীন পোষা বিড়ালের রেকর্ড। এর আগে মিশরে ৪ হাজার বছরের বেশি পুরোনো বিড়ালের চিত্রকর্ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল মিসরীয়রা সবার আগে বিড়াল পোষা শুরু করে। 

জীবনের ৭০ শতাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায় বিড়াল
বিড়াল দিনের বড় একটি সময় ঘুমিয়ে কাটায়। ওয়েবসাইট ভেটেরিনারি হাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিড়াল জীবনের ৭০ শতাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। তার মানে দিনের ১৬-১৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় এ প্রাণীটি। 

দীর্ঘতম বিড়াল স্টুয়িচার ফুট লম্বা বিড়াল
পোষা বিড়াল গায়ে গতরে বেশি বড় হয় না এটাই আমরা জানি। তবে বেশ লম্বা বিড়ালের নজিরও আছে। শুনে অবাক হবেন, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর দীর্ঘতম বিড়ালটি লম্বায় ছিল ৪৮.৫ ইঞ্চি। মেইন কুন প্রজাতির বিড়ালটির নাম ছিল স্টুয়ার্ট গিলিগান বা স্টুয়ি। বিড়ালটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দম্পতি রবিন হেনড্রিকসন ও এরিক ব্র্যান্ডসনেসের। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বিড়ালটি মারা যায়। 

সবচেয়ে ধনী বিড়াল
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বিড়ালটির নাম নালা। তাঁর নামে বেশ কিছু বিড়ালের খাবার আছে। বিড়ালটির সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ডলার। সিয়ামিজ আর টেবির এই সংকরটির মালিক আমেরিকান দম্পতি শ্যানন এলিস এবং পুকি মেটাচিট্টাপান। বিড়ালটির ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার আছে ৪৪ লাখের মতো। 

মহাশূন্যে গিয়েছিল ফেলিসেট্টেমহাশূন্যে বিড়াল
মহাশূন্যে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল একটি বিড়ালের। ১৯৬৩ সালে ফেলিসেট্টে বা অ্যাস্ট্রোকেট নামের একটি পারসিয়ান বিড়ালের মহাশূন্যে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। ফ্রেঞ্চ স্পেস প্রোগ্রামের আওতায় এটি মহাশূন্যে যায়। 

পোষা বিড়াল মারা গেলে...
‘অ্যানশিয়েন্ট হিস্ট্রি এনসাইক্লোপিডিয়া’ জানাচ্ছে, হেরোডোটাস লিখে গেছেন, প্রাচীন মিসরে কোনো পোষা বিড়াল মারা গেলে ওই বাড়ির সদস্যরা ভ্রু কামিয়ে ফেলতেন। শোক জানিয়ে কাজটি করতেন তাঁরা। 

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বিড়ালটির নাম ছিল ক্রিম পাফ৩৮ বছর বেঁচেছিল একটি বিড়াল
পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বিড়ালটির নাম ছিল ক্রিম পাফ। ১৯৬৭ সালের ৩ আগস্ট জন্ম নেওয়া বিড়ালটি ২০০৫ সালের ৬ আগস্ট মারা যায়। অর্থাৎ মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৩৮ বছর ৩ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনের জ্যাক পেরি নামের এক ব্যক্তি ছিলেন বিড়ালটির মালিক। 

দ্রুত দৌড়াতে পারে
বিড়াল কিন্তু বেশ দ্রুত দৌড়াতে পারে। সর্বোচ্চ গতিটা চমকে দেবে আপনাকে, ঘণ্টায় প্রায় ৩০ মাইল। 

লাফ দেওয়ায় ওস্তাদ
লাফ দেওয়ায় বিড়ালেরা ওস্তাদ এটা আমরা সবাই জানি। তবে তাই বলে এটা নিশ্চয় আশা করব না একটা বিড়াল তার উচ্চতার পাঁচ থেকে ছয় গুণ পর্যন্ত লাফ দিতে পারে। কিন্তু তথ্যটি সত্যি। 

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, পুরিনা ডট কম, উইকিপিডিয়া

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত