অনলাইন ডেস্ক
মনের ভাব প্রকাশের জন্য প্রায় ৩০০টি মুখভঙ্গি ব্যবহার করতে পারে বিড়াল। এ মুখভঙ্গি ব্যবহার করে এগুলো যেমন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তেমনি মানুষের সঙ্গেও ভাব বিনিময়ের চেষ্টা করে। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এই গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি বিড়াল আশ্রয়কেন্দ্রের (ক্যাট ক্যাফে) ৫০টি বিড়ালের ওপর পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। পরীক্ষায় গবেষকেরা এক বছরের বেশি সময় ধরে বিড়ালগুলোর মোট ২৭৬টি মুখভঙ্গি রেকর্ড করেন। বিড়ালগুলোর মুখভঙ্গিতে হাসিখুশি থেকে আক্রমণাত্মক—সব ধরনের অভিব্যক্তিই দেখা যায়। গত ১৮ অক্টোবর বিহেভিওরাল প্রসেসেস নামের এক সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর ওপর এটিই প্রথম এমন গভীর গবেষণা, যেখানে বিড়ালের ‘মিউ মিউ’ ডাকের বাইরে কীভাবে এরা যোগাযোগ করে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কুকুর, শিম্পাঞ্জি ও মানুষের মুখভঙ্গির ওপর বিস্তর গবেষণা হয়েছে। গবেষণা অনুসারে, মানুষ ৪৪ রকম মুখভঙ্গি করতে পারে; কুকুর ২৭টি ও শিম্পাঞ্জি ৩৫৭টি। তবে বিড়ালের মুখভঙ্গি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক আরকানসাসের লাইওন কলেজের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ব্রিটনি ফ্লোরকিউইজ লাইভ সায়েন্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ বিষয়ের ওপর গবেষণা বা লেখা অত্যন্ত বিরল। অনেক গবেষণা কেবল ১০ হাজার বছর ধরে বিড়াল পোষার মাধ্যমে মানুষ ও বিড়ালের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের ওপরই গুরুত্ব দেয়।’
ব্রিটনি ফ্লোরকিউইজ বলেন, ‘ক্যাটক্যাফেতে আমরা বিড়ালদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ লক্ষ করতে পেরেছি এবং এগুলোর মুখের অভিব্যক্তি রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছি।’
গবেষণা অনুসারে, বিড়ালের প্রতিটি স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির মধ্যে মুখের ২৬টি বিশেষ নড়াচড়ার চারটিই একসঙ্গে থাকে। মুখের বিশেষ নড়াচড়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঠোঁট ফাঁকা করা, সংকুচিত বা প্রসারিত চোখের মণি, চোখের পলক ফেলা, মুখের বাঁকানো, নাক চাটা, কানের বিভিন্ন ভঙ্গি।
বিড়ালগুলোকে পর্যবেক্ষণ করার সময় একবার গবেষকেরা লক্ষ করেন, এক জোড়া বিড়ালছানা ক্ষণিকের মধ্যেই খোশমেজাজ থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। হঠাৎ করেই একটি ঝুঁকে গিয়ে আরেকটির গায়ের ওপর হিস হিস শব্দ করে পালিয়ে যায়।
ব্রিটনি বলেন, ‘এগুলোকে মারামারি খেলতে দেখতে বেশ অবাক লাগছিল। কিন্তু জলদিই পরিস্থিতি আক্রমণাত্মক লড়াইয়ে রূপ নেয়। আপনি এগুলোর মুখের অভিব্যক্তিতে একটি পরিবর্তন দেখতে পাবেন। প্রথমে একটি বিড়ালের চোখ বেশ শান্ত ছিল এবং এর কান ও গোঁফ খাড়া ছিল। এ ধরনের অভিব্যক্তি সাধারণত অন্য আরেক বিড়ালের কাছে যাওয়ার সময় করা হয়। কিন্তু এরপরই পরিস্থিতি বিশ্রী রূপ নিতে থাকে। বিড়ালটি এর কান ও গোঁফ পেছনের দিকে বাঁকিয়ে নেয়। খুব দ্রুতই এর আচরণ বদলে যায়।’
বিড়ালগুলোর আচরণের রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা বলেন, বেশির ভাগ বিড়ালেরই অভিব্যক্তি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, যা প্রায় ৪৫ শতাংশ। আক্রমণাত্মক ছিল ৩৭ শতাংশ বিড়াল। গবেষণা অনুসারে, ১৮ শতাংশ বিড়ালের অভিব্যক্তি ছিল অস্পষ্ট।
গবেষকেরা বলছেন, বিড়ালের অনেক মুখভঙ্গিই মানুষ, কুকুর ও বানরের মতো বেশ কয়েকটি প্রজাতির সঙ্গে মিলে যায়। এগুলোর সাধারণ একটা খোশমেজাজি অভিব্যক্তি আছে। এ মুখভঙ্গিতে এগুলোর চোয়াল নিচের দিকে ঝুলে থাকে, দেখতে হাসির মতো মনে হয়।
বিড়ালগুলো একে অপরকে কী বলছিল, তা বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ গবেষণার মাধ্যমে বিড়াল প্রজাতির অভিব্যক্তি বোঝা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন গবেষকেরা।
ব্রিটনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ও মানবসমাজ বিড়ালের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কোম্পানি অ্যাপ তৈরি করার জন্য যোগাযোগ করেছে। তারা বিড়ালের মুখভঙ্গি রেকর্ড করে এগুলো কী বোঝাতে চায়, সেটি বুঝতে একটি অ্যাপ তৈরি করতে চায়।’
মনের ভাব প্রকাশের জন্য প্রায় ৩০০টি মুখভঙ্গি ব্যবহার করতে পারে বিড়াল। এ মুখভঙ্গি ব্যবহার করে এগুলো যেমন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তেমনি মানুষের সঙ্গেও ভাব বিনিময়ের চেষ্টা করে। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এই গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি বিড়াল আশ্রয়কেন্দ্রের (ক্যাট ক্যাফে) ৫০টি বিড়ালের ওপর পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। পরীক্ষায় গবেষকেরা এক বছরের বেশি সময় ধরে বিড়ালগুলোর মোট ২৭৬টি মুখভঙ্গি রেকর্ড করেন। বিড়ালগুলোর মুখভঙ্গিতে হাসিখুশি থেকে আক্রমণাত্মক—সব ধরনের অভিব্যক্তিই দেখা যায়। গত ১৮ অক্টোবর বিহেভিওরাল প্রসেসেস নামের এক সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর ওপর এটিই প্রথম এমন গভীর গবেষণা, যেখানে বিড়ালের ‘মিউ মিউ’ ডাকের বাইরে কীভাবে এরা যোগাযোগ করে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কুকুর, শিম্পাঞ্জি ও মানুষের মুখভঙ্গির ওপর বিস্তর গবেষণা হয়েছে। গবেষণা অনুসারে, মানুষ ৪৪ রকম মুখভঙ্গি করতে পারে; কুকুর ২৭টি ও শিম্পাঞ্জি ৩৫৭টি। তবে বিড়ালের মুখভঙ্গি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক আরকানসাসের লাইওন কলেজের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ব্রিটনি ফ্লোরকিউইজ লাইভ সায়েন্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ বিষয়ের ওপর গবেষণা বা লেখা অত্যন্ত বিরল। অনেক গবেষণা কেবল ১০ হাজার বছর ধরে বিড়াল পোষার মাধ্যমে মানুষ ও বিড়ালের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের ওপরই গুরুত্ব দেয়।’
ব্রিটনি ফ্লোরকিউইজ বলেন, ‘ক্যাটক্যাফেতে আমরা বিড়ালদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ লক্ষ করতে পেরেছি এবং এগুলোর মুখের অভিব্যক্তি রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছি।’
গবেষণা অনুসারে, বিড়ালের প্রতিটি স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির মধ্যে মুখের ২৬টি বিশেষ নড়াচড়ার চারটিই একসঙ্গে থাকে। মুখের বিশেষ নড়াচড়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঠোঁট ফাঁকা করা, সংকুচিত বা প্রসারিত চোখের মণি, চোখের পলক ফেলা, মুখের বাঁকানো, নাক চাটা, কানের বিভিন্ন ভঙ্গি।
বিড়ালগুলোকে পর্যবেক্ষণ করার সময় একবার গবেষকেরা লক্ষ করেন, এক জোড়া বিড়ালছানা ক্ষণিকের মধ্যেই খোশমেজাজ থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। হঠাৎ করেই একটি ঝুঁকে গিয়ে আরেকটির গায়ের ওপর হিস হিস শব্দ করে পালিয়ে যায়।
ব্রিটনি বলেন, ‘এগুলোকে মারামারি খেলতে দেখতে বেশ অবাক লাগছিল। কিন্তু জলদিই পরিস্থিতি আক্রমণাত্মক লড়াইয়ে রূপ নেয়। আপনি এগুলোর মুখের অভিব্যক্তিতে একটি পরিবর্তন দেখতে পাবেন। প্রথমে একটি বিড়ালের চোখ বেশ শান্ত ছিল এবং এর কান ও গোঁফ খাড়া ছিল। এ ধরনের অভিব্যক্তি সাধারণত অন্য আরেক বিড়ালের কাছে যাওয়ার সময় করা হয়। কিন্তু এরপরই পরিস্থিতি বিশ্রী রূপ নিতে থাকে। বিড়ালটি এর কান ও গোঁফ পেছনের দিকে বাঁকিয়ে নেয়। খুব দ্রুতই এর আচরণ বদলে যায়।’
বিড়ালগুলোর আচরণের রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা বলেন, বেশির ভাগ বিড়ালেরই অভিব্যক্তি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, যা প্রায় ৪৫ শতাংশ। আক্রমণাত্মক ছিল ৩৭ শতাংশ বিড়াল। গবেষণা অনুসারে, ১৮ শতাংশ বিড়ালের অভিব্যক্তি ছিল অস্পষ্ট।
গবেষকেরা বলছেন, বিড়ালের অনেক মুখভঙ্গিই মানুষ, কুকুর ও বানরের মতো বেশ কয়েকটি প্রজাতির সঙ্গে মিলে যায়। এগুলোর সাধারণ একটা খোশমেজাজি অভিব্যক্তি আছে। এ মুখভঙ্গিতে এগুলোর চোয়াল নিচের দিকে ঝুলে থাকে, দেখতে হাসির মতো মনে হয়।
বিড়ালগুলো একে অপরকে কী বলছিল, তা বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ গবেষণার মাধ্যমে বিড়াল প্রজাতির অভিব্যক্তি বোঝা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন গবেষকেরা।
ব্রিটনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ও মানবসমাজ বিড়ালের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কোম্পানি অ্যাপ তৈরি করার জন্য যোগাযোগ করেছে। তারা বিড়ালের মুখভঙ্গি রেকর্ড করে এগুলো কী বোঝাতে চায়, সেটি বুঝতে একটি অ্যাপ তৈরি করতে চায়।’
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য জিনকে (কিম সক-জিন) জনসমক্ষে চুম্বন করে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়েছেন এক জাপানি নারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুনে সিউলে একটি ফ্যান ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে জিন বিটিএসের ১ হাজার ভক্তকে আলিঙ্গন করেন। তবে ওই জাপানি..
৩ দিন আগেইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের ব্লেনহেইম প্যালেস। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই প্রাসাদটিতে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের জন্ম হয়েছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রাসাদে ইতালির শিল্পী মরিজিও কাত্তেলানের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। এই প্রদর্শনীতে দেখানোর জন্য কাত্তেলানের তৈরি ১৮...
৬ দিন আগেচুরি করা এটিএম কার্ড নিয়ে লটারির টিকিট কেনেন দুই চোর। স্ক্র্যাচ-অফ লটারি টিকিটটিতে তাঁরা পেয়ে যান ৫ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা)। টাকা খুশি হলেও সেই টাকা তোলা নিয়েই বিপদ তাদের। এদিকে এটিএম কার্ডের মালিক খুঁজছেন তাঁদের। চাইছেন টাকার ভাগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে।
৮ দিন আগেবিশ্বের সবচেয়ে ছোট হাতে তৈরি ভাস্কর্য হিসেবে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল লেগো ব্রিক। এই ভাস্কর্য এতটাই ক্ষুদ্র যে এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। গত বছর শেষের দিকে এটি তৈরি করেন মাইক্রো-আর্টিস্ট ডেভিড লিনডন। লেগো ব্রিকটির আকার মাত্র ০.০২৫১৭ মিলিমিটার × ০.০২১৮৪ মিলিমিটার, যা একটি শ্বেত রক্তকণিকার আকা
৯ দিন আগে