ইশতিয়াক হাসান

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের ওপরে ঝুলে থাকা সম্ভব? ঝুলন্ত হ্রদের বিষয়টি খোলাসা করছি এখন।
হ্রদটি সাগরের ওপরে থাকলেও একেবারে ঝুলে আছে বলে মনে হওয়ার পেছনে কিছুটা দৃষ্টিবিভ্রমও কাজ করছে। মূল বিষয় হলো, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মোটামুটি ১০০ মিটার খাঁড়া উঠে গেছে একটি পাহাড় বা ক্লিফ। হ্রদটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়া থেকে ৭০ মিটার নিচে, আরও পরিষ্কারভাবে বললে সাগর থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় এটি। হ্রদটির আকার ও আলোর খেলায় নির্দিষ্ট কোণ থেকে মনে হয় পাহাড়ের ও লেকের উচ্চতা সমান, আর মোটামুটি শ খানিক মিটার উচ্চতা থেকেই এটি উত্তর আটলান্টিকের ওপর ঝুলে আছে।
হ্রদটির চারপাশের পাহাড়ের কারণে এর সব জল সাগরে গিয়ে পড়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি জায়গা দিয়ে জলপ্রপাত হয়ে হ্রদের কিছু পানি সাগরে গিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এটির নাম বসদালফসার। শীতের মাসগুলোতে হ্রদের জল জমে বরফ হয়ে যায়। তখন আইস ফিশিংয়ের জন্য এর চেয় চমৎকার জায়গা পাবেন কমই।
ফারো দ্বীপপুঞ্জের ভ্যাগার দ্বীপে দেখা পাবেন হ্রদটির। মজার ঘটনা, দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ফজালাভাতানের অবস্থানও একই দ্বীপে। হ্রদটির নাম নিয়ে আশপাশের দুটি বসতির মানুষদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক আছে। সোভাগারের বাসিন্দারা এর সোভাসনভ্যান নাম নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন। অন্যদিকে মিয়োভগারের বাসিন্দারা হ্রদটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন লেইতসভাতান নামে। কারণ হ্রদের তাদের দিকে একটি জায়গা আছে লেইতি নামে।
তবে হ্রদটির নাম সোভাসনভ্যান হয়ে যাওয়াটা এক হিসেবে একটু অদ্ভুত ব্যাপারই। কারণ মিয়োভগার গ্রামটি সোভাগারের তুলনায় হ্রদের বেশি কাছে। একটা কারণ হতে পারে, সোভাগার মিয়োভগারের তুলনায় অনেক পুরোনো গ্রাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনারা লেকের পশ্চিমে একটি এয়ারফিল্ড তৈরি করে, যেটি পরে ভ্যাগার বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। এ সময় সি প্লেনগুলো অবতরণে সুবিধার জন্য একটি স্টেশনও স্থাপন করা হয়। হ্রদে অবতরণ করা প্রথম সি প্লেন ছিল রাফ কোস্টাল কমান্ডের একটি ক্যাটালিনা।
সারা পৃথিবীর পর্যটকদের টানে হ্রদটি। বিশেষ করে সাগরের ওপর ঝুলে থাকা ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ে। তবে ঘটনা হলো, ফারো দ্বীপপুঞ্জে দেখার মতো আরও অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময় আছে। একবার কষ্ট করে সেখানে গেলে গোটা ফারো দ্বীপপুঞ্জই ঘুরেফিরে দেখতে পারবেন।
এবার কীভাবে হ্রদটিতে পৌঁছাবেন জেনে নেওয়া যাক। ফারো দ্বীপপুঞ্জের ন্যাশনাল এয়ারলাইন হলো আটলান্টিক এয়ারওয়েজ। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলগুলোসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট আছে। ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড থেকে ফেরিও আছে। উড়োজাহাজে গেলে আপনি পৌঁছাবেন ভ্যাগার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হ্রদটির দূরত্ব মোটে তিন মাইল। একটি গাড়ি ভাড়া করে লেকসহ ঘুরতে পারবেন ফারো দ্বীপপুঞ্জের সুন্দর সব জায়গায় ।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, মাই বেস্ট প্লেস, মেটাডোর নেটওয়ার্ক, উইকিপিডিয়া

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের ওপরে ঝুলে থাকা সম্ভব? ঝুলন্ত হ্রদের বিষয়টি খোলাসা করছি এখন।
হ্রদটি সাগরের ওপরে থাকলেও একেবারে ঝুলে আছে বলে মনে হওয়ার পেছনে কিছুটা দৃষ্টিবিভ্রমও কাজ করছে। মূল বিষয় হলো, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মোটামুটি ১০০ মিটার খাঁড়া উঠে গেছে একটি পাহাড় বা ক্লিফ। হ্রদটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়া থেকে ৭০ মিটার নিচে, আরও পরিষ্কারভাবে বললে সাগর থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় এটি। হ্রদটির আকার ও আলোর খেলায় নির্দিষ্ট কোণ থেকে মনে হয় পাহাড়ের ও লেকের উচ্চতা সমান, আর মোটামুটি শ খানিক মিটার উচ্চতা থেকেই এটি উত্তর আটলান্টিকের ওপর ঝুলে আছে।
হ্রদটির চারপাশের পাহাড়ের কারণে এর সব জল সাগরে গিয়ে পড়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি জায়গা দিয়ে জলপ্রপাত হয়ে হ্রদের কিছু পানি সাগরে গিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। এটির নাম বসদালফসার। শীতের মাসগুলোতে হ্রদের জল জমে বরফ হয়ে যায়। তখন আইস ফিশিংয়ের জন্য এর চেয় চমৎকার জায়গা পাবেন কমই।
ফারো দ্বীপপুঞ্জের ভ্যাগার দ্বীপে দেখা পাবেন হ্রদটির। মজার ঘটনা, দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ফজালাভাতানের অবস্থানও একই দ্বীপে। হ্রদটির নাম নিয়ে আশপাশের দুটি বসতির মানুষদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক আছে। সোভাগারের বাসিন্দারা এর সোভাসনভ্যান নাম নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন। অন্যদিকে মিয়োভগারের বাসিন্দারা হ্রদটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন লেইতসভাতান নামে। কারণ হ্রদের তাদের দিকে একটি জায়গা আছে লেইতি নামে।
তবে হ্রদটির নাম সোভাসনভ্যান হয়ে যাওয়াটা এক হিসেবে একটু অদ্ভুত ব্যাপারই। কারণ মিয়োভগার গ্রামটি সোভাগারের তুলনায় হ্রদের বেশি কাছে। একটা কারণ হতে পারে, সোভাগার মিয়োভগারের তুলনায় অনেক পুরোনো গ্রাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনারা লেকের পশ্চিমে একটি এয়ারফিল্ড তৈরি করে, যেটি পরে ভ্যাগার বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। এ সময় সি প্লেনগুলো অবতরণে সুবিধার জন্য একটি স্টেশনও স্থাপন করা হয়। হ্রদে অবতরণ করা প্রথম সি প্লেন ছিল রাফ কোস্টাল কমান্ডের একটি ক্যাটালিনা।
সারা পৃথিবীর পর্যটকদের টানে হ্রদটি। বিশেষ করে সাগরের ওপর ঝুলে থাকা ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্বেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ে। তবে ঘটনা হলো, ফারো দ্বীপপুঞ্জে দেখার মতো আরও অনেক প্রাকৃতিক বিস্ময় আছে। একবার কষ্ট করে সেখানে গেলে গোটা ফারো দ্বীপপুঞ্জই ঘুরেফিরে দেখতে পারবেন।
এবার কীভাবে হ্রদটিতে পৌঁছাবেন জেনে নেওয়া যাক। ফারো দ্বীপপুঞ্জের ন্যাশনাল এয়ারলাইন হলো আটলান্টিক এয়ারওয়েজ। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলগুলোসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট আছে। ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড থেকে ফেরিও আছে। উড়োজাহাজে গেলে আপনি পৌঁছাবেন ভ্যাগার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হ্রদটির দূরত্ব মোটে তিন মাইল। একটি গাড়ি ভাড়া করে লেকসহ ঘুরতে পারবেন ফারো দ্বীপপুঞ্জের সুন্দর সব জায়গায় ।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, মাই বেস্ট প্লেস, মেটাডোর নেটওয়ার্ক, উইকিপিডিয়া

টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার।
২ দিন আগে
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৩ দিন আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
৫ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার। সম্প্রতি ক্যাশ ৫ লটারিতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৮ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি টাকার বেশি)-এর বাম্পার জ্যাকপট জিতেছেন তিনি।
পেশায় শিক্ষিকা এবং চার নাতি-নাতনির দাদি বারবারা মুনফোর্ড টানা ছয় বছর ধরে একই নম্বরের টিকিট কিনছিলেন। নর্থ ক্যারোলিনা এডুকেশন লটারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বারবারা তাঁর এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাঁর বোনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বারবারা বলেন, ‘আমার বোন আমাকে একই নম্বরগুলো খেলতে থাকতে বলেছিল। সে বলেছিল, আমি একদিন ঠিকই জিতব।’ বারবারা জানান, বোনের সেই বিশ্বাসই আজ সত্যি হলো।
গত সোমবার রাতে ড্র হওয়ার পর মধ্যরাতের ঠিক পরে বারবারা তাঁর লটারির নম্বর মিলিয়ে দেখেন। তাঁর টিকিটটিই সমস্ত বিজয়ী নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। উত্তেজিত বারবারা সেই মুহূর্তের কথা মনে করে বলেন, ‘ওহ গড, ওটা তো আমিই, ওটা তো আমিই, আমি জিতে গেছি!’ বিপুল আনন্দের পরে আসে আবেগের পালা। বারবারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি তখন ড্রয়িংরুমে বসে কাঁদছিলাম।’
তিনি হোপ মিলসের লিজিয়ন রোডের ‘লাকি স্টপ’ থেকে মাত্র এক ডলার দিয়ে এই ভাগ্য বদলকারী টিকিটটি কিনেছিলেন। এই লটারি জেতার সম্ভাবনা ছিল ৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৮-এ মাত্র ১।
গতকাল মঙ্গলবার বারবারা তাঁর পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করেন। সব ধরনের ফেডারেল এবং রাজ্য কর কাটার পর তাঁর হাতে এসেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৬ ডলার।
বিপুল অঙ্কের এই টাকা দিয়ে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বারবারা হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি এখন ক্যাশ ৫-কে ভালোবাসি!’ তবে সব থেকে জরুরি যে কাজটি তিনি করবেন, তা হলো—বাকি থাকা সমস্ত বিল পরিশোধ করা।

টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার। সম্প্রতি ক্যাশ ৫ লটারিতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৮ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি টাকার বেশি)-এর বাম্পার জ্যাকপট জিতেছেন তিনি।
পেশায় শিক্ষিকা এবং চার নাতি-নাতনির দাদি বারবারা মুনফোর্ড টানা ছয় বছর ধরে একই নম্বরের টিকিট কিনছিলেন। নর্থ ক্যারোলিনা এডুকেশন লটারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বারবারা তাঁর এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাঁর বোনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বারবারা বলেন, ‘আমার বোন আমাকে একই নম্বরগুলো খেলতে থাকতে বলেছিল। সে বলেছিল, আমি একদিন ঠিকই জিতব।’ বারবারা জানান, বোনের সেই বিশ্বাসই আজ সত্যি হলো।
গত সোমবার রাতে ড্র হওয়ার পর মধ্যরাতের ঠিক পরে বারবারা তাঁর লটারির নম্বর মিলিয়ে দেখেন। তাঁর টিকিটটিই সমস্ত বিজয়ী নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। উত্তেজিত বারবারা সেই মুহূর্তের কথা মনে করে বলেন, ‘ওহ গড, ওটা তো আমিই, ওটা তো আমিই, আমি জিতে গেছি!’ বিপুল আনন্দের পরে আসে আবেগের পালা। বারবারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি তখন ড্রয়িংরুমে বসে কাঁদছিলাম।’
তিনি হোপ মিলসের লিজিয়ন রোডের ‘লাকি স্টপ’ থেকে মাত্র এক ডলার দিয়ে এই ভাগ্য বদলকারী টিকিটটি কিনেছিলেন। এই লটারি জেতার সম্ভাবনা ছিল ৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৮-এ মাত্র ১।
গতকাল মঙ্গলবার বারবারা তাঁর পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করেন। সব ধরনের ফেডারেল এবং রাজ্য কর কাটার পর তাঁর হাতে এসেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৬ ডলার।
বিপুল অঙ্কের এই টাকা দিয়ে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বারবারা হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি এখন ক্যাশ ৫-কে ভালোবাসি!’ তবে সব থেকে জরুরি যে কাজটি তিনি করবেন, তা হলো—বাকি থাকা সমস্ত বিল পরিশোধ করা।

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন, একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের
১৮ এপ্রিল ২০২৩
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৩ দিন আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
৫ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চেন নামের ওই ব্যক্তি জিয়াংসুর এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেন দুইবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। প্রথমবারে কর্মস্থলে পিঠে টান লাগার কারণে ছুটি চান তিনি। প্রেসক্রিপশন জমা দিয়ে ছুটির অনুমোদনও পান।
এক মাস বিশ্রামের পর কাজে ফিরে অর্ধবেলা না পেরোতেই আবার অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করলেন। এবার কারণ হিসেবে বললেন ডান পায়ে ব্যথা। চিকিৎসক তাঁকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে ধরা পড়ে তাঁর গোড়ালির হাড় বৃদ্ধি (heel spur) হয়েছে। এ কারণ দেখিয়ে চেন কয়েক দিন আরও ছুটি বাড়ান।
দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ চেনকে হাসপাতালের নথি জমা দিতে বলে। কিন্তু তিনি অফিসে আসলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন। কয়েক দিন পর কোম্পানিটি অনুপস্থিতির অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ছিল, চেন তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুতির পর চেন শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছুটি বৈধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রমাণও তিনি জমা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষ চেনের পক্ষে রায় দেন এবং কোম্পানিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৯ ইউয়ান (প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।
এরপর কোম্পানি চেনের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও দেখায়, যেখানে দেখা যায় চেন পা ব্যথার অসুস্থতায় ছুটি নেওয়ার দিনই অফিসে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে দৌড়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা একটি চ্যাট সফটওয়্যারের রেকর্ডও আদালতে তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, চেন ওই দিন ১৬ হাজারের বেশি কদম হেঁটেছেন।
চেন পাল্টা দাবি করেন, কোম্পানির প্রমাণগুলো ভিত্তিহীন। তিনি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে কোমর ও পায়ের স্ক্যান রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ পর্যন্ত আদালত চেনের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোম্পানিটি অবৈধভাবে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। ফলে দুই দফায় কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন, একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের
১৮ এপ্রিল ২০২৩
টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার।
২ দিন আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
৫ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন, একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের
১৮ এপ্রিল ২০২৩
টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার।
২ দিন আগে
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৩ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় হ্রদ সোভাসনভ্যান। ৩.৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের হ্রদটির সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাগরের ওপর ঝুলে আছে এটি। নিশ্চয় ভাবছেন, একটি হ্রদ কীভাবে সাগরের
১৮ এপ্রিল ২০২৩
টানা ছয় বছরের অধ্যবসায়! নাছোড়বান্দা মন নিয়ে এক সেট লটারির নম্বরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। ফল শেষমেশ হাতেনাতে পেলেন উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা বারবারা মুনফোর্ড। সামান্য ধৈর্য আর বোনের ভরসায় ভাগ্য খুলে গেল বৃদ্ধার।
২ দিন আগে
পা ব্যথার কথা বলে নিয়েছিলেন ছুটি। অফিস দেখল ছুটি নিয়ে হেঁটেছেন ১৬ হাজার কদম! ব্যস সঙ্গে সঙ্গে ছাঁটাই! তারপর কর্মী মামলা করে দিলেন অফিসের নামে। জিতলেনও। এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে।
৩ দিন আগে
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
৫ দিন আগে