কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
সূর্যের আলো একজন মানুষের জীবনে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বৈজ্ঞানিকভাবে আলট্রাভায়োলেট-বি রশ্মির মাধ্যমে সূর্য ত্বকে ভিটামিন ডি সৃষ্টি করে, যা হাড়গোড়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভেবে দেখুন তো, বছরের পর বছর যদি আপনাকে সূর্যের আলো দেখতে দেওয়া না হয়? আপনাকে যদি এমন কোনো বদ্ধ ঘরে রাখা হয় যেখানে একটি বিছানা ছাড়া আর কিছুই নেই! যে বিছানাটিও বছরে একবার দেখে আলো-বাতাসের মুখ। কেমন লাগবে? মাসের পর মাস এভাবে বন্দী থাকা চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক চেং লেইয়ের লেখা খোলা চিঠিতে উঠে এসেছে সেই অভিজ্ঞতার কথা।
কারাবাসের তিন বছর পর চেংয়ের লেখা একটি চিঠি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। চেংয়ের সঙ্গী নিক কোয়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এই চিঠি পোস্ট করেছেন। চিঠিতে চেং লেখেন, ‘আমি সূর্যের আলো ভীষণ মিস করি। আমার সেলের ছোট্ট জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে পৌঁছায়। কিন্তু আমি বছরে মাত্র ১০ ঘণ্টা এর নিচে দাঁড়াতে পারি।’ অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার স্মৃতিচারণা করে চেং লেখেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকতাম, তখন সূর্যকে এড়িয়ে যেতাম...।’ চিঠিতে উঠে এসেছে তিন বছরের বন্দিজীবনে একটি গাছও দেখেননি চেং লেই। অস্ট্রেলিয়ার সৈকত ও সূর্যাস্ত দেখার প্রবল ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। লেখায় ফুটে উঠেছে জেলের পরিবেশ। তাঁর সেলে শুধু একটি বিছানা আছে, যা বছরে একবার আলো-বাতাসে বের করা হয়। দুই সন্তানের জননী চেং লেখেন, ‘আমি এখানে আমার সন্তানদের সবচেয়ে বেশি মিস করি।’
জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগে তিন বছর আগে বেইজিং গ্রেপ্তার করেছিল সাংবাদিক চেং লেইকে। বর্তমানে তিনি চীনের একটি কারাগারে বন্দী। সেখান থেকেই লিখেছেন চিঠি। ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট আটক করা হয় চেং লেইকে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় চীন। দেশটির ইংরেজি ভাষার একটি গণমাধ্যমে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিক ও উপস্থাপক ছিলেন তিনি। বিদেশে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা সরবরাহ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে এর বেশি কিছু প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম ছয় মাস লেইকে নির্জন কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁর জন্য কোনো আইনজীবী দেওয়া হয়নি। তাঁর বিচার চলছে এখনো।
১৯৭৫ সালে চীনের হুনান প্রদেশের ইউইয়াংয়ে জন্মগ্রহণ করেন চেং লেই। ১৯৮৬ সালে, ১০ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে চীন ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চলে যান তিনি। চেং ১৯৯২ সালে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে স্নাতক শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাডবারি শোয়েপসের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ সালে এক্সন মোবিলের ব্যবসায় তিনি বিশ্লেষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০০২ সালে সিসিটিভিতে একটি স্ক্রিন টেস্টের পর সেখানে ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৩ সালে সিএনবিসির চীন সংবাদদাতা হিসেবে সাংহাই এবং সিঙ্গাপুরে কাজ করেন চেং। অস্ট্রেলিয়া চায়না বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ২০১৩, এপিইসি উইমেন লিডারশিপ ফোরাম ২০১৪ এবং নরওয়ে-এশিয়া বিজনেস সামিট ২০১৯সহ অসংখ্য ইভেন্ট উপস্থাপনা করেছেন তিনি। চেং লেই বিল গেটস, হোসে ম্যানুয়েল বারোসো, জন ডব্লিউ স্নো, রদ্রিগো রাটো ও রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
সূর্যের আলো একজন মানুষের জীবনে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বৈজ্ঞানিকভাবে আলট্রাভায়োলেট-বি রশ্মির মাধ্যমে সূর্য ত্বকে ভিটামিন ডি সৃষ্টি করে, যা হাড়গোড়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভেবে দেখুন তো, বছরের পর বছর যদি আপনাকে সূর্যের আলো দেখতে দেওয়া না হয়? আপনাকে যদি এমন কোনো বদ্ধ ঘরে রাখা হয় যেখানে একটি বিছানা ছাড়া আর কিছুই নেই! যে বিছানাটিও বছরে একবার দেখে আলো-বাতাসের মুখ। কেমন লাগবে? মাসের পর মাস এভাবে বন্দী থাকা চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক চেং লেইয়ের লেখা খোলা চিঠিতে উঠে এসেছে সেই অভিজ্ঞতার কথা।
কারাবাসের তিন বছর পর চেংয়ের লেখা একটি চিঠি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। চেংয়ের সঙ্গী নিক কোয়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এই চিঠি পোস্ট করেছেন। চিঠিতে চেং লেখেন, ‘আমি সূর্যের আলো ভীষণ মিস করি। আমার সেলের ছোট্ট জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে পৌঁছায়। কিন্তু আমি বছরে মাত্র ১০ ঘণ্টা এর নিচে দাঁড়াতে পারি।’ অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার স্মৃতিচারণা করে চেং লেখেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকতাম, তখন সূর্যকে এড়িয়ে যেতাম...।’ চিঠিতে উঠে এসেছে তিন বছরের বন্দিজীবনে একটি গাছও দেখেননি চেং লেই। অস্ট্রেলিয়ার সৈকত ও সূর্যাস্ত দেখার প্রবল ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। লেখায় ফুটে উঠেছে জেলের পরিবেশ। তাঁর সেলে শুধু একটি বিছানা আছে, যা বছরে একবার আলো-বাতাসে বের করা হয়। দুই সন্তানের জননী চেং লেখেন, ‘আমি এখানে আমার সন্তানদের সবচেয়ে বেশি মিস করি।’
জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগে তিন বছর আগে বেইজিং গ্রেপ্তার করেছিল সাংবাদিক চেং লেইকে। বর্তমানে তিনি চীনের একটি কারাগারে বন্দী। সেখান থেকেই লিখেছেন চিঠি। ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট আটক করা হয় চেং লেইকে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় চীন। দেশটির ইংরেজি ভাষার একটি গণমাধ্যমে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিক ও উপস্থাপক ছিলেন তিনি। বিদেশে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা সরবরাহ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে এর বেশি কিছু প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম ছয় মাস লেইকে নির্জন কারাকক্ষে রাখা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁর জন্য কোনো আইনজীবী দেওয়া হয়নি। তাঁর বিচার চলছে এখনো।
১৯৭৫ সালে চীনের হুনান প্রদেশের ইউইয়াংয়ে জন্মগ্রহণ করেন চেং লেই। ১৯৮৬ সালে, ১০ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে চীন ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চলে যান তিনি। চেং ১৯৯২ সালে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে স্নাতক শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাডবারি শোয়েপসের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ সালে এক্সন মোবিলের ব্যবসায় তিনি বিশ্লেষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০০২ সালে সিসিটিভিতে একটি স্ক্রিন টেস্টের পর সেখানে ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৩ সালে সিএনবিসির চীন সংবাদদাতা হিসেবে সাংহাই এবং সিঙ্গাপুরে কাজ করেন চেং। অস্ট্রেলিয়া চায়না বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ২০১৩, এপিইসি উইমেন লিডারশিপ ফোরাম ২০১৪ এবং নরওয়ে-এশিয়া বিজনেস সামিট ২০১৯সহ অসংখ্য ইভেন্ট উপস্থাপনা করেছেন তিনি। চেং লেই বিল গেটস, হোসে ম্যানুয়েল বারোসো, জন ডব্লিউ স্নো, রদ্রিগো রাটো ও রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
৭ ঘণ্টা আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
৭ ঘণ্টা আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৬ দিন আগে