ফিচার ডেস্ক
সালটা ১৯১৯। সে সময় উন্নত বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল টেলিফোন। কিন্তু তার অপারেটরদের অবস্থা ছিল করুণ। কাজের অস্বাভাবিক চাপসহ ছিল নিরাপত্তার অভাব এবং ছিল না সম্মানজনক বেতন। এ থেকে উত্তরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে প্রায় আট হাজার টেলিফোন অপারেটরের অংশগ্রহণে হয়েছিল ছয় দিনের এক ধর্মঘট বা কর্মবিরতি। শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অন্যতম এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এক নারী। নাম রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন।
ত্রিশ ও চল্লিশের দশকের আমেরিকান শ্রম আন্দোলনের বিশিষ্ট সংগঠক ছিলেন রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন। তাঁর জন্ম ১৮৯০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত কিয়েভ শহরে। রোজ মা-বাবার সঙ্গে চলে আসেন আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে।
দাম্পত্য জীবনে তাঁর পরিবার ছিল চার সদস্যের। স্বামী ডেভিড ফিঙ্কেলস্টেইন ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁদের দুটি সন্তানের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা রোজের আন্দোলন এবং কাজকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছেন।
শ্রমিকনেতা, সংগঠক এবং সমাজবাদী আন্দোলনকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন রোজ। তাঁর পেশা ছিল শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এবং শ্রমিকদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করা।
১৯১৯ সালে নিউ ইংল্যান্ডের টেলিফোন অপারেটরদের ধর্মঘটের কারণে রোজের নাম আলোচনায় আসে। তবে তাঁর নেতৃত্ব কেবল ধর্মঘটেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি নারী শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ এবং সমান বেতন নিশ্চিতের জন্য আন্দোলন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা শ্রমিকদের ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ কারণে শ্রমিকদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কাজ করেছেন তিনি। আয়োজন করেছেন বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক কর্মসূচির, যাতে শ্রমিকেরা তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। রোজ কারখানায় কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করেছেন।
অধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে বাণিজ্যিক টেলিগ্রাফার্স ইউনিয়নের জন্য, তারপর লন্ড্রি শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য কাজ করেছেন। সে কারণে তিনি বোস্টন এলাকায় সফল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। চল্লিশের দশকে তিনি ইন্টারন্যাশনাল লেডিস গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ইন্টারন্যাশনাল জুয়েলারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং আমেরিকান ফেaডারেশন অব স্টেট, কাউন্টি এবং মিউনিসিপ্যালিটি গ্রন্থাগারিকদের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি পোর্টল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে বয়লার প্রস্তুতকারক ইউনিয়নের একটি সংগঠিত আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি ক্লার্কস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এবং বিল্ডিং সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়নের সংগঠক ছিলেন।
রোজ শুধু যে শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেছেন, তা নয়; সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
রোজ ফিঙ্কেলস্টেইনের জীবন এবং কাজ তাঁর সময়ের সামাজিক আন্দোলনকে এক নতুন দিশা দিয়েছিল। তাঁর নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কারণে সে সময়ের শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মী রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন ১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৯০ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সালটা ১৯১৯। সে সময় উন্নত বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল টেলিফোন। কিন্তু তার অপারেটরদের অবস্থা ছিল করুণ। কাজের অস্বাভাবিক চাপসহ ছিল নিরাপত্তার অভাব এবং ছিল না সম্মানজনক বেতন। এ থেকে উত্তরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে প্রায় আট হাজার টেলিফোন অপারেটরের অংশগ্রহণে হয়েছিল ছয় দিনের এক ধর্মঘট বা কর্মবিরতি। শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অন্যতম এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এক নারী। নাম রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন।
ত্রিশ ও চল্লিশের দশকের আমেরিকান শ্রম আন্দোলনের বিশিষ্ট সংগঠক ছিলেন রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন। তাঁর জন্ম ১৮৯০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত কিয়েভ শহরে। রোজ মা-বাবার সঙ্গে চলে আসেন আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলে।
দাম্পত্য জীবনে তাঁর পরিবার ছিল চার সদস্যের। স্বামী ডেভিড ফিঙ্কেলস্টেইন ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁদের দুটি সন্তানের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা রোজের আন্দোলন এবং কাজকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছেন।
শ্রমিকনেতা, সংগঠক এবং সমাজবাদী আন্দোলনকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন রোজ। তাঁর পেশা ছিল শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এবং শ্রমিকদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করা।
১৯১৯ সালে নিউ ইংল্যান্ডের টেলিফোন অপারেটরদের ধর্মঘটের কারণে রোজের নাম আলোচনায় আসে। তবে তাঁর নেতৃত্ব কেবল ধর্মঘটেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি নারী শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ এবং সমান বেতন নিশ্চিতের জন্য আন্দোলন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা শ্রমিকদের ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এ কারণে শ্রমিকদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কাজ করেছেন তিনি। আয়োজন করেছেন বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক কর্মসূচির, যাতে শ্রমিকেরা তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। রোজ কারখানায় কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করেছেন।
অধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে বাণিজ্যিক টেলিগ্রাফার্স ইউনিয়নের জন্য, তারপর লন্ড্রি শ্রমিক ইউনিয়নের জন্য কাজ করেছেন। সে কারণে তিনি বোস্টন এলাকায় সফল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। চল্লিশের দশকে তিনি ইন্টারন্যাশনাল লেডিস গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ইন্টারন্যাশনাল জুয়েলারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং আমেরিকান ফেaডারেশন অব স্টেট, কাউন্টি এবং মিউনিসিপ্যালিটি গ্রন্থাগারিকদের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি পোর্টল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে বয়লার প্রস্তুতকারক ইউনিয়নের একটি সংগঠিত আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি ক্লার্কস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এবং বিল্ডিং সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়নের সংগঠক ছিলেন।
রোজ শুধু যে শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেছেন, তা নয়; সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
রোজ ফিঙ্কেলস্টেইনের জীবন এবং কাজ তাঁর সময়ের সামাজিক আন্দোলনকে এক নতুন দিশা দিয়েছিল। তাঁর নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কারণে সে সময়ের শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মী রোজ ফিঙ্কেলস্টেইন ১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৯০ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
২০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
২০ ঘণ্টা আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
২০ ঘণ্টা আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৬ দিন আগে