উত্তরণ
ডা. ফারজানা রহমান
আমার বয়স ৪৩ বছর। দুই ছেলে-মেয়ে। একজনের বয়স ১৫ বছর, অন্যজনের ১০। আমি চাকরি করি, স্বামীও। আমরা সব কাজ ভাগাভাগি করে নিই। এটা নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু আমার কাজের কোনো অ্যাপ্রিসিয়েশন নেই কারও কাছে। মনে হয়, টেকেন ফর গ্র্যান্টেড। তাই আজকাল যা মনে চায় করি। ঘুরতে যাই, খেতে যাই, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করি। এটা নিয়ে স্বামী কিংবা আমার মা—কেউই খুশি নন। আমি জানি, তবু নিজের রিফ্রেশমেন্টের জন্য এটা করি। তারপর অস্থির লাগে। শুধু ওই সময়ে ভালো থাকি। বাসায় ফিরলে শুরু হয় অস্থিরতা ও অশান্তি। আমি কী করতে পারি?
তাসনিম শাইমা, ঢাকা
আপনার পারিবারিক জীবনে চমৎকার একটি ভারসাম্য রয়েছে। দুজনে চাকরি করছেন, সমানভাবে দায়িত্বগুলো একসঙ্গে পালন করছেন, বিষয়টি অসাধারণ।
আমি বলি, অন্যের অপেক্ষায় না থেকে নিজেই নিজের অ্যাপ্রিসিয়েশন করুন। নিজের প্রশংসা করুন, সাফল্য উদ্যাপন করুন।
আপনি জানিয়েছেন, মন যা চায়, তা-ই করেন। একদম ঠিক। আপনি তো কোনো অন্যায় করছেন না। নিজের মতো করে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে, অন্যকে আঘাত না করে, নিজেকে আনন্দ দেওয়ার মধ্যেই সত্যিকারের আনন্দ লুকিয়ে থাকে।
এই যে আপনি ঘুরতে যান, খেতে যান, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে যান, এগুলো সামাজিকতার অংশ। আপনি প্রাপ্তবয়স্ক ও আত্মনির্ভরশীল মানুষ। আপনার এই অবসরের উদ্যাপনে যদি পারিবারিক বা পেশাগত জীবনে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
অস্থির হওয়ারও কিছু নেই। আপনার মা ও স্বামীকে জানান, পরিবারের সদস্য ও পেশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অতিরিক্ত সময়ে আপনি এটা করছেন। প্রয়োজনে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলুন। নিরপেক্ষভাবে জানতে চান, আপনার অজান্তেই কি অন্যদিকে সময় একটু বেশি দিচ্ছেন কি না।
যে সময়টা আপনার মতো করে কাটান, বাড়ি ফিরে এসে কখনো সে জন্য আফসোস করবেন না। কারণ, এত দিন চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রেখে সংসার ও চাকরি সামলেছেন। তাই নিজেই সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
আমার বয়স ৪৩ বছর। দুই ছেলে-মেয়ে। একজনের বয়স ১৫ বছর, অন্যজনের ১০। আমি চাকরি করি, স্বামীও। আমরা সব কাজ ভাগাভাগি করে নিই। এটা নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু আমার কাজের কোনো অ্যাপ্রিসিয়েশন নেই কারও কাছে। মনে হয়, টেকেন ফর গ্র্যান্টেড। তাই আজকাল যা মনে চায় করি। ঘুরতে যাই, খেতে যাই, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করি। এটা নিয়ে স্বামী কিংবা আমার মা—কেউই খুশি নন। আমি জানি, তবু নিজের রিফ্রেশমেন্টের জন্য এটা করি। তারপর অস্থির লাগে। শুধু ওই সময়ে ভালো থাকি। বাসায় ফিরলে শুরু হয় অস্থিরতা ও অশান্তি। আমি কী করতে পারি?
তাসনিম শাইমা, ঢাকা
আপনার পারিবারিক জীবনে চমৎকার একটি ভারসাম্য রয়েছে। দুজনে চাকরি করছেন, সমানভাবে দায়িত্বগুলো একসঙ্গে পালন করছেন, বিষয়টি অসাধারণ।
আমি বলি, অন্যের অপেক্ষায় না থেকে নিজেই নিজের অ্যাপ্রিসিয়েশন করুন। নিজের প্রশংসা করুন, সাফল্য উদ্যাপন করুন।
আপনি জানিয়েছেন, মন যা চায়, তা-ই করেন। একদম ঠিক। আপনি তো কোনো অন্যায় করছেন না। নিজের মতো করে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে, অন্যকে আঘাত না করে, নিজেকে আনন্দ দেওয়ার মধ্যেই সত্যিকারের আনন্দ লুকিয়ে থাকে।
এই যে আপনি ঘুরতে যান, খেতে যান, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে যান, এগুলো সামাজিকতার অংশ। আপনি প্রাপ্তবয়স্ক ও আত্মনির্ভরশীল মানুষ। আপনার এই অবসরের উদ্যাপনে যদি পারিবারিক বা পেশাগত জীবনে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
অস্থির হওয়ারও কিছু নেই। আপনার মা ও স্বামীকে জানান, পরিবারের সদস্য ও পেশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অতিরিক্ত সময়ে আপনি এটা করছেন। প্রয়োজনে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলুন। নিরপেক্ষভাবে জানতে চান, আপনার অজান্তেই কি অন্যদিকে সময় একটু বেশি দিচ্ছেন কি না।
যে সময়টা আপনার মতো করে কাটান, বাড়ি ফিরে এসে কখনো সে জন্য আফসোস করবেন না। কারণ, এত দিন চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে ভারসাম্য বজায় রেখে সংসার ও চাকরি সামলেছেন। তাই নিজেই সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
‘প্রিয় বাবাজান, তুমি কখন ফিরে আসবে? যখনই আমি খাবার খাই বা পানি পান করি, তোমাকে খুব মনে পড়ে। বাবা, তুমি কোথায়? আমি তোমাকে খুব অনুভব করি। আমি একা। তোমায় ছাড়া আমি ঘুমাতে পারি না। আমি শুধু তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই। তোমার মুখ দেখতে চাই।’
৭ দিন আগেরমজান মাস মানেই খাবারের বিচিত্র আয়োজন। এই রমজানে অনেকে পরিবারের মানুষদের নিয়ে ভালো সময় কাটাতে ইফতারের আয়োজন করেন বাড়িতে। বন্ধুবান্ধব কিংবা অফিসেও থাকে ইফতার নিয়ে নানান আয়োজন। অনেকে খাবার অর্ডার করেন নামী রেস্টুরেন্ট থেকে...
৭ দিন আগেবাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সংগীতজগতের কিংবদন্তিতুল্য নাম সন্জীদা খাতুন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সংগীতশিল্পী, শিক্ষক, লেখক এবং ছায়ানটের সভাপতি। গতকাল ২৫ মার্চ, ৯২ বছর বয়সে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সন্জীদা খাতুন ২০২১ সালে ভারতের...
৭ দিন আগেমানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) চেয়ারপারসন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পারভীন মাহমুদ। আজ রোববার এ পদে মনোনীত হওয়ার আগে তিনি এমজেএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি
১০ দিন আগে