আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
সমগ্র পৃথিবীতে নারীদের নিয়ে প্রচলিত ধারণা দিনে দিনে ভেঙে যাচ্ছে। এর ঢেউ লেগেছে আমাদের দেশেও। একসময়কার ‘পানিশমেন্ট পোস্টিং এরিয়া’ হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন নারী কর্মকর্তাদের পদচারণে মুখর। সেই অঞ্চলের তিন জেলায় প্রশাসন চালাচ্ছেন ৩৯ জন নারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার; তেমনি আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাসহ অনেকেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো দুর্গম এলাকায় সরকারি দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তাঁরা।
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবানের প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত আছেন। বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উম্মে কুলসুম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইটিসি) দায়িত্ব পালন করছেন সুরাইয়া আক্তার সুইটি। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন উম্মে হাবিবা মীরা। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নার্গিস সুলতানা। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের রেকর্ডরুমের দায়িত্বে আছেন জাকিয়া সরওয়ার লিমা।
খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৬টিতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। খাগড়াছড়ি জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুন আরা সুলতানা। এই জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) দায়িত্বে আছেন ফেরদৌসী বেগম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) হিসেবে দায়িত্বরত আছেন মুনতাসির জাহান।
খাগড়াছড়ি জেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছয়জন নারী। তাঁরা হলেন রামগড় উপজেলায় মমতা আফরিন, মহালছড়ি উপজেলায় জোবাইদা আক্তার, পানছড়ি উপজেলায় রুবাইয়া আফরোজ, সদর উপজেলায় জেসমিন আক্তার, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় সুলতানা রাজিয়া এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ডেজী চক্রবর্তী। খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলার ৪টিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আছেন নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় হোসনে আরা, দীঘিনালা উপজেলায় উম্মে ইমামা বানিন এবং মানিকছড়ি উপজেলায় রুম্পা ঘোষ। এ ছাড়া পুলিশ ক্যাডারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদা বেগম। খাগড়াছড়ি জেলায় জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুমাইয়া নাজনিন। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকা হলেও নারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর।
খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম দুর্গম এলাকা লক্ষ্মীছড়ি। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, নারী হিসেবে পাহাড়ে দায়িত্ব পালনে কষ্ট হচ্ছে না। তবে ভৌগোলিকভাবে এ উপজেলা অনেক দুর্গম ও পশ্চাৎপদ। তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নে গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায় না। এ উপজেলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট। আবাসনেরও অনেক সমস্যা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম পশ্চাৎপদ এলাকা মহালছড়ি উপজেলা সামলাচ্ছেন জোবাইদা আক্তার। তাঁর মতে, সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায়ও একই চ্যালেঞ্জ। তবে স্থানীয় সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করলে সহজ হয়। যেখানে গাড়িতে যাওয়া যায় না, সেখানে হেঁটেই যান জোবাইদা আক্তার। মাটিরাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ‘নারী হিসেবে দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হই। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাই। দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জও আছে পার্বত্য এলাকায়।’
রাঙামাটি জেলায়ও পরিচালনা করছেন নারী কর্মকর্তারা। এখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন নাসরিন সুলতানা। এই জেলার চারটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন চারজন নারী। এর মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন রুমানা আক্তার, সদর ও বরকল উপজেলায় নাজমা বিনতে আমিন এবং নানিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দা সাদিয়া নুরীয়া। রাঙামাটি জেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনজন নারী কর্মকর্তা। কাউখালী উপজেলার দায়িত্বে আছেন ফাহমিদা আক্তার, রাঙামাটি সদর উপজেলায় মাসুমা বেগম এবং কাপ্তাই উপজেলায় মারজান হোসাইন। জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন দ্বীন আল জান্নাত, আওয়ালীন খালেক, নেলী রুদ্র ও শ্রাবণী বিশ্বাস। এ ছাড়া রাঙামাটি জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত আছেন কানিজ জাহান বিন্দু।
দেশের সর্ব পূর্বে অবস্থিত আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাঘাইছড়ি উপজেলা রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন রুমানা আক্তার। তিনি জানিয়েছেন, নারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে না। বরং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার ফলে দায়িত্ব পালন অনেক সহজ হয়েছে। নারী হিসেবে সহজে অফিস ও বাসায় সেবাগ্রহীতারা আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এভাবে সেবা এক ধাপ বেশি দেওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেন রুমানা আক্তার।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি বলেন, ‘নারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পুরুষেরা যে সমস্যার সম্মুখীন হন, আমরাও সেই সব সমস্যার সম্মুখীন হই।’
সমগ্র পৃথিবীতে নারীদের নিয়ে প্রচলিত ধারণা দিনে দিনে ভেঙে যাচ্ছে। এর ঢেউ লেগেছে আমাদের দেশেও। একসময়কার ‘পানিশমেন্ট পোস্টিং এরিয়া’ হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন নারী কর্মকর্তাদের পদচারণে মুখর। সেই অঞ্চলের তিন জেলায় প্রশাসন চালাচ্ছেন ৩৯ জন নারী কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার; তেমনি আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাসহ অনেকেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো দুর্গম এলাকায় সরকারি দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তাঁরা।
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবানের প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত আছেন। বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উম্মে কুলসুম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইটিসি) দায়িত্ব পালন করছেন সুরাইয়া আক্তার সুইটি। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন উম্মে হাবিবা মীরা। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নার্গিস সুলতানা। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের রেকর্ডরুমের দায়িত্বে আছেন জাকিয়া সরওয়ার লিমা।
খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৬টিতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। খাগড়াছড়ি জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুন আরা সুলতানা। এই জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) দায়িত্বে আছেন ফেরদৌসী বেগম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) হিসেবে দায়িত্বরত আছেন মুনতাসির জাহান।
খাগড়াছড়ি জেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছয়জন নারী। তাঁরা হলেন রামগড় উপজেলায় মমতা আফরিন, মহালছড়ি উপজেলায় জোবাইদা আক্তার, পানছড়ি উপজেলায় রুবাইয়া আফরোজ, সদর উপজেলায় জেসমিন আক্তার, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় সুলতানা রাজিয়া এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ডেজী চক্রবর্তী। খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলার ৪টিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আছেন নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় হোসনে আরা, দীঘিনালা উপজেলায় উম্মে ইমামা বানিন এবং মানিকছড়ি উপজেলায় রুম্পা ঘোষ। এ ছাড়া পুলিশ ক্যাডারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদা বেগম। খাগড়াছড়ি জেলায় জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুমাইয়া নাজনিন। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানিয়েছেন, পার্বত্য এলাকা হলেও নারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর।
খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম দুর্গম এলাকা লক্ষ্মীছড়ি। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, নারী হিসেবে পাহাড়ে দায়িত্ব পালনে কষ্ট হচ্ছে না। তবে ভৌগোলিকভাবে এ উপজেলা অনেক দুর্গম ও পশ্চাৎপদ। তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নে গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায় না। এ উপজেলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট। আবাসনেরও অনেক সমস্যা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম পশ্চাৎপদ এলাকা মহালছড়ি উপজেলা সামলাচ্ছেন জোবাইদা আক্তার। তাঁর মতে, সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায়ও একই চ্যালেঞ্জ। তবে স্থানীয় সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করলে সহজ হয়। যেখানে গাড়িতে যাওয়া যায় না, সেখানে হেঁটেই যান জোবাইদা আক্তার। মাটিরাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ‘নারী হিসেবে দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হই। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাই। দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জও আছে পার্বত্য এলাকায়।’
রাঙামাটি জেলায়ও পরিচালনা করছেন নারী কর্মকর্তারা। এখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন নাসরিন সুলতানা। এই জেলার চারটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন চারজন নারী। এর মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন রুমানা আক্তার, সদর ও বরকল উপজেলায় নাজমা বিনতে আমিন এবং নানিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দা সাদিয়া নুরীয়া। রাঙামাটি জেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনজন নারী কর্মকর্তা। কাউখালী উপজেলার দায়িত্বে আছেন ফাহমিদা আক্তার, রাঙামাটি সদর উপজেলায় মাসুমা বেগম এবং কাপ্তাই উপজেলায় মারজান হোসাইন। জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন দ্বীন আল জান্নাত, আওয়ালীন খালেক, নেলী রুদ্র ও শ্রাবণী বিশ্বাস। এ ছাড়া রাঙামাটি জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত আছেন কানিজ জাহান বিন্দু।
দেশের সর্ব পূর্বে অবস্থিত আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাঘাইছড়ি উপজেলা রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন রুমানা আক্তার। তিনি জানিয়েছেন, নারী হিসেবে দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে না। বরং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার ফলে দায়িত্ব পালন অনেক সহজ হয়েছে। নারী হিসেবে সহজে অফিস ও বাসায় সেবাগ্রহীতারা আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এভাবে সেবা এক ধাপ বেশি দেওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেন রুমানা আক্তার।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি বলেন, ‘নারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পুরুষেরা যে সমস্যার সম্মুখীন হন, আমরাও সেই সব সমস্যার সম্মুখীন হই।’
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
২ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
২ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
২ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
২ দিন আগে