ত্রপা মজুমদার
আমি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। আমার প্রথম এবং প্রধান বন্ধু হলেন আমার মা ফেরদৌসী মজুমদার। শৈশব থেকে আজ অবধি পুরোটাজুড়েই মায়ের অবস্থান। সেটা হোক আমার লেখাপড়া, পোশাক, চারিত্রিক গঠন, আচার-আচরণ। সবকিছু মায়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হয়েছে। মা শুরুর দিকে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, তিনি এমন কোনো পেশায় যুক্ত থাকতে চেয়েছিলেন, যেখানে সন্তানকে সময় দিতে পারেন। আমার আর মায়ের জন্মদিন ১৮ জুন। এ বছর মায়ের ৮০ বছর পূর্ণ হবে। আর আমার ৫০ বছর।
আমার মায়ের কোনো সামাজিক জীবন ছিল না। মা থিয়েটার করতেন। বাংলাদেশে আজকের থিয়েটার যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেখানেও মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেদিক থেকে বলতে হয়, তিনি একজন সার্থক মা, যিনি সবটুকু দিয়ে নিজের মাতৃত্ব উদ্যাপন করেছেন। শিক্ষকতা আর অভিনয়ের বাইরে তিনি পুরো সময় আমাকে উজাড় করে দিতেন। কলেজ পর্যন্ত মা আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন বলে তাঁকে আমি অনেক বেশি সময় কাছে পেয়েছি।
মাকে সব সময় আমার দশভুজা মনে হয়। তিনি একদিকে মহড়া করেন, অন্যদিকে সংসার সামলান। বাবার শরীর খারাপ হলে রাত ১০টায় ওষুধ নিয়ে আসেন। মা আমাদের জন্য সবকিছুই করেন। এর ইতিবাচক দিক হলো, আমরা এর সুফল ভোগ করেছি। আবার অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রমের ফলে মা পরবর্তী সময়ে আর্থ্রাইটিস রোগে ভুগেছেন। তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সারা জীবন অনেক বেশি কাজ ঘাড়ে নিয়েছেন বলে রোগ তাঁর পিছু ছাড়েনি।
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা শুধু শুধু জন্মায় না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব ও যোগাযোগ কম থাকলে টানও কম অনুভূত হবে। ফলে উভয়ের নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন, যাতে সম্পর্ক সচল থাকে। সন্তান মায়ের কাছে এবং মা সন্তানের কাছে যতই নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করবে, ততই তাদের বন্ধন অটুট হবে।
আমি একজন মা। আমার ১৭ বছরের একটা মেয়েও আছে। নাম আত্রেয়ী। মায়ের সঙ্গে আমার সময়ের ব্যবধান ছিল অনেক, যেটা তিনি আমাকে বুঝতে দেননি। কারণ, মা সব সময় নিজেকে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন করেছেন। একইভাবে আমাকেও এখন মেয়ের জন্য অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হচ্ছে। এই ভিন্ন সময়ের সঙ্গে আমি যদি নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে মেয়ের সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়বে। এটাই হলো মা ও মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ।
অনুলিখন: মন্টি বৈষ্ণব
আমি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। আমার প্রথম এবং প্রধান বন্ধু হলেন আমার মা ফেরদৌসী মজুমদার। শৈশব থেকে আজ অবধি পুরোটাজুড়েই মায়ের অবস্থান। সেটা হোক আমার লেখাপড়া, পোশাক, চারিত্রিক গঠন, আচার-আচরণ। সবকিছু মায়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হয়েছে। মা শুরুর দিকে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, তিনি এমন কোনো পেশায় যুক্ত থাকতে চেয়েছিলেন, যেখানে সন্তানকে সময় দিতে পারেন। আমার আর মায়ের জন্মদিন ১৮ জুন। এ বছর মায়ের ৮০ বছর পূর্ণ হবে। আর আমার ৫০ বছর।
আমার মায়ের কোনো সামাজিক জীবন ছিল না। মা থিয়েটার করতেন। বাংলাদেশে আজকের থিয়েটার যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেখানেও মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেদিক থেকে বলতে হয়, তিনি একজন সার্থক মা, যিনি সবটুকু দিয়ে নিজের মাতৃত্ব উদ্যাপন করেছেন। শিক্ষকতা আর অভিনয়ের বাইরে তিনি পুরো সময় আমাকে উজাড় করে দিতেন। কলেজ পর্যন্ত মা আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন বলে তাঁকে আমি অনেক বেশি সময় কাছে পেয়েছি।
মাকে সব সময় আমার দশভুজা মনে হয়। তিনি একদিকে মহড়া করেন, অন্যদিকে সংসার সামলান। বাবার শরীর খারাপ হলে রাত ১০টায় ওষুধ নিয়ে আসেন। মা আমাদের জন্য সবকিছুই করেন। এর ইতিবাচক দিক হলো, আমরা এর সুফল ভোগ করেছি। আবার অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রমের ফলে মা পরবর্তী সময়ে আর্থ্রাইটিস রোগে ভুগেছেন। তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সারা জীবন অনেক বেশি কাজ ঘাড়ে নিয়েছেন বলে রোগ তাঁর পিছু ছাড়েনি।
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা শুধু শুধু জন্মায় না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব ও যোগাযোগ কম থাকলে টানও কম অনুভূত হবে। ফলে উভয়ের নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন, যাতে সম্পর্ক সচল থাকে। সন্তান মায়ের কাছে এবং মা সন্তানের কাছে যতই নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করবে, ততই তাদের বন্ধন অটুট হবে।
আমি একজন মা। আমার ১৭ বছরের একটা মেয়েও আছে। নাম আত্রেয়ী। মায়ের সঙ্গে আমার সময়ের ব্যবধান ছিল অনেক, যেটা তিনি আমাকে বুঝতে দেননি। কারণ, মা সব সময় নিজেকে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন করেছেন। একইভাবে আমাকেও এখন মেয়ের জন্য অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হচ্ছে। এই ভিন্ন সময়ের সঙ্গে আমি যদি নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে মেয়ের সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়বে। এটাই হলো মা ও মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণ।
অনুলিখন: মন্টি বৈষ্ণব
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে