মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
সম্ভবত নারীরাই পারে ‘মায়ের মমতা’ শব্দ দুটির আবেশ ছড়িয়ে দিতে। এ আবেশ ছড়িয়ে যায় মানুষ থেকে প্রাণী—সবখানে। নিগার সুলতানাকে দেখলে এ কথার সারমর্ম বোঝা যায় খুব ভালোভাবে। পরিসংখ্যান দিয়ে বলা যায়, দেশের ১৭টি জেলায় ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিগার সুলতানা প্রায় ৩০০টি অভিযান চালিয়ে ৫ হাজারের বেশি প্রাণী উদ্ধার করেছেন। সঙ্গে ছিল ট্রফি অর্থাৎ বন্য প্রাণীর চামড়া, শিং, নখ, কান, দাঁত। শুধু কি তাই?
অনুমোদন পাওয়া পোষা পাখির সঙ্গে অনুমোদনহীন কোটি কোটি টাকার পাখি নিয়ে আসেন আমদানিকারকেরা। ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১টি শিপমেন্টে আমদানি করা এনওসি-বহির্ভূত ৪১৯টি পোষা পাখি আটক করা হয়। এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব পাখি আটকের অভিযানে নিগার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
ছোটবেলা ও বড়বেলায়
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি ও জীবন তাঁকে আকৃষ্ট করত। বড়বেলায় প্রাণিবিদ্যা পড়াশোনার বিষয় হলে সে আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পায়। পড়তে গিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। সুযোগ হয় তাদের কাছাকাছি যাওয়ার। নিগার সুলতানা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ও মৎস্যবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বন্য প্রাণী অপরাধবিষয়ক এমফিল স্তরে গবেষণা করছেন। তিনি স্বামী হাসান মাহমুদ জিলানী, স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার মহাখালী এলাকায় বসবাস করেন।
স্নাতক শেষ করার পর ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নিগার সুলতানা বন্য প্রাণী পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। নিগারসহ সারা দেশে এ পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন মানুষ।
ছুটে বেড়ানো যখন কাজ
ঢাকা বিভাগের ১৩টি এবং আশপাশের আরও ৪টি জেলাসহ মোট ১৭টি জেলায় নিগার বন্য প্রাণীসংক্রান্ত কাজে তৎপর থাকেন। এ ছাড়া প্রাণীর অবৈধ ক্রয়-বিক্রয়, লালন-পালন ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য তিনি ছুটে বেড়ান দেশের বিভিন্ন জায়গায়। হরিণ, হাতি ও পাখি লালন-পালনের খামার নিয়মিত পরিদর্শন করা তাঁর অন্যতম কাজ। বিধি মেনে বিদেশ থেকে পোষা পাখি আমদানি করা হলো কি না, তাও দেখভাল করেন তিনি। কাঁকড়ার খামার থেকে নীতিমালার আলোকে কাঁকড়া রপ্তানি হচ্ছে কি না, সেটাও তিনি তদারকি করেন।
গুরুত্বপূর্ণ অভিযান
১৮ এপ্রিল ২০১২। চাকরিতে ঢোকার অল্প কয়েক দিন হয়েছে মাত্র। যেতে হলো অভিযানে, পান্থপথের বসুন্ধরা মার্কেটের তৃতীয় তলায়। সেখান থেকে একটি মেছো বাঘের চামড়া ও একটি হরিণের শিং জব্দ করেন তিনি।
বন্য প্রাণী রক্ষায় নিগারের উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে আছে ২০১৩ সালের ১১ জুনে রামপুরা থেকে র্যাবের সহায়তায় ৫০টি তক্ষক জব্দ, ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল র্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে সদর রেঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৮টি অবৈধ বন্য প্রাণী জব্দ, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর কাস্টমস, বন বিভাগসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিত্যক্ত লাগেজ থেকে ৫১০টি কাছিম উদ্ধার, ১৯ মে ২০২৩ তারিখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা এনওসিবহির্ভূত বিভিন্ন প্রজাতির ৬৯টি পোষা পাখি আটক এবং ৭২ লাখ টাকা জরিমানা করা।
নিগারের সবচেয়ে বড় অভিযান ছিল ২৬ জুন ২০১৭ সালে। কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার আসমিতার ভোগ বেতাল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা ও পাখিমেলায় তিনি ২০০টির বেশি পাখি জব্দ করেছিলেন। সে ঘটনার মধ্য দিয়ে এ মেলায় দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বন্য পাখি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
চ্যালেঞ্জ ভয় পান না
যেকোনো বিষয়ের মতো বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণে আছে চ্যালেঞ্জ। নিগার এসবে এখন আর ভয় পান না। বন্য প্রাণী সম্পর্কে মানুষের অসচেতনতা, দক্ষ জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, অপরাধীদের সীমিত শাস্তি, বন্য প্রাণী ও মানুষের দ্বন্দ্ব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে হয় নিগারকে।
অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন দেশে বন্য প্রাণীর জন্য অনেক বেশি কাজ হচ্ছে বলে মনে করেন নিগার। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে বন্য প্রাণীর গুরুত্ব মানুষ এখন বুঝতে পারে। বন বিভাগের পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী এবং অন্যান্য দপ্তর, সংবাদমাধ্যম বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন নিগার।
বন্য প্রাণীর সুরক্ষায় ২০১২ সালের জুন মাসে বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট তৈরি হয়। এ ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী জানান, এই ইউনিট এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
বন্য প্রাণী নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নিগারের ঝুলিতে আছে অনেক পুরস্কার। ২০২২ সালের ৬ জুলাই বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি সম্মাননা স্মারক পান তিনি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা শুদ্ধাচার পুরস্কার, সম্মাননা সনদ তাঁর অনন্য অর্জন।
প্রয়োজনে সহায়তা
কাজের প্রয়োজনে নিগার ৫০টির বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ও ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছেন। সেসব থেকে শিখেছেন বিস্তর। ফলে বন্য প্রাণী উদ্ধার করেই তাঁর কাজ শেষ হয় না। এদের কেন প্রয়োজন, কীভাবে তারা ইকো সিস্টেমের চেইন মেইনটেইন করে ইত্যাদি বিষয় তিনি উৎসুক মানুষকে বুঝিয়ে বলেন। এ ছাড়া সরাসরি কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বন্য প্রাণী সম্পর্কিত যেকোনো সাহায্য করে থাকেন। অসুস্থ কোনো প্রাণী পেলে তিনি পরম মমতায় সুস্থ করে বনে ছেড়ে দেন। এক হাজারের বেশি অসুস্থ প্রাণী তিনি উদ্ধার করেছেন ইতিমধ্যে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অতীতের মতো মেধা, মনন ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে আরও জোরালোভাবে কাজ করবেন নিগার, এটাই এখন পর্যন্ত ভাবনা। স্থানীয় পর্যায়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করার চিন্তা আছে তাঁর। পাশাপাশি অ্যাডভান্স টুলস ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে।
সম্ভবত নারীরাই পারে ‘মায়ের মমতা’ শব্দ দুটির আবেশ ছড়িয়ে দিতে। এ আবেশ ছড়িয়ে যায় মানুষ থেকে প্রাণী—সবখানে। নিগার সুলতানাকে দেখলে এ কথার সারমর্ম বোঝা যায় খুব ভালোভাবে। পরিসংখ্যান দিয়ে বলা যায়, দেশের ১৭টি জেলায় ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিগার সুলতানা প্রায় ৩০০টি অভিযান চালিয়ে ৫ হাজারের বেশি প্রাণী উদ্ধার করেছেন। সঙ্গে ছিল ট্রফি অর্থাৎ বন্য প্রাণীর চামড়া, শিং, নখ, কান, দাঁত। শুধু কি তাই?
অনুমোদন পাওয়া পোষা পাখির সঙ্গে অনুমোদনহীন কোটি কোটি টাকার পাখি নিয়ে আসেন আমদানিকারকেরা। ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১টি শিপমেন্টে আমদানি করা এনওসি-বহির্ভূত ৪১৯টি পোষা পাখি আটক করা হয়। এ জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব পাখি আটকের অভিযানে নিগার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
ছোটবেলা ও বড়বেলায়
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি ও জীবন তাঁকে আকৃষ্ট করত। বড়বেলায় প্রাণিবিদ্যা পড়াশোনার বিষয় হলে সে আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পায়। পড়তে গিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। সুযোগ হয় তাদের কাছাকাছি যাওয়ার। নিগার সুলতানা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ও মৎস্যবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বন্য প্রাণী অপরাধবিষয়ক এমফিল স্তরে গবেষণা করছেন। তিনি স্বামী হাসান মাহমুদ জিলানী, স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার মহাখালী এলাকায় বসবাস করেন।
স্নাতক শেষ করার পর ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নিগার সুলতানা বন্য প্রাণী পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। নিগারসহ সারা দেশে এ পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন মানুষ।
ছুটে বেড়ানো যখন কাজ
ঢাকা বিভাগের ১৩টি এবং আশপাশের আরও ৪টি জেলাসহ মোট ১৭টি জেলায় নিগার বন্য প্রাণীসংক্রান্ত কাজে তৎপর থাকেন। এ ছাড়া প্রাণীর অবৈধ ক্রয়-বিক্রয়, লালন-পালন ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য তিনি ছুটে বেড়ান দেশের বিভিন্ন জায়গায়। হরিণ, হাতি ও পাখি লালন-পালনের খামার নিয়মিত পরিদর্শন করা তাঁর অন্যতম কাজ। বিধি মেনে বিদেশ থেকে পোষা পাখি আমদানি করা হলো কি না, তাও দেখভাল করেন তিনি। কাঁকড়ার খামার থেকে নীতিমালার আলোকে কাঁকড়া রপ্তানি হচ্ছে কি না, সেটাও তিনি তদারকি করেন।
গুরুত্বপূর্ণ অভিযান
১৮ এপ্রিল ২০১২। চাকরিতে ঢোকার অল্প কয়েক দিন হয়েছে মাত্র। যেতে হলো অভিযানে, পান্থপথের বসুন্ধরা মার্কেটের তৃতীয় তলায়। সেখান থেকে একটি মেছো বাঘের চামড়া ও একটি হরিণের শিং জব্দ করেন তিনি।
বন্য প্রাণী রক্ষায় নিগারের উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে আছে ২০১৩ সালের ১১ জুনে রামপুরা থেকে র্যাবের সহায়তায় ৫০টি তক্ষক জব্দ, ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল র্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে সদর রেঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৮টি অবৈধ বন্য প্রাণী জব্দ, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর কাস্টমস, বন বিভাগসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিত্যক্ত লাগেজ থেকে ৫১০টি কাছিম উদ্ধার, ১৯ মে ২০২৩ তারিখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা এনওসিবহির্ভূত বিভিন্ন প্রজাতির ৬৯টি পোষা পাখি আটক এবং ৭২ লাখ টাকা জরিমানা করা।
নিগারের সবচেয়ে বড় অভিযান ছিল ২৬ জুন ২০১৭ সালে। কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার আসমিতার ভোগ বেতাল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা ও পাখিমেলায় তিনি ২০০টির বেশি পাখি জব্দ করেছিলেন। সে ঘটনার মধ্য দিয়ে এ মেলায় দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বন্য পাখি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
চ্যালেঞ্জ ভয় পান না
যেকোনো বিষয়ের মতো বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণে আছে চ্যালেঞ্জ। নিগার এসবে এখন আর ভয় পান না। বন্য প্রাণী সম্পর্কে মানুষের অসচেতনতা, দক্ষ জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, অপরাধীদের সীমিত শাস্তি, বন্য প্রাণী ও মানুষের দ্বন্দ্ব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে হয় নিগারকে।
অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন দেশে বন্য প্রাণীর জন্য অনেক বেশি কাজ হচ্ছে বলে মনে করেন নিগার। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে বন্য প্রাণীর গুরুত্ব মানুষ এখন বুঝতে পারে। বন বিভাগের পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী এবং অন্যান্য দপ্তর, সংবাদমাধ্যম বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন নিগার।
বন্য প্রাণীর সুরক্ষায় ২০১২ সালের জুন মাসে বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট তৈরি হয়। এ ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী জানান, এই ইউনিট এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
বন্য প্রাণী নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নিগারের ঝুলিতে আছে অনেক পুরস্কার। ২০২২ সালের ৬ জুলাই বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা বন্য প্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি সম্মাননা স্মারক পান তিনি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা শুদ্ধাচার পুরস্কার, সম্মাননা সনদ তাঁর অনন্য অর্জন।
প্রয়োজনে সহায়তা
কাজের প্রয়োজনে নিগার ৫০টির বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং ও ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছেন। সেসব থেকে শিখেছেন বিস্তর। ফলে বন্য প্রাণী উদ্ধার করেই তাঁর কাজ শেষ হয় না। এদের কেন প্রয়োজন, কীভাবে তারা ইকো সিস্টেমের চেইন মেইনটেইন করে ইত্যাদি বিষয় তিনি উৎসুক মানুষকে বুঝিয়ে বলেন। এ ছাড়া সরাসরি কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বন্য প্রাণী সম্পর্কিত যেকোনো সাহায্য করে থাকেন। অসুস্থ কোনো প্রাণী পেলে তিনি পরম মমতায় সুস্থ করে বনে ছেড়ে দেন। এক হাজারের বেশি অসুস্থ প্রাণী তিনি উদ্ধার করেছেন ইতিমধ্যে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অতীতের মতো মেধা, মনন ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে আরও জোরালোভাবে কাজ করবেন নিগার, এটাই এখন পর্যন্ত ভাবনা। স্থানীয় পর্যায়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করার চিন্তা আছে তাঁর। পাশাপাশি অ্যাডভান্স টুলস ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে।
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
৪ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
৪ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
৪ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
৪ দিন আগে