নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাহাড়ঘেরা ছোট্ট শহর খাগড়াছড়িতে বেড়ে ওঠা শামীমা পারভীনের। মা-বাবা আর চার ভাইবোনের পরিবারে সবার ছোট ছিলেন তিনি। সে জন্য শৈশব থেকে সবার আদরে বড় হচ্ছিলেন শামীমা। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন ছিল তাঁর। কিন্তু করোনাকালে সেই জীবনটাই হঠাৎ বদলে গেল।
শামীমার বাবা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে শুরু হলো আর্থিক অনটন। শামীমা তখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করার তাগিদ অনুভব করছিলেন ভেতর থেকে। শামীমা বলেন, ‘নিজেকে বাড়তি বোঝা মনে হতো। খুব করে চাইতাম পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু কিছুই করার ছিল না আমার।’
উচ্চমাধ্যমিকের পর ঢাকায় এসে চাকরির খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় সিভি জমা দিতে শুরু করেন শামীমা। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় কোথাও চাকরি হচ্ছিল না। সিভি আর ইন্টারভিউ দিতে দিতে যখন হয়রান, তখন ব্র্যাকের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসডিপি) অধীনে খুচরা খাত তথা রিটেইল সেক্টরবিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের খোঁজ পান শামীমা। দুই মাস সেখানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন রিটেইল শপে শামীমার সিভি পাঠানো হয়। বর্তমানে বনশ্রীর ‘আর্টিসান’ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের আউটলেটে কর্মরত আছেন শামীমা। পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। শামীমার মতো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হাজারো তরুণ-তরুণী দেশের রিটেইল সেক্টরে যুক্ত হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
২০২০ সাল থেকে খুচরা বিক্রয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে ব্র্যাক। এই কার্যক্রমে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি বেকার বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন।
দেশের অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে খুচরা খাত অন্যতম। দেশের ৬০ লাখের বেশি মানুষ এ খাতে কর্মরত। এ খাতে তরুণদের দক্ষ করে তুলতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ব্র্যাক। এটি বাংলাদেশের প্রথম খুচরা বিক্রয় প্রশিক্ষণ মডিউল, যা সরকারের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তিন বছরে এখানে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪০০ জন। যাঁদের ৬০ শতাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।
পাহাড়ঘেরা ছোট্ট শহর খাগড়াছড়িতে বেড়ে ওঠা শামীমা পারভীনের। মা-বাবা আর চার ভাইবোনের পরিবারে সবার ছোট ছিলেন তিনি। সে জন্য শৈশব থেকে সবার আদরে বড় হচ্ছিলেন শামীমা। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন ছিল তাঁর। কিন্তু করোনাকালে সেই জীবনটাই হঠাৎ বদলে গেল।
শামীমার বাবা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে শুরু হলো আর্থিক অনটন। শামীমা তখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করার তাগিদ অনুভব করছিলেন ভেতর থেকে। শামীমা বলেন, ‘নিজেকে বাড়তি বোঝা মনে হতো। খুব করে চাইতাম পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু কিছুই করার ছিল না আমার।’
উচ্চমাধ্যমিকের পর ঢাকায় এসে চাকরির খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় সিভি জমা দিতে শুরু করেন শামীমা। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় কোথাও চাকরি হচ্ছিল না। সিভি আর ইন্টারভিউ দিতে দিতে যখন হয়রান, তখন ব্র্যাকের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসডিপি) অধীনে খুচরা খাত তথা রিটেইল সেক্টরবিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের খোঁজ পান শামীমা। দুই মাস সেখানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন রিটেইল শপে শামীমার সিভি পাঠানো হয়। বর্তমানে বনশ্রীর ‘আর্টিসান’ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের আউটলেটে কর্মরত আছেন শামীমা। পাশাপাশি নিজের পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। শামীমার মতো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হাজারো তরুণ-তরুণী দেশের রিটেইল সেক্টরে যুক্ত হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
২০২০ সাল থেকে খুচরা বিক্রয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে ব্র্যাক। এই কার্যক্রমে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি বেকার বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন।
দেশের অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে খুচরা খাত অন্যতম। দেশের ৬০ লাখের বেশি মানুষ এ খাতে কর্মরত। এ খাতে তরুণদের দক্ষ করে তুলতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ব্র্যাক। এটি বাংলাদেশের প্রথম খুচরা বিক্রয় প্রশিক্ষণ মডিউল, যা সরকারের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তিন বছরে এখানে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪০০ জন। যাঁদের ৬০ শতাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
৩ দিন আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
৩ দিন আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৮ দিন আগে