ড. মো. গোলাম রহমান
শিল্পী আলীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হয়ে গেল সম্প্রতি গুলশানের আলোকি প্রদর্শনশালায়। তিনি শুধু শিল্পী নন, কবিও। ফলে তুলির আঁচড়ে অনুভূতি বাঙ্ময় করে তোলা তাঁর অনায়াস কাজ।
নারী মনের অব্যক্ত অনুভূতি কীভাবে ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে, তার শিল্পরূপ উপস্থাপনে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন শিল্পী। তাঁর প্রায় সব তেলচিত্রে নারী মনের বিভিন্ন অনুভূতি ও উপসর্গ উপস্থাপিত হয়েছে শৈল্পিক মাত্রায়, পছন্দের রঙে এবং উচ্ছলতায়।
পূর্ব ও পশ্চিমের শিল্প নিয়ে তাঁর আগ্রহ ও চর্চার শুরু লন্ডনে থাকাকালে। সেখানে বিভিন্ন শিল্পালয় এবং চিত্র প্রদর্শনী তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শিল্পী নিজের টানাপোড়েনের মানসিক দ্বন্দ্ব ক্যানভাসে রংতুলির মাধ্যমে উপস্থিত করেছিলেন নানা চরিত্র ও প্রতীকে।
‘৩৬ জুলাই’ শীর্ষক চিত্রে রং ও বিষয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত করে, মানসিক চাপ দিয়ে, তাদের মনকে বিষিয়ে তোলে, বিব্রত করে; পক্ষান্তরে তাদের প্রতিবাদের সাহসই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতীকী কয়েকটি মুখ তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ। তাদের সংগ্রামী করে গড়ে তোলার এই দৃশ্য তেলচিত্রের প্রচ্ছন্ন কিন্তু ইঙ্গিতবাহী প্রকাশ।
সন্তানকে পিঠে বেঁধে, মাথায় বড় ঝুড়িতে বিক্রয়সামগ্রী নিয়ে পথ চলছে। এই অমানুষিক পরিশ্রম মায়ের জীবনের সঙ্গে কখন যে মিশে যায়, সে খবর থাকে না কারও কাছে। ‘মাদার সন অ্যান্ড কমার্স’ শিরোনামের তেলচিত্রে এই অভিব্যক্তি দেখা যায়।
‘হোপ অ্যান্ড ডিসপেয়ার’ শীর্ষক চিত্রে দেখা যায়, যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় হাজারো লোক মারা গেছে, শত শত মায়ের কোল খালি, শত শত শিশু এতিম।
তাদের হতাশা আর প্রত্যাশার কথা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রংতুলির কোমল স্পর্শে শিল্পী তুলে ধরেছেন তাঁর ক্যানভাসে।
‘টি অ্যান্ড টয়েল’ চিত্রে পরিস্ফুট হয়েছে নারীর কুণ্ঠাহীন বা অনিরুদ্ধ চেতনা। তেলচিত্রে নারী মুখাবয়বের পেছনে আলংকারিক আঁকিবুঁকির দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপন উল্লেখ করার মতো।
আরেকটি তেলচিত্র, নাম ‘আ ওম্যান অ্যাম আই’। এই চিত্রে দেখা যায়, নারী প্রতিকৃতির চারপাশে ফুলেল শোভা, ঝুলছে লতাপাতা। শিল্পী তাঁর স্যুভেনিরে তাকে উপস্থাপন করেছেন এক পুরুষের সঙ্গে তুলনা করে।
মানুষের মনের প্রশান্তি বাইরে থেকে আরোপ করা যায় না। এই মানবিক উপাত্তের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে ‘সহনশীলতা’ বা ‘ফোর্বিয়ারেন্স’ নামের চিত্রকর্মে।
‘সং অব ফ্রিডম’ নামের আরেকটি চিত্রকর্ম থেকে একই রকম আভাস পাওয়া যায়।
‘দি আনর্যাভেলড সোল’-এর মানে হতে পারে ‘উন্মোচিত’ বা ‘উদ্ঘাটিত আত্মা’। এই চিত্রে শিল্পী নারীর জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তারুণ্যের সব পর্যায়ে তার মানসিক ও শারীরিক ভোগান্তির বিষয় উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, বৃক্ষের মতো তার দেহ সমূলে মাটিতে গ্রথিত আর তার দৃষ্টি আকাশমুখী।
এমন সব শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে শিল্পী তাঁর মনোজাগতিক চিন্তা ও চেতনার যে প্রকাশ জারি রেখেছেন, তাতে মনে হয়, তিনি নারীসত্তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে উজ্জীবিত করেছেন। এরপর হয়তো শিল্পী আলী মানবজীবনের অন্য কোনো সূক্ষ্ম অনুভূতিকে শৈল্পিক নৈপুণ্যে তুলে ধরবেন, এই প্রত্যাশা।
শিল্পী আলীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হয়ে গেল সম্প্রতি গুলশানের আলোকি প্রদর্শনশালায়। তিনি শুধু শিল্পী নন, কবিও। ফলে তুলির আঁচড়ে অনুভূতি বাঙ্ময় করে তোলা তাঁর অনায়াস কাজ।
নারী মনের অব্যক্ত অনুভূতি কীভাবে ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে, তার শিল্পরূপ উপস্থাপনে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন শিল্পী। তাঁর প্রায় সব তেলচিত্রে নারী মনের বিভিন্ন অনুভূতি ও উপসর্গ উপস্থাপিত হয়েছে শৈল্পিক মাত্রায়, পছন্দের রঙে এবং উচ্ছলতায়।
পূর্ব ও পশ্চিমের শিল্প নিয়ে তাঁর আগ্রহ ও চর্চার শুরু লন্ডনে থাকাকালে। সেখানে বিভিন্ন শিল্পালয় এবং চিত্র প্রদর্শনী তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শিল্পী নিজের টানাপোড়েনের মানসিক দ্বন্দ্ব ক্যানভাসে রংতুলির মাধ্যমে উপস্থিত করেছিলেন নানা চরিত্র ও প্রতীকে।
‘৩৬ জুলাই’ শীর্ষক চিত্রে রং ও বিষয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত করে, মানসিক চাপ দিয়ে, তাদের মনকে বিষিয়ে তোলে, বিব্রত করে; পক্ষান্তরে তাদের প্রতিবাদের সাহসই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতীকী কয়েকটি মুখ তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ। তাদের সংগ্রামী করে গড়ে তোলার এই দৃশ্য তেলচিত্রের প্রচ্ছন্ন কিন্তু ইঙ্গিতবাহী প্রকাশ।
সন্তানকে পিঠে বেঁধে, মাথায় বড় ঝুড়িতে বিক্রয়সামগ্রী নিয়ে পথ চলছে। এই অমানুষিক পরিশ্রম মায়ের জীবনের সঙ্গে কখন যে মিশে যায়, সে খবর থাকে না কারও কাছে। ‘মাদার সন অ্যান্ড কমার্স’ শিরোনামের তেলচিত্রে এই অভিব্যক্তি দেখা যায়।
‘হোপ অ্যান্ড ডিসপেয়ার’ শীর্ষক চিত্রে দেখা যায়, যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় হাজারো লোক মারা গেছে, শত শত মায়ের কোল খালি, শত শত শিশু এতিম।
তাদের হতাশা আর প্রত্যাশার কথা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রংতুলির কোমল স্পর্শে শিল্পী তুলে ধরেছেন তাঁর ক্যানভাসে।
‘টি অ্যান্ড টয়েল’ চিত্রে পরিস্ফুট হয়েছে নারীর কুণ্ঠাহীন বা অনিরুদ্ধ চেতনা। তেলচিত্রে নারী মুখাবয়বের পেছনে আলংকারিক আঁকিবুঁকির দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপন উল্লেখ করার মতো।
আরেকটি তেলচিত্র, নাম ‘আ ওম্যান অ্যাম আই’। এই চিত্রে দেখা যায়, নারী প্রতিকৃতির চারপাশে ফুলেল শোভা, ঝুলছে লতাপাতা। শিল্পী তাঁর স্যুভেনিরে তাকে উপস্থাপন করেছেন এক পুরুষের সঙ্গে তুলনা করে।
মানুষের মনের প্রশান্তি বাইরে থেকে আরোপ করা যায় না। এই মানবিক উপাত্তের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে ‘সহনশীলতা’ বা ‘ফোর্বিয়ারেন্স’ নামের চিত্রকর্মে।
‘সং অব ফ্রিডম’ নামের আরেকটি চিত্রকর্ম থেকে একই রকম আভাস পাওয়া যায়।
‘দি আনর্যাভেলড সোল’-এর মানে হতে পারে ‘উন্মোচিত’ বা ‘উদ্ঘাটিত আত্মা’। এই চিত্রে শিল্পী নারীর জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তারুণ্যের সব পর্যায়ে তার মানসিক ও শারীরিক ভোগান্তির বিষয় উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, বৃক্ষের মতো তার দেহ সমূলে মাটিতে গ্রথিত আর তার দৃষ্টি আকাশমুখী।
এমন সব শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে শিল্পী তাঁর মনোজাগতিক চিন্তা ও চেতনার যে প্রকাশ জারি রেখেছেন, তাতে মনে হয়, তিনি নারীসত্তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে উজ্জীবিত করেছেন। এরপর হয়তো শিল্পী আলী মানবজীবনের অন্য কোনো সূক্ষ্ম অনুভূতিকে শৈল্পিক নৈপুণ্যে তুলে ধরবেন, এই প্রত্যাশা।
‘প্রিয় বাবাজান, তুমি কখন ফিরে আসবে? যখনই আমি খাবার খাই বা পানি পান করি, তোমাকে খুব মনে পড়ে। বাবা, তুমি কোথায়? আমি তোমাকে খুব অনুভব করি। আমি একা। তোমায় ছাড়া আমি ঘুমাতে পারি না। আমি শুধু তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই। তোমার মুখ দেখতে চাই।’
৬ দিন আগেরমজান মাস মানেই খাবারের বিচিত্র আয়োজন। এই রমজানে অনেকে পরিবারের মানুষদের নিয়ে ভালো সময় কাটাতে ইফতারের আয়োজন করেন বাড়িতে। বন্ধুবান্ধব কিংবা অফিসেও থাকে ইফতার নিয়ে নানান আয়োজন। অনেকে খাবার অর্ডার করেন নামী রেস্টুরেন্ট থেকে...
৬ দিন আগেবাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সংগীতজগতের কিংবদন্তিতুল্য নাম সন্জীদা খাতুন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সংগীতশিল্পী, শিক্ষক, লেখক এবং ছায়ানটের সভাপতি। গতকাল ২৫ মার্চ, ৯২ বছর বয়সে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সন্জীদা খাতুন ২০২১ সালে ভারতের...
৬ দিন আগেমানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) চেয়ারপারসন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পারভীন মাহমুদ। আজ রোববার এ পদে মনোনীত হওয়ার আগে তিনি এমজেএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি
৯ দিন আগে