আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
গ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সাজেদার মৎস্য চাষ প্রকল্প। ২০২২ সালে ২০ শতাংশের পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে বর্গা নিয়ে আরও ৮০ শতাংশ জমির প্রকল্পে যুক্ত করেছেন। সাজেদার সঙ্গে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি—সবার শ্রমে তৈরি হয় এক একর আয়তনের প্রকল্প পুকুর। সেই পুকুরে মাছ আর পাড়ে সবজি চাষ করে মাত্র তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাজেদার পরিবার। মাছের সঙ্গে পুকুরপাড়ে চাষ করা সবজি বিক্রি করেন তিনি। এতে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি পরিবারের খাদ্য চাহিদা মিটেছে। অথচ জীবনের এই গল্প এত সহজ ছিল না।
সাজেদার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ি গ্রামে। স্বামী শাহজাহান আলী পেশায় দিনমজুর। স্বামী, দুই ছেলে-মেয়ে এবং শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ছয় সদস্যের পরিবার তাঁর। কিন্তু উপার্জনক্ষম মানুষ একজনই—তাঁর স্বামী। বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরের উপার্জন অনিয়মিত। এর মধ্যে স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল সাজেদার। এই অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা ধীরে ধীরে অনিবার্য হয়ে উঠছিল। ভেতরে-ভেতরে চলছিল পাত্রের খোঁজ।
এ সময় অভাব মেটাতে সাজেদার পরিবার অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ শুরু করে। কিন্তু চাষের ব্যয় সংকুলান করতে না পারায় ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় চরম অনিশ্চয়তা।
জীবনসংসারের এমন অন্ধকার সময়ে আলোর দিশা হয়ে পাশে দাঁড়ায় পাণ্ডুল ইউনিয়ন যুব সংগঠন। তাদের সহায়তায় আরডিআরএসের চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি) প্রকল্পের অধীন আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ আর এককালীন আর্থিক সহায়তায় ঘুরে যায় সাজেদার জীবন। শুরু হয় তাঁর পরিবর্তনের গল্প।
প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন তিনি। স্বামী-শ্বশুরের সঙ্গে আলোচনা করে ইতিবাচক সাড়া মেলে। শুরু হয় যাত্রা। এই যাত্রায় রসদ জুগিয়ে সহযাত্রী হয়েছে আরডিআরএসের সিএনবি প্রকল্প।
সাজেদার স্বামী আগের মতোই দিনমজুরির কাজ করেন। সাজেদা শ্বশুর-শাশুড়িসহ মাছ ও সবজি চাষে সময় দেন। বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন। এতে যে আয় হয়, তাতে সংসার ও চিকিৎসা খরচ ছাড়াও ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ চলে যায়। বেড়েছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ। প্রতি মাসে কিছু টাকা সঞ্চয়ও করতে পারছেন বলে জানান সাজেদা। ছেলে এখন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে বিএ শ্রেণিতে আর মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। পড়াশোনা শেষের আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তাও আর করছেন না সাজেদা।
সাজেদার এমন ঘুরে দাঁড়ানো এবং মেয়েকে সম্ভাব্য বাল্যবিবাহের ঝুঁকিমুক্ত করার পেছনে শক্তি জুগিয়েছিল প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও আরডিআরএসের সিএনবি প্রকল্প। ২০২১ সালের বাল্যবিবাহসংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। এসব পরিবারের প্রায় সবার প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য।
সিএনবি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ জেলা কুড়িগ্রাম। সাজেদার মতো হাজারো পরিবারে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু রয়েছে। তাদের স্বাবলম্বী করতে সিএনবি প্রকল্পে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের পর আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এতে পরিবারগুলোতে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে এবং মেয়েশিশুদের লেখাপড়া চালু হয়েছে।
গ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সাজেদার মৎস্য চাষ প্রকল্প। ২০২২ সালে ২০ শতাংশের পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে বর্গা নিয়ে আরও ৮০ শতাংশ জমির প্রকল্পে যুক্ত করেছেন। সাজেদার সঙ্গে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি—সবার শ্রমে তৈরি হয় এক একর আয়তনের প্রকল্প পুকুর। সেই পুকুরে মাছ আর পাড়ে সবজি চাষ করে মাত্র তিন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাজেদার পরিবার। মাছের সঙ্গে পুকুরপাড়ে চাষ করা সবজি বিক্রি করেন তিনি। এতে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি পরিবারের খাদ্য চাহিদা মিটেছে। অথচ জীবনের এই গল্প এত সহজ ছিল না।
সাজেদার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ি গ্রামে। স্বামী শাহজাহান আলী পেশায় দিনমজুর। স্বামী, দুই ছেলে-মেয়ে এবং শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ছয় সদস্যের পরিবার তাঁর। কিন্তু উপার্জনক্ষম মানুষ একজনই—তাঁর স্বামী। বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরের উপার্জন অনিয়মিত। এর মধ্যে স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল সাজেদার। এই অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা ধীরে ধীরে অনিবার্য হয়ে উঠছিল। ভেতরে-ভেতরে চলছিল পাত্রের খোঁজ।
এ সময় অভাব মেটাতে সাজেদার পরিবার অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ শুরু করে। কিন্তু চাষের ব্যয় সংকুলান করতে না পারায় ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় চরম অনিশ্চয়তা।
জীবনসংসারের এমন অন্ধকার সময়ে আলোর দিশা হয়ে পাশে দাঁড়ায় পাণ্ডুল ইউনিয়ন যুব সংগঠন। তাদের সহায়তায় আরডিআরএসের চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি) প্রকল্পের অধীন আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ আর এককালীন আর্থিক সহায়তায় ঘুরে যায় সাজেদার জীবন। শুরু হয় তাঁর পরিবর্তনের গল্প।
প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন তিনি। স্বামী-শ্বশুরের সঙ্গে আলোচনা করে ইতিবাচক সাড়া মেলে। শুরু হয় যাত্রা। এই যাত্রায় রসদ জুগিয়ে সহযাত্রী হয়েছে আরডিআরএসের সিএনবি প্রকল্প।
সাজেদার স্বামী আগের মতোই দিনমজুরির কাজ করেন। সাজেদা শ্বশুর-শাশুড়িসহ মাছ ও সবজি চাষে সময় দেন। বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন। এতে যে আয় হয়, তাতে সংসার ও চিকিৎসা খরচ ছাড়াও ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ চলে যায়। বেড়েছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ। প্রতি মাসে কিছু টাকা সঞ্চয়ও করতে পারছেন বলে জানান সাজেদা। ছেলে এখন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে বিএ শ্রেণিতে আর মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। পড়াশোনা শেষের আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তাও আর করছেন না সাজেদা।
সাজেদার এমন ঘুরে দাঁড়ানো এবং মেয়েকে সম্ভাব্য বাল্যবিবাহের ঝুঁকিমুক্ত করার পেছনে শক্তি জুগিয়েছিল প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও আরডিআরএসের সিএনবি প্রকল্প। ২০২১ সালের বাল্যবিবাহসংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। এসব পরিবারের প্রায় সবার প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য।
সিএনবি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ জেলা কুড়িগ্রাম। সাজেদার মতো হাজারো পরিবারে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিপূর্ণ শিশু রয়েছে। তাদের স্বাবলম্বী করতে সিএনবি প্রকল্পে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের পর আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এতে পরিবারগুলোতে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে এবং মেয়েশিশুদের লেখাপড়া চালু হয়েছে।
পাহাড়-কোলের ছোট্ট গ্রাম কলসিন্দুর। আমাদের নারী ফুটবল দলের ইতিহাসে এ গ্রামের নাম লেখা থাকবে চিরকাল। এমনই আরেক জনপদ সাতক্ষীরা। জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি ও স্প্রিন্টে ব্যাপক সাফল্য রয়েছে এ জেলার মেয়েদের।
৩ দিন আগেকীভাবে ও কোন উপকরণে সাজালে ঘর সুন্দর হবে, সেই গল্প বলেন জিনিয়া আলম পূর্ণতা। মাধ্যম ভিডিও। পড়াশোনা করেন মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে। কনটেন্ট ক্রিয়েশনের পাশাপাশি ফেসবুক মনিটাইজেশন কোর্স করান তিনি। সব মিলিয়ে ঘরে বসে প্রতি মাসে আয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। তাঁর গল্প লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
৩ দিন আগে১৩ বছরের যে কিশোরীকে বন্দী করা হয়েছিল ১৬ বছর আগে, এখন তাঁর বয়স ২৯। আজও তিনি অবিবাহিত, কিন্তু একাধিক সন্তানের জননী। বাশারের আয়নাঘরে এমন অনেক নারীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
৩ দিন আগেভিয়েতনামের ভিনফিউচার স্পেশাল প্রাইজ পেয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী। কলেরা, টাইফয়েড ও হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) সুলভ মূল্যের টিকা উদ্ভাবনে অবদান রাখায় তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
৩ দিন আগে