সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা। কৃষ্ণসাগরের কাছে এই ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তুর্কিদের মিত্র ছিল সারডিনিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তুরস্ক ও মিত্রবাহিনীর এত সেনা সেই যুদ্ধে আহত আর অসুস্থ হচ্ছিলেন যে তাঁদের দেখভাল করাটা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ হাজারের বেশি সৈনিক আহত হয়ে ভর্তি হন মিলিটারি হাসপাতালে। সেনারা যুদ্ধে আহত হওয়ার চেয়ে বেশি কলেরা ও টাইফয়েডের মতো সংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। মিলিটারি হাসপাতালে কোনো নার্স ছিল না, যুদ্ধের বাজে অভিজ্ঞতার কারণেই। এক ব্রিটিশ সাংবাদিক সেনাদের করুণ অবস্থার কথা লিখলেন ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে। টনক নড়ে উঠল ব্রিটিশ সরকারের। প্রতিরক্ষা দপ্তরের তৎকালীন সেক্রেটারি সিডনি হার্বার্ট তাঁর খুব কাছের এক বন্ধুকে চিঠিতে লিখলেন, ‘যুদ্ধের এই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আহত সেনাদের তত্ত্বাবধান করার মতো একজনও উপযুক্ত ব্যক্তি নেই। যদি তুমি এ কাজের ভার গ্রহণ করো, দেশ তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।’
সিডনির ডাকে সাড়া দিলেন তাঁর সেই বন্ধু। তিনি খুব দ্রুত ৩৪ জন নার্স নিয়ে একটি দল গঠন করে কয়েক দিনের মধ্যে চলে গেলেন সেনাদের সেবা করতে। তাঁর নেতৃত্বে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হাসপাতালকে প্রথমেই ধুয়ে মুছে সাফ করা হলো, রোগীদের জন্য পরিষ্কার কাপড়চোপড়ের ব্যবস্থা করা হলো। আর সেবার কোনো কমতি রাখলেন না নার্সরা, বিশেষ করে সিডনির ওই বন্ধু। তিনি যতক্ষণ জেগে থাকতেন, রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। প্রতি সন্ধ্যায় একটি প্রদীপ হাতে হাসপাতালের হলওয়ে ধরে এগিয়ে আসতেন, একজন একজন করে রোগীর খোঁজ নিতেন। কেউ কেউ তাঁকে ডাকতেন ‘অ্যাঞ্জেল অব ক্রিমিয়া’ বলে। তবে বেশির ভাগ লোকেই তাঁকে ‘দ্য লেডি উইদ দ্য ল্যাম্প’ অর্থাৎ ‘প্রদীপ হাতে নারী’ বলে সম্বোধন করতেন। পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা বলা হচ্ছে।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ফ্লোরেন্সের অসামান্য অবদানের কারণে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয়। অথচ তিনি চাইলেই রাজকীয় একটা জীবন বেছে নিতে পারতেন। তাঁর বাবা ছিলেন দুটো এস্টেটের মালিক। ধনাঢ্য সচেতন ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম নাইটিঙ্গেল তাঁর মেয়েকে সুশিক্ষা দিতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্ম নেওয়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ইতালীয় আর ইংরেজি ভাষা তো জানতেনই, পাশাপাশি শিখেছিলেন জার্মান, গ্রিক, লাতিন। আর শিখেছিলেন ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও গণিত।
ষোড়শী ফ্লোরেন্স উপলব্ধি করেছিলেন ঈশ্বরের ডাক। তাঁর মনে হয়েছিল, মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কী হতে পারে সেই পেশা, তা নিয়ে খুব ভেবেছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকে অসুস্থ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের দেখাশোনা করতেন। সেই থেকে তাঁর মনে হলো, নার্সিংকে পেশা হিসেবে নিলে তিনি ঈশ্বরের সেবা করতে পারবেন। মা-বাবাকে জানালেন নিজের ইচ্ছার কথা। তাঁরা রাজি হলেন না। কেননা ভিক্টোরিয়ান যুগে নার্সিংকে খুব নিচু পেশা মনে করা হতো। ভাবা হতো, গরিব ঘরের মেয়েরাই শুধু নার্স হতে পারে। ধনী পরিবারের মেয়েরা তো ধনী ছেলেদের বিয়ে করে থিতু হবে!
কিন্তু ফ্লোরেন্স তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ১৮৪৪ সালে জার্মানির লুথেরান হসপিটাল অব ফ্লিডনারে নার্সিং পড়তে ভর্তি হয়ে যান। ১৮৫০ সালে লন্ডনে ফিরে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর দুর্দান্ত কাজের জন্য খুব দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সুপারিনটেনডেন্ট হয়ে যান।
ফ্লোরেন্সের লক্ষ্য ছিল রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তথা স্বাস্থ্যকর সেবা দেওয়া। নিরলস পরিশ্রম করে তিনি পরিচ্ছন্ন সেবার এই মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিমিয়া যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে তিনি যে পরিসংখ্যান করেন, তা সবার কাছে সমাদৃত হয়। নার্সিংয়ে আধুনিক সেবার যে চিত্র আমরা দেখি, তা ফ্লোরেন্সেরই অবদান। ক্রিমিয়ান জ্বরে ভুগে বিছানায় পড়লেও নার্সিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে গেছেন যত দিন বেঁচে ছিলেন।
ক্রিমিয়া যুদ্ধ থেকে ফেরার পর ব্রিটেনের রানি তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও মহামূল্যবান ব্রোচ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। সেই অর্থ এবং আরও কিছু অর্থ দিয়ে ‘নাইটিঙ্গেল ফান্ড’ গঠন করেন ফ্লোরেন্স। সেখান থেকে ব্যয় করে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল ফর নার্সেস’। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও তাঁর সেবার প্রদীপ এখনো আলো ছড়াচ্ছে।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, বিবিসি, ব্রিটানিকা

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা। কৃষ্ণসাগরের কাছে এই ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তুর্কিদের মিত্র ছিল সারডিনিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তুরস্ক ও মিত্রবাহিনীর এত সেনা সেই যুদ্ধে আহত আর অসুস্থ হচ্ছিলেন যে তাঁদের দেখভাল করাটা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ হাজারের বেশি সৈনিক আহত হয়ে ভর্তি হন মিলিটারি হাসপাতালে। সেনারা যুদ্ধে আহত হওয়ার চেয়ে বেশি কলেরা ও টাইফয়েডের মতো সংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। মিলিটারি হাসপাতালে কোনো নার্স ছিল না, যুদ্ধের বাজে অভিজ্ঞতার কারণেই। এক ব্রিটিশ সাংবাদিক সেনাদের করুণ অবস্থার কথা লিখলেন ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে। টনক নড়ে উঠল ব্রিটিশ সরকারের। প্রতিরক্ষা দপ্তরের তৎকালীন সেক্রেটারি সিডনি হার্বার্ট তাঁর খুব কাছের এক বন্ধুকে চিঠিতে লিখলেন, ‘যুদ্ধের এই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আহত সেনাদের তত্ত্বাবধান করার মতো একজনও উপযুক্ত ব্যক্তি নেই। যদি তুমি এ কাজের ভার গ্রহণ করো, দেশ তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।’
সিডনির ডাকে সাড়া দিলেন তাঁর সেই বন্ধু। তিনি খুব দ্রুত ৩৪ জন নার্স নিয়ে একটি দল গঠন করে কয়েক দিনের মধ্যে চলে গেলেন সেনাদের সেবা করতে। তাঁর নেতৃত্বে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হাসপাতালকে প্রথমেই ধুয়ে মুছে সাফ করা হলো, রোগীদের জন্য পরিষ্কার কাপড়চোপড়ের ব্যবস্থা করা হলো। আর সেবার কোনো কমতি রাখলেন না নার্সরা, বিশেষ করে সিডনির ওই বন্ধু। তিনি যতক্ষণ জেগে থাকতেন, রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। প্রতি সন্ধ্যায় একটি প্রদীপ হাতে হাসপাতালের হলওয়ে ধরে এগিয়ে আসতেন, একজন একজন করে রোগীর খোঁজ নিতেন। কেউ কেউ তাঁকে ডাকতেন ‘অ্যাঞ্জেল অব ক্রিমিয়া’ বলে। তবে বেশির ভাগ লোকেই তাঁকে ‘দ্য লেডি উইদ দ্য ল্যাম্প’ অর্থাৎ ‘প্রদীপ হাতে নারী’ বলে সম্বোধন করতেন। পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা বলা হচ্ছে।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ফ্লোরেন্সের অসামান্য অবদানের কারণে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয়। অথচ তিনি চাইলেই রাজকীয় একটা জীবন বেছে নিতে পারতেন। তাঁর বাবা ছিলেন দুটো এস্টেটের মালিক। ধনাঢ্য সচেতন ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম নাইটিঙ্গেল তাঁর মেয়েকে সুশিক্ষা দিতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্ম নেওয়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ইতালীয় আর ইংরেজি ভাষা তো জানতেনই, পাশাপাশি শিখেছিলেন জার্মান, গ্রিক, লাতিন। আর শিখেছিলেন ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও গণিত।
ষোড়শী ফ্লোরেন্স উপলব্ধি করেছিলেন ঈশ্বরের ডাক। তাঁর মনে হয়েছিল, মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কী হতে পারে সেই পেশা, তা নিয়ে খুব ভেবেছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকে অসুস্থ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের দেখাশোনা করতেন। সেই থেকে তাঁর মনে হলো, নার্সিংকে পেশা হিসেবে নিলে তিনি ঈশ্বরের সেবা করতে পারবেন। মা-বাবাকে জানালেন নিজের ইচ্ছার কথা। তাঁরা রাজি হলেন না। কেননা ভিক্টোরিয়ান যুগে নার্সিংকে খুব নিচু পেশা মনে করা হতো। ভাবা হতো, গরিব ঘরের মেয়েরাই শুধু নার্স হতে পারে। ধনী পরিবারের মেয়েরা তো ধনী ছেলেদের বিয়ে করে থিতু হবে!
কিন্তু ফ্লোরেন্স তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ১৮৪৪ সালে জার্মানির লুথেরান হসপিটাল অব ফ্লিডনারে নার্সিং পড়তে ভর্তি হয়ে যান। ১৮৫০ সালে লন্ডনে ফিরে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর দুর্দান্ত কাজের জন্য খুব দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সুপারিনটেনডেন্ট হয়ে যান।
ফ্লোরেন্সের লক্ষ্য ছিল রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তথা স্বাস্থ্যকর সেবা দেওয়া। নিরলস পরিশ্রম করে তিনি পরিচ্ছন্ন সেবার এই মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিমিয়া যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে তিনি যে পরিসংখ্যান করেন, তা সবার কাছে সমাদৃত হয়। নার্সিংয়ে আধুনিক সেবার যে চিত্র আমরা দেখি, তা ফ্লোরেন্সেরই অবদান। ক্রিমিয়ান জ্বরে ভুগে বিছানায় পড়লেও নার্সিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে গেছেন যত দিন বেঁচে ছিলেন।
ক্রিমিয়া যুদ্ধ থেকে ফেরার পর ব্রিটেনের রানি তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও মহামূল্যবান ব্রোচ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। সেই অর্থ এবং আরও কিছু অর্থ দিয়ে ‘নাইটিঙ্গেল ফান্ড’ গঠন করেন ফ্লোরেন্স। সেখান থেকে ব্যয় করে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল ফর নার্সেস’। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও তাঁর সেবার প্রদীপ এখনো আলো ছড়াচ্ছে।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, বিবিসি, ব্রিটানিকা
সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা। কৃষ্ণসাগরের কাছে এই ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তুর্কিদের মিত্র ছিল সারডিনিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তুরস্ক ও মিত্রবাহিনীর এত সেনা সেই যুদ্ধে আহত আর অসুস্থ হচ্ছিলেন যে তাঁদের দেখভাল করাটা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ হাজারের বেশি সৈনিক আহত হয়ে ভর্তি হন মিলিটারি হাসপাতালে। সেনারা যুদ্ধে আহত হওয়ার চেয়ে বেশি কলেরা ও টাইফয়েডের মতো সংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। মিলিটারি হাসপাতালে কোনো নার্স ছিল না, যুদ্ধের বাজে অভিজ্ঞতার কারণেই। এক ব্রিটিশ সাংবাদিক সেনাদের করুণ অবস্থার কথা লিখলেন ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে। টনক নড়ে উঠল ব্রিটিশ সরকারের। প্রতিরক্ষা দপ্তরের তৎকালীন সেক্রেটারি সিডনি হার্বার্ট তাঁর খুব কাছের এক বন্ধুকে চিঠিতে লিখলেন, ‘যুদ্ধের এই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আহত সেনাদের তত্ত্বাবধান করার মতো একজনও উপযুক্ত ব্যক্তি নেই। যদি তুমি এ কাজের ভার গ্রহণ করো, দেশ তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।’
সিডনির ডাকে সাড়া দিলেন তাঁর সেই বন্ধু। তিনি খুব দ্রুত ৩৪ জন নার্স নিয়ে একটি দল গঠন করে কয়েক দিনের মধ্যে চলে গেলেন সেনাদের সেবা করতে। তাঁর নেতৃত্বে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হাসপাতালকে প্রথমেই ধুয়ে মুছে সাফ করা হলো, রোগীদের জন্য পরিষ্কার কাপড়চোপড়ের ব্যবস্থা করা হলো। আর সেবার কোনো কমতি রাখলেন না নার্সরা, বিশেষ করে সিডনির ওই বন্ধু। তিনি যতক্ষণ জেগে থাকতেন, রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। প্রতি সন্ধ্যায় একটি প্রদীপ হাতে হাসপাতালের হলওয়ে ধরে এগিয়ে আসতেন, একজন একজন করে রোগীর খোঁজ নিতেন। কেউ কেউ তাঁকে ডাকতেন ‘অ্যাঞ্জেল অব ক্রিমিয়া’ বলে। তবে বেশির ভাগ লোকেই তাঁকে ‘দ্য লেডি উইদ দ্য ল্যাম্প’ অর্থাৎ ‘প্রদীপ হাতে নারী’ বলে সম্বোধন করতেন। পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা বলা হচ্ছে।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ফ্লোরেন্সের অসামান্য অবদানের কারণে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয়। অথচ তিনি চাইলেই রাজকীয় একটা জীবন বেছে নিতে পারতেন। তাঁর বাবা ছিলেন দুটো এস্টেটের মালিক। ধনাঢ্য সচেতন ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম নাইটিঙ্গেল তাঁর মেয়েকে সুশিক্ষা দিতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্ম নেওয়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ইতালীয় আর ইংরেজি ভাষা তো জানতেনই, পাশাপাশি শিখেছিলেন জার্মান, গ্রিক, লাতিন। আর শিখেছিলেন ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও গণিত।
ষোড়শী ফ্লোরেন্স উপলব্ধি করেছিলেন ঈশ্বরের ডাক। তাঁর মনে হয়েছিল, মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কী হতে পারে সেই পেশা, তা নিয়ে খুব ভেবেছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকে অসুস্থ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের দেখাশোনা করতেন। সেই থেকে তাঁর মনে হলো, নার্সিংকে পেশা হিসেবে নিলে তিনি ঈশ্বরের সেবা করতে পারবেন। মা-বাবাকে জানালেন নিজের ইচ্ছার কথা। তাঁরা রাজি হলেন না। কেননা ভিক্টোরিয়ান যুগে নার্সিংকে খুব নিচু পেশা মনে করা হতো। ভাবা হতো, গরিব ঘরের মেয়েরাই শুধু নার্স হতে পারে। ধনী পরিবারের মেয়েরা তো ধনী ছেলেদের বিয়ে করে থিতু হবে!
কিন্তু ফ্লোরেন্স তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ১৮৪৪ সালে জার্মানির লুথেরান হসপিটাল অব ফ্লিডনারে নার্সিং পড়তে ভর্তি হয়ে যান। ১৮৫০ সালে লন্ডনে ফিরে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর দুর্দান্ত কাজের জন্য খুব দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সুপারিনটেনডেন্ট হয়ে যান।
ফ্লোরেন্সের লক্ষ্য ছিল রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তথা স্বাস্থ্যকর সেবা দেওয়া। নিরলস পরিশ্রম করে তিনি পরিচ্ছন্ন সেবার এই মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিমিয়া যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে তিনি যে পরিসংখ্যান করেন, তা সবার কাছে সমাদৃত হয়। নার্সিংয়ে আধুনিক সেবার যে চিত্র আমরা দেখি, তা ফ্লোরেন্সেরই অবদান। ক্রিমিয়ান জ্বরে ভুগে বিছানায় পড়লেও নার্সিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে গেছেন যত দিন বেঁচে ছিলেন।
ক্রিমিয়া যুদ্ধ থেকে ফেরার পর ব্রিটেনের রানি তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও মহামূল্যবান ব্রোচ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। সেই অর্থ এবং আরও কিছু অর্থ দিয়ে ‘নাইটিঙ্গেল ফান্ড’ গঠন করেন ফ্লোরেন্স। সেখান থেকে ব্যয় করে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল ফর নার্সেস’। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও তাঁর সেবার প্রদীপ এখনো আলো ছড়াচ্ছে।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, বিবিসি, ব্রিটানিকা

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা। কৃষ্ণসাগরের কাছে এই ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তুর্কিদের মিত্র ছিল সারডিনিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তুরস্ক ও মিত্রবাহিনীর এত সেনা সেই যুদ্ধে আহত আর অসুস্থ হচ্ছিলেন যে তাঁদের দেখভাল করাটা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮ হাজারের বেশি সৈনিক আহত হয়ে ভর্তি হন মিলিটারি হাসপাতালে। সেনারা যুদ্ধে আহত হওয়ার চেয়ে বেশি কলেরা ও টাইফয়েডের মতো সংক্রামক রোগে ভুগছিলেন। মিলিটারি হাসপাতালে কোনো নার্স ছিল না, যুদ্ধের বাজে অভিজ্ঞতার কারণেই। এক ব্রিটিশ সাংবাদিক সেনাদের করুণ অবস্থার কথা লিখলেন ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে। টনক নড়ে উঠল ব্রিটিশ সরকারের। প্রতিরক্ষা দপ্তরের তৎকালীন সেক্রেটারি সিডনি হার্বার্ট তাঁর খুব কাছের এক বন্ধুকে চিঠিতে লিখলেন, ‘যুদ্ধের এই বিশৃঙ্খল অবস্থায় আহত সেনাদের তত্ত্বাবধান করার মতো একজনও উপযুক্ত ব্যক্তি নেই। যদি তুমি এ কাজের ভার গ্রহণ করো, দেশ তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।’
সিডনির ডাকে সাড়া দিলেন তাঁর সেই বন্ধু। তিনি খুব দ্রুত ৩৪ জন নার্স নিয়ে একটি দল গঠন করে কয়েক দিনের মধ্যে চলে গেলেন সেনাদের সেবা করতে। তাঁর নেতৃত্বে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হাসপাতালকে প্রথমেই ধুয়ে মুছে সাফ করা হলো, রোগীদের জন্য পরিষ্কার কাপড়চোপড়ের ব্যবস্থা করা হলো। আর সেবার কোনো কমতি রাখলেন না নার্সরা, বিশেষ করে সিডনির ওই বন্ধু। তিনি যতক্ষণ জেগে থাকতেন, রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। প্রতি সন্ধ্যায় একটি প্রদীপ হাতে হাসপাতালের হলওয়ে ধরে এগিয়ে আসতেন, একজন একজন করে রোগীর খোঁজ নিতেন। কেউ কেউ তাঁকে ডাকতেন ‘অ্যাঞ্জেল অব ক্রিমিয়া’ বলে। তবে বেশির ভাগ লোকেই তাঁকে ‘দ্য লেডি উইদ দ্য ল্যাম্প’ অর্থাৎ ‘প্রদীপ হাতে নারী’ বলে সম্বোধন করতেন। পাঠক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের কথা বলা হচ্ছে।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ফ্লোরেন্সের অসামান্য অবদানের কারণে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয়। অথচ তিনি চাইলেই রাজকীয় একটা জীবন বেছে নিতে পারতেন। তাঁর বাবা ছিলেন দুটো এস্টেটের মালিক। ধনাঢ্য সচেতন ব্রিটিশ নাগরিক উইলিয়াম নাইটিঙ্গেল তাঁর মেয়েকে সুশিক্ষা দিতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্ম নেওয়া ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ইতালীয় আর ইংরেজি ভাষা তো জানতেনই, পাশাপাশি শিখেছিলেন জার্মান, গ্রিক, লাতিন। আর শিখেছিলেন ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য ও গণিত।
ষোড়শী ফ্লোরেন্স উপলব্ধি করেছিলেন ঈশ্বরের ডাক। তাঁর মনে হয়েছিল, মানুষের সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কী হতে পারে সেই পেশা, তা নিয়ে খুব ভেবেছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকে অসুস্থ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের দেখাশোনা করতেন। সেই থেকে তাঁর মনে হলো, নার্সিংকে পেশা হিসেবে নিলে তিনি ঈশ্বরের সেবা করতে পারবেন। মা-বাবাকে জানালেন নিজের ইচ্ছার কথা। তাঁরা রাজি হলেন না। কেননা ভিক্টোরিয়ান যুগে নার্সিংকে খুব নিচু পেশা মনে করা হতো। ভাবা হতো, গরিব ঘরের মেয়েরাই শুধু নার্স হতে পারে। ধনী পরিবারের মেয়েরা তো ধনী ছেলেদের বিয়ে করে থিতু হবে!
কিন্তু ফ্লোরেন্স তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ১৮৪৪ সালে জার্মানির লুথেরান হসপিটাল অব ফ্লিডনারে নার্সিং পড়তে ভর্তি হয়ে যান। ১৮৫০ সালে লন্ডনে ফিরে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর দুর্দান্ত কাজের জন্য খুব দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে সুপারিনটেনডেন্ট হয়ে যান।
ফ্লোরেন্সের লক্ষ্য ছিল রোগীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তথা স্বাস্থ্যকর সেবা দেওয়া। নিরলস পরিশ্রম করে তিনি পরিচ্ছন্ন সেবার এই মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিমিয়া যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে তিনি যে পরিসংখ্যান করেন, তা সবার কাছে সমাদৃত হয়। নার্সিংয়ে আধুনিক সেবার যে চিত্র আমরা দেখি, তা ফ্লোরেন্সেরই অবদান। ক্রিমিয়ান জ্বরে ভুগে বিছানায় পড়লেও নার্সিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে গেছেন যত দিন বেঁচে ছিলেন।
ক্রিমিয়া যুদ্ধ থেকে ফেরার পর ব্রিটেনের রানি তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও মহামূল্যবান ব্রোচ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। সেই অর্থ এবং আরও কিছু অর্থ দিয়ে ‘নাইটিঙ্গেল ফান্ড’ গঠন করেন ফ্লোরেন্স। সেখান থেকে ব্যয় করে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল ফর নার্সেস’। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও তাঁর সেবার প্রদীপ এখনো আলো ছড়াচ্ছে।
সূত্র: হিস্ট্রি চ্যানেল, বিবিসি, ব্রিটানিকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৩ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য রাষ্ট্রীয় আইন এবং পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করে সংগঠনগুলো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সমাজ সংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যায়িত করে পোস্ট দেন। এর নিন্দা জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলা ও বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর অবদান আমাদের শিক্ষা, সমাজচিন্তা ও মনন গঠনের ভিত্তি। তাঁকে নিয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এটি নারীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, যিনি নিজেদের পেশার নৈতিকতা, শালীনতা এবং প্রগতিশীল চেতনার প্রতীক হওয়ার কথা, তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের মন্তব্য ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার সীমা ছাড়িয়ে সমাজে বিভাজন, নারীবিদ্বেষী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উসকে দেয়। যা মানবাধিকার মানদণ্ড, রাষ্ট্রীয় আইন এবং একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন। বেগম রোকেয়া শুধুই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাঙালি নারীর মুক্তি আন্দোলনের ভিত্তি। তাঁকে অবমাননা করা মানে বাঙালির সামষ্টিক অগ্রযাত্রাকে আঘাত করা।’
নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যারা ধর্মের অপব্যাখ্যার ওপর ভর করে নারীদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক তাদেরই একজন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৫০ বছর আগে নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, তাঁর আদর্শ এখনো প্রাসঙ্গিক হওয়ায় নারী প্রগতিবিরোধী একটি গোষ্ঠী তাঁকে ভয় পায়। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে যখন দেশের মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন শিক্ষক নামধারী একজন ব্যক্তির এই অপপ্রচার, তার শিক্ষকতার যোগ্যতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’
মহিলা পরিষদ মনে করে, ‘যখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোকেয়া দিবস পালন করা হচ্ছে, রোকেয়া পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় নীতিবিরোধী কাজ। এ ধরনের অপচেষ্টা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার একটি ষড়যন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপতৎপরতা। এই অপপ্রচার সুস্থ সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সমাজের মধ্যে বসবাসকারী নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে এখনই প্রতিহত করা দরকার।’
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া কখনোই ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না। বরং তিনি আজীবন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ধর্মের ব্যবহার করে নারীকে অসম্মান-অপদস্থ করা, নারীর অধিকার খর্ব করা এবং নারীকে চার দেয়ালের অন্ধকারে আবদ্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।’
নারীপক্ষের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কাউকে অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় শব্দ-বাক্য ব্যবহার করা অন্যায় এবং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। রোকেয়াসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষের প্রতিই এমন বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায় নারীপক্ষ।’

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য রাষ্ট্রীয় আইন এবং পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করে সংগঠনগুলো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সমাজ সংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যায়িত করে পোস্ট দেন। এর নিন্দা জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলা ও বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর অবদান আমাদের শিক্ষা, সমাজচিন্তা ও মনন গঠনের ভিত্তি। তাঁকে নিয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এটি নারীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, যিনি নিজেদের পেশার নৈতিকতা, শালীনতা এবং প্রগতিশীল চেতনার প্রতীক হওয়ার কথা, তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের মন্তব্য ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার সীমা ছাড়িয়ে সমাজে বিভাজন, নারীবিদ্বেষী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উসকে দেয়। যা মানবাধিকার মানদণ্ড, রাষ্ট্রীয় আইন এবং একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন। বেগম রোকেয়া শুধুই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাঙালি নারীর মুক্তি আন্দোলনের ভিত্তি। তাঁকে অবমাননা করা মানে বাঙালির সামষ্টিক অগ্রযাত্রাকে আঘাত করা।’
নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যারা ধর্মের অপব্যাখ্যার ওপর ভর করে নারীদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক তাদেরই একজন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৫০ বছর আগে নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, তাঁর আদর্শ এখনো প্রাসঙ্গিক হওয়ায় নারী প্রগতিবিরোধী একটি গোষ্ঠী তাঁকে ভয় পায়। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে যখন দেশের মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন শিক্ষক নামধারী একজন ব্যক্তির এই অপপ্রচার, তার শিক্ষকতার যোগ্যতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’
মহিলা পরিষদ মনে করে, ‘যখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোকেয়া দিবস পালন করা হচ্ছে, রোকেয়া পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় নীতিবিরোধী কাজ। এ ধরনের অপচেষ্টা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার একটি ষড়যন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপতৎপরতা। এই অপপ্রচার সুস্থ সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সমাজের মধ্যে বসবাসকারী নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে এখনই প্রতিহত করা দরকার।’
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া কখনোই ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না। বরং তিনি আজীবন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ধর্মের ব্যবহার করে নারীকে অসম্মান-অপদস্থ করা, নারীর অধিকার খর্ব করা এবং নারীকে চার দেয়ালের অন্ধকারে আবদ্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।’
নারীপক্ষের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কাউকে অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় শব্দ-বাক্য ব্যবহার করা অন্যায় এবং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। রোকেয়াসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষের প্রতিই এমন বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায় নারীপক্ষ।’

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা
১৭ মে ২০২৩
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৩ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা
১৭ মে ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
২ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৪ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা
১৭ মে ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৩ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৪ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

উসমানীয় সাম্রাজ্য হঠাৎ রুশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত লড়াইটা চলেছিল ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৬ পর্যন্ত। তবে আক্রমণটা আগে রাশিয়া করেছিল তুর্কি এলাকায়। কারণ ছিল তুরস্কের অধীনে থাকা দারদানেলিস প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তুরস্কের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করা
১৭ মে ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৩ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ দিন আগে