নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডও) দুটি ধারায় সংরক্ষণ বহাল থাকায় নারীর অধিকার রক্ষা ও বাস্তবায়নে বিরাট প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার কিছু আইন সংস্কারসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমাজের প্রচলিত পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈষম্যমূলক আইন নারীর জীবনে নিরাপত্তা ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে পারছে না। নারীর ব্যক্তিজীবনের অধিকারহীনতার ক্ষেত্রগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পৃক্ত যা নারীর অবস্থানে প্রান্তিকতা সৃষ্টি করছে।
আজ রোববার বিকেলে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সভায় এ সব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন: নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা সিডও সনদের পূর্নাঙ্গ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন এবং অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রনয়নের দাবি জানান ৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘ সিডও কমিটির সাবেক সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারীবান্ধব প্রচুর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করলেও সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি। এতে সিডও সনদকে আইনে পরিণত করা যাচ্ছে না, কোর্টে উত্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। সমতার আন্দোলন কার্যকর হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, আইন প্রণয়নে রাজনীতির একটা বড় প্রভাব আছে। বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের বিভিন্ন ধর্মীয় আইনের নিয়মে আইন কমিশন এখনো আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে।
বক্তারা জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন অত্যাবশ্যক। ওয়াই ডব্লিউ সিএ অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার বলেন, সরকার প্রদত্ত আইন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করলেও খ্রীস্টান নারীরা এখনো সমঅধিকার পাচ্ছে না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পুরুষরা বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার পেলেও নারীদের জন্য বিষয়টি সহজ নয়; একজন পুরুষ সাক্ষী সহজে যোগাড় করতে পারলেও নারীর জন্য বিষয়টি সহজসাধ্য নয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে চলছে ক্ষমতা আকড়ে থাকার দর্শন। ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সাংঘর্ষিক সমাজ তৈরি হচ্ছে। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না হওয়ায় পুরো সমাজ গণতন্ত্রহীন, বিচারব্যবস্থাহীন সমাজে পৌঁছে গেছে। দুইদশকের বেশি সময় ধরে অভিন্ন পারিবারিক আইনের জন্য আন্দোলন চলছে, জেন্ডার ইস্যু রাষ্ট্রীয় নীতির অনুষঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে।
সভায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিরোধিতাও আছে। এ বিষয়ে সিডও সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রনয়নের জন্য রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডও) দুটি ধারায় সংরক্ষণ বহাল থাকায় নারীর অধিকার রক্ষা ও বাস্তবায়নে বিরাট প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার কিছু আইন সংস্কারসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমাজের প্রচলিত পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈষম্যমূলক আইন নারীর জীবনে নিরাপত্তা ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে পারছে না। নারীর ব্যক্তিজীবনের অধিকারহীনতার ক্ষেত্রগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পৃক্ত যা নারীর অবস্থানে প্রান্তিকতা সৃষ্টি করছে।
আজ রোববার বিকেলে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সভায় এ সব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন: নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা সিডও সনদের পূর্নাঙ্গ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন এবং অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রনয়নের দাবি জানান ৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘ সিডও কমিটির সাবেক সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারীবান্ধব প্রচুর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করলেও সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি। এতে সিডও সনদকে আইনে পরিণত করা যাচ্ছে না, কোর্টে উত্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। সমতার আন্দোলন কার্যকর হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা বলেন, আইন প্রণয়নে রাজনীতির একটা বড় প্রভাব আছে। বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের বিভিন্ন ধর্মীয় আইনের নিয়মে আইন কমিশন এখনো আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে।
বক্তারা জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন অত্যাবশ্যক। ওয়াই ডব্লিউ সিএ অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার বলেন, সরকার প্রদত্ত আইন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করলেও খ্রীস্টান নারীরা এখনো সমঅধিকার পাচ্ছে না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পুরুষরা বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার পেলেও নারীদের জন্য বিষয়টি সহজ নয়; একজন পুরুষ সাক্ষী সহজে যোগাড় করতে পারলেও নারীর জন্য বিষয়টি সহজসাধ্য নয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে চলছে ক্ষমতা আকড়ে থাকার দর্শন। ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সাংঘর্ষিক সমাজ তৈরি হচ্ছে। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না হওয়ায় পুরো সমাজ গণতন্ত্রহীন, বিচারব্যবস্থাহীন সমাজে পৌঁছে গেছে। দুইদশকের বেশি সময় ধরে অভিন্ন পারিবারিক আইনের জন্য আন্দোলন চলছে, জেন্ডার ইস্যু রাষ্ট্রীয় নীতির অনুষঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে।
সভায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিরোধিতাও আছে। এ বিষয়ে সিডও সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রনয়নের জন্য রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
৩ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
৩ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
৩ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
৩ দিন আগে