মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
ঋতুচক্র নারীদের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যগত প্রক্রিয়া। আমাদের সমাজে এ বিষয়ে আলোচনার ট্যাবু ভাঙছে খুব ধীরগতিতে। তবে তার চেয়েও ধীরগতিতে চলছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের ঋতুকালীন সেবা ও সহযোগিতার বিষয়টি। এখনো এ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথা বলতে চান না নারীরা। ফলে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়েই তাঁদের অফিস-কাছারি করতে হয়। চাইলে ছুটি যে পান না, তা নয়। কিন্তু তার জন্য শুনতে হয় বিভিন্ন ধরনের কথা। সেটা বেশির ভাগ নারীর জন্য অস্বস্তিকর।
ঘটনার সূত্রপাত যখন হঠাৎ
লাবণি (ছদ্মনাম) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঋতুকালে অসহ্য যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঋতুকালীন শারীরিক কষ্টের সঙ্গে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি।’ পথে হঠাৎ শুরু হওয়া ঋতুকালীন রক্তক্ষরণ নিয়েই তাঁকে অফিস করতে হয়েছে বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। লাবণি জানান, অফিসে পৌঁছানোর পর তলপেটের ব্যথা বাড়তে থাকে তাঁর। সে সময় কেমন জানি আমার সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। হাত-পায়েও ব্যথা বাড়তে থাকে। সঙ্গে যুক্ত হয় কোমরের যন্ত্রণা। একপর্যায়ে এ ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ব্যথার ওষুধ খান তিনি। সেদিন শরীরের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে অফিসের এক কোণে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন।
ঋতুকালীন সমস্যার কথা অফিসে বলার বিষয়ে নারীরা যে অস্বস্তিতে ভোগেন তার ব্যতিক্রম হতে পারেননি লাবণি। তাঁর কাছেও প্রতি মাসে ছুটি নেওয়াটা ঝামেলার মনে হয়। কারণ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঋতুকালীন সমস্যার কথা শুনে বাঁকা চোখে তাকান। এ ধরনের অস্বস্তিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে চান না লাবণি বা তাঁর মতো বেশির ভাগ নারী। তাই ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়েই মাসের পর মাস কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
সংকোচ এবং সংকট
তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সংকট এ ক্ষেত্রে বেশি বলে মনে হয়। একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক সোমা (ছদ্মনাম) জানান, প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় তাঁকে। কাজ বেশি থাকলে খেতে যাওয়ারও সময় পান না তিনি। এ অবস্থায় ঋতুকালীন স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার মতো সময় মেলে না। সোমা বলেন, ‘মাসিকের সময় অনেক কষ্ট হয়। একটানা বসে ৬-৭ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করা লাগে। পেটে ব্যথা বা শরীর খারাপ লাগলেও কাজ চালু রাখা লাগে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের টাকা থাকে না। তাই কাপড় ব্যবহার করি। একটানা অনেকক্ষণ এক কাপড় ব্যবহার করা লাগে। কারণ অফিসের বাথরুমের অবস্থাও ভালো না। পুরুষ সুপারভাইজারদের কাছে মাসিকের কথা বলতেও লজ্জা লাগে।’
আমাদের সমাজে এ বিষয়ে আলোচনার ট্যাবু ভাঙছে খুব ধীর গতিতে। তবে তার চেয়েও ধীর গতিতে চলছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের ঋতুকালীন সেবা ও সহযোগিতার বিষয়টি। এখনো এ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথা বলতে চান না নারীরা।
লাবণি বা সোমার মতো সংকটে পড়েন প্রায় সব কর্মজীবী নারী। ছুটি নেওয়ার জন্য কারণ দর্শাতে গিয়ে দমে যেতে হয় সংকোচের কারণে। এমন পরিবেশ দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে। আবার সহকর্মীদের দিক থেকেও নানা সংকট থাকে। পুরুষ সহকর্মীরা অনেক সময়ই বিষয়টি বুঝতে পারেন না। আবার এই যন্ত্রণার মাত্রা যেহেতু সবার ক্ষেত্রে এক নয়, অনেক সময় নারী সহকর্মীদের কাছ থেকেও শুনতে হয় নানা কথা। ঋতুকালে শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন—এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অফিসের বেশির ভাগ সহকর্মী বিষয়টি সহজভাবে নিলেও কিছু কিছু পুরুষ এবং ক্ষেত্রবিশেষে নারী সহকর্মী মনে করেন, এ সময়ে অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক পুরুষসহকর্মী বলেন, ‘নারীদের এমনিতেই মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস। এর বাইরে যদি আবারও তাঁরা প্রতি মাসে ১ দিন অতিরিক্ত ছুটি নেন, তাহলে অফিসে কাজ করবেন কত দিন?’
প্রয়োজন নিজের প্রতি যত্ন
অনেক নারীই ঋতুকালীন সমস্যার কথা না বলে নিজেই শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করেন। কিন্তু পাশে থাকা সহকর্মীকে কিছুই জানাতে চান না। এ নিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিলকিস বেগম চৌধুরী বলেন, ‘ঋতুচক্র নারীদের খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। প্রতি মাসে এটি সম্পন্ন হয়। এ সময় শরীর চায় একটু বিশ্রাম। অনেকে ঋতুকালে প্রচণ্ড ব্যথায় ভোগেন। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হয় বলে ব্যথার যন্ত্রণা ভুলে থাকতে হয়। তবে, ঋতুকালে বেশি ব্যথা অনুভব করলে উচিত প্রতিষ্ঠানের বিশ্রামের রুমে বিশ্রামে থাকা বা বাসা থেকে অফিসের কাজ করা।’
নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠানের ধরন কেমন
নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে নারীবান্ধব বলে জানালেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ওয়াহিদা জামান সিথি। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নারীবান্ধব। এখানে নারী সহকর্মীরা অনায়াসে পিরিয়ডের কথা বলতে পারেন। যাঁদের ছুটি দরকার, তাঁরা ছুটি নিতে পারেন। আবার বাসা থেকে অফিস করতে পারেন। এ ছাড়া নারীদের জন্য বিশ্রামকক্ষ এবং অফিসের ওয়াশ রুমে স্যানিটারি ন্যাপকিনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এতে নারী সহকর্মীরা ঋতুকালে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন না।’
আশায় আলো এবং সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত, নারী কর্মীদের জন্য বর্তমানে অল্প কিছু দেশে ঋতুকালীন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে জাপান, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাম্বিয়া এবং স্পেনের নাম উল্লেখ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে? হয়তো গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের ব্যতিক্রম-ই বলা যায়। বৃহৎ পরিসরে এ নিয়ে তেমন আলোচনাও হয় না। কিন্তু আলোচনাটা হওয়া প্রয়োজন।
ঋতুচক্র নারীদের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যগত প্রক্রিয়া। আমাদের সমাজে এ বিষয়ে আলোচনার ট্যাবু ভাঙছে খুব ধীরগতিতে। তবে তার চেয়েও ধীরগতিতে চলছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের ঋতুকালীন সেবা ও সহযোগিতার বিষয়টি। এখনো এ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথা বলতে চান না নারীরা। ফলে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়েই তাঁদের অফিস-কাছারি করতে হয়। চাইলে ছুটি যে পান না, তা নয়। কিন্তু তার জন্য শুনতে হয় বিভিন্ন ধরনের কথা। সেটা বেশির ভাগ নারীর জন্য অস্বস্তিকর।
ঘটনার সূত্রপাত যখন হঠাৎ
লাবণি (ছদ্মনাম) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঋতুকালে অসহ্য যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঋতুকালীন শারীরিক কষ্টের সঙ্গে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি।’ পথে হঠাৎ শুরু হওয়া ঋতুকালীন রক্তক্ষরণ নিয়েই তাঁকে অফিস করতে হয়েছে বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। লাবণি জানান, অফিসে পৌঁছানোর পর তলপেটের ব্যথা বাড়তে থাকে তাঁর। সে সময় কেমন জানি আমার সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। হাত-পায়েও ব্যথা বাড়তে থাকে। সঙ্গে যুক্ত হয় কোমরের যন্ত্রণা। একপর্যায়ে এ ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ব্যথার ওষুধ খান তিনি। সেদিন শরীরের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে অফিসের এক কোণে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন।
ঋতুকালীন সমস্যার কথা অফিসে বলার বিষয়ে নারীরা যে অস্বস্তিতে ভোগেন তার ব্যতিক্রম হতে পারেননি লাবণি। তাঁর কাছেও প্রতি মাসে ছুটি নেওয়াটা ঝামেলার মনে হয়। কারণ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঋতুকালীন সমস্যার কথা শুনে বাঁকা চোখে তাকান। এ ধরনের অস্বস্তিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে চান না লাবণি বা তাঁর মতো বেশির ভাগ নারী। তাই ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়েই মাসের পর মাস কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
সংকোচ এবং সংকট
তৈরি পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সংকট এ ক্ষেত্রে বেশি বলে মনে হয়। একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক সোমা (ছদ্মনাম) জানান, প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় তাঁকে। কাজ বেশি থাকলে খেতে যাওয়ারও সময় পান না তিনি। এ অবস্থায় ঋতুকালীন স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার মতো সময় মেলে না। সোমা বলেন, ‘মাসিকের সময় অনেক কষ্ট হয়। একটানা বসে ৬-৭ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করা লাগে। পেটে ব্যথা বা শরীর খারাপ লাগলেও কাজ চালু রাখা লাগে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের টাকা থাকে না। তাই কাপড় ব্যবহার করি। একটানা অনেকক্ষণ এক কাপড় ব্যবহার করা লাগে। কারণ অফিসের বাথরুমের অবস্থাও ভালো না। পুরুষ সুপারভাইজারদের কাছে মাসিকের কথা বলতেও লজ্জা লাগে।’
আমাদের সমাজে এ বিষয়ে আলোচনার ট্যাবু ভাঙছে খুব ধীর গতিতে। তবে তার চেয়েও ধীর গতিতে চলছে কর্মক্ষেত্রে নারীদের ঋতুকালীন সেবা ও সহযোগিতার বিষয়টি। এখনো এ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথা বলতে চান না নারীরা।
লাবণি বা সোমার মতো সংকটে পড়েন প্রায় সব কর্মজীবী নারী। ছুটি নেওয়ার জন্য কারণ দর্শাতে গিয়ে দমে যেতে হয় সংকোচের কারণে। এমন পরিবেশ দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে। আবার সহকর্মীদের দিক থেকেও নানা সংকট থাকে। পুরুষ সহকর্মীরা অনেক সময়ই বিষয়টি বুঝতে পারেন না। আবার এই যন্ত্রণার মাত্রা যেহেতু সবার ক্ষেত্রে এক নয়, অনেক সময় নারী সহকর্মীদের কাছ থেকেও শুনতে হয় নানা কথা। ঋতুকালে শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন—এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অফিসের বেশির ভাগ সহকর্মী বিষয়টি সহজভাবে নিলেও কিছু কিছু পুরুষ এবং ক্ষেত্রবিশেষে নারী সহকর্মী মনে করেন, এ সময়ে অতিরিক্ত ছুটির প্রয়োজন নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক পুরুষসহকর্মী বলেন, ‘নারীদের এমনিতেই মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস। এর বাইরে যদি আবারও তাঁরা প্রতি মাসে ১ দিন অতিরিক্ত ছুটি নেন, তাহলে অফিসে কাজ করবেন কত দিন?’
প্রয়োজন নিজের প্রতি যত্ন
অনেক নারীই ঋতুকালীন সমস্যার কথা না বলে নিজেই শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করেন। কিন্তু পাশে থাকা সহকর্মীকে কিছুই জানাতে চান না। এ নিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিলকিস বেগম চৌধুরী বলেন, ‘ঋতুচক্র নারীদের খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। প্রতি মাসে এটি সম্পন্ন হয়। এ সময় শরীর চায় একটু বিশ্রাম। অনেকে ঋতুকালে প্রচণ্ড ব্যথায় ভোগেন। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হয় বলে ব্যথার যন্ত্রণা ভুলে থাকতে হয়। তবে, ঋতুকালে বেশি ব্যথা অনুভব করলে উচিত প্রতিষ্ঠানের বিশ্রামের রুমে বিশ্রামে থাকা বা বাসা থেকে অফিসের কাজ করা।’
নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠানের ধরন কেমন
নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে নারীবান্ধব বলে জানালেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ওয়াহিদা জামান সিথি। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নারীবান্ধব। এখানে নারী সহকর্মীরা অনায়াসে পিরিয়ডের কথা বলতে পারেন। যাঁদের ছুটি দরকার, তাঁরা ছুটি নিতে পারেন। আবার বাসা থেকে অফিস করতে পারেন। এ ছাড়া নারীদের জন্য বিশ্রামকক্ষ এবং অফিসের ওয়াশ রুমে স্যানিটারি ন্যাপকিনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এতে নারী সহকর্মীরা ঋতুকালে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন না।’
আশায় আলো এবং সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত, নারী কর্মীদের জন্য বর্তমানে অল্প কিছু দেশে ঋতুকালীন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে জাপান, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাম্বিয়া এবং স্পেনের নাম উল্লেখ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে? হয়তো গোনা দু-একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের ব্যতিক্রম-ই বলা যায়। বৃহৎ পরিসরে এ নিয়ে তেমন আলোচনাও হয় না। কিন্তু আলোচনাটা হওয়া প্রয়োজন।
ডেস্কে বসে কপের খবর নেওয়া আর আকাশের চাঁদ ছোঁয়ার মধ্যে যেন তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল আনিকা তাবাসসুমের কথা। এই মুহূর্তে তিনি আছেন আজারবাইজানের বাকুতে। এত এত অ্যাপের দুনিয়ায় তাঁকে ধরা কি খুব কঠিন? চেষ্টা করতেই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল উত্তর। আমরাও চটপট কথা বলে ফেললাম আনিকার সঙ্গে।
৫ দিন আগেবাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন এখন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বায়োমেট্রিক ডেটাবেইস থেকে পাওয়া গেছে এ তথ্য। এই বিশালসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন বা ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী...
৫ দিন আগেআরব অঞ্চলের দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী খেলা উটের দৌড়। একসময় আমাদের দেশে যেমন ঘোড়দৌড় হতো, বিষয়টি তেমনই। সেখানে শুধু ঘোড়ার বদলে থাকে উট। সে উট যাঁরা চালনা করেন, তাঁরা হলেন জকি। এত দিন জকি হিসেবে সৌদি আরবে ছিল পুরুষদের দাপট। দেশটিতে সেই প্রচলিত প্রথা অবশ্য ভেঙেছে ২০২২ সালে...
৫ দিন আগেঅ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে পেনিসিলিনের আবিষ্কার মানবজাতিকে স্বস্তি দিয়েছিল। তারপর আবিষ্কৃত হয় ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে কর্মক্ষম অ্যান্টিবায়োটিক নাইস্ট্যাটিন। এটির সঙ্গে যুক্ত আছে রাচেল ফুলার ব্রাউন এবং তাঁর সহযোগী এলিজাবেথ হ্যাজেনের নাম। এই দুজনের আবিষ্কারটি ছিল ছত্রাকজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম কার্যকর
৫ দিন আগে