আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
‘গাজায় তুমি তোমার বাড়িতে ঘুমাও এবং
ধ্বংসাবশেষের নিচে ঘুম থেকে ওঠো
গাজায়, তোমার পরিবার এবং বন্ধু আছে,
পরদিন তুমি একা হয়ে যাও।...’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিন। কেউই জানে না সেখানকার মানুষের এই বিভীষিকাময় সময়ের শেষ কোথায়। সে দেশের শহর গাজা, যেখানে শিশুরা রাতের আকাশে নক্ষত্র নয়, রকেট গুনে ঘুমায়। জীবনের ভয়াবহ সময়েও শহরটির মানুষ বলে চলে দেশের মানুষের প্রতি হয়ে যাওয়া নির্মমতা ও জুলুমের কথা। ফিলিস্তিনের অসংখ্য মানুষ নিজেদের জায়গা থেকে এসব নৃশংসতার বর্ণনা দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে। তাদেরই একজন ২২ বছরের তরুণী প্লেসটিয়া আলাকাদ। তিনি পেশায় সাংবাদিক। এ ছাড়াও তিনি কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। এ লেখার শুরুতে যে কবিতার লাইনগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো প্লেসটিয়ার লেখা একটি কবিতা থেকে নেওয়া।
প্লেসটিয়ার একটি ভাইরাল ভিডিও পাওয়া যায় ইউটিউবে। গাজার পরিস্থিতি জানানোর জন্য তিনি একটি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে লাইভ ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। খোলা চুল আর কালো টি-শার্ট পরা প্লেসটিয়ার বড় বড় চোখ থমকে যায় সেই শব্দে। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘আমাকে বলতে হবে না, কী হচ্ছে। আপনারা শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।’ এরপর তিনি বাড়ির বেলকনি থেকে বাইরের দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করেন। দেখা যায়, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। সেই ধোঁয়ায় প্লেসটিয়ার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। তারপরও আশপাশের পরিস্থিতি ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত তাঁর এলাকার পরিস্থিতি দেখাতে এমন অনেক ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেন প্লেসটিয়া। সেসব ভিডিওতে দেখা যেত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর এবং সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের বাঁধিয়ে রাখা স্মৃতি ধুলাবালু ও রক্তে মাখামাখি করছে।
প্লেসটিয়া আলাকাদ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে আলোচনায় আসেন। সে সময় তিনি গাজায় উদীয়মান সাংবাদিক হিসেবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের প্রভাব চিত্রিত করেন এবং শেয়ার করতে থাকেন ইনস্টাগ্রামে।
এক সাক্ষাৎকারে প্লেসটিয়া জানান, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন দেখে বড় হচ্ছিলেন তিনি। তখন থেকে নিজের অনুভূতিগুলো কবিতার মাধ্যমে লিখে রাখেন। তবে তাঁকে বিখ্যাত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছোট ছোট ভিডিও। ধীরে ধীরে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা পৌঁছে যায় লাখের ঘরে। এখন তাঁর অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। কিন্তু এই খ্যাতি তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হয়ে ওঠে। ফলে নভেম্বরের শেষ দিকে সপরিবার দেশত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আত্মীয়দের কাছে চলে যেতে বাধ্য হন প্লেসটিয়া।
যুদ্ধ শুরুর ৪৫ দিন পর তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। প্লেসটিয়া তাঁর ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট এবং হেলমেট অনেক আগে বাদ দেন। কারণ, সেগুলো তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল।
প্লেসটিয়া বৈরুতের একটি মিডিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তরের জন্য বৃত্তি পেয়েছেন। গাজার আপডেট, কবিতা ও ডায়েরি এন্ট্রি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে লেখা তাঁর আত্মজীবনী ‘আইস অব গাজা’ শিগগির প্রকাশ করা হবে। এ বছর তিনি অর্জন করেছেন ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার।
‘গাজায় তুমি তোমার বাড়িতে ঘুমাও এবং
ধ্বংসাবশেষের নিচে ঘুম থেকে ওঠো
গাজায়, তোমার পরিবার এবং বন্ধু আছে,
পরদিন তুমি একা হয়ে যাও।...’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিন। কেউই জানে না সেখানকার মানুষের এই বিভীষিকাময় সময়ের শেষ কোথায়। সে দেশের শহর গাজা, যেখানে শিশুরা রাতের আকাশে নক্ষত্র নয়, রকেট গুনে ঘুমায়। জীবনের ভয়াবহ সময়েও শহরটির মানুষ বলে চলে দেশের মানুষের প্রতি হয়ে যাওয়া নির্মমতা ও জুলুমের কথা। ফিলিস্তিনের অসংখ্য মানুষ নিজেদের জায়গা থেকে এসব নৃশংসতার বর্ণনা দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে। তাদেরই একজন ২২ বছরের তরুণী প্লেসটিয়া আলাকাদ। তিনি পেশায় সাংবাদিক। এ ছাড়াও তিনি কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। এ লেখার শুরুতে যে কবিতার লাইনগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো প্লেসটিয়ার লেখা একটি কবিতা থেকে নেওয়া।
প্লেসটিয়ার একটি ভাইরাল ভিডিও পাওয়া যায় ইউটিউবে। গাজার পরিস্থিতি জানানোর জন্য তিনি একটি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে লাইভ ভিডিও করছিলেন। হঠাৎ সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। খোলা চুল আর কালো টি-শার্ট পরা প্লেসটিয়ার বড় বড় চোখ থমকে যায় সেই শব্দে। নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘আমাকে বলতে হবে না, কী হচ্ছে। আপনারা শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।’ এরপর তিনি বাড়ির বেলকনি থেকে বাইরের দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করেন। দেখা যায়, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। সেই ধোঁয়ায় প্লেসটিয়ার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। তারপরও আশপাশের পরিস্থিতি ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত তাঁর এলাকার পরিস্থিতি দেখাতে এমন অনেক ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেন প্লেসটিয়া। সেসব ভিডিওতে দেখা যেত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর এবং সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের বাঁধিয়ে রাখা স্মৃতি ধুলাবালু ও রক্তে মাখামাখি করছে।
প্লেসটিয়া আলাকাদ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে আলোচনায় আসেন। সে সময় তিনি গাজায় উদীয়মান সাংবাদিক হিসেবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের প্রভাব চিত্রিত করেন এবং শেয়ার করতে থাকেন ইনস্টাগ্রামে।
এক সাক্ষাৎকারে প্লেসটিয়া জানান, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন দেখে বড় হচ্ছিলেন তিনি। তখন থেকে নিজের অনুভূতিগুলো কবিতার মাধ্যমে লিখে রাখেন। তবে তাঁকে বিখ্যাত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছোট ছোট ভিডিও। ধীরে ধীরে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর সংখ্যা পৌঁছে যায় লাখের ঘরে। এখন তাঁর অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। কিন্তু এই খ্যাতি তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হয়ে ওঠে। ফলে নভেম্বরের শেষ দিকে সপরিবার দেশত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আত্মীয়দের কাছে চলে যেতে বাধ্য হন প্লেসটিয়া।
যুদ্ধ শুরুর ৪৫ দিন পর তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান। প্লেসটিয়া তাঁর ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট এবং হেলমেট অনেক আগে বাদ দেন। কারণ, সেগুলো তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল।
প্লেসটিয়া বৈরুতের একটি মিডিয়া স্টাডিজ প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তরের জন্য বৃত্তি পেয়েছেন। গাজার আপডেট, কবিতা ও ডায়েরি এন্ট্রি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে লেখা তাঁর আত্মজীবনী ‘আইস অব গাজা’ শিগগির প্রকাশ করা হবে। এ বছর তিনি অর্জন করেছেন ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার।
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৩ দিন আগেশিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।
৪ দিন আগে‘বাংলাদেশের মেয়েরা সুযোগ পেলে সকলেই হিমালয় জয় করতে পারে।’ নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন পাঁচ নারী পর্বতারোহী। ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত: তরুণীর অগ্রযাত্রা’ বিষয়ে এক আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তাঁরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তাঁরা
৪ দিন আগেআমার লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কিংবা স্বতঃস্ফূর্ততাকে প্রাধান্য দিই। শব্দ আমার কাছে স্রোতস্বিনী নদীর মতো। আমি অনেকের লেখা পড়ি। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন ভাইয়ের থ্রিলার ভাবনার আড্ডাগুলো থ্রিলার লেখার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি তাঁর লেখার ভক্ত।
১১ দিন আগে