নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারী শ্রমিক বললে মোটাদাগে আমরা হয়তো বুঝি পোশাকশ্রমিকদের। কিংবা বুঝি প্রবাসী শ্রমিকদের। কারণ, তাঁদের কাজের বড় একটা অংশের প্রভাব আছে আমাদের অর্থনীতিতে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক খাত থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বাংলাদেশ। এই শিল্পের বড়, মাঝারি ও ছোট—সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিক মোট শ্রমিকের ৬০ থেকে ৬২ শতাংশ। সে হিসাবে বর্তমানে পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখের মতো। তবে এই সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে এসেছে। এদিকে ২০২৩ সালে বিদেশে কর্মসূত্রে গেছেন ১৩ লাখের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে নারী কর্মী গেছেন ৭৭ হাজার ২৬৩ জন।
এ দুই ক্ষেত্র বাদেও নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজের সুযোগ পাচ্ছেন এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। এর ফলে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে। তারা পরিবার ও সমাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন আগের চেয়ে বেশি। ফলে পরিবারে তাঁদের মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের শ্রম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশজুড়ে আছেন গৃহকর্মী নারীরা। অভিবাসী নারী শ্রমিক এবং পোশাকশ্রমিক নারীদের পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও গৃহকর্মী নারীর সংখ্যা আজও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী সারা দেশে এখন ২৫ লাখ গৃহকর্মী আছেন, যাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী। তবে এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) ২০২১ সালে গৃহশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণবিষয়ক গবেষণায় বলেছে, সংখ্যাটি ২০ লাখের বেশি। তবে এর পরের বছর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ, যাদের ৮০ শতাংশ নারী। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ৯ বছর আগে একটি নীতিমালা করা হলেও আইন করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল নারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। নারীর গৃহকর্মের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এই সুপারিশে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে জিডিপিতে নারীর গৃহস্থালি কাজ অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অনেক কিছু নিয়ে। সংখ্যা হলো, আইন হলো, ধরে নেওয়া গেল, কিছু কিছু বিষয় বাস্তবায়নও হচ্ছে। কিন্তু কর্মপরিবেশ? আজও কর্মপরিবেশ নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। করপোরেট নারীই হোক কিংবা বিশেষায়িত পেশাজীবী অথবা সরকারি পেশাজীবী নারী—কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দেশের কতগুলো অফিস,পোশাক কারখানা কিংবা কাজের জায়গায় চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস আছে? সারা বছর নারী নির্যাতন, কর্মক্ষেত্রে অথবা রাস্তায় নারীর হেনস্তার কথা বলা হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারীর সুবিধাগুলো নিয়ে
কথা থেকে যায় না বলা। নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি যেমন নিশ্চিত করা দরকার। তেমনি নারীদের বিশেষ সময়ে বিশেষ চাহিদা ও সুবিধাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
নারী শ্রমিক বললে মোটাদাগে আমরা হয়তো বুঝি পোশাকশ্রমিকদের। কিংবা বুঝি প্রবাসী শ্রমিকদের। কারণ, তাঁদের কাজের বড় একটা অংশের প্রভাব আছে আমাদের অর্থনীতিতে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক খাত থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বাংলাদেশ। এই শিল্পের বড়, মাঝারি ও ছোট—সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিক মোট শ্রমিকের ৬০ থেকে ৬২ শতাংশ। সে হিসাবে বর্তমানে পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখের মতো। তবে এই সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে এসেছে। এদিকে ২০২৩ সালে বিদেশে কর্মসূত্রে গেছেন ১৩ লাখের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে নারী কর্মী গেছেন ৭৭ হাজার ২৬৩ জন।
এ দুই ক্ষেত্র বাদেও নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজের সুযোগ পাচ্ছেন এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। এর ফলে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে। তারা পরিবার ও সমাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন আগের চেয়ে বেশি। ফলে পরিবারে তাঁদের মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের শ্রম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশজুড়ে আছেন গৃহকর্মী নারীরা। অভিবাসী নারী শ্রমিক এবং পোশাকশ্রমিক নারীদের পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও গৃহকর্মী নারীর সংখ্যা আজও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী সারা দেশে এখন ২৫ লাখ গৃহকর্মী আছেন, যাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী। তবে এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) ২০২১ সালে গৃহশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণবিষয়ক গবেষণায় বলেছে, সংখ্যাটি ২০ লাখের বেশি। তবে এর পরের বছর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ, যাদের ৮০ শতাংশ নারী। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় ৯ বছর আগে একটি নীতিমালা করা হলেও আইন করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল নারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। নারীর গৃহকর্মের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এই সুপারিশে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে জিডিপিতে নারীর গৃহস্থালি কাজ অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অনেক কিছু নিয়ে। সংখ্যা হলো, আইন হলো, ধরে নেওয়া গেল, কিছু কিছু বিষয় বাস্তবায়নও হচ্ছে। কিন্তু কর্মপরিবেশ? আজও কর্মপরিবেশ নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। করপোরেট নারীই হোক কিংবা বিশেষায়িত পেশাজীবী অথবা সরকারি পেশাজীবী নারী—কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দেশের কতগুলো অফিস,পোশাক কারখানা কিংবা কাজের জায়গায় চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস আছে? সারা বছর নারী নির্যাতন, কর্মক্ষেত্রে অথবা রাস্তায় নারীর হেনস্তার কথা বলা হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারীর সুবিধাগুলো নিয়ে
কথা থেকে যায় না বলা। নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি যেমন নিশ্চিত করা দরকার। তেমনি নারীদের বিশেষ সময়ে বিশেষ চাহিদা ও সুবিধাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
২ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
২ দিন আগেবাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএন উইমেন নতুন এক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ঢাকার ইইউ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তির আওতায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ জনপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং উচ্চশিক্
২ দিন আগে