মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: কোরআন-হাদিসে শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? এ মাসে আমরা কী কী আমল করতে পারি? কোন কোন আমল না করার কথা এসেছে?
আশেকুর রহমান, ঢাকা
উত্তর: হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
শবে বরাতের আমল
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ইসলামের পরিভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা শবে বরাত বলা হয়। এ রাতে বান্দার গুনাহ মাফ করা হয়। অভাবীকে রিজিক দেওয়া হয়। বিপদগ্রস্তকে বিপদ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ রাত জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসবে, তখন তোমরা রাতে নামাজ আদায় করো, দিনে রোজা রাখো। নিশ্চয়ই আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো গুনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দেব। কোনো বিপদগ্রস্ত মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে মুক্তি দেব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।’ (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮)
নফল রোজা
রাসুল (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। অন্য কোনো মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন না। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা কোনো মাসে রাখতেন না। তিনি পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে, ততটুকু (নফল) আমল করো। কারণ তোমরা (আমল করতে করতে) পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা নেকি দেওয়া বন্ধ করেন না।’ (বুখারি: ১৯৭০)
বিশেষ দোয়া
রাসুল (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী বেশি বেশি রমজানের বরকত লাভের জন্য দোয়া করতেন। রজবের মতো এই মাসেও এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন—আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থ: হে আল্লাহ, রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (আহমাদ: ২৫৯)
শাবানের শেষ দুই দিনের রোজা
শাবান মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা না রাখাই উত্তম। তবে নিয়মিত রুটিন হিসেবে ওই দুই দিন পড়ে গেলে রাখা যাবে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের এক দিন অথবা দুই দিন আগে রোজা রাখবে না। অবশ্য কেউ প্রতি মাসে ওই দিনে রোজা পালনে অভ্যস্ত হলে রাখতে পারবে।’ (আবু দাউদ: ১৩৩৫)
উত্তর দিয়েছেন ,মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: কোরআন-হাদিসে শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? এ মাসে আমরা কী কী আমল করতে পারি? কোন কোন আমল না করার কথা এসেছে?
আশেকুর রহমান, ঢাকা
উত্তর: হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
শবে বরাতের আমল
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ইসলামের পরিভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা শবে বরাত বলা হয়। এ রাতে বান্দার গুনাহ মাফ করা হয়। অভাবীকে রিজিক দেওয়া হয়। বিপদগ্রস্তকে বিপদ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ রাত জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত আসবে, তখন তোমরা রাতে নামাজ আদায় করো, দিনে রোজা রাখো। নিশ্চয়ই আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো গুনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কোনো রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দেব। কোনো বিপদগ্রস্ত মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে মুক্তি দেব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।’ (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮)
নফল রোজা
রাসুল (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। অন্য কোনো মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন না। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা কোনো মাসে রাখতেন না। তিনি পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে, ততটুকু (নফল) আমল করো। কারণ তোমরা (আমল করতে করতে) পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা নেকি দেওয়া বন্ধ করেন না।’ (বুখারি: ১৯৭০)
বিশেষ দোয়া
রাসুল (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী বেশি বেশি রমজানের বরকত লাভের জন্য দোয়া করতেন। রজবের মতো এই মাসেও এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন—আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থ: হে আল্লাহ, রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (আহমাদ: ২৫৯)
শাবানের শেষ দুই দিনের রোজা
শাবান মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা না রাখাই উত্তম। তবে নিয়মিত রুটিন হিসেবে ওই দুই দিন পড়ে গেলে রাখা যাবে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের এক দিন অথবা দুই দিন আগে রোজা রাখবে না। অবশ্য কেউ প্রতি মাসে ওই দিনে রোজা পালনে অভ্যস্ত হলে রাখতে পারবে।’ (আবু দাউদ: ১৩৩৫)
উত্তর দিয়েছেন ,মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
৪ ঘণ্টা আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
৫ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ঘিবলি স্টাইল কার্টুন তৈরির বিষয়টি ইসলাম কীভাবে দেখে?
৫ ঘণ্টা আগেতসবি জিকির-আজকারের গুরুত্বপূর্ণ এক উপকরণ। আল্লাহর স্মরণে মুমিনদের সাহায্য করে এই জপমালা। হাতে তসবি, মুখে জিকির—মুমিনের হৃদয়ে ওঠে আল্লাহর প্রেম। যুগ যুগ ধরেই জিকির-আজকারে মুসলমানরা তসবি ব্যবহার করে আসছে। যেমন তুরস্কের কেসেরি প্রদেশের ‘সুওয়াসি সিতি হাতুন’ মসজিদে ৭০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন..
৫ ঘণ্টা আগে