ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বোনের বিয়ের বয়স তিন বছর। দুলাভাই তাঁর ভরণপোষণ করেছেন মাত্র ছয় মাস। এর মধ্যে আমার বোন জরায়ুর টিউমারের কারণে অসুস্থ হয়ে যান। অসুস্থতার কথা শুনে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং চিকিৎসা না করিয়ে ডিভোর্স দিতে চাইছেন। দেড় বছর ধরে বাবা তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার খরচ বহন করা বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এত দিনের ভরণপোষণের টাকা, চিকিৎসার খরচ, এমনকি দেনমোহরের টাকাও দিতে চাইছেন না দুলাভাই। এ ক্ষেত্রে আপুর পক্ষ থেকে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
মিলি আক্তার, ঝিনাইদহ
উত্তর: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না চান, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন। কাজেই স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ভরণপোষণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন আপনার বোন। আর সেটা সম্ভব স্বামীকে তালাক না দিয়েও।
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুসারে, স্ত্রী ভরণপোষণ, দেনমোহর, বিবাহবিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব ইত্যাদি বিষয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। সেটা তাঁর অধিকার। এ ছাড়া ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৯ ধারা অনুসারে, একজন নারী ভরণপোষণের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে পারেন। চেয়ারম্যান বিধিমতো ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ করে সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। স্বামী এরপরও নির্ধারিত ভরণপোষণ না দিলে স্ত্রী বকেয়া ভূমি রাজস্বের আকারে তা আদায় করতে পারবেন।
আগে পরিশোধ করা না হলে আপনার বোন দেনমোহরের পুরো টাকা পাবেন। তালাক যে পক্ষই দিক না কেন, স্বামীকে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হবে। কাজেই তালাকের নোটিশ যদি আপনার বোন বা তাঁর স্বামী দিয়ে থাকেন বা দেবেন বলে মনস্থির করেন, সে ক্ষেত্রে তালাকের নোটিশের সঙ্গে তিনি দেনমোহরের টাকা পরিশোধের জন্য একটি নোটিশ পাঠাতে পারেন। তাতেও কাজ না হলে আপনার বোন পারিবারিক আদালতে দেনমোহর এবং বিয়ের পর থেকে তালাকের নোটিশ দেওয়ার পরের তিন মাসের ভরণপোষণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর যদি কোনো পক্ষই তালাকের নোটিশ দিতে না চায়, তাহলেও আপনার বোন দেনমোহরের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ভরণপোষণের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। তবে মামলায় গেলে রায় পেতে দেরি হবে এবং মামলার খরচও বহন করতে হবে। তাই মামলায় না গিয়ে মীমাংসা করে নিলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন,অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বোনের বিয়ের বয়স তিন বছর। দুলাভাই তাঁর ভরণপোষণ করেছেন মাত্র ছয় মাস। এর মধ্যে আমার বোন জরায়ুর টিউমারের কারণে অসুস্থ হয়ে যান। অসুস্থতার কথা শুনে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং চিকিৎসা না করিয়ে ডিভোর্স দিতে চাইছেন। দেড় বছর ধরে বাবা তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার খরচ বহন করা বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এত দিনের ভরণপোষণের টাকা, চিকিৎসার খরচ, এমনকি দেনমোহরের টাকাও দিতে চাইছেন না দুলাভাই। এ ক্ষেত্রে আপুর পক্ষ থেকে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
মিলি আক্তার, ঝিনাইদহ
উত্তর: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না চান, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন। কাজেই স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ভরণপোষণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন আপনার বোন। আর সেটা সম্ভব স্বামীকে তালাক না দিয়েও।
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুসারে, স্ত্রী ভরণপোষণ, দেনমোহর, বিবাহবিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব ইত্যাদি বিষয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। সেটা তাঁর অধিকার। এ ছাড়া ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৯ ধারা অনুসারে, একজন নারী ভরণপোষণের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে পারেন। চেয়ারম্যান বিধিমতো ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ করে সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। স্বামী এরপরও নির্ধারিত ভরণপোষণ না দিলে স্ত্রী বকেয়া ভূমি রাজস্বের আকারে তা আদায় করতে পারবেন।
আগে পরিশোধ করা না হলে আপনার বোন দেনমোহরের পুরো টাকা পাবেন। তালাক যে পক্ষই দিক না কেন, স্বামীকে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হবে। কাজেই তালাকের নোটিশ যদি আপনার বোন বা তাঁর স্বামী দিয়ে থাকেন বা দেবেন বলে মনস্থির করেন, সে ক্ষেত্রে তালাকের নোটিশের সঙ্গে তিনি দেনমোহরের টাকা পরিশোধের জন্য একটি নোটিশ পাঠাতে পারেন। তাতেও কাজ না হলে আপনার বোন পারিবারিক আদালতে দেনমোহর এবং বিয়ের পর থেকে তালাকের নোটিশ দেওয়ার পরের তিন মাসের ভরণপোষণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর যদি কোনো পক্ষই তালাকের নোটিশ দিতে না চায়, তাহলেও আপনার বোন দেনমোহরের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ভরণপোষণের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। তবে মামলায় গেলে রায় পেতে দেরি হবে এবং মামলার খরচও বহন করতে হবে। তাই মামলায় না গিয়ে মীমাংসা করে নিলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন,অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে