ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে। দুই সন্তান—একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। মেয়ের বয়স ২৫ আর ছেলের ১৪ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার আগে তার বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়নি। সম্প্রতি আমার দেবর ও ভাশুরেরা সম্পত্তি ভাগাভাগি করেছেন, যেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাঁরা এমনভাবে সব করেছেন, যা স্বামীর অবর্তমানে আমি কিংবা আমার সন্তানেরা সম্পত্তির কোনো ভাগই পাব না। এ ক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি। কেস করতে চাইলে সেটা কীভাবে করলে সুবিধা হবে?
সাবিনা কবির, খুলনা
উত্তর: আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আসলে আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঘটে এবং এটা অন্যায়। আপনার স্বামীর মারা যাওয়ায় আপনি এবং সন্তানেরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। মুসলিম আইন অনুযায়ী, শ্বশুরের সম্পত্তি ভাগাভাগি হওয়ার সময় আপনার স্বামী জীবিত থাকলে যে অংশ পেতেন, মৃত্যুর পরেও তাঁর সেই প্রাপ্য অংশই আপনি এবং আপনার সন্তানেরা ওয়ারিশান হিসেবে পাবেন। কাজেই আপনার দেবর ও ভাশুরেরা যেভাবে আপনাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন, তা বেআইনি। আপনাদের প্রথমেই ওয়ারিশনামা বের করতে হবে। এরপর বিজ্ঞ আদালতে একটি পার্টিশন শুট করতে হবে। সেখানে বিজ্ঞ আদালত ওয়ারিশান অনুযায়ী, আপনার শ্বশুরের সম্পত্তি আপনি, আপনার ছেলেমেয়ে, দেবর, ভাশুর এবং আরও ওয়ারিশান থাকলে–যেমন আপনার ননদ কিংবা শাশুড়ি–সবার মধ্যে আইন অনুযায়ী ভাগ করে দেবেন।
তবে এ ধরনের মামলায় অনেক দীর্ঘসূত্রতা থাকে। কাজেই উচিত হবে প্রথমে আপনার দেবর ও ভাশুরকে একটি উকিল নোটিশ পাঠানো। এ জন্য আপনি একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন। তিনি দেশের মুসলিম আইনের আলোকে যখন আপনার দেবর ও ভাশুরকে উকিল নোটিশ পাঠাবেন, তখন তাঁরা যদি তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে আপসে আপনার শ্বশুরের সম্পত্তি তাঁর ওয়ারিশনামা অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারবেন। এতে আপনাদের মামলার জন্য সময় ও অর্থ ব্যয়–দুটোই বাঁচবে। আর যদি উকিল নোটিশে কাজ না হয়, তাহলে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে।
আরেকটি বিষয়। ছেলে যেহেতু নাবালক (১৪ বছর), তাই সে তার বাবার সম্পত্তির যে অংশ পাবে, এর দেখভাল করার জন্য আপনাকে বিজ্ঞ আদালতে তাঁর সম্পত্তির লিগ্যাল গার্ডিয়ান হওয়ার দরখাস্ত করতে হবে। ছেলের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনি (যদি আদালত আপনাকে লিগ্যাল গার্ডিয়ানশিপ দেন) সেই সম্পত্তি দেখভাল করবেন। ছেলের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেলে তখন তার সম্পত্তির দায়িত্ব নিজেই বুঝে পাবে। এর আগে ছেলের সম্পত্তি আপনি বা যে লিগ্যাল গার্ডিয়ান হবেন, তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন না।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছে। দুই সন্তান—একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। মেয়ের বয়স ২৫ আর ছেলের ১৪ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার আগে তার বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি হয়নি। সম্প্রতি আমার দেবর ও ভাশুরেরা সম্পত্তি ভাগাভাগি করেছেন, যেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাঁরা এমনভাবে সব করেছেন, যা স্বামীর অবর্তমানে আমি কিংবা আমার সন্তানেরা সম্পত্তির কোনো ভাগই পাব না। এ ক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি। কেস করতে চাইলে সেটা কীভাবে করলে সুবিধা হবে?
সাবিনা কবির, খুলনা
উত্তর: আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আসলে আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঘটে এবং এটা অন্যায়। আপনার স্বামীর মারা যাওয়ায় আপনি এবং সন্তানেরা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। মুসলিম আইন অনুযায়ী, শ্বশুরের সম্পত্তি ভাগাভাগি হওয়ার সময় আপনার স্বামী জীবিত থাকলে যে অংশ পেতেন, মৃত্যুর পরেও তাঁর সেই প্রাপ্য অংশই আপনি এবং আপনার সন্তানেরা ওয়ারিশান হিসেবে পাবেন। কাজেই আপনার দেবর ও ভাশুরেরা যেভাবে আপনাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন, তা বেআইনি। আপনাদের প্রথমেই ওয়ারিশনামা বের করতে হবে। এরপর বিজ্ঞ আদালতে একটি পার্টিশন শুট করতে হবে। সেখানে বিজ্ঞ আদালত ওয়ারিশান অনুযায়ী, আপনার শ্বশুরের সম্পত্তি আপনি, আপনার ছেলেমেয়ে, দেবর, ভাশুর এবং আরও ওয়ারিশান থাকলে–যেমন আপনার ননদ কিংবা শাশুড়ি–সবার মধ্যে আইন অনুযায়ী ভাগ করে দেবেন।
তবে এ ধরনের মামলায় অনেক দীর্ঘসূত্রতা থাকে। কাজেই উচিত হবে প্রথমে আপনার দেবর ও ভাশুরকে একটি উকিল নোটিশ পাঠানো। এ জন্য আপনি একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন। তিনি দেশের মুসলিম আইনের আলোকে যখন আপনার দেবর ও ভাশুরকে উকিল নোটিশ পাঠাবেন, তখন তাঁরা যদি তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে আপসে আপনার শ্বশুরের সম্পত্তি তাঁর ওয়ারিশনামা অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারবেন। এতে আপনাদের মামলার জন্য সময় ও অর্থ ব্যয়–দুটোই বাঁচবে। আর যদি উকিল নোটিশে কাজ না হয়, তাহলে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে।
আরেকটি বিষয়। ছেলে যেহেতু নাবালক (১৪ বছর), তাই সে তার বাবার সম্পত্তির যে অংশ পাবে, এর দেখভাল করার জন্য আপনাকে বিজ্ঞ আদালতে তাঁর সম্পত্তির লিগ্যাল গার্ডিয়ান হওয়ার দরখাস্ত করতে হবে। ছেলের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনি (যদি আদালত আপনাকে লিগ্যাল গার্ডিয়ানশিপ দেন) সেই সম্পত্তি দেখভাল করবেন। ছেলের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেলে তখন তার সম্পত্তির দায়িত্ব নিজেই বুঝে পাবে। এর আগে ছেলের সম্পত্তি আপনি বা যে লিগ্যাল গার্ডিয়ান হবেন, তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন না।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে