Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়ায় জোকোভিচ কাণ্ডে রাজনীতিতে চাপানউতর

অস্ট্রেলিয়ায় জোকোভিচ কাণ্ডে রাজনীতিতে চাপানউতর

পুরুষ টেনিসে বিশ্বে এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ। তাঁকে ঘিরে চলমান বিপত্তি থেকে সহজে বের হতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া সরকার। জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয়ের জন্য আসছেন, এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বলতে গেলে মরিসন সরকার ব্যাকফুটে রয়েছে। 

কারণ টিকাবিরোধী হিসেবে জোকোভিচের নাম এর আগেই ‘বিখ্যাত’ হয়ে গেছে। এরপরও তিনি অস্ট্রেলিয়া ঢুকতে পেরেছেন। তাঁকে আটকও করা হয়। এরপর একটি আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দেন। তা সত্ত্বেও জোকোভিচের ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের কী ব্যাখ্যা হতে পারে? কারণটা পরিষ্কার—সামনে নির্বাচন। অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের সামনে এ ছাড়া আর মুখ বাঁচানোর উপায় ছিল না মরিসনের। 

মনে হচ্ছে, ভোটের আগে মুখরক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীনেরা যেকোনো কূটনৈতিক বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতিকে বিব্রত করা এবং জোকোভিচের লাখ লাখ সমর্থকের ক্রোধ সহ্য করতে প্রস্তুত। 

জোকোভিচকে ঘিরে ঘটনাগুলো খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যায়, দুই সপ্তাহ ধরে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার একটা অবস্থান ভোটারদের দেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে—কেউ-ই নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি পুরুষ টেনিসে বিশ্বের এক নম্বর তারকা হলেও নয়। 

পাবলিককে কথায় কথায় আইন দেখানো, আইনের শাসন নিয়ে মুখে খই ফোটানোর কাজটা খুব সহজ। এই নীতি বাস্তবায়ন রাজনীতিকদের কাছে খুব জটিল জিনিস হলেও সাধারণ জনগণের কাছে অতি সহজ-সরল। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিকেরা সেই রূপটাই দেখিয়েছেন। জোকোভিচের ঘটনাটি নিয়ে তাঁরা ত্যানা প্যাঁচিয়েছেন। 

অথচ জোকোভিচ আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, কোনো খেলোয়াড় মেলবোর্নে পৌঁছানোর পর যদি দেখা যায় তাঁর নথিপত্র ঠিকঠাক নেই তাহলে ‘পরের ফ্লাইটেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে’। পরের দিন ৬ জানুয়ারি জোকোভিচের ভিসা বাতিলের পর মরিসন ওই বক্তব্যেরই পুনরুক্তি করে বলেন, ‘নিয়ম নিয়মই’। 

এরপর জোকোভিচ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন। মরিসন তখন বলেন, এখন এটা আদালতের এখতিয়ারের বিষয়। 

কিন্তু হঠাৎ করেই সরকারের অবস্থান খুবই নড়বড়ে হতে শুরু করে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে করোনা বিধিনিষেধের সঙ্গে আইনি জটিলতাগুলো নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে সময় চাওয়া হলে একজন বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেন। টিকা না নিয়েও জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইটে কীভাবে চড়তে পারলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের ত্রুটি নিয়েও অনেকে কথা বলতে থাকেন। 

বিচারক অ্যান্টনি কেলি যখন জোকোভিচের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন—মেলবোর্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সরকারকে জোকোভিচের ভিসা ফিরিয়ে দিয়ে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক—তখনই কিন্তু পুরো বিষয়টি মিটে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। 

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হকের কাছে ভিসা বাতিল করা এবং জোকোভিচকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্বাহী ক্ষমতা ছিল এবং তিনি সেই ক্ষমতা দেখালেন। 

আদালতের আদেশের পরও মন্ত্রী আগ বাড়িয়ে কেন এ কাজটা করলেন? পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পুরোটাই রাজনৈতিক। নোংরা রাজনীতি থেকে মুক্তি নেই! 

এখানে সরকারের সামনে দুটি বিষয় বিবেচনা করার আছে। 

প্রথমত, মরিসন প্রশাসনকে এই ঘটনা দারুণভাবে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে তো বটেই প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের কাছে, এমন একটা বার্তা যাচ্ছে যে, রাজনীতিবিদেরা এমন একটা নিয়ম প্রয়োগ করছেন যা তাঁরা নিজেরাই ঠিকঠাক বোঝেন না! তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না বলেও মনে হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারের সমন্বয়হীনতাই এখানে স্পষ্ট হচ্ছে। 

শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, শুরুতে সরকারের একটি স্তর—ভিক্টোরিয়া রাজ্য— টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। কেন্দ্র সরকারের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছিলেন। টুর্নামেন্ট আয়োজকেরা অভিযোগ করছিলেন যে, তাঁরা এই ভজঘটের মধ্যে পড়ে গেছেন। 

দ্বিতীয়ত, কোভিডে কড়াকড়ি আর টেনিসে ছাড়— দেশজুড়ে ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। যখন অস্ট্রেলিয়ার দুটি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার কোভিড আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। অবশ্য ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এখানে সংক্রমণ হার কম। যেখানে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়া কঠোর কোভিড নিয়ম আরোপ করেছে। মাঝে মাঝে একক রোগী শনাক্তের পরই পুরো শহর বা রাজ্য লকডাউনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। 

এমন পরিস্থিতিতে টেনিস নিয়ে সরকারের এমন লেজেগোবরে অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ানরা নিজেদের উপেক্ষিত, পরিত্যক্ত বোধ করছেন। তাঁরা বলছেন, সরকার যা যা বলেছে আমরা সব করেছি। তাঁরা টিকা পেয়েছেন। অনেকে বুস্টারও পাচ্ছে। এরপরও ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জনগণের এখন দিশেহারা অবস্থা। আর কী কী করলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে! নতুন করে আর কঠোর লকডাউন আহ্বান করার মতো অবস্থায় কেউ নেই। 

জনগণের এই অবস্থার মধ্যে এমন একজন টেনিস তারকাকে নিয়ে হইচই চলছে যিনি গর্বের সঙ্গেই নিজেকে টিকাবিরোধী বলে প্রচার করেন! যিনি এরই মধ্যে কোভিড পজিটিভ থাকাকালীন আইসোলেশনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং ভ্রমণ ভিসার নথিপত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। 

কোনো সন্দেহ নেই, এই বিতর্কের ফেরে স্কট মরিসন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ; পারস্পরিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা; সমন্বয়হীনতা, কোন আইন কার জন্য প্রযোজ্য তা নিয়ে অস্পষ্টতা ও অস্বচ্ছতা; একজন টিকাবিরোধী বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ যিনি কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করেছেন—সব মিলিয়ে সরকারে একটি এলোমেলো ছবি মেলে ধরেছে। রাজনীতিকেরা এখন মরিয়া হয়ে সেই ছবিটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন। 

এখন একটা বিষয় আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আদালতের রায় মেনে জোকোভিচের ভিসা বাতিল না করলে সরকারকে আরও অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে হতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাইডেনের সময় ইসরায়েলকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে মারা যায় প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে মারা যায় প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।

২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।

বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।

রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।

বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
ইরান ৬০ লাখ লিটার ডিজেলবাহী একটি ট্যাংকার আটক করেছে। এতে থাকা ১৮ ক্রুর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছে। তাদের সবাইকে আটক করেছে ইরান। ছবি: সংগৃহীত
ইরান ৬০ লাখ লিটার ডিজেলবাহী একটি ট্যাংকার আটক করেছে। এতে থাকা ১৮ ক্রুর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছে। তাদের সবাইকে আটক করেছে ইরান। ছবি: সংগৃহীত

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।

মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’

ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন দূত টম বারাক। ছবি: এএফপি
মার্কিন দূত টম বারাক। ছবি: এএফপি

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।

বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’

বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’

বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।

বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’

এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।

তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিডল ইস্ট আই এর প্রতিবেদন /ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৭
প্রতীকী ছবি। ছবি: এএফপি
প্রতীকী ছবি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।

বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’

ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’

ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’

শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।

রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—

  • প্রতি পাঁচজন অশ্বেতাঙ্গ মানুষের মধ্যে তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
  • শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মধ্যে প্রতি ২০ জনের মধ্যে কেবল একজন একই ঝুঁকির সম্মুখীন।
  • ভারত (৯ লাখ ৮৪ হাজার জন), পাকিস্তান (৬ লাখ ৭৯ হাজার জন) এবং বাংলাদেশি (ঝুঁকিতে থাকা ৩৩ লাখ এশীয় ব্রিটিশদের বাংলাদেশি অনেক বেশি) ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
  • কার্যতভাবে যাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই দক্ষিণ এশীয়, মধ্যপ্রাচ্য বা উত্তর আফ্রিকা থেকে যাওয়া ‘মুসলিম।’

প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।

এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত