কামরুল হাসান

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলেন বের হওয়ার সময় ভান্তে ফোনও সঙ্গে নেননি। আমরা এসেছি বৌদ্ধবিহারে হামলার এক বছর পূর্ণ হওয়ার ফলোআপ করতে। স্বাভাবিকভাবেই হালনাগাদ তথ্যের জন্য প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সঙ্গে কথা বলাটা জরুরি। রানা খুবই বিরক্ত, কিন্তু আমার মুখের দিকে চেয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
অবশেষে আমাদের ক্লান্ত অপেক্ষায় ক্ষান্ত দিয়ে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু এলেন ঘণ্টা দেড়েক পরে, মলিন মুখে। মনে হলো তিনি কোনো কিছু নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছেন। কী নিয়ে তিনি অত ব্যস্ত জানতে চাইলে এক বৃদ্ধার কথা বললেন, যিনি দুই দিন আগে মারা গেছেন। এরপর সেই করুণ মৃত্যুর কাহিনি শুনতে আমাদের নিয়ে গেলেন বৃদ্ধার বাড়িতে, বিহার থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে।
বৃদ্ধার নাম জ্যোতিকাবালা বড়ুয়া। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা শরৎ বাবুর ‘মহেশ’ গল্পকে মনে করিয়ে দেয়। সেই গল্পে জমিদারের জমিতে ঘাস খাওয়ার অপরাধে দরিদ্র গফুরের ‘মহেশ’কে শাস্তি পেতে হয়েছিল। মহেশের মৃত্যুর পর রাতের অন্ধকারে গফুর আর তাঁর আদরের মেয়ে আমিনা সৃষ্টিকর্তার কাছে জমিদারের বিরুদ্ধে নালিশ দিতে দিতে গ্রাম ছাড়েন। বলেন, ‘যে তোমার দেওয়া মাঠের ঘাস, তোমার দেওয়া তেষ্টার জল তাকে খেতে দেয়নি, তার কসুর তুমি যেন কখনো মাফ করো না।’
কক্সবাজারের জ্যোতিকাবালা অবশ্য অতটা সাহস দেখাতে পারেননি। তার আদরের গাভিটি ঘাস খেতে ঢুকেছিল রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের আঙিনায়। এই অপরাধে রাতভর গাভিটিকে আটকে রাখা হয়। জ্যোতিকাবালাকেও গালমন্দ করা হয়। লজ্জায়, অপমানে নীল জ্যোতিকাবালা ঘটনার পরপর চলে যান সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। গফুরের মতো প্রিয় গাভির জন্য কোনো অপমান তাঁকে আর স্পর্শ করতে হয়নি।
সেই নির্বাহী কর্মকর্তা হয়তো ভেবেছিলেন, হতদরিদ্র বিধবা নারীর অপমানে সমাজের কোনো তাল ভঙ্গ হবে না। কিন্তু রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ সেই অপমান নিজের করে নেয়। এরপর ‘আপাত নিরীহ’ এই ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে। জ্যোতিকাবালার মৃত্যুকে ‘প্ররোচিত’ দাবি করে বিচার চায়। তাদের সঙ্গী হয় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও।
রামু উপজেলার মেরংলোয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের পাশেই দরিদ্র জ্যোতিকাবালার বাড়ি। স্বামী বাঁশিমোহন বড়ুয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। এরপর তিন মেয়েকে নিয়ে শুরু তাঁর সংগ্রামের জীবন। বড় মেয়ে বিয়ে করে সংসারী হন। মেজ মেয়ে আরজু পরিবারের হাল ধরতে শহরে পোশাক কারখানায় কাজ নেন। ছোট মেয়ে পপি তখন রামু কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তেন। চারজনের এই পরিবারে আর ছিল সন্তানসম গাভিটি। পরিবারের ভার বহনে এর ভূমিকাও কম ছিল না।
আরজু বললেন, গাভিটি দূর থেকে মায়ের উপস্থিতি বুঝতে পারত। আর মা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতেন গাভির সঙ্গে। নিজে না খেলেও তাকে না খাইয়ে রাখতেন না। গাভির ওপরই মেয়েদের ভবিষ্যৎ সঁপে দিয়েছিলেন জ্যোতিকাবালা।
আরজু আমাদের বলেছিলেন, সেদিন বিকেলে (৩ জানুয়ারি ২০১৩) হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় গাভিটি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা পাগলপ্রায়। পরদিন সকালে জানতে পারেন, আগের দিন বিকেলে গাভিটি উপজেলা পরিষদের আবাসিক আঙিনায় ঢুকে পড়েছিল। এই অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাভিটি আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ছোট মেয়ে পপিকে নিয়ে জ্যোতিকাবালা যান গাভিটি ছাড়াতে।
পপি আমাদের বললেন, ‘আমাদের দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নির্বাহী কর্মকর্তা। বললেন, এক হাজার টাকা না দিলে গরু দেব না। খোঁয়াড়ে দেব। তোকেও (জ্যোতিকাবালাকে) পুলিশে দেব। না হলে গরু জবাই করে লোকজনকে খাওয়াব।’ এক হাজার টাকার কথা শুনে মা অনেক মিনতি করেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। খালি হাতে ফিরে আসেন জ্যোতিকাবালা। ‘ইউএনওর বাড়ি থেকে বের হয়ে শহীদ মিনারের কাছে এসে মায়ের জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়। কোনোমতে ধরে বাড়িতে আনি। সেদিন সারা দিন মা কিছু খাননি। গরু ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা আর সরকারি কর্মকর্তার গালমন্দ শুনে নিভৃতে কাঁদতে থাকেন। বিকেলের দিকে কিছুটা সুস্থ হলে গাভিটি ছাড়িয়ে আনেন।’ এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।
জ্যোতিকাবালা ছিলেন উচ্চরক্তচাপের রোগী। ঘটনার পর থেকে দুশ্চিন্তায় তাঁর রক্তচাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রামু থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু অনটনের কারণে মেয়েরা তাঁকে নিতে পারেননি। পরের দিন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু পরের দিনের সূর্যোদয় আর দেখা হয়নি জ্যোতিকাবালার।
জ্যোতিকাবালার শবযাত্রায় এসে এসব ঘটনা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় লোকজন। ৬ জানুয়ারি (২০১৩) মিছিল করে তারা ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করে। মিছিলে সব সম্প্রদায়ের লোকজনই ছিল। শুধু ছিলেন না কোনো রাজনৈতিক নেতা। ছেলে-বুড়ো সবার এই মিছিল পুলিশের বাধার মুখেও পড়ে।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা বা বক্তব্য শোনা সাংবাদিকতার খুব সাধারণ একটা নিয়ম। সেই নিয়মে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমার প্রশ্ন ছিল, ‘আবাসিক এলাকায় গরু ঢুকে কোনো ক্ষতি করলে খোঁয়াড়ে দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু বৃদ্ধাকে গালমন্দ করলেন কেন?’ প্রশ্ন শুনেই তেতে ওঠেন নির্বাহী কর্মকর্তা। বলেন, ‘কে বলেছে গালাগাল করেছি। বাজে কথা বলতে আসবেন না।’
পরের প্রশ্ন ছিল, তাহলে এ ঘটনা নিয়ে মিছিল হলো কেন? জবাবে সেই প্রচলিত উত্তর, ‘এখানকার কিছু লোক চাইছে না আমি থাকি। তারা এসব করেছে।’
তবে তখনকার রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন আমাদের বলেছিলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা বৃদ্ধাকে বকাঝকা করেছিলেন। সেটা তিনিও জানতেন।
জ্যোতিকাবালার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের কেউ এ নিয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ জানাতে যাননি। নিরুপায়ের যে চিরন্তন ভরসা, তাতেই মা হারানোর সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছিলেন দুই বোন। আরজু আমাদের বললেন, ‘আমরা কোনো বিচার চাইনে স্যার, আমাদের বিচারের জন্য তো ভগবান আছেন। তিনি সব দেখেন, যা করার তিনিই করবেন।’ তাঁর দুচোখ টলমল।
আরজুর কথা শুনে নোটবুক পকেটে ঢুকিয়ে গাড়িতে উঠতেই মনে পড়ে গেল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথা–‘ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্রপল্লিতে’। জ্যোতিকাবালার পরিবার ‘কি তাহাকে খুঁজিয়া পাইবে?’
আরও পড়ুন:

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলেন বের হওয়ার সময় ভান্তে ফোনও সঙ্গে নেননি। আমরা এসেছি বৌদ্ধবিহারে হামলার এক বছর পূর্ণ হওয়ার ফলোআপ করতে। স্বাভাবিকভাবেই হালনাগাদ তথ্যের জন্য প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সঙ্গে কথা বলাটা জরুরি। রানা খুবই বিরক্ত, কিন্তু আমার মুখের দিকে চেয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
অবশেষে আমাদের ক্লান্ত অপেক্ষায় ক্ষান্ত দিয়ে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু এলেন ঘণ্টা দেড়েক পরে, মলিন মুখে। মনে হলো তিনি কোনো কিছু নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছেন। কী নিয়ে তিনি অত ব্যস্ত জানতে চাইলে এক বৃদ্ধার কথা বললেন, যিনি দুই দিন আগে মারা গেছেন। এরপর সেই করুণ মৃত্যুর কাহিনি শুনতে আমাদের নিয়ে গেলেন বৃদ্ধার বাড়িতে, বিহার থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে।
বৃদ্ধার নাম জ্যোতিকাবালা বড়ুয়া। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা শরৎ বাবুর ‘মহেশ’ গল্পকে মনে করিয়ে দেয়। সেই গল্পে জমিদারের জমিতে ঘাস খাওয়ার অপরাধে দরিদ্র গফুরের ‘মহেশ’কে শাস্তি পেতে হয়েছিল। মহেশের মৃত্যুর পর রাতের অন্ধকারে গফুর আর তাঁর আদরের মেয়ে আমিনা সৃষ্টিকর্তার কাছে জমিদারের বিরুদ্ধে নালিশ দিতে দিতে গ্রাম ছাড়েন। বলেন, ‘যে তোমার দেওয়া মাঠের ঘাস, তোমার দেওয়া তেষ্টার জল তাকে খেতে দেয়নি, তার কসুর তুমি যেন কখনো মাফ করো না।’
কক্সবাজারের জ্যোতিকাবালা অবশ্য অতটা সাহস দেখাতে পারেননি। তার আদরের গাভিটি ঘাস খেতে ঢুকেছিল রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের আঙিনায়। এই অপরাধে রাতভর গাভিটিকে আটকে রাখা হয়। জ্যোতিকাবালাকেও গালমন্দ করা হয়। লজ্জায়, অপমানে নীল জ্যোতিকাবালা ঘটনার পরপর চলে যান সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। গফুরের মতো প্রিয় গাভির জন্য কোনো অপমান তাঁকে আর স্পর্শ করতে হয়নি।
সেই নির্বাহী কর্মকর্তা হয়তো ভেবেছিলেন, হতদরিদ্র বিধবা নারীর অপমানে সমাজের কোনো তাল ভঙ্গ হবে না। কিন্তু রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ সেই অপমান নিজের করে নেয়। এরপর ‘আপাত নিরীহ’ এই ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে। জ্যোতিকাবালার মৃত্যুকে ‘প্ররোচিত’ দাবি করে বিচার চায়। তাদের সঙ্গী হয় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও।
রামু উপজেলার মেরংলোয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের পাশেই দরিদ্র জ্যোতিকাবালার বাড়ি। স্বামী বাঁশিমোহন বড়ুয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। এরপর তিন মেয়েকে নিয়ে শুরু তাঁর সংগ্রামের জীবন। বড় মেয়ে বিয়ে করে সংসারী হন। মেজ মেয়ে আরজু পরিবারের হাল ধরতে শহরে পোশাক কারখানায় কাজ নেন। ছোট মেয়ে পপি তখন রামু কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তেন। চারজনের এই পরিবারে আর ছিল সন্তানসম গাভিটি। পরিবারের ভার বহনে এর ভূমিকাও কম ছিল না।
আরজু বললেন, গাভিটি দূর থেকে মায়ের উপস্থিতি বুঝতে পারত। আর মা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতেন গাভির সঙ্গে। নিজে না খেলেও তাকে না খাইয়ে রাখতেন না। গাভির ওপরই মেয়েদের ভবিষ্যৎ সঁপে দিয়েছিলেন জ্যোতিকাবালা।
আরজু আমাদের বলেছিলেন, সেদিন বিকেলে (৩ জানুয়ারি ২০১৩) হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় গাভিটি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা পাগলপ্রায়। পরদিন সকালে জানতে পারেন, আগের দিন বিকেলে গাভিটি উপজেলা পরিষদের আবাসিক আঙিনায় ঢুকে পড়েছিল। এই অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাভিটি আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ছোট মেয়ে পপিকে নিয়ে জ্যোতিকাবালা যান গাভিটি ছাড়াতে।
পপি আমাদের বললেন, ‘আমাদের দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নির্বাহী কর্মকর্তা। বললেন, এক হাজার টাকা না দিলে গরু দেব না। খোঁয়াড়ে দেব। তোকেও (জ্যোতিকাবালাকে) পুলিশে দেব। না হলে গরু জবাই করে লোকজনকে খাওয়াব।’ এক হাজার টাকার কথা শুনে মা অনেক মিনতি করেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। খালি হাতে ফিরে আসেন জ্যোতিকাবালা। ‘ইউএনওর বাড়ি থেকে বের হয়ে শহীদ মিনারের কাছে এসে মায়ের জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়। কোনোমতে ধরে বাড়িতে আনি। সেদিন সারা দিন মা কিছু খাননি। গরু ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা আর সরকারি কর্মকর্তার গালমন্দ শুনে নিভৃতে কাঁদতে থাকেন। বিকেলের দিকে কিছুটা সুস্থ হলে গাভিটি ছাড়িয়ে আনেন।’ এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।
জ্যোতিকাবালা ছিলেন উচ্চরক্তচাপের রোগী। ঘটনার পর থেকে দুশ্চিন্তায় তাঁর রক্তচাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রামু থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু অনটনের কারণে মেয়েরা তাঁকে নিতে পারেননি। পরের দিন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু পরের দিনের সূর্যোদয় আর দেখা হয়নি জ্যোতিকাবালার।
জ্যোতিকাবালার শবযাত্রায় এসে এসব ঘটনা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় লোকজন। ৬ জানুয়ারি (২০১৩) মিছিল করে তারা ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করে। মিছিলে সব সম্প্রদায়ের লোকজনই ছিল। শুধু ছিলেন না কোনো রাজনৈতিক নেতা। ছেলে-বুড়ো সবার এই মিছিল পুলিশের বাধার মুখেও পড়ে।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা বা বক্তব্য শোনা সাংবাদিকতার খুব সাধারণ একটা নিয়ম। সেই নিয়মে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমার প্রশ্ন ছিল, ‘আবাসিক এলাকায় গরু ঢুকে কোনো ক্ষতি করলে খোঁয়াড়ে দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু বৃদ্ধাকে গালমন্দ করলেন কেন?’ প্রশ্ন শুনেই তেতে ওঠেন নির্বাহী কর্মকর্তা। বলেন, ‘কে বলেছে গালাগাল করেছি। বাজে কথা বলতে আসবেন না।’
পরের প্রশ্ন ছিল, তাহলে এ ঘটনা নিয়ে মিছিল হলো কেন? জবাবে সেই প্রচলিত উত্তর, ‘এখানকার কিছু লোক চাইছে না আমি থাকি। তারা এসব করেছে।’
তবে তখনকার রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন আমাদের বলেছিলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা বৃদ্ধাকে বকাঝকা করেছিলেন। সেটা তিনিও জানতেন।
জ্যোতিকাবালার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের কেউ এ নিয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ জানাতে যাননি। নিরুপায়ের যে চিরন্তন ভরসা, তাতেই মা হারানোর সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছিলেন দুই বোন। আরজু আমাদের বললেন, ‘আমরা কোনো বিচার চাইনে স্যার, আমাদের বিচারের জন্য তো ভগবান আছেন। তিনি সব দেখেন, যা করার তিনিই করবেন।’ তাঁর দুচোখ টলমল।
আরজুর কথা শুনে নোটবুক পকেটে ঢুকিয়ে গাড়িতে উঠতেই মনে পড়ে গেল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথা–‘ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্রপল্লিতে’। জ্যোতিকাবালার পরিবার ‘কি তাহাকে খুঁজিয়া পাইবে?’
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে
২৯ জানুয়ারি ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে
২৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে
২৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সীমাবিহারের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর জন্য বসে আছি অনেকক্ষণ। তিনি কোথায় গেছেন কেউ বলতে পারছেন না আবার ফোনও ধরছেন না। আমার সঙ্গে কক্সবাজারের সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি কয়েকজনের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে
২৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে