
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’। গত শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে নজরদারির এই সফটওয়্যার। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির বিষয়টি, যার কেন্দ্রে ছিল পেগাসাস।
মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। গোপনীয়তা রক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দেশটিতে নজরদারির জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ‘কথিত’ ব্যবহারের ঘটনা তদন্তের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩ সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নজরদারির সামগ্রী কিনতে ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ছিল পেগাসাস ও একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
পেগাসাস যা করতে পারবে, অন্য কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় এক দশক ধরে সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই সফটওয়্যার বিক্রি করে আসছে এনএসও গ্রুপ। পেগাসাস ব্যবহার করে ধারাবাহিক এবং নির্ভরযোগ্যভাবে যেকোনো আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এনক্রিপ্ট করা সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিবেদনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নরেন্দ্র মোদির ইসরায়েল সফরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। কিন্তু মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ইসরায়েল এবং তাঁর সফরটি ছিল বিশেষ সৌহার্দ্যপূর্ণ।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং নরেন্দ্র মোদির একসঙ্গে স্থানীয় একটি সমুদ্রের তীরে হাঁটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর কয়েক মাস পর, এক বিরল রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান নেতানিয়াহু। আর ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে ইসরায়েলের সমর্থনে ভোট দেয় ভারত, যা ভেস্তে দিয়েছিল ফিলিস্তিনের একটি মানবাধিকার সংস্থাকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে বিজেপি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও পেগাসাস নিয়ে গত বছর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নজরদারির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
মার্কিন গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টালমাটাল এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। কিন্তু ফের পেগাসাস ইস্যু সামনে চলে আসায় বর্ষাকালীন অধিবেশনের মতো বাজেট অধিবেশনও উত্তপ্ত হতে পারে। কারণ, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই নজরদারি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির নীরবতা নিয়েও।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে বেআইনিভাবে নজরদারি চালানো অবশ্যই দেশদ্রোহিতার শামিল। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতে, বিজেপির দ্বারা সবই সম্ভব, তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। আর তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বলছেন, গণতন্ত্র বা সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই নেই বিজেপির। এ ছাড়া ভারতের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও পেগাসাস-কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শুধু ভারত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও পেগাসাস সফটওয়্যারের একটি সংস্করণ কিনেছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া এনএসও গ্রুপ ২০১১ সালে পেগাসাসকে বিশ্ববাজারে ‘প্রবর্তন’ করার পর এটি ব্যবহার করে তখন এল চ্যাপো নামে পরিচিত মাদক সম্রাট জোয়াকুইন গুজমান লোরাকে আটক করেছিল মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করেছে পেগাসাস। তবে বছরের পর বছর পেগাসাসের অনেক অপব্যবহারও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। যেমন, শুধু গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধেই নয়, সাংবাদিক ও রাজনীতিকসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধেও পেগাসাস ব্যবহার করেছে মেক্সিকো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে এক নাগরিক অধিকারকর্মীর ফোন হ্যাক করেছে, পরে যাঁকে কারাবন্দী করেছে সরকার।
এ ছাড়া নারী অধিকারকর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পেগাসাস ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় সাংবাদিক খাশোগিকে।
তবে বিশ্বব্যাপী তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে গত বছরের জুলাইয়ে এনএসও গ্রুপের নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস অপব্যবহারের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি ‘পর্যালোচনা’ করার ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েল।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’। গত শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে নজরদারির এই সফটওয়্যার। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির বিষয়টি, যার কেন্দ্রে ছিল পেগাসাস।
মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। গোপনীয়তা রক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দেশটিতে নজরদারির জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ‘কথিত’ ব্যবহারের ঘটনা তদন্তের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩ সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নজরদারির সামগ্রী কিনতে ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ছিল পেগাসাস ও একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
পেগাসাস যা করতে পারবে, অন্য কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় এক দশক ধরে সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই সফটওয়্যার বিক্রি করে আসছে এনএসও গ্রুপ। পেগাসাস ব্যবহার করে ধারাবাহিক এবং নির্ভরযোগ্যভাবে যেকোনো আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এনক্রিপ্ট করা সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিবেদনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নরেন্দ্র মোদির ইসরায়েল সফরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। কিন্তু মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ইসরায়েল এবং তাঁর সফরটি ছিল বিশেষ সৌহার্দ্যপূর্ণ।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং নরেন্দ্র মোদির একসঙ্গে স্থানীয় একটি সমুদ্রের তীরে হাঁটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর কয়েক মাস পর, এক বিরল রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান নেতানিয়াহু। আর ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে ইসরায়েলের সমর্থনে ভোট দেয় ভারত, যা ভেস্তে দিয়েছিল ফিলিস্তিনের একটি মানবাধিকার সংস্থাকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে বিজেপি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও পেগাসাস নিয়ে গত বছর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নজরদারির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
মার্কিন গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টালমাটাল এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। কিন্তু ফের পেগাসাস ইস্যু সামনে চলে আসায় বর্ষাকালীন অধিবেশনের মতো বাজেট অধিবেশনও উত্তপ্ত হতে পারে। কারণ, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই নজরদারি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির নীরবতা নিয়েও।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে বেআইনিভাবে নজরদারি চালানো অবশ্যই দেশদ্রোহিতার শামিল। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতে, বিজেপির দ্বারা সবই সম্ভব, তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। আর তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বলছেন, গণতন্ত্র বা সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই নেই বিজেপির। এ ছাড়া ভারতের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও পেগাসাস-কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শুধু ভারত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও পেগাসাস সফটওয়্যারের একটি সংস্করণ কিনেছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া এনএসও গ্রুপ ২০১১ সালে পেগাসাসকে বিশ্ববাজারে ‘প্রবর্তন’ করার পর এটি ব্যবহার করে তখন এল চ্যাপো নামে পরিচিত মাদক সম্রাট জোয়াকুইন গুজমান লোরাকে আটক করেছিল মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করেছে পেগাসাস। তবে বছরের পর বছর পেগাসাসের অনেক অপব্যবহারও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। যেমন, শুধু গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধেই নয়, সাংবাদিক ও রাজনীতিকসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধেও পেগাসাস ব্যবহার করেছে মেক্সিকো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে এক নাগরিক অধিকারকর্মীর ফোন হ্যাক করেছে, পরে যাঁকে কারাবন্দী করেছে সরকার।
এ ছাড়া নারী অধিকারকর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পেগাসাস ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় সাংবাদিক খাশোগিকে।
তবে বিশ্বব্যাপী তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে গত বছরের জুলাইয়ে এনএসও গ্রুপের নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস অপব্যবহারের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি ‘পর্যালোচনা’ করার ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েল।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’। গত শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে নজরদারির এই সফটওয়্যার। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির বিষয়টি, যার কেন্দ্রে ছিল পেগাসাস।
মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। গোপনীয়তা রক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দেশটিতে নজরদারির জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ‘কথিত’ ব্যবহারের ঘটনা তদন্তের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩ সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নজরদারির সামগ্রী কিনতে ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ছিল পেগাসাস ও একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
পেগাসাস যা করতে পারবে, অন্য কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় এক দশক ধরে সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই সফটওয়্যার বিক্রি করে আসছে এনএসও গ্রুপ। পেগাসাস ব্যবহার করে ধারাবাহিক এবং নির্ভরযোগ্যভাবে যেকোনো আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এনক্রিপ্ট করা সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিবেদনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নরেন্দ্র মোদির ইসরায়েল সফরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। কিন্তু মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ইসরায়েল এবং তাঁর সফরটি ছিল বিশেষ সৌহার্দ্যপূর্ণ।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং নরেন্দ্র মোদির একসঙ্গে স্থানীয় একটি সমুদ্রের তীরে হাঁটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর কয়েক মাস পর, এক বিরল রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান নেতানিয়াহু। আর ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে ইসরায়েলের সমর্থনে ভোট দেয় ভারত, যা ভেস্তে দিয়েছিল ফিলিস্তিনের একটি মানবাধিকার সংস্থাকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে বিজেপি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও পেগাসাস নিয়ে গত বছর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নজরদারির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
মার্কিন গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টালমাটাল এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। কিন্তু ফের পেগাসাস ইস্যু সামনে চলে আসায় বর্ষাকালীন অধিবেশনের মতো বাজেট অধিবেশনও উত্তপ্ত হতে পারে। কারণ, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই নজরদারি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির নীরবতা নিয়েও।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে বেআইনিভাবে নজরদারি চালানো অবশ্যই দেশদ্রোহিতার শামিল। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতে, বিজেপির দ্বারা সবই সম্ভব, তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। আর তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বলছেন, গণতন্ত্র বা সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই নেই বিজেপির। এ ছাড়া ভারতের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও পেগাসাস-কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শুধু ভারত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও পেগাসাস সফটওয়্যারের একটি সংস্করণ কিনেছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া এনএসও গ্রুপ ২০১১ সালে পেগাসাসকে বিশ্ববাজারে ‘প্রবর্তন’ করার পর এটি ব্যবহার করে তখন এল চ্যাপো নামে পরিচিত মাদক সম্রাট জোয়াকুইন গুজমান লোরাকে আটক করেছিল মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করেছে পেগাসাস। তবে বছরের পর বছর পেগাসাসের অনেক অপব্যবহারও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। যেমন, শুধু গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধেই নয়, সাংবাদিক ও রাজনীতিকসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধেও পেগাসাস ব্যবহার করেছে মেক্সিকো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে এক নাগরিক অধিকারকর্মীর ফোন হ্যাক করেছে, পরে যাঁকে কারাবন্দী করেছে সরকার।
এ ছাড়া নারী অধিকারকর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পেগাসাস ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় সাংবাদিক খাশোগিকে।
তবে বিশ্বব্যাপী তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে গত বছরের জুলাইয়ে এনএসও গ্রুপের নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস অপব্যবহারের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি ‘পর্যালোচনা’ করার ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েল।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’। গত শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে নজরদারির এই সফটওয়্যার। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির বিষয়টি, যার কেন্দ্রে ছিল পেগাসাস।
মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ভারতজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। গোপনীয়তা রক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দেশটিতে নজরদারির জন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ‘কথিত’ ব্যবহারের ঘটনা তদন্তের জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে ৩ সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নজরদারির সামগ্রী কিনতে ২০১৭ সালে ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ছিল পেগাসাস ও একটি ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
পেগাসাস যা করতে পারবে, অন্য কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় এক দশক ধরে সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই সফটওয়্যার বিক্রি করে আসছে এনএসও গ্রুপ। পেগাসাস ব্যবহার করে ধারাবাহিক এবং নির্ভরযোগ্যভাবে যেকোনো আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এনক্রিপ্ট করা সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিবেদনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে নরেন্দ্র মোদির ইসরায়েল সফরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। কিন্তু মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ইসরায়েল এবং তাঁর সফরটি ছিল বিশেষ সৌহার্দ্যপূর্ণ।’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং নরেন্দ্র মোদির একসঙ্গে স্থানীয় একটি সমুদ্রের তীরে হাঁটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর কয়েক মাস পর, এক বিরল রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান নেতানিয়াহু। আর ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে ইসরায়েলের সমর্থনে ভোট দেয় ভারত, যা ভেস্তে দিয়েছিল ফিলিস্তিনের একটি মানবাধিকার সংস্থাকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানতে বিজেপি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও পেগাসাস নিয়ে গত বছর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর নজরদারির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার জানায়, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
মার্কিন গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। টালমাটাল এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। কিন্তু ফের পেগাসাস ইস্যু সামনে চলে আসায় বর্ষাকালীন অধিবেশনের মতো বাজেট অধিবেশনও উত্তপ্ত হতে পারে। কারণ, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই নজরদারি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির নীরবতা নিয়েও।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে বেআইনিভাবে নজরদারি চালানো অবশ্যই দেশদ্রোহিতার শামিল। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতে, বিজেপির দ্বারা সবই সম্ভব, তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। আর তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বলছেন, গণতন্ত্র বা সাংবিধানিক রীতিনীতির প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই নেই বিজেপির। এ ছাড়া ভারতের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও পেগাসাস-কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শুধু ভারত নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও পেগাসাস সফটওয়্যারের একটি সংস্করণ কিনেছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া এনএসও গ্রুপ ২০১১ সালে পেগাসাসকে বিশ্ববাজারে ‘প্রবর্তন’ করার পর এটি ব্যবহার করে তখন এল চ্যাপো নামে পরিচিত মাদক সম্রাট জোয়াকুইন গুজমান লোরাকে আটক করেছিল মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করতে ও সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যবহার করেছে পেগাসাস। তবে বছরের পর বছর পেগাসাসের অনেক অপব্যবহারও হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। যেমন, শুধু গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধেই নয়, সাংবাদিক ও রাজনীতিকসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধেও পেগাসাস ব্যবহার করেছে মেক্সিকো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে এক নাগরিক অধিকারকর্মীর ফোন হ্যাক করেছে, পরে যাঁকে কারাবন্দী করেছে সরকার।
এ ছাড়া নারী অধিকারকর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পেগাসাস ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে হত্যা করা হয় সাংবাদিক খাশোগিকে।
তবে বিশ্বব্যাপী তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে গত বছরের জুলাইয়ে এনএসও গ্রুপের নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস অপব্যবহারের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি ‘পর্যালোচনা’ করার ইঙ্গিত দেয় ইসরায়েল।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’।
২৯ জানুয়ারি ২০২২
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’।
২৯ জানুয়ারি ২০২২
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’।
২৯ জানুয়ারি ২০২২
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বছর থেকেই আলোচনায় ছিল ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’।
২৯ জানুয়ারি ২০২২
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে