
ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায় বছরখানেক। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ল তাকাকো।
বিপর্যস্ত তাকাকো একদিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে একজন নিপীড়কের হাত ধরে ফেলে। সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকারে করে। ভিড়ের মধ্যে ধরা পড়ে অপরাধী। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আদালতে কেবল মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপরাধে সে দণ্ডিত ছিল।
জাপানসহ পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রদেশগুলোতে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো এটি রীতিমতো টাকা কামানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে!
বিশেষ করে সকালবেলা যখন গণপরিবহনে কর্মজীবী মানুষের ভিড় অত্যন্ত বেশি থাকে তখনই ঘটে এসব ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ট্রেনে কোনো নারীকে অনুসরণ করে। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যে ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। গোপনে অনুসরণ করা থেকে গায়ে স্পর্শ করার পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও বিক্রি হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বেশ কয়েকটি অনলাইন গ্রুপে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় এসব ভিডিও। বিবিসি আই বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে রোমহর্ষক এ চিত্র তুলে এনেছে।
চিকান ওয়েবসাইট
গণপরিবহনে নারীদের হেনস্তার ভিডিও ক্লিপ বিক্রি হয় অনলাইনে ১ ডলারের কিছু কমে। বিবিসির অনুসন্ধানে এমন অনেক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—ডিংবুজু (আমার আর তর সইছে না), চিহান, জিশে ইত্যাদি। ৪ হাজার সদস্যের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান পায় অনুসন্ধানী দলটি। ভিডিও ক্লিপ কেনা–বেচার পাশাপাশি গণপরিবহনে কীভাবে নারীদের হেনস্তা করতে হবে—এ ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাওয়া যায় এই গ্রুপে। এমনকি কোথায় নারীদের হেনস্তা করা হবে—সেটির লাইভ আপডেট পাওয়া যায়। অনুসন্ধানী দলটির কাছে একজন নারী অভিযোগ করেন, আংকেল কুই নামে এক ব্যক্তি তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে একটি ক্লু পাওয়া যায়, এই আংকেল কুই চিকান ওয়েবসাইট এবং ভিডিও ব্যবসার পেছনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বড় বাজার
এ ধরনের অপকর্মে জড়িত একটি গ্রুপের একজন অ্যাডমিন বিবিসিকে জানায়, প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ভিডিও আপলোড করা হয় তাদের তিনটি ওয়েবসাইটে। প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক আছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের অধিবাসী। অ্যাডমিন জানান, প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ হাজার ইউয়ানের ব্যবসা আছে তাদের যা প্রায় ১ হাজার ডলারের বেশি।
নাটের গুরুর সন্ধানে
চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে বিবিসির সাংবাদিক একজন সংগীতশিল্পীর ছদ্মবেশে টেলিগ্রাম গ্রুপের নকটিস নামে একজন অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচিত হোন। বাস্তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর জানতে পারেন, তিনি জাপানে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তার এক বন্ধু লুপাসও ওই গ্রুপের একজন অ্যাডমিন। তাদের দায়িত্ব হলো, ওয়েবসাইটে ভিডিও আপলোড করা, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এ থেকে প্রায় মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কমিশন পায় তারা।
কিছুদিন পর জানা যায়, ডিংবুজু ওয়েবসাইটের প্রধান মাওমি, তিনি চীন থেকে পুরো কাজের দিকনির্দেশনা দেন। আরও জানা যায়, আংকেল কুই একক কোনো ব্যক্তি নয়। গ্রুপ দেখভালের জন্য এ রকম একাধিক লোক আছে।
কে এই মাওমি
নকটিস এবং লুপাসের থেকে জানা যায়, চীনে জন্ম নেওয়া মাওমি ছোটবেলায় সুপারম্যান এবং অ্যানিমে ভিডিও দেখত। ১৪ বছর বয়সে প্রথম যৌন নিপীড়নের ভিডিও দেখে। ধীরে ধীরে এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই সে ওয়েবসাইটে এসব ভিডিওর ব্যবসা শুরু করে। চীনে ধরা পড়ার ভয়ে মাওমি জাপানে চলে আসে। জাপানিদের আচার–আচরণ রপ্ত করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাওমির ব্যাংক কার্ড থেকে জানা যায়, তার প্রকৃত নাম তাং জহুরান। সে কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখভাল করে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানী দল পরিচয় প্রকাশ করলে তাং জহুরান পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে।
চিকান ক্লাব
জাপানের ইয়োকোহামায় জনমানবহীন এক এলাকার একটি দোকান। দোকানের সামনের অংশটি জাপানের মেট্রো স্টেশনের মতো। দোকানটিকে সাজানো হয়েছে ট্রেনের কামরার মতো করে। ভেতরে ট্রেনে ব্যবহৃত মিষ্টি ঘ্রাণের পরিষ্কারক, ওপরে ঝুলছে হাতল। রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যেখানে বিভিন্ন স্টেশনে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এমনকি ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ডও গণপরিবহনের টিকিটের মতোই। এখানে টাকার বিনিময়ে বিশেষ ভিডিও দেখতে আসেন লোকেরা। তাঁরা যাতে ট্রেনের মতো একটি আবহ পায় সে জন্যই এমন ব্যবস্থা। টাকা দিয়ে বিকৃত খেয়াল বা ফ্যান্টাসি উপভোগ করা যায় লাইভে। যারা এর গ্রাহক তাদের সাধারণত ‘চিকান’ নামে ডাকা হয়।
দোকানের মালিক হাশুদা সুহেই বিবিসির অনুসন্ধানী দলটিকে জানায়, জাপানে এভাবে বিকৃত খেয়াল মেটানোর বিষয়টি খুব সাধারণ। এ ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যেন বাস্তবে কোনো নারীকে ধর্ষণ বা হেনস্তা না করে, সে লক্ষ্যেই জাপানে এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠেছে। বৈধভাবেই চলছে এসব ক্লাব।
এরূপ কদর্য মানসিকতার এমন মহামারি কেন—এই প্রশ্নের জবাবে জাপানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইতো বিবিসিকে জানান, ব্যাপারটা হাশুদা যেভাবে ভাবছেন অতটা সরল নয়। শিকারের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো এবং তার মানহানি থেকে অধিকাংশ চিকান আনন্দ পায়। তারা শিকারদের কখনোই তাদের সমান তো নয়ই, বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে।
এ ছাড়া জাপানের সমাজ এখনো অত্যন্ত রক্ষণশীল। নারীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক রকমের পুরুষতান্ত্রিক। সাধারণত নারীরা নিপীড়নের ব্যাপারে মুখ খোলে না। আর এই নিপীড়কেরা নারীদের এই মৌনতার সুযোগ নেয়। প্রতিবাদকারী নারীদের অনেককেই হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। জাপানের আদালতও এ ধরনের মামলায় গুরুদণ্ড দেয় না।
ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের অপকর্মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাড়ছে সচেতনতা। কিন্তু মূল আসামিদের ক্রমাগত রূপ বদলানো এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে দক্ষ হওয়ার কারণে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। গণপরিবহন বা মেট্রো স্টেশনের নারীদের হয়রানি বন্ধে প্রচারণা চলছে। স্কুল কলেজগুলোতেও চলছে সচেতনতা কার্যক্রম। সম্প্রতি জাপান এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। পাশাপাশি যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার বিষয়ে পার্লামেন্টে ঐকমত্য হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ট্রেনে করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকাকো (ছদ্মনাম) আবিষ্কার করলেন, ভিড়ের মধ্যে কেউ তাকে স্পর্শ করেই সটকে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতায় বড় ধাক্কা খায় তাকাকো (১৫)। স্কুলের সময়টা কাটল অত্যন্ত বিমর্ষ অবস্থায়। জীবনে প্রথমবার শারীরিক হেনস্তার শিকার হলো সে। কিন্তু এখানে শেষ হলো না। পরদিন আবার ঘটল একই ঘটনা। এভাবে চলল প্রায়
১৫ জুন ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
৪ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২৩ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ দিন আগে