
পর্যটক এবং অন্যান্য যাত্রীর সব সময়ের একটা অভিযোগ, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বিমানভাড়া বেশি। এটা কেন?
বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। প্রথমে আমরা দেখছি যে গ্লোবাল একটা ফিনোমনা, তেলের দাম বাড়া। যার কারণে একটা ইমপ্যাক্ট পড়েছে। দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে, বাংলাদেশের টাকার মূল্য কমে যাওয়া। বিদেশি এয়ারলাইনস যারা বাংলাদেশে অপারেট করে এবং বাংলাদেশি যারা বিদেশে অপারেট করে, তারা বিদেশিদের কাছ থেকে উড়োজাহাজ লিজে, আনছে। তাদের খরচ হচ্ছে ডলারে। ফলে তারা কস্টিংও ডলারেই করে, যখন বিক্রি করে, তখন ডলারটা টাকায় কনভার্ট করে বিক্রি করা হয়। আমরা যখন দেখি টাকাটা ডিভ্যালুয়েশন হচ্ছে, তখন লিডটা বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্যাক্সের হার বেশি।
মালয়েশিয়ায় ৯ হাজার টাকার মতো ট্যাক্স দিতে হয়। সেই ট্যাক্সের মধ্যে থাকে ডেভেলপমেন্ট ফি, সিকিউরিটি ফিসহ নানান কিছু। সব যোগ করে বাংলাদেশে আসলে খরচটা বেশি। আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি যে বাংলাদেশে একটা ফ্লাইট টেক অফ করলে পার সিট ট্যাক্স ছাড়াই এর খরচ চলে আসে ১৫ ডলার। ট্যাক্স যোগ করলে তা আরও বেড়ে যায়। নতুন বাজেটে ট্রাভেল ট্যাক্স বেড়ে গেছে। কিছু কিছু সার্কের জন্য বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড—এসব দেশে, যেখানে শ্রমিকেরা যান, সেই সব দেশে বেড়েছে দেড় হাজার টাকা করে। নর্থ আমেরিকার দিকে বেড়েছে ২ হাজার টাকা করে। আর একটা জিনিস, যা এই সেক্টরকে এফেক্ট করে তা হলো, ক্যাপাসিটি। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতাসহ অন্য সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক কম। ডিমান্ডের থেকে সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে খরচটা বেড়ে যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক।
সক্ষমতার কারণেই কি ফ্লাইট বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না?
হ্যাঁ, এয়ারপোর্টের সক্ষমতা নেই। আর আমরা বাইল্যাটারাল রেস্ট্রিকটেড। কিছুদিন আগেই যেমন ইউএই আরও ১২০টি স্লট চেয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমাদের সক্ষমতা নেই এবং আমরা বাইল্যাটারেলি রেস্ট্রিকটেড, তাই সিভিল এভিয়েশন ইউএইকে অনুমতিও দিল না। দেখা গেছে, বাজেট এয়ারলাইনস, লো কস্ট এয়ারলাইনস, যাদের ক্ষমতা আছে বাংলাদেশের যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যে মাত্র ২০০, ৩০০ ডলারের নিচেও নিয়ে যাওয়ার, তাদের মতো এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে অনুমতি পেল না। এর কারণ ক্যাপাসিটি রেস্ট্রিকশন।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। যে পরিমাণ যাত্রী প্রতিবছর যাওয়া-আসা করে, সেটাও তখন বেড়ে যাবে, নতুন নতুন এয়ারলাইনস এখানে আসবে। তখন কি ভাড়া কমবে?
আমরা আশা করছি যে তখন ভাড়া কমবে। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতা বেড়ে গেলে নতুন এয়ারলাইনস আসবে। যারা আছে, তারাও ফ্লাইট বাড়াবে। আমরা একটা জিনিস খেয়াল করি, সিভিল এভিয়েশন সব সময় চায় যে সবাই ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশে আসুক। কারণ, আমাদের টার্মিনাল ক্যাপাসিটি বাড়লেও রানওয়ে ক্যাপাসিটি বাড়েনি। রানওয়ে ক্যাপাসিটি নিয়ে সিভিল এভিয়েশন কাজ করছে। এটা বেড়ে গেলে কোনো সমস্যাই হবে না। কিন্তু যেভাবে আমরা বাড়বে বলে ধারণা করছি আর ভাড়া কমবে বলে আশা করছি, সেই তুলনায় খুব না কমলেও কিছুটা কমবে আর ক্যাপাসিটি কিছুটা হলেও বাড়বে।
ট্রাভেলাররা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে চান। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা লো কস্ট এয়ারলাইনসগুলোকে বেছে নেন। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব লো কস্ট এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে, তাদের ভাড়াও খুব একটা কম নয়। এটা কেন?
উন্নত বিশ্বে যদি দেখেন, ইউরোপের দিকে ইজি এয়ার, রাইন এয়ার বিজনেস মডেলগুলোতে দেখা যায়, ট্যাক্স রেট থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট হ্যান্ডলিং কস্ট, ল্যান্ডিং চার্জ ডিসকাউন্ট রেটে নেগোশিয়েট করে এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ডিসকাউন্টিং একটা রেট নিয়ে নেয়। ফলে ওদের সুবিধা হয়। যেখানে বাংলাদেশে হ্যান্ডেলিং কস্ট ১৫ ডলার আসে, সেখানে ওই সব দেশে সেটা আরও কম আসে। এর কারণ, তাদের সেই সক্ষমতাও আছে আর সরকার সেই সব এয়ারলাইনসকে উদ্বুদ্ধ করে আসার জন্য। তারা উৎসাহিত করে ইনসেনটিভস, ট্যাক্স রেট, লো কস্ট হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়ে; যেটা আমাদের দেশে এখনো হয়ে ওঠেনি। আমার আবেদন, লো কস্ট ক্যারিয়ারদের জন্য যদি একটা স্পেশাল কনসেশন করা যেত, তাহলে ভালো হতো। এতে ভাড়া কমে যাবে, ফলে যাতায়াত বাড়বে।
কানেকশন আর ট্রান্সপোর্টেশন হলো হৃদয়ের মতো। যখনই একটা দেশ ওয়েল কানেকটেড হয়ে যায়, তখন অসংখ্য এফডিআইআর ট্যুরিস্ট আসেন, মুভমেন্ট হয়, ক্রস কালচারাল অ্যাক্টিভিটি, সোশ্যাল এক্সচেঞ্জ বাড়ে। যেহেতু এখন দেশ ডলারের একটা সাময়িক সমস্যার মধ্যে আছে, এটা লং রানে দেশকে অনেক বেনিফিটেড করবে। এফডিআই অনেক ডলার ইনকামের সোর্স বাড়াবে।
আরেকটা জিনিস হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ যাত্রীই হচ্ছে শ্রমিক। তাঁরা যখন বিদেশে যাচ্ছেন, তখন দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় অবদান রাখছেন। তাঁরা ফরেন কারেন্সি আর্নার আর সেগুলো তাঁরা দেশেও পাঠান। আমরা যদি তাঁদের জন্য ভাড়া এত বাড়িয়ে রাখি, দেশে আসার সময় তাঁরা ভাড়ার জন্য টাকা বাঁচাতে পারছেন না। তাঁরা যদি ভাড়াটা বাঁচাতে পারতেন, তাহলে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে যেতেন না। সেই অর্থটাও রেমিট্যান্স হিসেবে চলে আসত। এখানেও আমরা একটা লস করছি। এই লসটা বেশি না হলেও ৩০-৪০ বছরের হিসাব করলে এটা অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায়। বছরে এভাবে ২০ মিলিয়ন ডলার যুক্ত হলেও আমাদের দেশের জন্য এটাও অনেক বড় অর্জন।
আপনারা তো বিভিন্ন ডেসটিনেশনে ফ্লাইট পরিচালনা করছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে পর্যটকেরা বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাঁরা কোন ডেসটিনেশনটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?
আগে ইন্দোনেশিয়া খুব জনপ্রিয় একটি ভ্রমণের জায়গা ছিল। কিন্তু এখন দেখা গেছে, সেটা আর তেমন নেই। এমনকি নেপালও নেই। এখন জনপ্রিয় হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, মালদ্বীপ। সবচেয়ে বেশি ট্যুরিস্ট যান ভারতে। শুধু আকাশপথেই নয়, তারা সড়কপথে এবং ট্রেনেও যাচ্ছেন। নতুন ডেসটিনেশন হচ্ছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোর ভিসা পলিসি রিলাক্স। উজবেকিস্তান, টার্কির মতো দেশকে বেছে নিচ্ছেন ট্যুরিস্টরা। আগে বেশির ভাগই দুবাই, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় যেতেন, এখন তাঁরা এর বাইরেও যাচ্ছেন। ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই আস্তে আস্তে খুলছে। সৌদি আরব ওমরাহ ও হজের পাশাপাশি একটা সময় ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে খুলে যাবে। শ্রীলঙ্কাও ভালো ডেসটিনেশন।

পর্যটক এবং অন্যান্য যাত্রীর সব সময়ের একটা অভিযোগ, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বিমানভাড়া বেশি। এটা কেন?
বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। প্রথমে আমরা দেখছি যে গ্লোবাল একটা ফিনোমনা, তেলের দাম বাড়া। যার কারণে একটা ইমপ্যাক্ট পড়েছে। দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে, বাংলাদেশের টাকার মূল্য কমে যাওয়া। বিদেশি এয়ারলাইনস যারা বাংলাদেশে অপারেট করে এবং বাংলাদেশি যারা বিদেশে অপারেট করে, তারা বিদেশিদের কাছ থেকে উড়োজাহাজ লিজে, আনছে। তাদের খরচ হচ্ছে ডলারে। ফলে তারা কস্টিংও ডলারেই করে, যখন বিক্রি করে, তখন ডলারটা টাকায় কনভার্ট করে বিক্রি করা হয়। আমরা যখন দেখি টাকাটা ডিভ্যালুয়েশন হচ্ছে, তখন লিডটা বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্যাক্সের হার বেশি।
মালয়েশিয়ায় ৯ হাজার টাকার মতো ট্যাক্স দিতে হয়। সেই ট্যাক্সের মধ্যে থাকে ডেভেলপমেন্ট ফি, সিকিউরিটি ফিসহ নানান কিছু। সব যোগ করে বাংলাদেশে আসলে খরচটা বেশি। আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি যে বাংলাদেশে একটা ফ্লাইট টেক অফ করলে পার সিট ট্যাক্স ছাড়াই এর খরচ চলে আসে ১৫ ডলার। ট্যাক্স যোগ করলে তা আরও বেড়ে যায়। নতুন বাজেটে ট্রাভেল ট্যাক্স বেড়ে গেছে। কিছু কিছু সার্কের জন্য বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড—এসব দেশে, যেখানে শ্রমিকেরা যান, সেই সব দেশে বেড়েছে দেড় হাজার টাকা করে। নর্থ আমেরিকার দিকে বেড়েছে ২ হাজার টাকা করে। আর একটা জিনিস, যা এই সেক্টরকে এফেক্ট করে তা হলো, ক্যাপাসিটি। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতাসহ অন্য সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক কম। ডিমান্ডের থেকে সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে খরচটা বেড়ে যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক।
সক্ষমতার কারণেই কি ফ্লাইট বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না?
হ্যাঁ, এয়ারপোর্টের সক্ষমতা নেই। আর আমরা বাইল্যাটারাল রেস্ট্রিকটেড। কিছুদিন আগেই যেমন ইউএই আরও ১২০টি স্লট চেয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমাদের সক্ষমতা নেই এবং আমরা বাইল্যাটারেলি রেস্ট্রিকটেড, তাই সিভিল এভিয়েশন ইউএইকে অনুমতিও দিল না। দেখা গেছে, বাজেট এয়ারলাইনস, লো কস্ট এয়ারলাইনস, যাদের ক্ষমতা আছে বাংলাদেশের যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যে মাত্র ২০০, ৩০০ ডলারের নিচেও নিয়ে যাওয়ার, তাদের মতো এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে অনুমতি পেল না। এর কারণ ক্যাপাসিটি রেস্ট্রিকশন।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। যে পরিমাণ যাত্রী প্রতিবছর যাওয়া-আসা করে, সেটাও তখন বেড়ে যাবে, নতুন নতুন এয়ারলাইনস এখানে আসবে। তখন কি ভাড়া কমবে?
আমরা আশা করছি যে তখন ভাড়া কমবে। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতা বেড়ে গেলে নতুন এয়ারলাইনস আসবে। যারা আছে, তারাও ফ্লাইট বাড়াবে। আমরা একটা জিনিস খেয়াল করি, সিভিল এভিয়েশন সব সময় চায় যে সবাই ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশে আসুক। কারণ, আমাদের টার্মিনাল ক্যাপাসিটি বাড়লেও রানওয়ে ক্যাপাসিটি বাড়েনি। রানওয়ে ক্যাপাসিটি নিয়ে সিভিল এভিয়েশন কাজ করছে। এটা বেড়ে গেলে কোনো সমস্যাই হবে না। কিন্তু যেভাবে আমরা বাড়বে বলে ধারণা করছি আর ভাড়া কমবে বলে আশা করছি, সেই তুলনায় খুব না কমলেও কিছুটা কমবে আর ক্যাপাসিটি কিছুটা হলেও বাড়বে।
ট্রাভেলাররা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে চান। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা লো কস্ট এয়ারলাইনসগুলোকে বেছে নেন। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব লো কস্ট এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে, তাদের ভাড়াও খুব একটা কম নয়। এটা কেন?
উন্নত বিশ্বে যদি দেখেন, ইউরোপের দিকে ইজি এয়ার, রাইন এয়ার বিজনেস মডেলগুলোতে দেখা যায়, ট্যাক্স রেট থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট হ্যান্ডলিং কস্ট, ল্যান্ডিং চার্জ ডিসকাউন্ট রেটে নেগোশিয়েট করে এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ডিসকাউন্টিং একটা রেট নিয়ে নেয়। ফলে ওদের সুবিধা হয়। যেখানে বাংলাদেশে হ্যান্ডেলিং কস্ট ১৫ ডলার আসে, সেখানে ওই সব দেশে সেটা আরও কম আসে। এর কারণ, তাদের সেই সক্ষমতাও আছে আর সরকার সেই সব এয়ারলাইনসকে উদ্বুদ্ধ করে আসার জন্য। তারা উৎসাহিত করে ইনসেনটিভস, ট্যাক্স রেট, লো কস্ট হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়ে; যেটা আমাদের দেশে এখনো হয়ে ওঠেনি। আমার আবেদন, লো কস্ট ক্যারিয়ারদের জন্য যদি একটা স্পেশাল কনসেশন করা যেত, তাহলে ভালো হতো। এতে ভাড়া কমে যাবে, ফলে যাতায়াত বাড়বে।
কানেকশন আর ট্রান্সপোর্টেশন হলো হৃদয়ের মতো। যখনই একটা দেশ ওয়েল কানেকটেড হয়ে যায়, তখন অসংখ্য এফডিআইআর ট্যুরিস্ট আসেন, মুভমেন্ট হয়, ক্রস কালচারাল অ্যাক্টিভিটি, সোশ্যাল এক্সচেঞ্জ বাড়ে। যেহেতু এখন দেশ ডলারের একটা সাময়িক সমস্যার মধ্যে আছে, এটা লং রানে দেশকে অনেক বেনিফিটেড করবে। এফডিআই অনেক ডলার ইনকামের সোর্স বাড়াবে।
আরেকটা জিনিস হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ যাত্রীই হচ্ছে শ্রমিক। তাঁরা যখন বিদেশে যাচ্ছেন, তখন দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় অবদান রাখছেন। তাঁরা ফরেন কারেন্সি আর্নার আর সেগুলো তাঁরা দেশেও পাঠান। আমরা যদি তাঁদের জন্য ভাড়া এত বাড়িয়ে রাখি, দেশে আসার সময় তাঁরা ভাড়ার জন্য টাকা বাঁচাতে পারছেন না। তাঁরা যদি ভাড়াটা বাঁচাতে পারতেন, তাহলে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে যেতেন না। সেই অর্থটাও রেমিট্যান্স হিসেবে চলে আসত। এখানেও আমরা একটা লস করছি। এই লসটা বেশি না হলেও ৩০-৪০ বছরের হিসাব করলে এটা অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায়। বছরে এভাবে ২০ মিলিয়ন ডলার যুক্ত হলেও আমাদের দেশের জন্য এটাও অনেক বড় অর্জন।
আপনারা তো বিভিন্ন ডেসটিনেশনে ফ্লাইট পরিচালনা করছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে পর্যটকেরা বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাঁরা কোন ডেসটিনেশনটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?
আগে ইন্দোনেশিয়া খুব জনপ্রিয় একটি ভ্রমণের জায়গা ছিল। কিন্তু এখন দেখা গেছে, সেটা আর তেমন নেই। এমনকি নেপালও নেই। এখন জনপ্রিয় হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, মালদ্বীপ। সবচেয়ে বেশি ট্যুরিস্ট যান ভারতে। শুধু আকাশপথেই নয়, তারা সড়কপথে এবং ট্রেনেও যাচ্ছেন। নতুন ডেসটিনেশন হচ্ছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোর ভিসা পলিসি রিলাক্স। উজবেকিস্তান, টার্কির মতো দেশকে বেছে নিচ্ছেন ট্যুরিস্টরা। আগে বেশির ভাগই দুবাই, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় যেতেন, এখন তাঁরা এর বাইরেও যাচ্ছেন। ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই আস্তে আস্তে খুলছে। সৌদি আরব ওমরাহ ও হজের পাশাপাশি একটা সময় ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে খুলে যাবে। শ্রীলঙ্কাও ভালো ডেসটিনেশন।

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি বলে বিমানযাত্রীদের বড় অংশ অভিযোগ করে থাকেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালদিভিয়ান, থাই এয়ার এশিয়া ও এয়ার এশিয়ার জিএসএ টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক।
১৩ জুলাই ২০২৩
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি বলে বিমানযাত্রীদের বড় অংশ অভিযোগ করে থাকেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালদিভিয়ান, থাই এয়ার এশিয়া ও এয়ার এশিয়ার জিএসএ টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক।
১৩ জুলাই ২০২৩
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি বলে বিমানযাত্রীদের বড় অংশ অভিযোগ করে থাকেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালদিভিয়ান, থাই এয়ার এশিয়া ও এয়ার এশিয়ার জিএসএ টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক।
১৩ জুলাই ২০২৩
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস

অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি বলে বিমানযাত্রীদের বড় অংশ অভিযোগ করে থাকেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালদিভিয়ান, থাই এয়ার এশিয়া ও এয়ার এশিয়ার জিএসএ টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক।
১৩ জুলাই ২০২৩
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
৮ ঘণ্টা আগে