
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্ভাব্য বন্দী বিনিময়সহ মধ্যস্থতার আলোচনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে গত শনিবার রাত থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে, সেটি এখনো চলমান। আলোচনা এখন পর্যন্ত ‘ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে’।
এদিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হামাসের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তাঁরা এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি আছেন।
হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে ফোনে জানান, যুদ্ধবিরতি বা এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং যে কোনো রাজনৈতিক সংলাপের জন্য হামাস রাজি। গাজার এই সশস্ত্র গ্রুপটি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি কি না এমন প্রশ্নে মুসা আবু মারজুক এসব কথা বলেন।
এই হামাস নেতা আরও বলেন, ইসরায়েল থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন দশজনকে আটক করে এনেছে হামাস। এর মধ্যে রাশিয়া এবং চীনের নাগরিকও রয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল–আনসারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে সব পক্ষের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, রক্তপাত বন্ধ করা, বন্দীদের মুক্তি দেওয়া এবং নিশ্চিত করা যে, কোনো আঞ্চলিক বিস্তার ছাড়াই সংঘাত যাতে শেষ হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘কোনও আলোচনা চলছে না।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
তবে কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলার খবর এলেও উভয় পক্ষের মধ্যেই অগ্রগতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও সূত্র বলছে, কাতারের কর্মকর্তারা দোহা এবং গাজায় অবস্থানরত হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
গত শনিবার গাজা থেকে আকস্মিকভাবে ইসরায়েল আক্রমণ করলে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে তেল আবিব। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিরোধই করতে পারেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এর মধ্যে অন্তত ৯০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে হামাস এবং বেশ কয়েকজন জিম্মি নিয়ে গাজায় ফেরত যায় কিছু যোদ্ধা। বেশ কিছু এলাকাও হামাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
জবাবে গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শতাধিক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানিয়েছে, জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে হামাস সম্ভাব্য যে ৩৬ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীকে মুক্তির প্রস্তাব করছে—তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠী। ইসরায়েলি কারাগার থেকে এই ৩৬ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার কোনো বিস্তারিত খবর আগে কোথাও আসেনি।
এ ছাড়া গাজায় ঠিক কত সংখ্যক ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন সে সংখ্যাও অস্পষ্ট। তবে জানা যাচ্ছে, শনিবারের হামলার সময় ইসরায়েল থেকে নারী, শিশু, বয়স্ক এবং সেনাদের জিম্মি করেছে হামাস।
অতীতে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কাতার এবং মিসর হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। লড়াইয়ের যে তীব্রতা তাতে আলোচনার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েল এই মধ্যে তীব্র প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ মানুষের খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধে ইসরায়েলের অবরোধ আরও কঠোর করা হবে।
মিসরীয় নিরাপত্তা বিভাগের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিসর ইসরায়েল এবং হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। এখন লড়াই প্রশমিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মিসর এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করার সুযোগ রাখতে হামাসকে বলেছে, ইসরায়েলি বন্দীদের সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করা হয়।
তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যেভাবে বোমা হামলা তীব্রতর করেছে তাতে এই মধ্যস্থতা কঠিন হয়ে উঠেছে। মিসরীয় সূত্রগুলো এমনটিই বলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাতারের নেতৃত্বাধীন আলোচনার বিষয়ে একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘বন্দী মুক্তির জন্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোনো চুক্তি এখনো হয়নি।’
সম্ভাব্য বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে কাতারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সমন্বয় সম্পর্কে জানতে চাইলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি ফোন কলের উল্লেখ করেছে। ওই ফোন কলে উভয়ে ‘ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রক্ষায়’ সম্মত হয়েছে।
হামাসের কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে রয়টার্সের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
ইসরায়েলের সাবেক উপ–জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইরান লারম্যান নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, কোনো ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ের শর্ত মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব, তারা কত দিন জিম্মি করে রাখতে পারে। আগামী কয়েক দিন গাজার পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ থাকবে না। তখন তারা কী করবে?’
তবে হামাসের হামলায় হতাহত এবং গাজায় বন্দীদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও দেখে অস্থির হয়ে পড়ছেন ইসরায়েলি স্বজনেরা। ইসরায়েল সরকার তাঁদের আশ্বস্ত করে বলছে, দ্রুত জিম্মিদের উদ্ধারে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর জোট সরকারের উগ্র ডানপন্থী শরিক দলগুলোর চাপে যতই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলুন না কেন, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলিদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার চাপ তাঁকে প্রশমিত করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অতীতের জিম্মি সংকটের অভিজ্ঞতা ইসরায়েলিদের ভালোমতোই স্মরণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কাতারের সঙ্গে হামাসের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কাতারের প্রতিনিধিরা এর আগে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন।
এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার ভেন্যু ছিল দোহা। বলতে গেলে এরপরই কাতার বিশ্বব্যাপী কূটনীতির স্পটলাইটে চলে এসেছে। এই আলোচনায় সফলভাবে বন্দী বিনিময় এবং তহবিল মুক্তির চুক্তি হয়।
হামাসের মূল ঘাঁটি গাজা। তবে এই সশস্ত্র সংগঠনটির কিছু নেতা কাতারের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও অবস্থান করছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্ভাব্য বন্দী বিনিময়সহ মধ্যস্থতার আলোচনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে গত শনিবার রাত থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে, সেটি এখনো চলমান। আলোচনা এখন পর্যন্ত ‘ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে’।
এদিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হামাসের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তাঁরা এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি আছেন।
হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে ফোনে জানান, যুদ্ধবিরতি বা এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং যে কোনো রাজনৈতিক সংলাপের জন্য হামাস রাজি। গাজার এই সশস্ত্র গ্রুপটি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি কি না এমন প্রশ্নে মুসা আবু মারজুক এসব কথা বলেন।
এই হামাস নেতা আরও বলেন, ইসরায়েল থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন দশজনকে আটক করে এনেছে হামাস। এর মধ্যে রাশিয়া এবং চীনের নাগরিকও রয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল–আনসারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে সব পক্ষের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, রক্তপাত বন্ধ করা, বন্দীদের মুক্তি দেওয়া এবং নিশ্চিত করা যে, কোনো আঞ্চলিক বিস্তার ছাড়াই সংঘাত যাতে শেষ হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘কোনও আলোচনা চলছে না।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
তবে কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলার খবর এলেও উভয় পক্ষের মধ্যেই অগ্রগতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও সূত্র বলছে, কাতারের কর্মকর্তারা দোহা এবং গাজায় অবস্থানরত হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
গত শনিবার গাজা থেকে আকস্মিকভাবে ইসরায়েল আক্রমণ করলে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে তেল আবিব। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিরোধই করতে পারেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এর মধ্যে অন্তত ৯০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে হামাস এবং বেশ কয়েকজন জিম্মি নিয়ে গাজায় ফেরত যায় কিছু যোদ্ধা। বেশ কিছু এলাকাও হামাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
জবাবে গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শতাধিক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানিয়েছে, জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে হামাস সম্ভাব্য যে ৩৬ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীকে মুক্তির প্রস্তাব করছে—তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠী। ইসরায়েলি কারাগার থেকে এই ৩৬ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার কোনো বিস্তারিত খবর আগে কোথাও আসেনি।
এ ছাড়া গাজায় ঠিক কত সংখ্যক ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন সে সংখ্যাও অস্পষ্ট। তবে জানা যাচ্ছে, শনিবারের হামলার সময় ইসরায়েল থেকে নারী, শিশু, বয়স্ক এবং সেনাদের জিম্মি করেছে হামাস।
অতীতে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কাতার এবং মিসর হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। লড়াইয়ের যে তীব্রতা তাতে আলোচনার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েল এই মধ্যে তীব্র প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ মানুষের খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধে ইসরায়েলের অবরোধ আরও কঠোর করা হবে।
মিসরীয় নিরাপত্তা বিভাগের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিসর ইসরায়েল এবং হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। এখন লড়াই প্রশমিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মিসর এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত করার সুযোগ রাখতে হামাসকে বলেছে, ইসরায়েলি বন্দীদের সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করা হয়।
তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যেভাবে বোমা হামলা তীব্রতর করেছে তাতে এই মধ্যস্থতা কঠিন হয়ে উঠেছে। মিসরীয় সূত্রগুলো এমনটিই বলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাতারের নেতৃত্বাধীন আলোচনার বিষয়ে একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘বন্দী মুক্তির জন্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোনো চুক্তি এখনো হয়নি।’
সম্ভাব্য বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে কাতারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সমন্বয় সম্পর্কে জানতে চাইলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি ফোন কলের উল্লেখ করেছে। ওই ফোন কলে উভয়ে ‘ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রক্ষায়’ সম্মত হয়েছে।
হামাসের কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে রয়টার্সের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
ইসরায়েলের সাবেক উপ–জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইরান লারম্যান নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, কোনো ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ের শর্ত মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব, তারা কত দিন জিম্মি করে রাখতে পারে। আগামী কয়েক দিন গাজার পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ থাকবে না। তখন তারা কী করবে?’
তবে হামাসের হামলায় হতাহত এবং গাজায় বন্দীদের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও দেখে অস্থির হয়ে পড়ছেন ইসরায়েলি স্বজনেরা। ইসরায়েল সরকার তাঁদের আশ্বস্ত করে বলছে, দ্রুত জিম্মিদের উদ্ধারে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর জোট সরকারের উগ্র ডানপন্থী শরিক দলগুলোর চাপে যতই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলুন না কেন, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলিদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার চাপ তাঁকে প্রশমিত করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অতীতের জিম্মি সংকটের অভিজ্ঞতা ইসরায়েলিদের ভালোমতোই স্মরণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কাতারের সঙ্গে হামাসের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কাতারের প্রতিনিধিরা এর আগে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন।
এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার ভেন্যু ছিল দোহা। বলতে গেলে এরপরই কাতার বিশ্বব্যাপী কূটনীতির স্পটলাইটে চলে এসেছে। এই আলোচনায় সফলভাবে বন্দী বিনিময় এবং তহবিল মুক্তির চুক্তি হয়।
হামাসের মূল ঘাঁটি গাজা। তবে এই সশস্ত্র সংগঠনটির কিছু নেতা কাতারের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও অবস্থান করছেন।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
১০ অক্টোবর ২০২৩
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
১০ অক্টোবর ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
১০ অক্টোবর ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

ইউক্রেনের দুই বন্দরে রুশ হামলায় ৩টি মালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজ তিনটি তুরস্কের মালিকানাধীন। গতকাল শুক্রবার এই হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এবং একটি জাহাজের মালিকের মতে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের দুটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে খাদ্য সরবরাহকারী একটি জাহাজসহ তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার রুশ বাহিনী কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিম ওদেসা অঞ্চলের চেরনোমর্স্ক এবং ওদেসা বন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মোট তিনটি তুর্কি মালিকানাধীন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় চেরনোমর্স্কের একটি ‘বেসামরিক জাহাজে’ অগ্নিনির্বাপকদের আগুন নেভানোর ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের ‘কোনো...সামরিক উদ্দেশ্যই ছিল না।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি আরও একবার প্রমাণ করল যে, রাশিয়ানরা শুধু কূটনীতির বর্তমান সুযোগটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নিতে ব্যর্থই হয়নি, বরং ইউক্রেনের স্বাভাবিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক নৈতিক মান বজায় রাখে—সেই বিবেচনায় কে এই যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কে শান্তি দিয়ে এটি শেষ করার জন্য কাজ করছে, কে বেসামরিক জীবনের বিরুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে এবং কে রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে—তা বোঝা জরুরি।’
জেলেনস্কি জাহাজটির নাম উল্লেখ করেননি, তবে এটিকে পানামার পতাকাবাহী এবং তুর্কি মালিকানাধীন সেন্ক টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। জাহাজটির মালিক, সেন্ক শিপিং নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টায় এটির ওপর হামলা হয়। তারা আরও জানায়, ক্রুদের মধ্যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং জাহাজের ক্ষতি সীমিত ছিল।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা নিশ্চিত করেছেন—ওদেসা বন্দরের ওপর পৃথক হামলায় একটি বেসরকারি সংস্থার একজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, একটি কার্গো লোডারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, যে রাশিয়া বন্দরগুলোতে হামলায় ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত, ওদেসা অঞ্চলের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ৩টি বড় ইউক্রেনের অর্থনীতির লাইফলাইন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনা চলছে। গত শনিবার আকস্মিক হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন ইসরায়েলে বন্দী ৩৬ জন নারী ও শিশুর বিনিময়ে ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার।
১০ অক্টোবর ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগে