মোহাম্মদ অংকন
রূপকথা শহরে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটা মেয়ে। বয়স এখনো দশের ঘর পার হয়নি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। সেই রূপকথার একজন কাকু আছে। তার নাম রুদ্র। সেই কাকুর সঙ্গে রূপকথার বেশ সখ্য। কাকু যতক্ষণ বাসায় থাকেন, ততক্ষণ এটা-ওটা করতে বায়না করে, একসঙ্গে খেলার জন্য হাত ধরে টেনে ফ্লোরে বসায়, আঁকাআঁকির খাতা-রংপেনসিল এনে আঁকতে বলে। আরও কত কী যে করে! যখন যেটা মনে হয়, তখন সেটা। রুদ্র কাকুও রূপকথার সঙ্গে তাল মেলাতে থাকেন। তিনি ছোটদের খুব ভালোবাসেন। ছোটরা যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সেদিকে তিনি নজর দেন। ছোটদের সামনে তিনি ‘না’ বলেন না কখনো। এই যেমন রূপকথা যখন তাকে খেলতে ডাকে, তখন যত ব্যস্তই থাকুক না কেন, কখনো বলেন না যে রূপকথা তুমি খেলতে শুরু করো, আমি আসছি। তিনি জানেন, এমনটা করলে ছোটরা নিরুৎসাহিত হবে, অভিমান করা শিখবে। এতে তারা পরবর্তীকালে খেলার আগ্রহ পাবে না।
রূপকথা যখন কাকুর সঙ্গে এটা-ওটা নিয়ে খেলা করার বায়না করে, ওর কাকুও তখন তাল মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেন। এই তো সেদিন রূপকথা আর্ট পেপার এনে কাকুকে দিয়ে বলল, ‘কাকু, আমরা তো রোজ রোজ আর্ট পেপারে আঁকিবুঁকি করি। আজ তুমি এই কাগজ দিয়ে ভিন্ন কিছু করে দেখাও তো।’
রূপকথার কথায় কাকু একটু চিন্তাতেই পড়ে গেলেন। কাগজ দিয়ে কী বানানো যায়! হঠাৎ তার মাথায় জেগে উঠল শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা। স্কুলে টিফিনের সময় কাগজ দিয়ে তারা নৌকা বানাতেন। তাই রূপকথার কথায় সাড়া দিয়ে তিনি নৌকা বানাতে শুরু করলেন। এটা তো খুব সহজ কাজ। ঝটপট নৌকা বানিয়ে তিনি রূপকথাকে দেখিয়ে বললেন, ‘এই দেখো রূপকথা, কাগজ দিয়ে আমি নৌকা বানালাম।’
এটা দেখে রূপকথা তো রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। এটাও কি সম্ভব! কী সুন্দর খেলনা! রূপকথা বলে, ‘কাকু, কীভাবে নৌকা বানাতে হয়, আমাকে শেখাও, প্লিজ।’
কাকু আরেকটা কাগজ নিয়ে আরেকটা নৌকা বানাতে থাকেন। রূপকথা সেটা চটপট শিখে ফেলে। সে আরেকটা কাগজ নিয়ে নিজে নিজে নৌকা বানিয়ে ফেলে। তারপর বলে, ‘কাকু, নৌকা তো বানানো হলো, এবার এগুলো তো নদীতে ভাসাতে হবে, তাই না?’
কাকু তো অবাক হয়ে যায় রূপকথার কথায়।
‘শহরে তুমি নদী কোথায় পাবে? আর এটা তো কাগজের নৌকা। পানিতে ভাসতে দিলে ভিজে ছিঁড়ে যাবে। নৌকাও তলিয়ে যাবে।’
‘তুমি অনেক বোকা, কাকু। আমি শহরে নদী খুঁজতে যাব কেন? আমাদের বাসাতেই একটা নদী বানিয়ে এই নৌকা তিনটা ছেড়ে দেব।’
রূপকথার এমন কথায় কাকু আরও অবাক হতে থাকেন। বাসার ভেতর কীভাবে নদী বানাবে, সেটা তার মাথায় ঢোকে না। ছোট্ট রূপকথাকে নানান কৌশল শেখাতে শেখাতে সে যে এতটা কৌশলী হয়ে উঠেছে, এটা ভাবতেই রুদ্র কাকুর মাথাটা ঘুরে ওঠে।
রূপকথা নৌকা তিনটা সঙ্গে করে নিয়ে বাথরুমে যায়। কাকুকে ডেকে বলে, ‘এই বালতিতে পানি ভর্তি করো, কাকু।’
কাকু ট্যাপ ছেড়ে দিয়ে দুই মিনিটের মধ্যে বালতিটা কানায় কানায় পূর্ণ করেন। এবার রূপকথা সেই বালতির পানিতে নৌকা তিনটে ছেড়ে দেয়। এবং নৌকাগুলো ভাসতে থাকে। রূপকথা এটা কাকুকে দেখিয়ে বলে, ‘কাকু দেখো, নৌকাগুলো কী সুন্দর করে ভাসছে।’
কাকু এটা দেখে হাততালি দেন। রূপকথার বুদ্ধির প্রশংসা করেন। সে যে নিজে থেকে অনেক কিছু ভাবতে পারে, করতে পারে, এটার প্রশংসা যে কাকুকে করতেই হবে।
এভাবে রূপকথা নৌকা নিয়ে খেলতে থাকে। বালতির পানিতে রূপকথা হাত ভিজিয়ে ভিজিয়ে ঢেউ তৈরি করে দেয়। আর নৌকাগুলো হেলেদুলে চলতে থাকে। কাকু ভেবেছিল, অল্পতেই কাগজগুলো পানিতে ভিজে ডুবে যাবে। পানিতে খেলার সময়টাও কম লাগবে। কিন্তু আর্ট পেপার হওয়ায় পানিতে ভাসতে গিয়ে কাগজগুলো ভিজছে না। নিচের অংশ ভিজলেও পুরোপুরি ভিজছে না। রূপকথা এই খেলাটা বেশ উপভোগ করছে, এটা কাকুর বুঝতে বাকি নেই। কিন্তু সে যেভাবে বালতির পানি হাত দিয়ে দিয়ে নাড়ছে, আর ভিজে যাচ্ছে, তাতে করে সে যে সর্দি-জ্বরে পড়বে, তা বুঝতে কাকুর বাকি থাকে না। যে রূপকথা মজার খেলায় মেতে আছে, সেখান থেকে যদি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে সে কেঁদে দেয় কিংবা জেদ করে বসে, তখন তো আবার কাকুর বিপদ হবে। তাই কী করা যায়, কাকু ভাবতে থাকেন।
ভাবতে ভাবতে আবারও তার শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। শৈশবে কাগজ দিয়ে শুধু নৌকাই বানানো হয়নি, অ্যারোপ্লেন ও রকেটও বানানো হয়েছে। সেই অ্যারোপ্লেন ও রকেটকে শূন্যে ছুড়ে মেরে এক রুম থেকে আরেক রুমে পাঠানো হয়েছে। কী যে মজা হয়েছে।
রূপকথাকে খেলতে রেখেই কাকু আর্ট পেপার দিয়ে একটা অ্যারোপ্লেন ও একটা রকেট বানিয়ে ফেলেন। এরপর রূপকথাকে ডেকে বলেন, ‘এই যে রূপকথা, শুধু নৌকা নিয়ে খেললেই হবে, অ্যারোপ্লেন ও রকেট চালাবে কে?’
রূপকথা এটা শুনে অবাক হয়। বালতির পানিতে নৌকা ফেলে রেখে ঘরে ছুটে এসে দেখে কাকু কাগজ দিয়ে অ্যারোপ্লেন ও রকেট বানিয়ে বসে আছেন। সে হাতে নিয়ে দেখে আরও অবাক হয়। কাগজ দিয়ে যে এত খেলনা বানানো যায়, তা যে সে বিশ্বাসই করতে পারছে না। কাকুকে বলে, ‘আমাকে বানানো শেখাও না, কাকু।’
রুদ্র কাকু দুটো কাগজ নিয়ে অ্যারোপ্লেন ও রকেট বানান। সঙ্গে সঙ্গে রূপকথাও শিখে ফেলে। এবার রূপকথা জিজ্ঞেস করে, ‘কাকু, এগুলো কি আকাশে উড়বে?’
কাকুর হাতে থাকা অ্যারোপ্লেনটা আকাশের দিকে ছুড়ে মারেন। উড়তে উড়তে গিয়ে পাশের রুমে পড়ে। রূপকথা দৌড়ে গিয়ে ধরে আনে। তার হাতের অ্যারোপ্লেন ও রকেটগুলোও একে একে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে তা ধরতে দৌড়ে যায় পেছন পেছন।
এবার রুদ্র কাকু হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। রূপকথাকে পানির নেশা থেকে শেষমেশ ফেরানো গেল। অ্যারোপ্লেন ও রকেট ওড়াতে ওড়াতে রূপকথা এসে কাকুকে বলে, ‘কাকু, কাকু, কাগজ দিয়ে এত খেলনা বানানো যায়, তা আজই জানলাম। সত্যি, তুমি সেরা কাকু।’
‘হ্যাঁ, রূপকথা। আমরা স্কুলের দিনগুলোতে এভাবে কাগজের খেলনা বানিয়ে কত যে মজা করেছি, তা কখনো ভুলতে পারব না। টিফিনের সময় হলে খাতা ছিঁড়ে নৌকা, অ্যারোপ্লেন, রকেট বানিয়ে খেলতাম। কেউ কেউ আবার পুতুল বানাত, ফুল বানাত। আরও অনেক কিছু।’
‘আমাকে তাহলে পুতুল, ফুল এগুলোও বানিয়ে দাও।’
‘জি, অবশ্যই দেব। কিন্তু এখন তো তোমার পড়ার সময় হয়ে এসেছে। একটু পড়তে বসো। পড়া শেষ হলেই তোমাকে আরও কাগজের খেলনা বানিয়ে দেব।’
‘ঠিক আছে, কাকু। আমি তাহলে এখন পড়তে বসছি।’
রূপকথা শহরে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটা মেয়ে। বয়স এখনো দশের ঘর পার হয়নি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। সেই রূপকথার একজন কাকু আছে। তার নাম রুদ্র। সেই কাকুর সঙ্গে রূপকথার বেশ সখ্য। কাকু যতক্ষণ বাসায় থাকেন, ততক্ষণ এটা-ওটা করতে বায়না করে, একসঙ্গে খেলার জন্য হাত ধরে টেনে ফ্লোরে বসায়, আঁকাআঁকির খাতা-রংপেনসিল এনে আঁকতে বলে। আরও কত কী যে করে! যখন যেটা মনে হয়, তখন সেটা। রুদ্র কাকুও রূপকথার সঙ্গে তাল মেলাতে থাকেন। তিনি ছোটদের খুব ভালোবাসেন। ছোটরা যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সেদিকে তিনি নজর দেন। ছোটদের সামনে তিনি ‘না’ বলেন না কখনো। এই যেমন রূপকথা যখন তাকে খেলতে ডাকে, তখন যত ব্যস্তই থাকুক না কেন, কখনো বলেন না যে রূপকথা তুমি খেলতে শুরু করো, আমি আসছি। তিনি জানেন, এমনটা করলে ছোটরা নিরুৎসাহিত হবে, অভিমান করা শিখবে। এতে তারা পরবর্তীকালে খেলার আগ্রহ পাবে না।
রূপকথা যখন কাকুর সঙ্গে এটা-ওটা নিয়ে খেলা করার বায়না করে, ওর কাকুও তখন তাল মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেন। এই তো সেদিন রূপকথা আর্ট পেপার এনে কাকুকে দিয়ে বলল, ‘কাকু, আমরা তো রোজ রোজ আর্ট পেপারে আঁকিবুঁকি করি। আজ তুমি এই কাগজ দিয়ে ভিন্ন কিছু করে দেখাও তো।’
রূপকথার কথায় কাকু একটু চিন্তাতেই পড়ে গেলেন। কাগজ দিয়ে কী বানানো যায়! হঠাৎ তার মাথায় জেগে উঠল শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা। স্কুলে টিফিনের সময় কাগজ দিয়ে তারা নৌকা বানাতেন। তাই রূপকথার কথায় সাড়া দিয়ে তিনি নৌকা বানাতে শুরু করলেন। এটা তো খুব সহজ কাজ। ঝটপট নৌকা বানিয়ে তিনি রূপকথাকে দেখিয়ে বললেন, ‘এই দেখো রূপকথা, কাগজ দিয়ে আমি নৌকা বানালাম।’
এটা দেখে রূপকথা তো রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। এটাও কি সম্ভব! কী সুন্দর খেলনা! রূপকথা বলে, ‘কাকু, কীভাবে নৌকা বানাতে হয়, আমাকে শেখাও, প্লিজ।’
কাকু আরেকটা কাগজ নিয়ে আরেকটা নৌকা বানাতে থাকেন। রূপকথা সেটা চটপট শিখে ফেলে। সে আরেকটা কাগজ নিয়ে নিজে নিজে নৌকা বানিয়ে ফেলে। তারপর বলে, ‘কাকু, নৌকা তো বানানো হলো, এবার এগুলো তো নদীতে ভাসাতে হবে, তাই না?’
কাকু তো অবাক হয়ে যায় রূপকথার কথায়।
‘শহরে তুমি নদী কোথায় পাবে? আর এটা তো কাগজের নৌকা। পানিতে ভাসতে দিলে ভিজে ছিঁড়ে যাবে। নৌকাও তলিয়ে যাবে।’
‘তুমি অনেক বোকা, কাকু। আমি শহরে নদী খুঁজতে যাব কেন? আমাদের বাসাতেই একটা নদী বানিয়ে এই নৌকা তিনটা ছেড়ে দেব।’
রূপকথার এমন কথায় কাকু আরও অবাক হতে থাকেন। বাসার ভেতর কীভাবে নদী বানাবে, সেটা তার মাথায় ঢোকে না। ছোট্ট রূপকথাকে নানান কৌশল শেখাতে শেখাতে সে যে এতটা কৌশলী হয়ে উঠেছে, এটা ভাবতেই রুদ্র কাকুর মাথাটা ঘুরে ওঠে।
রূপকথা নৌকা তিনটা সঙ্গে করে নিয়ে বাথরুমে যায়। কাকুকে ডেকে বলে, ‘এই বালতিতে পানি ভর্তি করো, কাকু।’
কাকু ট্যাপ ছেড়ে দিয়ে দুই মিনিটের মধ্যে বালতিটা কানায় কানায় পূর্ণ করেন। এবার রূপকথা সেই বালতির পানিতে নৌকা তিনটে ছেড়ে দেয়। এবং নৌকাগুলো ভাসতে থাকে। রূপকথা এটা কাকুকে দেখিয়ে বলে, ‘কাকু দেখো, নৌকাগুলো কী সুন্দর করে ভাসছে।’
কাকু এটা দেখে হাততালি দেন। রূপকথার বুদ্ধির প্রশংসা করেন। সে যে নিজে থেকে অনেক কিছু ভাবতে পারে, করতে পারে, এটার প্রশংসা যে কাকুকে করতেই হবে।
এভাবে রূপকথা নৌকা নিয়ে খেলতে থাকে। বালতির পানিতে রূপকথা হাত ভিজিয়ে ভিজিয়ে ঢেউ তৈরি করে দেয়। আর নৌকাগুলো হেলেদুলে চলতে থাকে। কাকু ভেবেছিল, অল্পতেই কাগজগুলো পানিতে ভিজে ডুবে যাবে। পানিতে খেলার সময়টাও কম লাগবে। কিন্তু আর্ট পেপার হওয়ায় পানিতে ভাসতে গিয়ে কাগজগুলো ভিজছে না। নিচের অংশ ভিজলেও পুরোপুরি ভিজছে না। রূপকথা এই খেলাটা বেশ উপভোগ করছে, এটা কাকুর বুঝতে বাকি নেই। কিন্তু সে যেভাবে বালতির পানি হাত দিয়ে দিয়ে নাড়ছে, আর ভিজে যাচ্ছে, তাতে করে সে যে সর্দি-জ্বরে পড়বে, তা বুঝতে কাকুর বাকি থাকে না। যে রূপকথা মজার খেলায় মেতে আছে, সেখান থেকে যদি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে সে কেঁদে দেয় কিংবা জেদ করে বসে, তখন তো আবার কাকুর বিপদ হবে। তাই কী করা যায়, কাকু ভাবতে থাকেন।
ভাবতে ভাবতে আবারও তার শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। শৈশবে কাগজ দিয়ে শুধু নৌকাই বানানো হয়নি, অ্যারোপ্লেন ও রকেটও বানানো হয়েছে। সেই অ্যারোপ্লেন ও রকেটকে শূন্যে ছুড়ে মেরে এক রুম থেকে আরেক রুমে পাঠানো হয়েছে। কী যে মজা হয়েছে।
রূপকথাকে খেলতে রেখেই কাকু আর্ট পেপার দিয়ে একটা অ্যারোপ্লেন ও একটা রকেট বানিয়ে ফেলেন। এরপর রূপকথাকে ডেকে বলেন, ‘এই যে রূপকথা, শুধু নৌকা নিয়ে খেললেই হবে, অ্যারোপ্লেন ও রকেট চালাবে কে?’
রূপকথা এটা শুনে অবাক হয়। বালতির পানিতে নৌকা ফেলে রেখে ঘরে ছুটে এসে দেখে কাকু কাগজ দিয়ে অ্যারোপ্লেন ও রকেট বানিয়ে বসে আছেন। সে হাতে নিয়ে দেখে আরও অবাক হয়। কাগজ দিয়ে যে এত খেলনা বানানো যায়, তা যে সে বিশ্বাসই করতে পারছে না। কাকুকে বলে, ‘আমাকে বানানো শেখাও না, কাকু।’
রুদ্র কাকু দুটো কাগজ নিয়ে অ্যারোপ্লেন ও রকেট বানান। সঙ্গে সঙ্গে রূপকথাও শিখে ফেলে। এবার রূপকথা জিজ্ঞেস করে, ‘কাকু, এগুলো কি আকাশে উড়বে?’
কাকুর হাতে থাকা অ্যারোপ্লেনটা আকাশের দিকে ছুড়ে মারেন। উড়তে উড়তে গিয়ে পাশের রুমে পড়ে। রূপকথা দৌড়ে গিয়ে ধরে আনে। তার হাতের অ্যারোপ্লেন ও রকেটগুলোও একে একে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে তা ধরতে দৌড়ে যায় পেছন পেছন।
এবার রুদ্র কাকু হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। রূপকথাকে পানির নেশা থেকে শেষমেশ ফেরানো গেল। অ্যারোপ্লেন ও রকেট ওড়াতে ওড়াতে রূপকথা এসে কাকুকে বলে, ‘কাকু, কাকু, কাগজ দিয়ে এত খেলনা বানানো যায়, তা আজই জানলাম। সত্যি, তুমি সেরা কাকু।’
‘হ্যাঁ, রূপকথা। আমরা স্কুলের দিনগুলোতে এভাবে কাগজের খেলনা বানিয়ে কত যে মজা করেছি, তা কখনো ভুলতে পারব না। টিফিনের সময় হলে খাতা ছিঁড়ে নৌকা, অ্যারোপ্লেন, রকেট বানিয়ে খেলতাম। কেউ কেউ আবার পুতুল বানাত, ফুল বানাত। আরও অনেক কিছু।’
‘আমাকে তাহলে পুতুল, ফুল এগুলোও বানিয়ে দাও।’
‘জি, অবশ্যই দেব। কিন্তু এখন তো তোমার পড়ার সময় হয়ে এসেছে। একটু পড়তে বসো। পড়া শেষ হলেই তোমাকে আরও কাগজের খেলনা বানিয়ে দেব।’
‘ঠিক আছে, কাকু। আমি তাহলে এখন পড়তে বসছি।’
দ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
২০ দিন আগে‘প্রগাঢ় কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক ক্ষত তুলে ধরা এবং মানবজীবনের নাজুক পরিস্থিতির উন্মোচনের জন্য’ তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি।
২০ দিন আগেতানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর জন্মদিন উপলক্ষে ‘দশম জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’–এর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের প্রথম দশ জনকে সনদ, বই ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে বই, বিশেষ ক্রেস্ট ও সনদ এবং প্রথম স্থান অধিকারীকে ‘ত্বকী পদক ২০২৪’ দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান তাঁরা গণহত্যার সমর্থক। এ কারণে একটি গণ আদালত গঠন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এই নেতাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছে উদীচী।
১৭ আগস্ট ২০২৪