আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সালটা ১৯৬৭। তখন পুরোদমে চলছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এক বছর আগে ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই জেরে ১৯৬৭ সালে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মাদ আলীকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলে তৎকালীন ফেডারেল সরকার। স্পষ্ট ভাষায় যা নাকচ করে দেন তিনি। তারিখটা ছিল ২৮ এপ্রিল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ওই সময় গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানোর মতো রিজার্ভ সেনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল না। তাই, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আওতায় ১৯৬৬ সালে মোহাম্মদ আলীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৬৭ সালের ২৮ এপ্রিল তাঁকে টেক্সাসের হিউসটনে সেনা দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেদিনই তিনি যুদ্ধে যোগদানের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যুদ্ধে যাবেন না। মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভিয়েতনামিদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। ওরা আমাকে নিগ্রো বলে ডাকেনি কখনো। আমি কেন ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাব? তা ছাড়া আমার ধর্মেও নির্দোষ মানুষকে হত্যার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মাদ আলী। এর আগে তাঁর নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতাকেই যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আলীর মতে, নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার পর দেশের বাইরের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা তাঁর নেই।
আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
রাষ্ট্রদ্রোহ বলতে সাধারণত বোঝায়, সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কিন্তু আলীর ক্ষেত্রে মূলত অভিযোগ ছিল ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে সামরিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া’—যা তখনকার সময় গুরুতর ফেডারেল অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। আলীর বিচার হয় টেক্সাসের হিউস্টন ফেডারেল আদালতে। এ মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
যদিও আপিলের মাধ্যমে কারাভোগ এড়াতে পেরেছেন মোহাম্মাদ আলী। কিন্তু ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ে প্রায় চার বছরের জন্য বক্সিংয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। অবশেষে, ১৯৭১ সালের ২৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর দণ্ড বাতিল করেন। রায়ে আদালত বলেন, আলীর ধর্মীয় বিশ্বাস সামরিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অস্বীকৃতির ন্যায্য ভিত্তি দেয় এবং তাঁর ওপর জারি করা সাজা অবৈধ।
পরে, আবার বক্সিং রিংয়ে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলী। তবে, খুব বেশি দিন আর বক্সিং চালিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে পারকিনসনস ডিজিজে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ জুন মারা যান তিনি।
পারকিনসনস ডিজিজ হলো একটি স্নায়বিক রোগ যা মূলত মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের ক্ষতি এবং ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাবে সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এবং সমন্বয়ে সমস্যা হয়, একপর্যায়ে শরীরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

সালটা ১৯৬৭। তখন পুরোদমে চলছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এক বছর আগে ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই জেরে ১৯৬৭ সালে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মাদ আলীকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলে তৎকালীন ফেডারেল সরকার। স্পষ্ট ভাষায় যা নাকচ করে দেন তিনি। তারিখটা ছিল ২৮ এপ্রিল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ওই সময় গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানোর মতো রিজার্ভ সেনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল না। তাই, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আওতায় ১৯৬৬ সালে মোহাম্মদ আলীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৬৭ সালের ২৮ এপ্রিল তাঁকে টেক্সাসের হিউসটনে সেনা দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেদিনই তিনি যুদ্ধে যোগদানের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যুদ্ধে যাবেন না। মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভিয়েতনামিদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। ওরা আমাকে নিগ্রো বলে ডাকেনি কখনো। আমি কেন ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাব? তা ছাড়া আমার ধর্মেও নির্দোষ মানুষকে হত্যার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মাদ আলী। এর আগে তাঁর নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতাকেই যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আলীর মতে, নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার পর দেশের বাইরের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা তাঁর নেই।
আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
রাষ্ট্রদ্রোহ বলতে সাধারণত বোঝায়, সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কিন্তু আলীর ক্ষেত্রে মূলত অভিযোগ ছিল ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে সামরিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া’—যা তখনকার সময় গুরুতর ফেডারেল অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। আলীর বিচার হয় টেক্সাসের হিউস্টন ফেডারেল আদালতে। এ মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
যদিও আপিলের মাধ্যমে কারাভোগ এড়াতে পেরেছেন মোহাম্মাদ আলী। কিন্তু ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ে প্রায় চার বছরের জন্য বক্সিংয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। অবশেষে, ১৯৭১ সালের ২৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর দণ্ড বাতিল করেন। রায়ে আদালত বলেন, আলীর ধর্মীয় বিশ্বাস সামরিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অস্বীকৃতির ন্যায্য ভিত্তি দেয় এবং তাঁর ওপর জারি করা সাজা অবৈধ।
পরে, আবার বক্সিং রিংয়ে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলী। তবে, খুব বেশি দিন আর বক্সিং চালিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে পারকিনসনস ডিজিজে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ জুন মারা যান তিনি।
পারকিনসনস ডিজিজ হলো একটি স্নায়বিক রোগ যা মূলত মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের ক্ষতি এবং ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাবে সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এবং সমন্বয়ে সমস্যা হয়, একপর্যায়ে শরীরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সালটা ১৯৬৭। তখন পুরোদমে চলছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এক বছর আগে ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই জেরে ১৯৬৭ সালে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মাদ আলীকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলে তৎকালীন ফেডারেল সরকার। স্পষ্ট ভাষায় যা নাকচ করে দেন তিনি। তারিখটা ছিল ২৮ এপ্রিল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ওই সময় গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানোর মতো রিজার্ভ সেনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল না। তাই, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আওতায় ১৯৬৬ সালে মোহাম্মদ আলীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৬৭ সালের ২৮ এপ্রিল তাঁকে টেক্সাসের হিউসটনে সেনা দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেদিনই তিনি যুদ্ধে যোগদানের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যুদ্ধে যাবেন না। মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভিয়েতনামিদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। ওরা আমাকে নিগ্রো বলে ডাকেনি কখনো। আমি কেন ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাব? তা ছাড়া আমার ধর্মেও নির্দোষ মানুষকে হত্যার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মাদ আলী। এর আগে তাঁর নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতাকেই যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আলীর মতে, নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার পর দেশের বাইরের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা তাঁর নেই।
আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
রাষ্ট্রদ্রোহ বলতে সাধারণত বোঝায়, সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কিন্তু আলীর ক্ষেত্রে মূলত অভিযোগ ছিল ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে সামরিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া’—যা তখনকার সময় গুরুতর ফেডারেল অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। আলীর বিচার হয় টেক্সাসের হিউস্টন ফেডারেল আদালতে। এ মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
যদিও আপিলের মাধ্যমে কারাভোগ এড়াতে পেরেছেন মোহাম্মাদ আলী। কিন্তু ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ে প্রায় চার বছরের জন্য বক্সিংয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। অবশেষে, ১৯৭১ সালের ২৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর দণ্ড বাতিল করেন। রায়ে আদালত বলেন, আলীর ধর্মীয় বিশ্বাস সামরিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অস্বীকৃতির ন্যায্য ভিত্তি দেয় এবং তাঁর ওপর জারি করা সাজা অবৈধ।
পরে, আবার বক্সিং রিংয়ে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলী। তবে, খুব বেশি দিন আর বক্সিং চালিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে পারকিনসনস ডিজিজে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ জুন মারা যান তিনি।
পারকিনসনস ডিজিজ হলো একটি স্নায়বিক রোগ যা মূলত মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের ক্ষতি এবং ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাবে সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এবং সমন্বয়ে সমস্যা হয়, একপর্যায়ে শরীরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

সালটা ১৯৬৭। তখন পুরোদমে চলছে ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এক বছর আগে ১৯৬৫ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই জেরে ১৯৬৭ সালে কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মাদ আলীকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলে তৎকালীন ফেডারেল সরকার। স্পষ্ট ভাষায় যা নাকচ করে দেন তিনি। তারিখটা ছিল ২৮ এপ্রিল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ওই সময় গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তোলে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানোর মতো রিজার্ভ সেনা যুক্তরাষ্ট্রের ছিল না। তাই, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী সুস্থ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আওতায় ১৯৬৬ সালে মোহাম্মদ আলীকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৬৭ সালের ২৮ এপ্রিল তাঁকে টেক্সাসের হিউসটনে সেনা দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেদিনই তিনি যুদ্ধে যোগদানের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফ জানিয়ে দেন তিনি যুদ্ধে যাবেন না। মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভিয়েতনামিদের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। ওরা আমাকে নিগ্রো বলে ডাকেনি কখনো। আমি কেন ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাব? তা ছাড়া আমার ধর্মেও নির্দোষ মানুষকে হত্যার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মাদ আলী। এর আগে তাঁর নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতাকেই যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। আলীর মতে, নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার পর দেশের বাইরের যুদ্ধে যাওয়ার কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা তাঁর নেই।
আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
রাষ্ট্রদ্রোহ বলতে সাধারণত বোঝায়, সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, কিন্তু আলীর ক্ষেত্রে মূলত অভিযোগ ছিল ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে সামরিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া’—যা তখনকার সময় গুরুতর ফেডারেল অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। আলীর বিচার হয় টেক্সাসের হিউস্টন ফেডারেল আদালতে। এ মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
যদিও আপিলের মাধ্যমে কারাভোগ এড়াতে পেরেছেন মোহাম্মাদ আলী। কিন্তু ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়ে প্রায় চার বছরের জন্য বক্সিংয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। অবশেষে, ১৯৭১ সালের ২৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর দণ্ড বাতিল করেন। রায়ে আদালত বলেন, আলীর ধর্মীয় বিশ্বাস সামরিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অস্বীকৃতির ন্যায্য ভিত্তি দেয় এবং তাঁর ওপর জারি করা সাজা অবৈধ।
পরে, আবার বক্সিং রিংয়ে ফিরে আসেন মোহাম্মদ আলী। তবে, খুব বেশি দিন আর বক্সিং চালিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ১৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে পারকিনসনস ডিজিজে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ৩ জুন মারা যান তিনি।
পারকিনসনস ডিজিজ হলো একটি স্নায়বিক রোগ যা মূলত মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের ক্ষতি এবং ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাবে সৃষ্টি করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে এবং সমন্বয়ে সমস্যা হয়, একপর্যায়ে শরীরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

আলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে