সম্পাদকীয়
জীবনানন্দ দাশকে নির্জনতম কবি বলা হয়। তিনি নির্জনতম কবি শুধু নন, নির্জনতম মানুষও ছিলেন। বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে প্রথম দেখেছিলেন ঢাকায়, ব্রাহ্মসমাজে। সেদিন ছিল জীবনানন্দের বিয়ে। এরপর জীবনানন্দের জীবদ্দশায় তাঁর কবিজীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন বুদ্ধদেব, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। শুধু বুদ্ধদেব কেন, কেউ একজন ব্যক্তিগত জীবনানন্দকে খুঁজে পেয়েছেন—এমন প্রমাণ নেই।
তাঁর সঙ্গে কোনো কবি আড্ডায় দেখা হয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। তিনি তা এড়িয়ে চলতেন। তখনকার বিখ্যাত কল্লোল বা পরিচয় অফিসে তিনি আড্ডা দিচ্ছেন, এমন দৃশ্য কেউ কল্পনাও করতে পারেন না। কবিতা ছাড়া জীবনানন্দের যেন নিজেকে প্রকাশ করার আর কোনো পথ ছিল না। ফলে কবিতা দিয়েই নিজেকে চেনাতে চেয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে কারও সঙ্গ তিনি উপভোগ করছেন, এমনটা প্রায় ঘটেনি বললেই চলে।
চেহারা কিংবা চালচলনে তাঁকে ‘কাব্যিক’ অথবা ‘খেয়ালি’ বলা যেত না। চুলের ছাঁট যেকোনো অফিস-বাবুর মতোই, পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। কথা বলেন কাটা কাটা। একটানা অনেকক্ষণ কথা বলতে পারেন না। থেমে যান। জীবনানন্দের মধ্যে দুই হাত ছড়িয়ে নিঃশব্দে হেসে ওঠার একটা ধরন লক্ষ করেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেটা ঘটে হঠাৎ তাঁকে কৌতুকরস গ্রাস করলে।
এক সন্ধ্যায় অচিন্তকুমার সেনগুপ্তকে নিয়ে জীবনানন্দের প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ে হানা দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু, তাঁকে নিয়ে বের হতে চাইছিলেন। কিন্তু জীবনানন্দ তাঁদের সঙ্গে বের হননি। আরও মজার ব্যাপার আছে। একবার বউবাজারের মোড়ে ইন্দো-বর্মা রেস্তোরাঁয় কল্লোল দলের অনেকে দল বেঁধে যাচ্ছেন খেতে। পথে দেখা জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে। চমকে দিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেছিল কল্লোলের দল। জীবনানন্দ সম্ভবত বিব্রত হয়েছিলেন। জীবনানন্দের গন্তব্যও ইন্দো-বর্মা। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিণতি হওয়ার কথা এমন: জীবনানন্দ ভিড়ে গেলেন কল্লোল দলের সঙ্গে। কিন্তু আদতে কী ঘটেছিল? আদতে একই সঙ্গে ইন্দো-বর্মা রেস্তোরাঁয় পৌঁছানো হলো, কিন্তু জীবনানন্দ বসলেন আলাদা টেবিলে। এবং খাওয়ার পর একাই বেরিয়ে গেলেন।
সূত্র: বুদ্ধদেব বসু, আত্মজৈবনিক, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯
জীবনানন্দ দাশকে নির্জনতম কবি বলা হয়। তিনি নির্জনতম কবি শুধু নন, নির্জনতম মানুষও ছিলেন। বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে প্রথম দেখেছিলেন ঢাকায়, ব্রাহ্মসমাজে। সেদিন ছিল জীবনানন্দের বিয়ে। এরপর জীবনানন্দের জীবদ্দশায় তাঁর কবিজীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন বুদ্ধদেব, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। শুধু বুদ্ধদেব কেন, কেউ একজন ব্যক্তিগত জীবনানন্দকে খুঁজে পেয়েছেন—এমন প্রমাণ নেই।
তাঁর সঙ্গে কোনো কবি আড্ডায় দেখা হয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। তিনি তা এড়িয়ে চলতেন। তখনকার বিখ্যাত কল্লোল বা পরিচয় অফিসে তিনি আড্ডা দিচ্ছেন, এমন দৃশ্য কেউ কল্পনাও করতে পারেন না। কবিতা ছাড়া জীবনানন্দের যেন নিজেকে প্রকাশ করার আর কোনো পথ ছিল না। ফলে কবিতা দিয়েই নিজেকে চেনাতে চেয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে কারও সঙ্গ তিনি উপভোগ করছেন, এমনটা প্রায় ঘটেনি বললেই চলে।
চেহারা কিংবা চালচলনে তাঁকে ‘কাব্যিক’ অথবা ‘খেয়ালি’ বলা যেত না। চুলের ছাঁট যেকোনো অফিস-বাবুর মতোই, পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। কথা বলেন কাটা কাটা। একটানা অনেকক্ষণ কথা বলতে পারেন না। থেমে যান। জীবনানন্দের মধ্যে দুই হাত ছড়িয়ে নিঃশব্দে হেসে ওঠার একটা ধরন লক্ষ করেছেন বুদ্ধদেব বসু। সেটা ঘটে হঠাৎ তাঁকে কৌতুকরস গ্রাস করলে।
এক সন্ধ্যায় অচিন্তকুমার সেনগুপ্তকে নিয়ে জীবনানন্দের প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ে হানা দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু, তাঁকে নিয়ে বের হতে চাইছিলেন। কিন্তু জীবনানন্দ তাঁদের সঙ্গে বের হননি। আরও মজার ব্যাপার আছে। একবার বউবাজারের মোড়ে ইন্দো-বর্মা রেস্তোরাঁয় কল্লোল দলের অনেকে দল বেঁধে যাচ্ছেন খেতে। পথে দেখা জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে। চমকে দিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেছিল কল্লোলের দল। জীবনানন্দ সম্ভবত বিব্রত হয়েছিলেন। জীবনানন্দের গন্তব্যও ইন্দো-বর্মা। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিণতি হওয়ার কথা এমন: জীবনানন্দ ভিড়ে গেলেন কল্লোল দলের সঙ্গে। কিন্তু আদতে কী ঘটেছিল? আদতে একই সঙ্গে ইন্দো-বর্মা রেস্তোরাঁয় পৌঁছানো হলো, কিন্তু জীবনানন্দ বসলেন আলাদা টেবিলে। এবং খাওয়ার পর একাই বেরিয়ে গেলেন।
সূত্র: বুদ্ধদেব বসু, আত্মজৈবনিক, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
২০ ঘণ্টা আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
২ দিন আগেঢাকা কলেজ, এ দেশের শিক্ষা ইতিহাসেই শুধু নয়, জাতির ইতিহাসেরও এক অনন্য অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত এক নাম। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কলেজের কৃ
২ দিন আগে‘ভাষাকন্যা’ হিসেবে খ্যাত সুফিয়া আহমেদের জন্ম ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরে। ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম। সেদিন তিনি পুলিশি নির্যাতনে আহত হন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য...
৩ দিন আগে