অনলাইন ডেস্ক
চীনের সহায়তায় নেপালে নবনির্মিত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সাম্প্রতিক বিপরীতমুখী বক্তব্য বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। সম্প্রতি চীনা দূতাবাস বলেছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীনে ওই বিমানবন্দর নির্মিত হচ্ছে। যদিও বিআরআইয়ের অধীনে এখনো কোনো প্রকল্প স্বাক্ষরিত হয়নি বলে কাঠমাণ্ডুর ভাষ্য।
কদিন আগেই তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমিউনিস্ট নেতা পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। গতকাল রোববার তিনি পোখারা বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন। ঠিক এক দিন আগে চীনা দূতাবাস টুইটারে লেখে, ‘এটি (পোখারা বিমানবন্দর) চীন-নেপাল বিআরআই সহযোগিতার প্রধান প্রকল্প।’
চীন ও নেপাল ২০১৭ সালে বিআরআই-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এর অধীনে প্রাথমিকভাবে নেপালের ৩৫টি প্রকল্প ছিল। পরে বেইজিংয়ের অনুরোধে প্রকল্প ছেঁটে ৯টিতে নামিয়ে আনা হয়। পোখারার পরিবর্তে লেক সিটিতে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নেপাল সরকার ২০১৬ সালের মার্চে চীনের সঙ্গে নতুন করে প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চুক্তি করে। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং চায়না এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে হওয়া নতুন এই ঋণচুক্তিতে বিআরআইয়ের উল্লেখ নেই।
এই ঋণচুক্তি হওয়ার দুই বছর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছিল নেপাল। মনে রাখা দরকার, তখন চীনের বিআরআই প্রকল্প ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রথম ২০১৩ সালে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ হিসেবে বিআরআইয়ের ধারণা ঘোষণা করেছিলেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অন্তত তিনজন কর্মকর্তা নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমাণ্ডু পোস্টকে বলেছেন, ‘চীনের বিআরআই ধারণার অনেক আগে নেপাল বিমানবন্দর প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শুরু করেছিল।’
গত বছরের মার্চে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সফরের সময় কাঠমাণ্ডুতে পোখারা বিমানবন্দর প্রকল্প সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও কোনো পক্ষই বিআরআই নিয়ে কথা বলেনি।
অথচ হঠাৎ করেই গতকাল চীনা দূতাবাস বলেছে, এই বিমানবন্দর বিআরআইয়ের অধীনে নির্মিত হয়েছে। এ ব্যাপারে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চীন কেন এমন দাবি করছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে হ্যাঁ, এ কথা ঠিক, বিআরআইয়ের অধীনে চীন আমাদের আরও দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। এ দুটি প্রকল্প হচ্ছে নেপাল-চীন ক্রস-বর্ডার রেলওয়ে এবং নেপাল-চীন ক্রস বর্ডার ট্রান্সমিশন লাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা (কাঠমাণ্ডু পোস্ট তাঁর নাম প্রকাশ করেনি) আরও বলেছেন, ‘একটি ছয় সদস্যের চীনা দল গত সপ্তাহে কাঠমাণ্ডুতে পৌঁছেছে। তারা আগামী সপ্তাহ থেকে আন্তসীমান্ত রেলপথের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
পোখারা বিমানবন্দর নিয়ে চীনা দূতাবাসের বক্তব্যের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পোখারা বিমানবন্দর নিয়ে অনেক আগে থেকেই চীনের সঙ্গে আমাদের গভীর আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্প কোনোভাবেই বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে না। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে, চীনা ঋণ, অনুদান বা সহায়তাকে এখন বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে বলে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। তবে আমাদের সংজ্ঞায়, এটি কোনোভাবে বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে না।’
এর আগে নেপালের শের বাহাদুর দিউবা সরকার চীনকে বলেছিল, তারা ঋণ চায় না; বরং নেপালের অর্থনীতির আকার এবং প্রকৃতি বিবেচনা করে তারা অনুদান নেওয়ার পক্ষে। দিউবা সরকার খুবই স্পষ্টভাবে বলেছিল, বিআরআইয়ের আওতায় প্রকল্পের সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ। এত বেশি সুদহার দিয়ে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার অবস্থানে নেপাল নেই।
নেপালের পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য সত্ত্বেও গত বছরের ২২ এপ্রিল চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হাউ ইয়ানকি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘অনুদান ও বাণিজ্যিক ঋণ—উভয় নিয়েই বিআরআই গঠিত। চীন বর্তমানে নেপালে যেসব প্রকল্প নির্মাণ করছে, তার অনেকগুলোই বিআরআই কাঠামোর আওতায় পড়ে।’
হাউ ইয়ানকি আরও বলেছিলেন, ‘এটি (বিআরআই) একটি দীর্ঘ প্রকল্প। বিআরআইয়ের আওতায় নেপালে যে প্রকল্পগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলোর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, এটি লুম্বিনীর গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দরের মতো, যেখানে এডিবি বিনিয়োগ করেছে এবং চীনা ঠিকাদারেরা কাজ করেছে। দ্বিতীয়ত, পোখারা বিমানবন্দরের মডেল, যেখানে চীনের বাণিজ্যিক ঋণ ও অনুদান রয়েছে এবং নির্মাণ সংস্থাটিও চীনা ও তৃতীয় মডেলটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো, যেখানে উন্নয়নের দায়িত্ব একটি চীনা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে এবং খরচ নেপাল সরকার বহন করবে।’
এদিকে নেপালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দ্বিপক্ষীয় ডকুমেন্টেশনের কোথাও এই প্রকল্পগুলোর জন্য বিআরআইয়ের অনুদান বা ঋণের কথা নেই। প্রচার চালানো এক জিনিস, আর ডকুমেন্টেশন অন্য জিনিস। ডকুমেন্টেশনের কোথাও বা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আলোচনায় চীনা পক্ষ কখনোই বলেনি, পোখারা বিমানবন্দর বিআরআইয়ের অধীনে পড়ে।’
যাহোক, চীনা দূতাবাস গতকাল তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, নতুন বিমানবন্দরটি চীন এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মান অনুযায়ী ডিজাইন এবং নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটিতে চীনা প্রকল্পের গুণমান প্রতিফলিত হয়েছে। এটি যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নির্মাণে চীন ও নেপালের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চিহ্ন হয়ে থাকবে।
এই বিবৃতির পর নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বিমানবন্দর ইস্যুতে বিআরআই প্রসঙ্গটি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রকল্পের (পোখারা বিমানবন্দর) ঋণের জন্য ২০০৮ সালে আলোচনা শুরু হয়েছিল। চীনের কোম্পানি সিএএমসি ২০০৮ সালেই প্রথম পোখারা পরিদর্শন করেছিল। তখনো পুষ্প কমল দহল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কোনো নথিতেই বলা হয়নি, এই প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে।’
চীনে নিযুক্ত নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত লীলা মণি পাউডিয়াল বলেছেন, ‘কোন প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে, তা নির্ধারণ করা সত্যিই কঠিন। আমি জানি না, এই বিশেষ প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে কি না। তবে দিন শেষে চীনা বিনিয়োগ—সেটি অনুদান হোক আর ঋণ হোক, সবই তারা বিআরআই সহযোগিতা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।’
তথ্যসূত্র: দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম
চীনের সহায়তায় নেপালে নবনির্মিত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সাম্প্রতিক বিপরীতমুখী বক্তব্য বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। সম্প্রতি চীনা দূতাবাস বলেছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অধীনে ওই বিমানবন্দর নির্মিত হচ্ছে। যদিও বিআরআইয়ের অধীনে এখনো কোনো প্রকল্প স্বাক্ষরিত হয়নি বলে কাঠমাণ্ডুর ভাষ্য।
কদিন আগেই তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমিউনিস্ট নেতা পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। গতকাল রোববার তিনি পোখারা বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন। ঠিক এক দিন আগে চীনা দূতাবাস টুইটারে লেখে, ‘এটি (পোখারা বিমানবন্দর) চীন-নেপাল বিআরআই সহযোগিতার প্রধান প্রকল্প।’
চীন ও নেপাল ২০১৭ সালে বিআরআই-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এর অধীনে প্রাথমিকভাবে নেপালের ৩৫টি প্রকল্প ছিল। পরে বেইজিংয়ের অনুরোধে প্রকল্প ছেঁটে ৯টিতে নামিয়ে আনা হয়। পোখারার পরিবর্তে লেক সিটিতে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নেপাল সরকার ২০১৬ সালের মার্চে চীনের সঙ্গে নতুন করে প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চুক্তি করে। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং চায়না এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে হওয়া নতুন এই ঋণচুক্তিতে বিআরআইয়ের উল্লেখ নেই।
এই ঋণচুক্তি হওয়ার দুই বছর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য চুক্তি করেছিল নেপাল। মনে রাখা দরকার, তখন চীনের বিআরআই প্রকল্প ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রথম ২০১৩ সালে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ হিসেবে বিআরআইয়ের ধারণা ঘোষণা করেছিলেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অন্তত তিনজন কর্মকর্তা নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমাণ্ডু পোস্টকে বলেছেন, ‘চীনের বিআরআই ধারণার অনেক আগে নেপাল বিমানবন্দর প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শুরু করেছিল।’
গত বছরের মার্চে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সফরের সময় কাঠমাণ্ডুতে পোখারা বিমানবন্দর প্রকল্প সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও কোনো পক্ষই বিআরআই নিয়ে কথা বলেনি।
অথচ হঠাৎ করেই গতকাল চীনা দূতাবাস বলেছে, এই বিমানবন্দর বিআরআইয়ের অধীনে নির্মিত হয়েছে। এ ব্যাপারে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চীন কেন এমন দাবি করছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে হ্যাঁ, এ কথা ঠিক, বিআরআইয়ের অধীনে চীন আমাদের আরও দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। এ দুটি প্রকল্প হচ্ছে নেপাল-চীন ক্রস-বর্ডার রেলওয়ে এবং নেপাল-চীন ক্রস বর্ডার ট্রান্সমিশন লাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা (কাঠমাণ্ডু পোস্ট তাঁর নাম প্রকাশ করেনি) আরও বলেছেন, ‘একটি ছয় সদস্যের চীনা দল গত সপ্তাহে কাঠমাণ্ডুতে পৌঁছেছে। তারা আগামী সপ্তাহ থেকে আন্তসীমান্ত রেলপথের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
পোখারা বিমানবন্দর নিয়ে চীনা দূতাবাসের বক্তব্যের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পোখারা বিমানবন্দর নিয়ে অনেক আগে থেকেই চীনের সঙ্গে আমাদের গভীর আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্প কোনোভাবেই বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে না। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে, চীনা ঋণ, অনুদান বা সহায়তাকে এখন বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে বলে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। তবে আমাদের সংজ্ঞায়, এটি কোনোভাবে বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে না।’
এর আগে নেপালের শের বাহাদুর দিউবা সরকার চীনকে বলেছিল, তারা ঋণ চায় না; বরং নেপালের অর্থনীতির আকার এবং প্রকৃতি বিবেচনা করে তারা অনুদান নেওয়ার পক্ষে। দিউবা সরকার খুবই স্পষ্টভাবে বলেছিল, বিআরআইয়ের আওতায় প্রকল্পের সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ। এত বেশি সুদহার দিয়ে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার অবস্থানে নেপাল নেই।
নেপালের পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য সত্ত্বেও গত বছরের ২২ এপ্রিল চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হাউ ইয়ানকি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘অনুদান ও বাণিজ্যিক ঋণ—উভয় নিয়েই বিআরআই গঠিত। চীন বর্তমানে নেপালে যেসব প্রকল্প নির্মাণ করছে, তার অনেকগুলোই বিআরআই কাঠামোর আওতায় পড়ে।’
হাউ ইয়ানকি আরও বলেছিলেন, ‘এটি (বিআরআই) একটি দীর্ঘ প্রকল্প। বিআরআইয়ের আওতায় নেপালে যে প্রকল্পগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলোর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, এটি লুম্বিনীর গৌতম বুদ্ধ বিমানবন্দরের মতো, যেখানে এডিবি বিনিয়োগ করেছে এবং চীনা ঠিকাদারেরা কাজ করেছে। দ্বিতীয়ত, পোখারা বিমানবন্দরের মডেল, যেখানে চীনের বাণিজ্যিক ঋণ ও অনুদান রয়েছে এবং নির্মাণ সংস্থাটিও চীনা ও তৃতীয় মডেলটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো, যেখানে উন্নয়নের দায়িত্ব একটি চীনা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে এবং খরচ নেপাল সরকার বহন করবে।’
এদিকে নেপালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দ্বিপক্ষীয় ডকুমেন্টেশনের কোথাও এই প্রকল্পগুলোর জন্য বিআরআইয়ের অনুদান বা ঋণের কথা নেই। প্রচার চালানো এক জিনিস, আর ডকুমেন্টেশন অন্য জিনিস। ডকুমেন্টেশনের কোথাও বা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় আলোচনায় চীনা পক্ষ কখনোই বলেনি, পোখারা বিমানবন্দর বিআরআইয়ের অধীনে পড়ে।’
যাহোক, চীনা দূতাবাস গতকাল তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, নতুন বিমানবন্দরটি চীন এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মান অনুযায়ী ডিজাইন এবং নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটিতে চীনা প্রকল্পের গুণমান প্রতিফলিত হয়েছে। এটি যৌথভাবে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নির্মাণে চীন ও নেপালের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চিহ্ন হয়ে থাকবে।
এই বিবৃতির পর নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বিমানবন্দর ইস্যুতে বিআরআই প্রসঙ্গটি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রকল্পের (পোখারা বিমানবন্দর) ঋণের জন্য ২০০৮ সালে আলোচনা শুরু হয়েছিল। চীনের কোম্পানি সিএএমসি ২০০৮ সালেই প্রথম পোখারা পরিদর্শন করেছিল। তখনো পুষ্প কমল দহল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কোনো নথিতেই বলা হয়নি, এই প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে।’
চীনে নিযুক্ত নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত লীলা মণি পাউডিয়াল বলেছেন, ‘কোন প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে, তা নির্ধারণ করা সত্যিই কঠিন। আমি জানি না, এই বিশেষ প্রকল্প বিআরআইয়ের আওতায় পড়ে কি না। তবে দিন শেষে চীনা বিনিয়োগ—সেটি অনুদান হোক আর ঋণ হোক, সবই তারা বিআরআই সহযোগিতা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।’
তথ্যসূত্র: দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১১ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১৯ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে